আজকের আর্টিকেলে আমরা নবম শ্রেণীর ইতিহাস বইয়ের ষষ্ঠ অধ্যায়, “দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও তারপর” -এর “বিষয়সংক্ষেপ” নিয়ে আলোচনা করব। এই অধ্যায়ের বিষয়বস্তু পড়ার সময় অধ্যায়টির কাঠামো ও প্রধান বিষয়াবলি বুঝতে সাহায্য করবে, যা আপনাদের পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি, এই সংক্ষিপ্ত বিবেচনা আপনাদের প্রস্তুতি আরও ভালো করতে সাহায্য করবে।

ফ্যাসিবাদ (Fascism) –
ফ্যাসিবাদ (Fascism) হল উগ্র জাতীয়তাবাদী, জাতিবিদ্বেষী, আগ্রাসী ও সাম্রাজ্যবাদী উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত একটি একদলীয় একনায়কতন্ত্রী শাসনব্যবস্থা এবং এক সর্বনিয়ন্ত্রণবাদী মতবাদ।
- বেনিটো মুসোলিনি (Benito Mussolini) 1919 খ্রিস্টাব্দের 23 মার্চ ইটালির মিলান শহরে 118 জন কর্মচ্যুত সৈনিক ও দেশপ্রেমিক ব্যক্তিদের নিয়ে ‘ফ্যাসি দি কম্বাত্তিমেন্টো’ (Fasci Di Combattimento) নামে একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন (ফ্যাসিস্ট দল)।
- ফ্যাসিস্ট (Fascist) কথাটির উৎপত্তি হয়েছে ল্যাটিন শব্দ ‘ফ্যাসেস’ (Fasces) থেকে, যার অর্থ হল সর্বশক্তিময়। এই দলের প্রতীক ছিল ‘ফ্যাসেস’ (Fasces) বা কুঠারের সঙ্গে বাঁধা একগুচ্ছ কাঠ। এটি ছিল প্রাচীন রোমান সম্রাটদের রাজদণ্ডের প্রতীক।
নাৎসিবাদ (Nazism) –
1919 খ্রিস্টাব্দে জার্মানিতে অ্যান্টন ড্রেক্সলার (Anton Drexler) ‘জার্মান ওয়ার্কার্স পার্টি’ (German Workers’ Party) প্রতিষ্ঠা করেন। কিছুদিন পরে এই দলের নতুন নাম হয় ‘ন্যাশনাল সোশ্যালিস্ট জার্মান ওয়ার্কার্স পার্টি’ (National Socialist German Workers’ Party) বা সংক্ষেপে নাৎসি পার্টি (Nazi Party)। হিটলার 1921 খ্রিস্টাব্দ থেকে 1945 খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত এই দলের নেতা ছিলেন।
ইটালির ফ্যাসিবাদ ও জার্মানির নাৎসিবাদের মধ্যে সামান্য কিছু পার্থক্য থাকলেও মূল বিষয়ে অভিন্নতা থাকায় উভয়কে সাধারণভাবে ফ্যাসিবাদ (Fascism) বলা হয়।
গণতন্ত্র (Democracy) –
গণতন্ত্র বা Democracy শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ Demos (যার অর্থ জনগণ) এবং Kratos (যার অর্থ শাসন) থেকে। শব্দগত দিক থেকে গণতন্ত্রের অর্থ হল জনগণের শাসন।
- পণ্ডিত মিল (Mill) -এর মতে, যে শাসনব্যবস্থায় সমস্ত জনগণ অথবা জনগণের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ প্রতিনিধির মাধ্যমে শাসনকাজে অংশগ্রহণ করে এবং নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ জনগণের কাছে দায়িত্বশীল থাকে, তাকে গণতন্ত্র বলা হয়।
- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি আব্রাহাম লিংকন (Abraham Lincoln) বলেছেন, গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা হল সেই শাসনব্যবস্থা যা জনগণের জন্য জনগণ কর্তৃক পরিচালিত জনগণের শাসন। (‘Government of the people, by the people, for the people’.)
