এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “তাপীয় রোধ কাকে বলে? পরিবাহীর দৈর্ঘ্য বৃদ্ধিতে তাপীয় রোধের কীরূপ পরিবর্তন ঘটে? তাপীয় রোধের SI একক কী?” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “তাপীয় রোধ কাকে বলে? পরিবাহীর দৈর্ঘ্য বৃদ্ধিতে তাপীয় রোধের কীরূপ পরিবর্তন ঘটে? তাপীয় রোধের SI একক কী?” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের চতুর্থ অধ্যায় “তাপের ঘটনাসমূহ“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়।

তাপীয় রোধ কাকে বলে? পরিবাহীর দৈর্ঘ্য বৃদ্ধিতে তাপীয় রোধের কীরূপ পরিবর্তন ঘটে?
পরিবাহীর মধ্য দিয়ে তাপ পরিবহণের বাধার পরিমাণকে তাপীয় রোধ বলে। পরিবাহীর দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পেলে তাপীয় রোধ বৃদ্ধি পায়, অর্থাৎ তাপীয় রোধ পরিবাহীর দৈর্ঘ্যের সমানুপাতিক।
তাপীয় রোধের SI একক কী?
আমরা জানি, তাপীয় রোধ \(=\frac d{kA}\)
\(=\frac{\left(\theta_2-\theta_1\right)}{\displaystyle\frac Qt}\\\) \(=\frac{\left(\theta_2-\theta_1\right)t}Q\\\)\(\left(\theta_2-\theta_1\right)\) -এর একক কেলভিন \(\left(K\right)\), \(t\) -এর একক সেকেন্ড \(\left(s\right)\), \(Q\) -এর একক জুল \(\left(J\right)\)
∴ তাপীয় রোধের SI একক হল \(K\;s\;J^{-1}\)।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
তাপীয় রোধ কী?
কোনো পদার্থের মধ্য দিয়ে তাপ প্রবাহিত হতে যে বাধার সৃষ্টি হয়, তাকে তাপীয় রোধ বলে। এটি পদার্থের তাপ পরিবহন ক্ষমতার বিপরীত ধর্মী।
পরিবাহীর দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি করলে তাপীয় রোধের কী পরিবর্তন হয়?
পরিবাহীর দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি করলে তাপীয় রোধ বৃদ্ধি পায়। অর্থাৎ, তাপীয় রোধ পরিবাহীর দৈর্ঘ্যের সমানুপাতিক।
তাপীয় রোধের SI একক লেখো।
তাপীয় রোধের SI একক হল কেলভিন-সেকেন্ড প্রতি জুল (K s J⁻¹) বা কেলভিন প্রতি ওয়াট (K/W)।
তাপীয় রোধ কীসের ওপর নির্ভর করে?
তাপীয় রোধ নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর ওপর নির্ভর করে –
1. দৈর্ঘ্য (l) – দৈর্ঘ্য বাড়লে রোধ বাড়ে।
2. প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল (A) – ক্ষেত্রফল বাড়লে রোধ কমে।
3. তাপ পরিবাহীতা সহগ (k) – k যত বেশি, তাপীয় রোধ তত কম।
তাপীয় রোধ ও তাপ পরিবাহীতা সহগের মধ্যে সম্পর্ক কী?
তাপীয় রোধ (R) এবং তাপ পরিবাহীতা সহগ (k) পরস্পর বিপরীত সম্পর্কযুক্ত। অর্থাৎ, কোনো পদার্থের তাপ পরিবাহীতা যত বেশি হবে, তার তাপীয় রোধ তত কম হবে।
তাপীয় রোধের ধারণা কোথায় ব্যবহার করা হয়?
তাপীয় রোধের ধারণা নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় –
1. তাপ নিরোধক পদার্থের নকশা (যেমন – বাড়ির দেয়াল, থার্মোস ফ্লাস্ক)।
2. ইলেকট্রনিক্সে তাপ ব্যবস্থাপনা (হিট সিঙ্ক ডিজাইন)।
3. তাপীয় যন্ত্রপাতির দক্ষতা বিশ্লেষণ।
তাপীয় রোধ কি তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে?
হ্যাঁ, কিছু পদার্থের তাপীয় রোধ তাপমাত্রার সাথে পরিবর্তিত হয়। যেমন:
1. ধাতু – তাপমাত্রা বাড়লে তাপীয় রোধ বাড়ে (কারণ ইলেকট্রনগুলোর সংঘর্ষ বৃদ্ধি পায়)।
2. সেমিকন্ডাক্টর – তাপমাত্রা বাড়লে তাপীয় রোধ কমতে পারে।
তাপীয় রোধের ব্যবহারিক প্রয়োগ কোথায় দেখা যায়?
তাপীয় রোধের ব্যবহারিক প্রয়োগ –
1. হিট সিঙ্ক (Heat Sink) – ইলেকট্রনিক ডিভাইসে অতিরিক্ত তাপ অপসারণের জন্য অ্যালুমিনিয়াম বা তামার হিট সিঙ্ক ব্যবহার করা হয়, যার তাপীয় রোধ কম।
2. বিল্ডিং ইন্সুলেশন – দেয়ালে ফোম বা ফাইবারগ্লাস ব্যবহার করে তাপীয় রোধ বাড়ানো হয়, যাতে ঘর গরম বা ঠান্ডা রাখা সহজ হয়।
3. থার্মোস ফ্লাস্ক – ডাবল ওয়ালড কাঁচের মধ্যে শূন্যতা তৈরি করে তাপীয় রোধ বৃদ্ধি করে তাপ স্থানান্তর কমানো হয়।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “তাপীয় রোধ কাকে বলে? পরিবাহীর দৈর্ঘ্য বৃদ্ধিতে তাপীয় রোধের কীরূপ পরিবর্তন ঘটে? তাপীয় রোধের SI একক কী?” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “তাপীয় রোধ কাকে বলে? পরিবাহীর দৈর্ঘ্য বৃদ্ধিতে তাপীয় রোধের কীরূপ পরিবর্তন ঘটে? তাপীয় রোধের SI একক কী?” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের চতুর্থ অধ্যায় “তাপের ঘটনাসমূহ“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন