গোলীয় দর্পণে প্রতিবিম্ব গঠনের রশ্মি অনুসরণ পদ্ধতি লেখো।

Souvick

এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “গোলীয় দর্পণে প্রতিবিম্ব গঠনের রশ্মি অনুসরণ পদ্ধতি লেখো।” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “গোলীয় দর্পণে প্রতিবিম্ব গঠনের রশ্মি অনুসরণ পদ্ধতি লেখো।” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের পঞ্চম অধ্যায় “আলো“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়।

গোলীয় দর্পণে প্রতিবিম্ব গঠনের রশ্মি অনুসরণ পদ্ধতি লেখো।

গোলীয় দর্পণে প্রতিবিম্ব গঠনের রশ্মি অনুসরণ পদ্ধতি লেখো।

নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যগুলি অনুসরণ করে আমরা অতি সহজেই গোলীয় দর্পণ কর্তৃক কোনো বস্তুর গঠিত প্রতিবিম্বের অবস্থান নির্ণয় করতে পারি –

1. কোনো গোলীয় দর্পণের প্রধান অক্ষের সঙ্গে সমান্তরালভাবে আপতিত রশ্মি প্রতিফলনের পর সর্বদাই ওই দর্পণের মুখ্য ফোকাসের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করে বা মুখ্য ফোকাস অভিমুখী হয়।

গোলীয় দর্পণে প্রতিবিম্ব গঠনের রশ্মি অনুসরণ পদ্ধতি লেখো।

2. কোনো আপতিত আলোকরশ্মি গোলীয় দর্পণের মুখ্য ফোকাসের মধ্য দিয়ে গেলে বা মুখ্য ফোকাস অভিমুখী হলে প্রতিফলনের পর ওই রশ্মিটি প্রধান অক্ষের সমান্তরালে নির্গত হবে।

3. কোনো গোলীয় দর্পণের বক্রতা কেন্দ্রের মধ্য দিয়ে অগ্রসরমান বা বক্রতা কেন্দ্র অভিমুখী কোনো আলোকরশ্মি ওই দর্পণের ওপর লম্বভাবে আপতিত হওয়ায় প্রতিফলনের পর ওই একই পথ ধরে বিপরীত দিকে ফিরে যায়।

গোলীয় দর্পণে প্রতিবিম্ব গঠনের রশ্মি অনুসরণ পদ্ধতি লেখো।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর

গোলীয় দর্পণে প্রতিবিম্ব গঠনের জন্য কী কী রশ্মি ব্যবহার করা হয়?

গোলীয় দর্পণে প্রতিবিম্ব গঠনের জন্য সাধারণত তিনটি প্রধান রশ্মি ব্যবহার করা হয় –
1. প্রধান অক্ষের সমান্তরাল রশ্মি → প্রতিফলনের পর ফোকাস (F) দিয়ে যায়।
2. ফোকাস (F) দিয়ে যাওয়া রশ্মি → প্রতিফলনের পর প্রধান অক্ষের সমান্তরাল হয়।
3. বক্রতা কেন্দ্র (C) দিয়ে যাওয়া রশ্মি → প্রতিফলনের পর একই পথে ফিরে যায়।

উত্তল দর্পণে প্রতিবিম্ব গঠনের সময় রশ্মিগুলো কীভাবে আঁকা হয়?

উত্তল দর্পণে (যার ফোকাস ও বক্রতা কেন্দ্র দর্পণের পিছনে থাকে) রশ্মিগুলোকে নিম্নরূপে আঁকা হয় –
1. প্রধান অক্ষের সমান্তরাল রশ্মি → প্রতিফলনের পর ফোকাস (F) থেকে বিচ্ছুরিত হয় (অর্থাৎ, ফোকাসের দিকে যায়)।
2. ফোকাস অভিমুখী রশ্মি → প্রতিফলনের পর প্রধান অক্ষের সমান্তরাল হয়।
3. বক্রতা কেন্দ্র অভিমুখী রশ্মি → প্রতিফলনের পর একই পথে ফিরে যায়।

উত্তল দর্পণে প্রতিবিম্বের বৈশিষ্ট্য কী?

উত্তল দর্পণে সর্বদা আপাত, সোজা ও ছোট প্রতিবিম্ব গঠিত হয়, যা দর্পণের পিছনে (F ও P -এর মধ্যে) দেখা যায়।

বক্রতা কেন্দ্র (C) ও ফোকাস (F) -এর মধ্যে পার্থক্য কী?

বক্রতা কেন্দ্র (C) ও ফোকাস (F) -এর মধ্যে পার্থক্য হল –
1. বক্রতা কেন্দ্র (C) → দর্পণের গোলীয় পৃষ্ঠের কেন্দ্র, যা দর্পণ থেকে R দূরত্বে অবস্থিত।
2. ফোকাস (F) → প্রধান অক্ষের ওপর একটি বিন্দু, যেখানে সমান্তরাল রশ্মিগুলো মিলিত হয় (অবতল দর্পণে) বা মনে হয় বিচ্ছুরিত হচ্ছে (উত্তল দর্পণে)। এটি দর্পণ থেকে \(f=\frac R2\) দূরত্বে থাকে।

গোলীয় দর্পণে ফোকাস (f) ও বক্রতা ব্যাসার্ধ (R)-এর মধ্যে সম্পর্ক কী?

গোলীয় দর্পণে ফোকাস (f) ও বক্রতা ব্যাসার্ধ (R) -এর মধ্যে সম্পর্ক হল – \(f=\frac R2\) অর্থাৎ, ফোকাস দূরত্ব = বক্রতা ব্যাসার্ধের অর্ধেক।

রশ্মি চিত্র অঙ্কনের সময় কোন নিয়মগুলি মনে রাখা প্রয়োজন?

রশ্মি চিত্র অঙ্কনের সময় যে যে নিয়মগুলি মনে রাখা প্রয়োজন –
1. প্রধান অক্ষকে সোজা রেখা হিসেবে আঁকতে হবে।
2. দর্পণের মেরুবিন্দু (P), ফোকাস (F) ও বক্রতা কেন্দ্র (C) চিহ্নিত করতে হবে।
3. প্রতিফলিত রশ্মিগুলো দর্পণের গোলীয় পৃষ্ঠের স্পর্শক অনুসরণ করে প্রতিফলিত হবে।
4. প্রতিবিম্ব গঠনের জন্য দুই বা ততোধিক রশ্মির ছেদবিন্দু খুঁজে বের করতে হবে।


এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “গোলীয় দর্পণে প্রতিবিম্ব গঠনের রশ্মি অনুসরণ পদ্ধতি লেখো।” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “গোলীয় দর্পণে প্রতিবিম্ব গঠনের রশ্মি অনুসরণ পদ্ধতি লেখো।” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের পঞ্চম অধ্যায় “আলো“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।

Please Share This Article

Related Posts

ব্রোমিনের সঙ্গে অ্যাসিটিলিনের যুত বিক্রিয়াটি উল্লেখ করো।

ব্রোমিনের সঙ্গে অ্যাসিটিলিনের যুত বিক্রিয়াটি উল্লেখ করো।

কার্যকরী মূলক বা ক্রিয়াশীল গ্রুপ কাকে বলে? কার্যকরী মূলক ও জৈব মূলকের পার্থক্য বুঝিয়ে দাও।

কার্যকরী মূলক বা ক্রিয়াশীল গ্রুপ কাকে বলে? কার্যকরী মূলক ও জৈব মূলকের পার্থক্য বুঝিয়ে দাও।

একটি জৈব যৌগের আণবিক সংকেত C₂H₄O₂। যৌগটি জলে দ্রাব্য এবং যৌগটির জলীয় দ্রবণে NaHCO₃ যোগ করলে CO₂ নির্গত হয়। জৈব যৌগটিকে শনাক্ত করো। জৈব যৌগটির সঙ্গে ইথানলের বিক্রিয়া শর্ত ও সমিত রাসায়নিক সমীকরণসহ লেখো।

C₂H₄O₂ সংকেতের একটি জৈব যৌগ NaHCO₃-এর সাথে CO₂ গ্যাস দেয়। যৌগটি শনাক্ত করো ও ইথানলের সাথে এর বিক্রিয়ার শর্তসহ সমীকরণ দাও।

About The Author

Souvick

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

"SolutionWbbse" শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনলাইন অধ্যয়ন প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গাইডলাইন, এবং বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সাহায্য প্রদান করা হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল বিষয়ের শিক্ষণীয় উপকরণ সহজেই সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া।

Editor Picks

Madhyamik English Suggestion 2026

Madhyamik Bengali Suggestion 2026

Madhyamik Bengali Suggestion 2026 – প্রবন্ধ রচনা

Madhyamik Bengali Suggestion 2026 – প্রতিবেদন

Madhyamik Bengali Suggestion 2026 – সংলাপ