- স্বামী বিবেকানন্দ (Vivekananda) বলেছেন যে, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে যে-কোনো শ্রেণি নেতৃত্ব করুক না কেন, জনগণই হল প্রকৃত ক্ষমতার উৎসস্থল।
- হিটলারের ইহুদি নির্যাতন বিভাগের প্রধান ছিলেন আইসম্যান (Iceman)।
- ইহুদি বিজ্ঞানী আইনস্টাইন (Einstein) হিটলারের নির্যাতনের ফলে স্বদেশ ছাড়া হয়েছিলেন।
- হিটলার ‘মেইন ক্যাম্প’ (Mein Kampf) গ্রন্থে ইহুদি জাতিকে ধ্বংস করে দেওয়ার কথা বলেছেন।
- হিটলার অস্ট্রিয়া দখল করলে অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলার শুশনিগ (Schuschnigg) পদত্যাগ করেন। আর্থার শেইস (Arthur Seyss) নতুন চ্যান্সেলার হন।
ডিচি সরকার (Vichy Government) –
জার্মানবাহিনী 1940 খ্রিস্টাব্দের 13 জুন ফ্রান্সের প্যারিস দখল করে। এইসময় ফ্রান্সের রেনোঁ মন্ত্রিসভা পদত্যাগ করে। ফিলিপ পেঁতা (Philippe Pétain) নামে এক বৃদ্ধ ফরাসি মার্শাল ফ্রান্সের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তিনি জার্মানির কাছে আত্মসমর্পণ করেন। এই নতুন ফরাসি সরকারের রাজধানী ছিল ভিচি শহরে। তাই এই ফরাসি সরকারকে ভিচি সরকার (Vichy Government) বলা হত।
হিটলারের প্রতিশোধ –
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির পরাজয়ের পর 1918 খ্রিস্টাব্দের 11 নভেম্বর যে রেলের কামরায় জার্মান প্রতিনিধিদের ভার্সাই সন্ধি স্বাক্ষর করতে বাধ্য করা হয়েছিল, সেই রেলের কামরা সেই জায়গায় এনে 1940 খ্রিস্টাব্দের 21 নভেম্বর ফরাসি প্রতিনিধিদের আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করা হয়। হিটলার এইভাবেই ফ্রান্সের উপর ভার্সাই সন্ধির অপমানের প্রতিশোধ গ্রহণ করেছিলেন।
- হিটলারের লক্ষ্য ছিল পূর্ব ইউরোপে জার্মান সাম্রাজ্য বিস্তার দ্বারা জার্মানির Lebensraum বা জার্মানদের বাসস্থান বিস্তৃত করা।
- মুসোলিনির মতে, আন্তর্জাতিক শাস্তি হল কাপুরুষের স্বপ্ন। সাম্রাজ্যবাদ ও যুদ্ধনীতি হল জাতির প্রাণশক্তির প্রাচুর্যের প্রমাণ।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দুটি প্রধান শস্ত্রিজোট এবং তাদের নেতৃবৃন্দ
মিত্রশক্তি | প্রধান নেতা |
ইংল্যান্ড | উইনস্টন চার্চিল (Winston Churchill) |
ফ্রান্স | চার্লস ডি গল (Charles de Gaulle) |
সোভিয়েত রাশিয়া | জোসেফ স্ট্যালিন (Joseph Stalin) |
আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র | ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট (Franklin D. Roosevelt) |
অক্ষশক্তি | প্রধান নেতা |
জার্মানি | অ্যাডলফ হিটলার (Adolf Hitler) |
ইটালি | বেনিটো মুসোলিনি (Benito Mussolini) |
জাপান | হিদেকি তোজো (Hideki Tojo) |

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সংক্রান্ত কিছু অভিনব তথ্য –
ব্লিৎস ক্রিগ (Blitz krieg) বা ঝটিকা যুদ্ধপদ্ধতি –
এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হিটলারের একটি যুদ্ধকৌশল। এই যুদ্ধকৌশল হল আচমকা আক্রমণ করে শত্রুপক্ষকে অচল করে দেওয়া বা ঝড়ের গতিতে আক্রমণ করা। হিটলার পোল্যান্ড আক্রমণের (1939 খ্রিস্টাব্দের 1 সেপ্টেম্বর) প্রথম দিনই বিমানবাহিনীর সাহায্যে বোমা ফেলে পোল্যান্ডের শহর, রেলপথ, সেতু, বিমানবাহিনী এবং শক্তিকেন্দ্রগুলিকে অচল করে দেন। কয়েক দিনের মধ্যেই পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশ দখল করে নেয় জার্মানবাহিনী।
পার্ল হারবার (Pearl Harbour) –
প্রশান্ত মহাসাগরের হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে পার্ল হারবার (Pearl Harbour) অবস্থিত। 1908 খ্রিস্টাব্দে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখানে নৌ-ঘাঁটি স্থাপন করে। প্রথম থেকেই এই নৌ-ঘাঁটি জাপানের কাছে ভীতির কারণ ছিল। পার্ল হারবার নৌ-ঘাঁটি ছিল অত্যন্ত সুরক্ষিত। কিন্তু জাপান কৌশলে এই সামরিক ঘাঁটি সম্পর্কে তথ্য জোগাড় করে। ওই ঘাঁটি নির্মাণের কাজে অনেক শ্রমিক কাজ করত। শ্রমিকের ছদ্মবেশে অনেক জাপানি গুপ্তচর সেখানে কাজ করেছিল। ফলে সুরক্ষিত নৌ-ঘাঁটির বিস্তারিত তথ্য জাপানের জানা ছিল।
1941 খ্রিস্টাব্দে 26 নভেম্বর মার্কিন পররাষ্ট্রসচিব করডেল হাল জাপানকে চিন ও ইন্দোচিন থেকে সকল সেনা প্রত্যাহার করা এবং আমেরিকা, চিন ও জাপানের মধ্যে একটি অনাক্রমণ চুক্তি স্বাক্ষর সংক্রান্ত যে শর্ত দেন, তা ‘হাল নোট’ (Hull Note) নামে বিখ্যাত।
লিটল বয় ও ফ্যাট ম্যান (Little Boy and Fat Man):
লিটল বয় (Little Boy) –
1945 খ্রিস্টাব্দের 6 আগস্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল পল ডব্লিউ টিবেটস নামক ব্যক্তি ‘এনোলা গে’ বিমানের সাহায্যে জাপানের হিরোশিমা শহরে যে পরমাণু বোমা ফেলে, সেটির নাম ছিল লিটল বয় (Little Boy) I
ফ্যাট ম্যান (Fat Man) –
হিরোশিমা ধ্বংসের তিন দিন পর 1945 খ্রিস্টাব্দের 9 আগস্ট নাগাসাকি শহরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চার্লস। বাকসুইনি নামক ব্যক্তি ‘বক্স কার’ বিমানের সাহায্যে যে পরমাণু বোমা ফেলে, সেটির নাম ফ্যাট ম্যান (Fat Man)। ফ্যাট ম্যানের ওজন ছিল। প্রায় 10,213 পাউন্ড বা 4,633 কেজি। এর দৈর্ঘ্য ছিল 10.7 ফুট এবং ব্যাস 5 ফুট।
রাখে হরি মারে কে –
এটি বাংলার একটি প্রবাদ। নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে গেলে এমন কথা বলা হয়। পরমাণু বোমা নির্মাণের সময় প্রয়োজনীয় উপকরণের অপর্যাপ্ততার জন্য বোমা তৈরি হতে বেশ কয়েক মাস দেরি হয়। এর ফলে আমেরিকার দৃষ্টি জার্মানির পরিবর্তে জাপানের দিকে নিবদ্ধ হয়। 6 আগস্ট জাপানের হিরোশিমা শহরে পরমাণু বোমা ফেলা হল। 9 আগস্ট লক্ষ্যস্থল হিসেবে ঠিক করা হয় ককুরা শহরকে। কিন্তু সেদিন সেখানে আকাশ জুড়ে মেঘ জমেছিল। তাই তারা বিকল্প লক্ষ্যস্থল হিসেবে নাগাসাকিকে বেছে নেয়। 9 আগস্ট নাগাসাকির উপর পরমাণু বোমা ফেলা হয়।
সোভিয়েত রাশিয়ার বার্লিন অবরোধে আমেরিকার নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার সম্ভাবনায় মার্কিন সিনেটার আর্থার ভেন্ডেনবার্গ মার্কিন কংগ্রেসে প্রস্তাব রাখেন যে, আমেরিকার বাইরে অবস্থিত রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে আমেরিকা যৌথ সামরিক চুক্তি করতে পারবে। এটি ‘ভেন্ডেনবার্গ প্রস্তাব’ নামে খ্যাত।
