কাচের স্ল্যাবের মধ্য দিয়ে সাদা আলোর বিচ্ছুরণ হয় কি? ব্যাখ্যা করো।

Souvick

এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “কাচের স্ল্যাবের মধ্য দিয়ে সাদা আলোর বিচ্ছুরণ হয় কি? ব্যাখ্যা করো। অথবা, প্রিজমের পরিবর্তে আয়তঘন আকৃতির কাচের ফলকের দ্বারা আলোর বিচ্ছুরণ ঘটানো যায় কি? – কারণ দেখাও।” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “কাচের স্ল্যাবের মধ্য দিয়ে সাদা আলোর বিচ্ছুরণ হয় কি? ব্যাখ্যা করো। অথবা, প্রিজমের পরিবর্তে আয়তঘন আকৃতির কাচের ফলকের দ্বারা আলোর বিচ্ছুরণ ঘটানো যায় কি? – কারণ দেখাও।” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের পঞ্চম অধ্যায় “আলো“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়।

কাচের স্ল্যাবের মধ্য দিয়ে সাদা আলোর বিচ্ছুরণ হয় কি? ব্যাখ্যা করো। অথবা, প্রিজমের পরিবর্তে আয়তঘন আকৃতির কাচের ফলকের দ্বারা আলোর বিচ্ছুরণ ঘটানো যায় কি? - কারণ দেখাও।

কাচের স্ল্যাবের মধ্য দিয়ে সাদা আলোর বিচ্ছুরণ হয় কি? ব্যাখ্যা করো।

অথবা, প্রিজমের পরিবর্তে আয়তঘন আকৃতির কাচের ফলকের দ্বারা আলোর বিচ্ছুরণ ঘটানো যায় কি? – কারণ দেখাও।

কাচের স্ল্যাবের মধ্য দিয়ে সাদা আলোর প্রতিসরণ –

আয়তঘনাকৃতি কাচফলককে দুটি সর্বসম প্রিজমের সমন্বয় হিসেবে ধরা যেতে পারে। এই প্রিজম দুটির প্রতিসারক তলগুলি পরস্পরের সমান্তরাল এবং ভূমিগুলি পরস্পরের বিপরীত দিকে থাকে। সাদা আলো প্রথম প্রিজমের মধ্য দিয়ে গেলে বিচ্ছুরণের পর বর্ণালি সৃষ্টি হয়। কিন্তু বর্ণালির বিভিন্ন বর্ণের রশ্মিগুলি দ্বিতীয় প্রিজমের মধ্য দিয়ে গিয়ে পুনরায় সংযোজিত হয়ে আবার সাদা বর্ণ সৃষ্টি করে। ফলে আয়তঘনাকৃতি কাচ ব্যবহার করে সাদা আলোর বিচ্ছুরণ করা যায় না।

কাচের স্ল্যাবের মধ্য দিয়ে সাদা আলোর বিচ্ছুরণ হয় কি ব্যাখ্যা করো।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর

কাচের স্ল্যাবের বিচ্ছুরণ না ঘটার কারণ কী?

বিচ্ছুরণ ঘটার মূল কারণ হল আলোর বিভিন্ন বর্ণের (লাল, নীল ইত্যাদি) জন্য কাচের প্রতিসরাঙ্কের (Refractive Index) ভিন্নতা। একটি আয়তঘন কাচের ফলকের দুটি তল পরস্পর সমান্তরাল থাকে। প্রথম তলে প্রবেশ করার সময় সাদা আলোর বিভিন্ন বর্ণ ভিন্ন ভিন্ন কোণে বিচ্ছুরিত হয় ঠিকই, কিন্তু দ্বিতীয় (প্রস্থান) তল দিয়ে বের হওয়ার সময় এই বিচ্ছুরিত রশ্মিগুলো আবার বিপরীতভাবে সংযোজিত (Recombine) হয়ে যায়। ফলে বের হওয়ার পর আবার আমরা শুধু সাদা আলোই দেখি।

প্রিজমের পরিবর্তে আয়তঘন আকৃতির কাচের ফলকের দ্বারা আলোর বিচ্ছুরণ ঘটানো যায় কি?

সাধারণভাবে যায় না। কিন্তু বিশেষ অবস্থায় এটি সম্ভব। যদি আলোকরশ্মি কাচের ফলকের উপর খুব বড় কোণে আপতিত হয় অথবা ফলকটি খুবই মোটা হয়, তাহলে বিচ্ছুরিত রশ্মিগুলো দ্বিতীয় তলে এসে পুরোপুরি সংযোজিত না হয়ে কিছুটা বিচ্ছুরিত অবস্থাতেই বেরিয়ে আসতে পারে। তবে এটা খুবই সামান্য এবং স্পষ্ট বর্ণালি দেখা যায় না। স্পষ্ট বর্ণালি পেতে ত্রিভুজাকার প্রিজমই সবচেয়ে উপযুক্ত।

কাচের স্ল্যাবের বিচ্ছুরণের জন্য শুধু প্রিজমই কি দরকার?

