প্রেশার হাই? স্ট্রোক হতে পারে কি?

চলুন, সোজাসাপটা জেনে নিই হাই প্রেশার আর স্ট্রোকের মধ্যে সম্পর্কটা কী।

List

Image Source: istockphoto.com

হাই প্রেশার জিনিসটা কী?

খুব সহজ করে বললে, আপনার ধমনীর মধ্যে দিয়ে রক্ত চলার সময় যদি দেয়ালে খুব বেশি চাপ দেয়, সেটাই হলো হাই ব্লাড প্রেশার বা উচ্চ রক্তচাপ।

List

Image Source: istockphoto.com

আপনার প্রেশার কত?

স্বাভাবিক: ১২০/৮০ (বারোর ওপর আট) হাই প্রেশার: ১৪০/৯০ (চোদ্দর ওপর নয়) বা তারও বেশি

List

Image Source: istockphoto.com

উচ্চ রক্তচাপ কি স্ট্রোকের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিতে পারে?

হ্যাঁ, বাড়াতে পারে। প্রেশার কন্ট্রোলে না রাখলে ব্রেইন স্ট্রোক হতে পারে। যার অন্যতম বড় কারণই হলো এই হাই প্রেশার।

List

Image Source: istockphoto.com

হাই প্রেশারকে 'নীরব ঘাতক' বলে

হাই প্রেশারের সবচেয়ে ভয়ের ব্যাপার হলো, বেশিরভাগ সময়ই এর কোনো লক্ষণ বোঝা যায় না। অথচ এটা ভেতরে ভেতরে শরীরের সর্বনাশ করতে থাকে।

List

Image Source: istockphoto.com

স্ট্রোক ছাড়াও বিপদ আছে

শুধু স্ট্রোকই নয়, হাই প্রেশারের জন্য হার্ট অ্যাটাক হতে পারে, হার্ট দুর্বল হয়ে (ফেল) যেতে পারে, এমনকি কিডনি পর্যন্ত নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

List

Image Source: istockphoto.com

এই লক্ষণগুলো খেয়াল করুন

1) খামোখা প্রচণ্ড মাথা ব্যথা। 2) মাথা ঘোরা বা ঘাড় ব্যথা। 3) বমি বমি ভাব বা গা গোলানো। 4) মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া। 5) রাতে ঘুম না আসা।

List

Image Source: istockphoto.com

কাদের ঝুঁকি বেশি?

1) সাধারণত বয়স ৪০ পেরোলে ঝুঁকি বাড়ে। 2) ওজন যদি খুব বেশি হয়। 3) পরিবারে বাবা-মা বা কারও হাই প্রেশারের সমস্যা থাকলে।

List

Image Source: istockphoto.com

কেন হয় এই সমস্যা?

দোষ আমাদের জীবনযাপনের! যেমন - 1) পাতে বেশি লবণ খাওয়া। 2) বিড়ি-সিগারেট বা মদ্যপান। 3) একদম গা নাড়ানো বা ব্যায়াম না করা। 4) সব সময় টেনশনে থাকা।

List

Image Source: istockphoto.com

জীবনযাত্রায় লাগাম টানুন

1) ওজনটা ঠিক রাখতেই হবে। 2) রোজ একটু হাঁটাহাঁটি বা ব্যায়াম করুন। 3) অহেতুক টেনশন করা ছাড়ার চেষ্টা করুন।

List

Image Source: istockphoto.com

খাওয়া-দাওয়া বদলান

1) কাঁচা লবণ একদম বাদ দিন। 2) ধূমপান বা মদ্যপান পুরোপুরি ছাড়ুন। 3) তেল-চর্বি কমিয়ে সবুজ শাকসবজি আর ফলমূল বেশি করে খান।

List

Image Source: istockphoto.com

শেষ কথা

কথা হলো, প্রেশার কন্ট্রোলে রাখলে স্ট্রোকের ভয়ও কম। বয়স চল্লিশ পেরোলেই মাঝে মাঝে প্রেশারটা চেক করান। আর অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলুন।

List

Image Source: istockphoto.com