বিশ্ব ইতিহাসে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রভাব –
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ (1939 খ্রিস্টাব্দ – 1945 খ্রিস্টাব্দ) বিশ্ব ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছিল। এর ফলে আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি এবং বিভিন্ন রাষ্ট্রবর্গের পারস্পরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিরাট বদল ঘটে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ যেমন ইউরোপ মহাদেশের একক প্রাধান্য হ্রাস করে অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্র রাষ্ট্রবর্গকে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে স্থান করে দিয়েছিল, তেমনি সোভিয়েত রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শক্তি, মর্যাদা ও গুরুত্ব বৃদ্ধি করেছিল। এ ছাড়া এশিয়া ও আফ্রিকার জাতীয়তাবাদী জাগরণ, ঔপনিবেশিকতার দ্রুত অবসান, ইউরোপীয় শক্তিবর্গের রাজনৈতিক প্রাধান্যের বিলোপ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত রাশিয়ার রাজনৈতিক নেতৃত্ব গ্রহণ প্রভৃতি আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির সূচনা করে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন বিভিন্ন দোশর পরিসংখ্যানগত তালিকা –
দেশ | জার্মানি | ইটালি | ইংল্যান্ড | আমেরিকা | ফ্রান্স | সোভিয়েত রাশিয়া | জাপান |
জনসংখ্যা | 73,000,000 | 40,000,000 | 46,000,000 | 131,000,000 | 40,800,000 | 190,000,000 | 73,000,000 |
সৈন্যবাহিনীর সংখ্যা | 13,000,000 | 1,450,000 | 5,900,000 | 16,115,000 | 7,930,000 | 29,574,900 | 9,700,000 |
বিমানবাহিনীর সংখ্যা | 3,400,000 | 1,200,000 | 1,142,000 | 2,531,000 | 1,500,000 | 1,200,000 | 4,000,000 |
নৌবাহিনীর সংখ্যা | 1,500,000 | 700 ,000 | 1,000,000 | 1,100,000 | 1,300,000 | 500,000 | 1,400,000 |
মিত্রতা | জাপান এবং ইটালি | জাপান এবং জার্মানি | আমেরিকা, ফ্রান্স, সোভিয়েত রাশিয়া | ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, সোভিয়েত রাশিয়া | ইংল্যান্ড, আমেরিকা, সোভিয়েত রাশিয়া | আমেরিকা, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড | জার্মানি এবং ইটালি |
যুদ্ধে নিহত মানুষের সংখ্যা | 3,500,000 | 280,000 | 403,000 | 405,000 | 250,000 | 8,668,000 | 2,566,000 |
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর পর্বের বিভিন্ন সংগঠন –
- COMINFORM – 1947 খ্রিস্টাব্দ – Communist Information Bureau.
- NATO – 1949 খ্রিস্টাব্দ – North Atlantic Treaty Organisation.
- SEATO – 1954 খ্রিস্টাব্দ South-East Asia Treaty Organisation.
- CENTO – 1955 খ্রিস্টাব্দ – Central Treaty Organisation.
প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধবংসক্ষেত্রের গুণগত ও পরিমাণগত বদলের হিসাব –
বিষয় | প্রথম বিশ্বযুদ্ধ (প্রায়) | দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ (প্রায়) |
যুদ্ধরত দেশের সংখ্যা | 33টি | 72টি |
যুদ্ধে জড়িত মানুষের সংখ্যা | 10 কোটি | 170 কোটি |
যুদ্ধজনিত খরচ | 27 হাজার কোটি ডলার | 1 লক্ষ 50 হাজার কোটি ডলার |
সশস্ত্র সৈন্যসংখ্যা | 7 কোটি 40 লক্ষ | 11 কোটি |
নিহতের সংখ্যা | 1 কোটি | 5 কোটি 50 লক্ষ |
আহতের সংখ্যা | 3 কোটি 50 লক্ষ | 8 কোটি |
মোট দিন সংখ্যা | 1565 দিন | 2191 দিন |
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে (1939-1845 খ্রিস্টাব্দ) গণহত্যার একটি উল্লেখযোগ্য দিক ছিল গ্যাস চেম্বার। গ্যাস চেম্বার হল একটি বন্ধ কক্ষ যেখানে অ্যাম্ফিকসিয়ান্ট বা শ্বাসরোধকারী গ্যাসের সাহায্যে একসঙ্গে প্রচুর সংখ্যক মানুষ বা প্রাণী হত্যা করা হত। এরূপ গ্যাস চেম্বারে ব্যবহৃত বিষাক্ত গ্যাস হল হাইড্রোজেন সায়ানাইড, কার্বন ডাইঅক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড প্রভৃতি।
- 1975 খ্রিস্টাব্দের বায়োলজিক্যাল উইপেনস কনভেনশন-এ (Biological Weapons Convention) যুদ্ধক্ষেত্রে রাসায়নিক গ্যাস ও ব্যাকটেরিয়া ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও তাতে কেমিক্যাল ও বায়োলজিক্যাল অস্ত্র গবেষণাগার কাজ বন্ধ হয়নি; বরং অনেকটাই অগ্রগতি হয়েছে। বায়োলজিক্যাল অস্ত্রের ব্যবহারে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার প্রকোপে ‘ইয়েলো-ফিভার’, ‘রিকেট’, ‘টাইফয়েড’, ‘প্লেগ’, ‘ফাঙ্গি’ ইত্যাদি রোগ দেখা দিতে পারে।
কয়েকটি বিখ্যাত গ্রন্থ ও গ্রন্থকারের নাম –
গ্রন্থ | গ্রন্থকার |
দি অরিজিনস অফ দ্য সেকেন্ড ওয়ার্ল্ড ওয়ার (The Origins of the Second World War) | এ জে পি টেলর (AJP Taylor) |
দি ইউরোপিয়ান পাওয়ারস, 1900-1945 (The European Powers, 1900-1945) | মার্টিন গিলবার্ট (Martin Gilbert) |
দি এনম্নাইক্লোপিডিয়া অফ ওয়ারফেয়ার: ফ্রম আর্লিয়েস্ট টাইমস টু দ্য প্রেজেন্ট ডে (The Encyclopedia of Warfare: From Earliest Times to the Present Day) | অ্যাড্রিয়ান গিলবার্ট (Adrian Gilbert) |
দ্য ওয়ার অফ দ্য ওয়ার্ল্ড: টোয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি কনফ্লিক্ট অ্যান্ড দ্য ডিসেন্ট অফ দ্য ওয়েস্ট (The War of the World: Twentieth Century Conflict and the Descent of the West) | নিল ফার্গুসন (Niall Ferguson) |
আজকের আর্টিকেলে আমরা নবম শ্রেণীর ইতিহাস বইয়ের ষষ্ঠ অধ্যায়, “দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও তারপর” -এর “বিষয়সংক্ষেপ” নিয়ে আলোচনা করেছি। এই অধ্যায়ের বিষয়বস্তু অধ্যয়নের সময় অধ্যায়টির কাঠামো ও প্রধান বিষয়াবলি বুঝতে সাহায্য করবে, যা আপনাদের পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আশা করি, এই আর্টিকেলটি আপনাদের পরীক্ষার প্রস্তুতিতে কিছুটা হলেও সহায়ক হয়েছে। যদি কোনো প্রশ্ন, মতামত বা সহায়তার প্রয়োজন হয়, নিচে মন্তব্য করে জানাতে পারেন কিংবা টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন—আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে আমরা সর্বদা প্রস্তুত।
মন্তব্য করুন