না, প্রিজম ছাড়াও অন্য অনেক মাধ্যমে বিচ্ছুরণ ঘটে। যেমন – বৃষ্টির ফোঁটায় সৃষ্ট রংধনু, সিডি বা ডিভিডির পৃষ্ঠদেশে রংধনুর মতো দেখা যাওয়া, বা কোনো প্রিজমের মতো আকৃতি বিশিষ্ট অন্য কোনও স্বচ্ছ পদার্থ (যেমন – প্লাস্টিক, জল ইত্যাদি) দিয়েও বিচ্ছুরণ ঘটানো সম্ভব।

আয়তঘনাকার কাচের ফলককে কীভাবে দুটি প্রিজমের সমন্বয় হিসেবে ভাবা যায়?

একটি আয়তঘন কাচের ফলককে কল্পনা করা যায় দুটি সর্বসম (Identical) ত্রিভুজাকার প্রিজমকে পরস্পরের বিপরীত দিকে (Base-to-Base) জোড়া দিয়ে। প্রথম প্রিজমটি আলোর বিচ্ছুরণ ঘটায় (সাদা আলোকে বর্ণালিতে ভাঙে)। কিন্তু, দ্বিতীয় প্রিজমটি (যা প্রথমটির ঠিক উল্টো) সেই বিচ্ছুরিত বর্ণালিটিকে আবার বিপরীতভাবে ভাঙে এবং সমস্ত রংকে পুনরায় একত্রিত করে সাদা আলোতে পরিণত করে।

সাদা আলো কী?

না, সাদা আলো প্রকৃতপক্ষে একটি মৌলিক বা একক রং নয়। এটি হল সপ্তর্ষি বা বেগুনি থেকে লাল পর্যন্ত দৃশ্যমান আলোর সকল রঙের মিশ্রণ। যখন এই সবকটি রং একসাথে আমাদের চোখে আপতিত হয়, তখন আমাদের মস্তিষ্ক সেটিকে ‘সাদা’ রং হিসেবে উপলব্ধি করে।


এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “কাচের স্ল্যাবের মধ্য দিয়ে সাদা আলোর বিচ্ছুরণ হয় কি? ব্যাখ্যা করো। অথবা, প্রিজমের পরিবর্তে আয়তঘন আকৃতির কাচের ফলকের দ্বারা আলোর বিচ্ছুরণ ঘটানো যায় কি? – কারণ দেখাও।” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “কাচের স্ল্যাবের মধ্য দিয়ে সাদা আলোর বিচ্ছুরণ হয় কি? ব্যাখ্যা করো। অথবা, প্রিজমের পরিবর্তে আয়তঘন আকৃতির কাচের ফলকের দ্বারা আলোর বিচ্ছুরণ ঘটানো যায় কি? – কারণ দেখাও।” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের পঞ্চম অধ্যায় “আলো“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।

Please Share This Article

Related Posts

ব্রোমিনের সঙ্গে অ্যাসিটিলিনের যুত বিক্রিয়াটি উল্লেখ করো।

ব্রোমিনের সঙ্গে অ্যাসিটিলিনের যুত বিক্রিয়াটি উল্লেখ করো।

কার্যকরী মূলক বা ক্রিয়াশীল গ্রুপ কাকে বলে? কার্যকরী মূলক ও জৈব মূলকের পার্থক্য বুঝিয়ে দাও।

কার্যকরী মূলক বা ক্রিয়াশীল গ্রুপ কাকে বলে? কার্যকরী মূলক ও জৈব মূলকের পার্থক্য বুঝিয়ে দাও।

একটি জৈব যৌগের আণবিক সংকেত C₂H₄O₂। যৌগটি জলে দ্রাব্য এবং যৌগটির জলীয় দ্রবণে NaHCO₃ যোগ করলে CO₂ নির্গত হয়। জৈব যৌগটিকে শনাক্ত করো। জৈব যৌগটির সঙ্গে ইথানলের বিক্রিয়া শর্ত ও সমিত রাসায়নিক সমীকরণসহ লেখো।

C₂H₄O₂ সংকেতের একটি জৈব যৌগ NaHCO₃-এর সাথে CO₂ গ্যাস দেয়। যৌগটি শনাক্ত করো ও ইথানলের সাথে এর বিক্রিয়ার শর্তসহ সমীকরণ দাও।

About The Author

Souvick

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

"SolutionWbbse" শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনলাইন অধ্যয়ন প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গাইডলাইন, এবং বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সাহায্য প্রদান করা হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল বিষয়ের শিক্ষণীয় উপকরণ সহজেই সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া।

Editor Picks

Madhyamik English Suggestion 2026

Madhyamik Bengali Suggestion 2026

Madhyamik Bengali Suggestion 2026 – প্রবন্ধ রচনা

Madhyamik Bengali Suggestion 2026 – প্রতিবেদন

Madhyamik Bengali Suggestion 2026 – সংলাপ