এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “ওজন-আয়তন সংক্রান্ত গণনায় কী কী নিয়ম মানতে হয়? 1 গ্রাম ভরকে সম্পূর্ণরূপে শক্তিতে রূপান্তরিত করলে E = mc2 সূত্রানুসারে কী পরিমাণ শক্তি পাওয়া যাবে?” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “মোলার আয়তন ও মোলার ভর বলতে কী বোঝায়? মোলার আয়তন ও মোলার ভরের মধ্যে পার্থক্য লেখো।” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের তৃতীয় অধ্যায় “রাসায়নিক গণনা“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়।

ওজন-আয়তন সংক্রান্ত গণনায় কী কী নিয়ম মানতে হয়?
ওজন-আয়তন সংক্রান্ত গণনার সময় নীচের বিষয়গুলি মনে রাখা অবশ্যই দরকার-
- STP -তে এক গ্রাম-অণু যে-কোনো গ্যাসের আয়তন 22.4 লিটার।
- সমীকরণে প্রকাশিত গ্যাসগুলির আয়তন STP -তে ধরা হয়।
- গ্যাসের আণবিক গুরুত্ব = 2 × বাষ্পঘনত্ব অর্থাৎ M = 2D হবে।
- STP -তে 1 লিটার H2 গ্যাসের ওজন = 0.089 গ্রাম।
- STP -তে 1 লিটার যে-কোনো গ্যাসের ওজন = গ্যাসটির বাষ্পঘনত্ব × 0.089 গ্রাম।
- বিক্রিয়ার সমীকরণ থেকে বিক্রিয়কের ওজন নির্ণয় করা হয়।
1 গ্রাম ভরকে সম্পূর্ণরূপে শক্তিতে রূপান্তরিত করলে E = mc2 সূত্রানুসারে কী পরিমাণ শক্তি পাওয়া যাবে?
E = mc2, যেখানে E = শক্তি, m = ভর = 1 g এবং c = শূন্য মাধ্যমে আলোর বেগ = 3 × 1010 cm s-1।
∴ E = mc2
বা, E = 1 g × (3 × 1010)2(cms-1)2
বা, E = 9 × 1020 erg
বা, E = 9 × 1013 J [∵ 1 J = 107 erg]
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
STP -তে এক গ্রাম-অণু গ্যাসের আয়তন কত?
STP (Standard Temperature and Pressure)-তে যেকোনো গ্যাসের এক গ্রাম-অণুর আয়তন 22.4 লিটার।
গ্যাসের আণবিক গুরুত্ব (M) এবং বাষ্পঘনত্ব (D) -এর মধ্যে সম্পর্ক কী?
গ্যাসের আণবিক গুরুত্ব (M) এবং বাষ্পঘনত্ব (D) -এর মধ্যে সম্পর্ক – গ্যাসের আণবিক গুরুত্ব = 2 × বাষ্পঘনত্ব, অর্থাৎ M = 2D।
STP-তে 1 লিটার হাইড্রোজেন (H2) গ্যাসের ওজন কত?
STP -তে 1 লিটার H2 গ্যাসের ওজন 0.089 গ্রাম।
STP -তে যেকোনো গ্যাসের 1 লিটারের ওজন কীভাবে নির্ণয় করা যায়?
STP -তে কোনো গ্যাসের 1 লিটারের ওজন = গ্যাসের বাষ্পঘনত্ব (D) × 0.089 গ্রাম।
E = mc2 সূত্রে m এবং c -এর মান কী?
E = mc2 সূত্রে m = ভর = 1 গ্রাম (1 g) এবং c = শূন্যস্থানে আলোর বেগ = 3 × 1010 cm/s।
erg -কে জুলে (J) রূপান্তর করলে কত হয়?
erg -কে জুলে (J) রূপান্তর করলে হয় – 1 J = 107 erg ∴ 9 × 1020 erg = 9 × 1013 J।
1 গ্রাম ভর থেকে কত শক্তি পাওয়া যায়?
সূত্র অনুসারে, E = mc2 বা, E = 1 g × (3 × 1010 cm/s)2 বা, E = 9 × 1020 erg।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “ওজন-আয়তন সংক্রান্ত গণনায় কী কী নিয়ম মানতে হয়? 1 গ্রাম ভরকে সম্পূর্ণরূপে শক্তিতে রূপান্তরিত করলে E = mc2 সূত্রানুসারে কী পরিমাণ শক্তি পাওয়া যাবে?” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “ওজন-আয়তন সংক্রান্ত গণনায় কী কী নিয়ম মানতে হয়? 1 গ্রাম ভরকে সম্পূর্ণরূপে শক্তিতে রূপান্তরিত করলে E = mc2 সূত্রানুসারে কী পরিমাণ শক্তি পাওয়া যাবে?” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের তৃতীয় অধ্যায় “রাসায়নিক গণনা“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন