মাধ্যমিক ভূগোল – ভারতের অর্থনৈতিক পরিবেশ – ভারতের পরিবহণ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা – ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন ও উত্তর

Souvick

আমরা আমাদের আর্টিকেলে মাধ্যমিক (দশম শ্রেণী) ভূগোলের ষষ্ঠ অধ্যায় “ভারতের অর্থনৈতিক পরিবেশ” -এর “ভারতের পরিবহণ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা” বিভাগের কিছু গুরুত্বপূর্ণ “ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন ও উত্তর” নিয়ে আলোচনা করবো। এই প্রশ্নগুলো মাধ্যমিক (দশম শ্রেণী) ভূগোল পরীক্ষার জন্য ও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

মাধ্যমিক ভূগোল - ভারতের অর্থনৈতিক পরিবেশ - ভারতের পরিবহণ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা - ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন ও উত্তর
Contents Show

সড়কপথে পরিবহণের সুবিধাগুলি কী কী?

সড়কপথে পরিবহণের সুবিধা বিস্তর –

  • দ্রুত পরিবহণ – সড়কপথে যে-কোনো হালকা পণ্য অতিদ্রুত গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া যায়।
  • যে-কোনো সময় পরিবহণ – সড়কপথে দিনরাত, সর্বসময় পরিবহণ করা যায়। রেল বা বিমানপথের মতো কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে সড়কপথ পরিবহণ ব্যবস্থা চলে না।
  • প্রতিরক্ষা – দুর্গম স্থানে অথবা প্রতিরক্ষার কাজে সেনাবাহিনীর জন্য রসদ, অস্ত্রশস্ত্র, ওষুধ প্রভৃতি সড়কপথে পাঠানো সুবিধাজনক।
  • নানা ধরনের যানবাহন – সড়কপথে বিভিন্ন আকৃতির যানবাহন ব্যবহার করা যায়। এতে ইচ্ছেমতো পণ্য পরিবহণ করা যায়।
  • সহজে পরিবহণ – সড়কপথে উৎপাদক অঞ্চল থেকে বাজারে সহজে দ্রব্য পরিবহণ করা যায়।

সড়কপথে পরিবহণের অসুবিধাগুলি কী কী?

সড়কপথে পরিবহণের অনেক সুবিধা থাকলেও নানা অসুবিধাও দেখা যায় –

  • নির্মাণ ব্যয় বেশি – সড়কপথ নির্মাণ যথেষ্ট ব্যয়বহুল এবং সময়ও বেশি লাগে। তাই দেশের অর্থনীতি উন্নত না হলে সড়ক ব্যবস্থা ভালো হয় না।
  • রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় বেশি – বৃষ্টি, বন্যা, তুষারপাত প্রভৃতি রাস্তাকে নষ্ট করে দেয়। এ ছাড়া, মাত্রাতিরিক্ত ভারী যানবাহন চলাচল রাস্তাকে নষ্ট করে। সে কারণে সবসময় সড়কপথকে রক্ষণাবেক্ষণ করতে হয়।
  • সেতুর অভাবে পরিবহণের সমস্যা – নদীবহুল অঞ্চলে যথেষ্ট সংখ্যক সেতু না থাকায় সড়ক পরিবহণে অসুবিধার সৃষ্টি হয়।
  • পরিবহণ ব্যয় বেশি – রেল এবং জলপথ পরিবহণের তুলনায় সড়কপথের পরিবহণ ব্যয় বেশি। সেজন্য মালপত্র পরিবহণে এখনও রেল এবং জলপথ এগিয়ে।
  • যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য কম – সড়কপথে দীর্ঘ রাস্তা অতিক্রম করা বেশ কষ্টসাধ্য। যাত্রীদের শারীরিক স্বাচ্ছন্দের ন্যূনতম ব্যবস্থা করাও সড়ক পরিবহণে সম্ভব হয় না।

ভারতের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সড়কপথের গুরুত্ব কতখানি?

ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশে অর্থনৈতিক উন্নতিতে সড়কপথের গুরুত্ব খুব বেশি –

  • গ্রামীণ উন্নতিতে – ভারতের শতকরা 69 শতাংশ মানুষ গ্রামে বাস করে। কৃষিজ ফসল বিক্রয়, শহর থেকে সার, কীটনাশক, কৃষিযন্ত্রপাতি আনা ও অন্যান্য বাণিজ্যিক কারণে সড়কপথের গুরুত্ব খুব বেশি।
  • কাঁচামাল সংগ্রহ – শিল্পের প্রয়োজনে গ্রাম থেকে কৃষিজ কাঁচামাল নিয়ে আসা, খনি থেকে কয়লা এবং খনিজ পদার্থ নিয়ে শিল্পকেন্দ্রে পাঠানোর ব্যবস্থা সড়কপথের মাধ্যমেই ভালো হয়। যেমন – রানিগঞ্জ, আসানসোল থেকে 2 নং জাতীয় সড়কপথে কয়লা হুগলি শিল্পাঞ্চলে এসে পৌঁছায়।
  • পার্বত্য অঞ্চলে উন্নতির জন্য – উত্তর ভারত, উত্তর-পূর্ব ভারত বা দাক্ষিণাত্যের পার্বত্য অঞ্চলে যেখানে রেল পরিবহণ সম্ভব নয় সেখানে সড়কপথ পরিবহণের মাধ্যমেই আঞ্চলিক উন্নয়ন সম্ভব। তাই ওইসব অঞ্চলে সড়কপথ নির্মাণ জরুরি।
  • নির্মাণ ব্যয় কম – রেলপথের তুলনায় সড়কপথের নির্মাণ ব্যয় কম। তাই ভারতের মতো দেশে সড়কপথের বিকাশ হলে অর্থনীতির ওপর কম চাপ পড়ে।
  • সীমান্তরক্ষা – ভারতের সীমান্ত অঞ্চলগুলি খুব দুর্গম। ওইসব স্থানে রেলপথ নির্মাণ সম্ভব নয়। সুতরাং দেশ রক্ষার প্রয়োজনে সড়কপথ নির্মাণ করা প্রয়োজন।
  • ছোটো শিল্পকেন্দ্রের সাথে যোগ – ভারতের বড়ো বড়ো শিল্পকেন্দ্রগুলি রেলপথের দ্বারা যুক্ত। কিন্তু দেশে অসংখ্য ছোটো শিল্পকেন্দ্র রয়েছে যেগুলিতে পণ্য পরিবহণের জন্য সড়কপথই ভরসা।

সোনালি চতুর্ভুজ ও পূর্ব-পশ্চিম, উত্তর-দক্ষিণ করিডোর কী?

সোনালি চতুর্ভুজ – ভারতের চারদিকে অবস্থিত চারটি মহানগর, যথা – কলকাতা, দিল্লি, মুম্বাই ও চেন্নাই -এর মধ্যে সংযোগ রক্ষা করছে এই বিশাল জাতীয় সড়কপ্রকল্প। এটি ভারতের দীর্ঘতম জাতীয় সড়কপ্রকল্প এবং পৃথিবীর পঞ্চম দীর্ঘতম সড়কপ্রকল্প। জাতীয় সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের (NHDP) অধীনে 5846 কিমি দীর্ঘ এই জাতীয় সড়কটি 4-6 লেন বিশিষ্ট। এর মধ্যে –

  • দিল্লি-কলকাতা সড়কটি 1453 কিমি,
  • চেন্নাই-মুম্বাই সড়কটি 1290 কিমি, 
  • কলকাতা-চেন্নাই জাতীয় সড়কপথটি 1684 কিমি এবং
  • মুম্বাই-দিল্লি সড়কটি 1419 কিমি দীর্ঘ [Source: NHAI]।

মালয়েশিয়ার সংস্থা উন্নত যন্ত্রপাতি ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই প্রকল্পের রাস্তা নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ করেছে।

উত্তর-দক্ষিণ ও পূর্ব-পশ্চিম করিডোর – ভারতের উত্তরে জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগর থেকে দক্ষিণে তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারী পর্যন্ত উত্তর-দক্ষিণ করিডোর বিস্তৃত। এটি 4000 কিমি দীর্ঘ। অন্যদিকে, পূর্ব-পশ্চিম করিডোরটি পূর্বে শিলচর থেকে পশ্চিমে গুজরাতের পোরবন্দর পর্যন্ত বিস্তৃত। এর মোট দৈর্ঘ্য 3300 কিমি। এটি বর্তমান ভারতের চলমান জাতীয় পথ প্রকল্পের মধ্যে সবচেয়ে বড়ো প্রকল্প।

ভারতের পরিবহণ ব্যবস্থা

জাতীয় সড়কের গুরুত্ব কতখানি?

বর্তমানে ভারতের জাতীয় সড়কের মোট দৈর্ঘ্য প্রায় 96261 কিমি। জাতীয় সড়কগুলি বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে দিয়ে প্রসারিত হয়েছে। জাতীয় সড়কগুলির মোট দৈর্ঘ্য ভারতের মোট সড়কপথের মাত্র 1.7 শতাংশ। ভারতের সড়কপথে পরিবহণের প্রায় 40 শতাংশ জাতীয় সড়কগুলি বহন করে। জাতীয় সড়কে প্রতি বছর গড়ে 10 শতাংশ হারে গাড়ি চলাচল বাড়ছে। এই পথগুলির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের। পণ্য এবং যানবাহন চলাচলে জাতীয় সড়কের গুরুত্ব খুব বেশি।

উদাহরণ –

  • কলকাতা থেকে দিল্লি পর্যন্ত প্রসারিত জাতীয় সড়কটির নং 2।
  • কলকাতা থেকে মুম্বাই পর্যন্ত জাতীয় সড়কটির নং 6।
  • ভারতের দীর্ঘতম জাতীয় সড়ক (বর্তমানে NH44) উত্তরে শ্রীনগর থেকে দক্ষিণে কন্যাকুমারী পর্যন্ত বিস্তৃত।

রাজ্য সড়কপথ সম্পর্কে কী জান?

জাতীয় সড়কগুলি যেমন বিভিন্ন রাজ্যগুলিকে সংযুক্ত করে প্রসারিত রয়েছে তেমনি রাজ্য সড়ক বা প্রাদেশিক রাজপথগুলি রাজ্যের সীমানার মধ্যেই বিস্তৃত থাকে। এই পথগুলির নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ সম্পূর্ণরূপে রাজ্য সরকারের কাজ। কেন্দ্রীয় সরকার এই বিষয়ে কোনো সহায়তা করে না। এই পথগুলি মূলত রাজ্যের রাজধানীর সাথে জেলা শহরকে সংযুক্ত করে। রাজ্য সড়কগুলি জাতীয় সড়কের সাথে সংযুক্ত থাকে। এই পথগুলি রাজ্যের উন্নয়নে পুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। রাজ্যের পণ্য পরিবহণ ও বাণিজ্য দ্রব্য পরিবহণে এর গুরুত্ব খুব বেশি। ভারতের মোট রাজ্য সড়কের দৈর্ঘ্য 131899 কিমি। বি টি রোড ওই ধরনের একটি রাজ্য সড়কপথ।

আন্তর্জাতিক সড়কপথ কী? এর গুরুত্ব কতখানি?

যেসব সড়কপথ অনেকগুলি দেশের মধ্যে দিয়ে প্রসারিত হয়, তখন তাদের আন্তর্জাতিক সড়কপথ (international roadways) বলে।

উদাহরণ – ভারতের আন্তর্জাতিক সড়কপথের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল – AH 42 (চিনের ল্যানঝু থেকে ভারতের বারহি), AH 43 (ভারতের আগ্রা থেকে শ্রীলঙ্কার মাতারা), AH 48 (ভুটানের ফুন্টশোলিং থেকে ভারতের চ্যাংরাবান্ধা পর্যন্ত) প্রভৃতি। এগুলি এশিয়ান হাইওয়ে বা গ্রেট এশিয়ান হাইওয়ে নামে পরিচিত।

আন্তর্জাতিক সড়কপথের গুরুত্ব –

  • এমন ধরনের সড়কপথগুলি দুটি দেশের মধ্যে বা যতগুলি দেশের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে সেইসব দেশগুলির মধ্যে ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এসব সড়কপথ ধরে প্রতিবেশী দেশগুলির মধ্যে সাংস্কৃতিক ভাবনার আদান-প্রদান ঘটে।
  • পণ্য এবং যাত্রী পরিবহণ বাড়ে। এতে দেশের রোজগার বৃদ্ধি পায়।
  • এই সড়কপথ ধরে সব দেশগুলির মধ্যে শিল্পোন্নতি ঘটতে পারে।

ভারতীয় রেলপথের শ্রেণিবিভাগ করো।

দুটি লাইনের মধ্যে দূরত্ব সব রেলপথে সমান নয়। এই দূরত্বের পার্থক্য অনুযায়ী ভারতের রেলপথকে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায় –

  • ব্রড গেজ (broad gauge) – এক্ষেত্রে লাইনের মধ্যে দূরত্ব হয় 1.68 মিটার। ব্রড গেজ দিয়েই সর্বাধিক পরিবহণ করা হয়। বর্তমানে 108000 কিমি রেলপথ ট্র্যাক ব্রড গেজের অন্তর্ভুক্ত বা প্রায় 56000 কিমি দীর্ঘ রেলপথ ব্রড গেজের অন্তর্গত।
  • মিটার গেজ (metre gauge) – এক্ষেত্রে দুটি লাইনের মধ্যে ব্যবধান হয় 1 মিটার। বর্তমানে প্রায় 4000 কিমি রেলপথ মিটার গেজের অন্তর্ভুক্ত। এর পরিমাণ দিন দিন কমে যাচ্ছে।
  • ন্যারো গেজ (narrow gauge) – এই পথে দুটি রেল লাইনের মধ্যে দূরত্ব থাকে প্রায় 0.76 মিটার ও 0.61 মিটার। ভারতে বর্তমানে ন্যারো গেজ রেলপথ রয়েছে প্রায় 5000 কিমি।

ভারতের রেলপথকে কী কী আঞ্চলিক ভাগে ভাগ করা হয়েছে?

পরিচালনার সুবিধার জন্য ভারতীয় রেলপথকে 17টি অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে। এরমধ্যে 9টি রেলপথ ব্যবস্থা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ভারতীয় রেলের এই আঞ্চলিক বিভাগ ও সদর দফতরগুলি হল –

  1. পূর্ব রেলপথ (কলকাতা),
  2. দক্ষিণ-পূর্ব রেলপথ (কলকাতা),
  3. উত্তর-পূর্ব রেলপথ (গোরক্ষপুর),
  4. উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলপথ (গুয়াহাটি),
  5. পশ্চিম রেলপথ (মুম্বাই),
  6. উত্তর রেলপথ (নতুন দিল্লি),
  7. দক্ষিণ রেলপথ (চেন্নাই),
  8. মধ্য রেলপথ (মুম্বাই),
  9. দক্ষিণ-মধ্য রেলপথ (সেকেন্দ্রাবাদ),
  10. পূর্ব-মধ্য রেলপথ (হাজিপুর),
  11. পূর্ব উপকূলীয় রেলপথ (ভুবনেশ্বর),
  12. উত্তর-মধ্য রেলপথ (এলাহাবাদ),
  13. উত্তর-পশ্চিম রেলপথ (জয়পুর),
  14. দক্ষিণ-পূর্ব-মধ্য রেলপথ (বিলাসপুর),
  15. দক্ষিণ-পশ্চিম রেলপথ (হুবলি),
  16. পশ্চিম-মধ্য রেলপথ (জব্বলপুর),
  17. মেট্রো রেলপথ (কলকাতা)।

ভারতীয় রেলপথের সমস্যাগুলি কী কী?

ভারতীয় রেল ভারত নির্মাণে সাহায্য করলেও, এর কতকগুলি সমস্যা রয়েছে।

  • পরিবহণ সময়সাপেক্ষ – দেশের মধ্যে নানা ধরনের গেজ চালু থাকায় পণ্য এবং যাত্রী পরিবহণে অহেতুক সময় লাগে এবং এতে পরিবহণ ব্যয়ও বেড়ে যায়।
  • উন্নত প্রযুক্তির অভাব – ভারতীয় রেল এখনও সেভাবে আধুনিক হয়ে ওঠেনি। উন্নত সিগনালিং ব্যবস্থা, মুখোমুখি সংঘর্ষ এড়ানোর প্রযুক্তি ইত্যাদির অভাব রয়েছে।
  • ওয়াগানের অভাব – পণ্য পরিবহণে প্রয়োজনমতো ওয়াগান পাওয়া যায় না। এতে ব্যবসায়ীরা রেলপথ ছেড়ে সড়কপথকে বেছে নিচ্ছে।
  • ভাড়া ফাঁকি – ভারতীয়দের রেলের ভাড়া ফাঁকি দেওয়ার মানসিকতা আছে। তাই যে পরিমাণ যাত্রী পরিবাহিত হয় সেই পরিমাণ রোজগার রেলের হয় না। এ ছাড়া, পণ্য পরিবহণেও অনেক দুর্নীতি চলে। এতে রেলের প্রকৃত আয় কমে যায়।
  • জীবন ও সম্পত্তি সুরক্ষার অভাব – রেল দুর্ঘটনা, ট্রেনে ছিনতাই, ডাকাতি জীবনহানি ইত্যাদি ঘটনা প্রমাণ করে যে ভারতীয় রেলে যাত্রী সুরক্ষার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। এটি একটি প্রবল সমস্যা।
  • রেলকর্মীর সংখ্যা কম – ভারতীয় রেল বর্তমানে কর্মীর অভাবে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে। একই ড্রাইভার, প্রযুক্তিবিদদের বেশি সময় ধরে পরিশ্রম করানোয় তাদের কর্মদক্ষতা হ্রাস পাচ্ছে এবং মনোবলে ঘাটতি দেখা যাচ্ছে।

জলপথের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব কতখানি?

ভারতের রেলপথ এবং সড়কপথের মতো জলপথের গুরুত্বও খুব বেশি –

  • কম খরচ – জলপথ নির্মাণে কোনো খরচ হয় না। লঞ্চঘাট বা বন্দর নির্মাণের জন্য এবং জলপথ চালানোর খরচ ছাড়া জলপথ সংরক্ষণেও তেমন কোনো খরচ নেই। তাই এই পরিবহণ ব্যবস্থা সবচেয়ে সম্ভা।
  • মালপত্র এবং যাত্রী পরিবহণ – রেল ও সড়কপথের মতো জলপথেও প্রচুর পণ্য এবং যাত্রী পরিবহণ করা যায়। তাই এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবহণ মাধ্যম।
  • প্রতিরক্ষার কাজে – ভারতের উপকূল ভাগের দৈর্ঘ্য 7516 কিমি। এই সুদীর্ঘ উপকূলভাগকে সুরক্ষা দেবার জন্য একমাত্র সহায় জলপথ। অর্থাৎ উপকূলীয় জলপথ দেশকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে।
  • জাতীয় আয়ে জলপথের ভূমিকা – যাত্রী পরিবহণ, মালপত্র পরিবহণ, সম্পদ পরিবহণ, দেশি-বিদেশি পণ্য পরিবহণ থেকে মানুষের কর্মসুযোগ সৃষ্টি হয় যা দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করে।
  • ত্রাণ সরবরাহে – সুন্দরবনের মতো জায়গা, কেরলের ব্যাকওয়াটার যুক্ত অঞ্চলে প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটলে (যেমন – আয়লা) জলপথেই ত্রাণসামগ্রী বিলি করা, মানুষকে উদ্ধার করার মতো কাজ করা হয়। সেদিক থেকে বলা যায় ত্রাণ সরবরাহে জলপথের ভূমিকা খুব বেশি।

ভারতের জলপথের শ্রেণিবিভাগ করো।

ভারতের জলপথকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা –

  1. অভ্যন্তরীণ ও
  2. সামুদ্রিক জলপথ।

অভ্যন্তরীণ জলপথ –

ভারতের নদনদী এবং খালপথ নিয়ে অভ্যন্তরীণ জলপথ গড়ে উঠেছে। এর দৈর্ঘ্য প্রায় 14500 কিমি। এর মধ্যে প্রায় 5200 কিমি নদীপথ এবং 4000 কিমি খালপথে নৌ চলাচল করে। তবে ছোটো বড়ো নৌকো সব জলপথেই চলাচল করে।

  1. নদীপথ – ভারতের অভ্যন্তরীণ জলপথে নদনদীর ভূমিকা খুব বেশি।
    • গঙ্গা – মোহানা থেকে উত্তরপ্রদেশের কানপুর পর্যন্ত গঙ্গা নদী নৌ-পরিবহণযোগ্য। তবে মোহানা থেকে পাটনা পর্যন্ত স্টিমার চালানো যায়।
    • ব্রহ্মপুত্র – এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ জলপথ। 
    • অন্যান্য – গোদাবরী, কৃষ্ণা, কাবেরী নদীগুলির সমভূমি প্রবাহ জলপথ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। গোয়ার জুয়ারি নদী ও মান্ডভি নদী দুটি নাব্য। এই দুটি নদীও জলপথ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
  2. খালপথ – হরিদ্বার ও কানপুরের মধ্যে গঙ্গা নদীর খাল, কৃষ্ণা ও কাবেরী নদীর মধ্যে বাকিংহাম খাল, ওডিশা ও কেরলের উপকূলীয় খাল, সুন্দরবনের ইস্টার্ন ও সার্কুলার খাল বিখ্যাত।

সামুদ্রিক জলপথ – উপকূলীয় ও সামুদ্রিক জলপথ এই জলপথের মধ্যে পড়ে। মূলত উপকূলীয় সুরক্ষা এবং বৈদেশিক বাণিজ্যের জন্য এই জলপথের গুরুত্ব খুব বেশি।

ভারতের জাতীয় জলপথ সম্পর্কে আলোচনা করো।

ভারতে অনেকগুলি জাতীয় জলপথ রয়েছে। এর মধ্যে –

  • 1নং জাতীয় জলপথ – গঙ্গা নদীর প্রবাহ পথকে এক নম্বর জাতীয় জলপথের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। এটি এলাহাবাদ থেকে হলদিয়া পর্যন্ত প্রসারিত। এর দৈর্ঘ্য 1620 কিমি।
  • 2নং জাতীয় জলপথ – এটি ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর সদিয়া থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত প্রসারিত। এই জলপথের দৈর্ঘ্য 891 কিমি।
  • 3নং জাতীয় জলপথ – এটি কেরলের কোট্টাপুরম থেকে কোল্লাম পর্যন্ত বিস্তৃত। এই জলপথটি 168 কিমি বিস্তৃত।
  • 4নং জাতীয় জলপথ – কাকিনাড়া থেকে পুদুচেরি পর্যন্ত প্রায় 1095 কিমি দীর্ঘ এই 4 নং জাতীয় জলপথ।
  • 5নং জাতীয় জলপথ – ওডিশা ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে ব্রাহ্মণী নদী, পূর্ব উপকূলীয় খানা, মাতাই নদী ও মহানদী জলপথে 623 কিমি দীর্ঘ হল 5 নং জাতীয় জলপথ।
  • 6নং জাতীয় জলপথ – অসমের বরাক নদীর লখিমপুর থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত 121 কিমি দীর্ঘ এই জাতীয় জলপথ।
ভারতের জলপথে পরিবহন ব্যবস্থা

ভারতের কয়েকটি খালপথের পরিচয় দাও।

ভারতে যতগুলি খাল পথ রয়েছে তারমধ্যে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য হল –

  • অন্ধ্রপ্রদেশ ও তামিলনাড়ুর বাকিংহাম খাল (প্রধান)। এটি অন্ধ্রপ্রদেশের কৃষ্ণা বদ্বীপ ভূমির কোম্মানুর খালপথের সাথে যুক্ত, 
  • অন্ধ্রপ্রদেশের কাডাপ্পা-কুর্নুল খাল,
  • পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর খাল, উপত্যকার দুর্গাপুর-ত্রিবেগী খাল, 
  • বিহারের সোন খাল, দামোদর হরিদ্বার ও কানপুরের মধ্যে গঙ্গা নদীর খাল, 
  • সুন্দরবনের ইস্টার্ন ও সার্কুলার খাল, 
  • মালাবার উপকূলে অনেকগুলি কয়াল এবং স্বাভাবিক খাল রয়েছে। যেমন – আলাপুঝা থেকে, কোচি পর্যন্ত ভেমবনাদ কয়ালের মধ্যে দিয়ে স্টিমার যাতায়াত করে।

ভারতের সামুদ্রিক জলপথের উল্লেখ করো।

ভারতে সামুদ্রিক জলপথ বলতে –

  1. উপকূলীয় জলপথ এবং
  2. আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক জলপথকে বোঝায়।

উপকূলীয় জলপথ – ভারতের উপকূলভাগের দৈর্ঘ্য প্রায় 7516 কিমি। বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগরের উপকূলরেখা বরাবর এই সুদীর্ঘ জলপথে নৌকো, স্টিমার, জাহাজ চলাচল করে। এই উপকূলীয় জলপথে মূলত পণ্য বাহিত হয়। মুম্বাই থেকে গোয়া পর্যন্ত যাত্রীবাহী জাহাজ ও স্টিমার চলাচল করে। উপকূলীয় জলপথ ধরেই গুজরাত থেকে নুন আসে পশ্চিমবঙ্গে; ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ, ওডিশার কয়লা যায় দক্ষিণ ভারতে।

সমুদ্রপথ বা আন্তর্জাতিক জলপথ – ভারতের তিনদিক সমুদ্রবেষ্টিত বলে বহু প্রাচীন কাল থেকেই আফ্রিকা, ইউরোপ, পশ্চিম এশিয়ার সাথে ভারতের সমুদ্রপথে বাণিজ্য চলত। বর্তমানে ভারতের 13টি প্রধান বন্দর এবং 200টি মাঝারি এবং ছোটো বন্দরের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক জলপথে ব্যাবসাবাণিজ্য চলে। এই 13টি প্রধান বন্দরের মাধ্যমে জলপথে ভারতের বহির্বাণিজ্যের 90 শতাংশ সংঘটিত হয়। বছরে প্রায় 16000 মালবাহী জাহাজ এই বন্দরগুলিতে যাতায়াত করে। ভারতে 2013-2014 সালে 13টি প্রধান বন্দর আন্তর্জাতিক জলপথে 55.54 কোটি টন পণ্য ওঠানো-নামানো করেছিল।

ভারতের জলপথের সুবিধাগুলি লেখো।

জলপথের অনেকগুলি সুবিধা রয়েছে –

  • সুলভ পরিবহণ – জলপথ নির্মাণে কোনো ব্যয় হয় না বলে পণ্য পরিবহণ সুবিধাজনক। সেইজন্য পৃথিবীর সর্বত্র জলপথ পরিবহণ জনপ্রিয়।
  • অবাধ চলাফেরার সুযোগ – সমুদ্র উপকূলবর্তী কিছু অঞ্চল ছাড়া উন্মুক্ত সমুদ্রে জাহাজগুলি অবাধে চলাচল করতে পারে।
  • পরিবহণ ব্যয় কম – জলপথ পৃথিবীর সর্বাপেক্ষা সস্তা পরিবহণ মাধ্যম। তাই মানুষ আরও বেশি করে জলপথকে পরিবহণের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে।
  • বৈদেশিক বাণিজ্যের সুবিধা – সমুদ্রতীরবর্তী যে-কোনো দেশের সাথে ভারতের জলপথে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সুবিধা রয়েছে। তাই এই জলপথ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে সর্বাপেক্ষা সুবিধা প্রদান করে।
  • ভারী পণ্য পরিবহণের সুবিধা – ইউনিট প্রতি পরিবহণ খরচ কম হয় বলে বিভিন্ন ভারী পণ্য, যেমন – লোহা ও ইস্পাত, সিমেন্ট প্রভৃতি পণ্য জলপথে পরিবহণ করা সুবিধাজনক।

ভারতের জলপথের অসুবিধাগুলি কী কী?

ভারতে জলপথে পরিবহণে অনেক অসুবিধা আছে –

  • ধীরগামিতা – জলপথে পরিবহণ খুব ধীর গতিতে হয়। তাই জরুরি ভিত্তিতে কোনো পণ্য এবং যাত্রী পরিবহণ অসুবিধাজনক।
  • প্রতিকূল আবহাওয়া – ঘূর্ণিঝড়, বৃষ্টিপাত জলপথ পরিবহণে সমস্যা তৈরি করে। জলোচ্ছ্বাসে জাহাজ ডুবে গেলে প্রচুর প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে।
  • নাব্যতার সমস্যা – গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্রের মতো নদী জলপথে প্রচুর পরিমাণে পলি জমে। এতে নদীর নাব্যতা কমে যায় ও জাহাজ চলাচলে অসুবিধা হয়।
  • নিরাপত্তার সমস্যা – সামুদ্রিক জলপথে প্রায়ই জাহাজগুলিকে একা একা চলতে হয়। এতে জলদস্যুর আক্রমণের ভয় থাকে।

ভারতে বিমানপথের গুরুত্ব কতখানি?

বিমানপথের গুরুত্ব নীচে আলোচনা করা হল –

  • যাত্রী পরিবহণে – ভারতে যাত্রীদের দ্রুততম পরিবহণের মাধ্যম এই বিমানপথ। এর সাহায্যে যাত্রীরা অতিদ্রুত এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পৌঁছে যান।
  • পণ্য পরিবহণে – হালকা এবং দামি পণ্য বিমানপথের মাধ্যমে দ্রুত পরিবাহিত হয়। তবে ভারী এবং কম দামি দ্রব্য আকাশপথে পরিবাহিত হয় না।
  • বৈদেশিক বাণিজ্যে – দামি এবং হালকা দ্রব্য, পচনশীল দ্রব্য রপ্তানি বা আমদানি করতে বিমানপথের জুড়ি মেলা ভার। এ ছাড়া, বিদেশে যেতে গেলে অবশ্যই বিমানপথের সুবিধা নিতে হবে।
  • ত্রাণ পরিবহণে – দুর্গম অঞ্চলে ত্রাণ পাঠানো, স্থান জরিপ, দ্রুত উদ্ধার বা দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে বিমানপথের গুরুত্ব অপরিসীম।
  • প্রতিরক্ষার কাজে – ভারতের সুদীর্ঘ সীমান্তবর্তী অঞ্চলে দিনরাত নজরদারি, সীমান্তে সেনা পাঠানো, রসদ পাঠানো, বা যুদ্ধ করার জন্যও বিমানপথের প্রয়োজন খুব বেশি।

বিমানপথের অসুবিধাগুলি কী কী?

বিমানপথের অসুবিধাগুলি হল –

  • ব্যয়বহুল – বিমানপথে পরিবহণের খরচ খুব বেশি। তাই সবাই এই পরিবহণ ব্যবস্থার সুবিধা নিতে পারে না।
  • ভারী পণ্য পরিবহণে অসুবিধা – বিমানপথে খুব ভারী পণ্য পরিবহণ করা যায় না।
  • ঝুঁকিবহুল – যান্ত্রিক ত্রুটি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, কুয়াশা, মেঘ, ঘুর্ণিঝড়ে বিমান দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকে। তাই এই পরিবহণ বেশ ঝুঁকিবহুল।
  • আবহাওয়ার প্রতিকূলতা – মেঘাচ্ছন্নতা, বৃষ্টিপাত, কুয়াশা, ধোঁয়াশা, আগ্নেয়গিরি ছাই ইত্যাদি বিমান যাত্রাকে বিলম্বিত করে।

ভারতের পূর্ব উপকূলের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দরের নাম করো।

ভারতের পূর্ব উপকূলের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর –

কলকাতা-হলদিয়া বন্দর –

  • রাজ্য – পশ্চিমবঙ্গ
  • পোতাশ্রয় – কৃত্রিম
  • আমদানি – কাগজ, অশোধিত তেল, লবণ, ওষুধ, কাঠ, রাসায়নিক দ্রব্য
  • রপ্তানি – চা, পাটজাত দ্রব্য, লোহা ও ইস্পাত, চামড়া

পারাদীপ বন্দর –

  • রাজ্য – ওডিশা
  • পোতাশ্রয় – স্বাভাবিক
  • আমদানি – রাসায়নিক সার, ইস্পাত, খাদ্যশস্য, যন্ত্রপাতি
  • রপ্তানি – আকরিক লোহা, ম্যাঙ্গানিজ, কয়লা, কাঠ

বিশাখাপত্তনম বন্দর –

  • রাজ্য – অন্ধ্রপ্রদেশ
  • পোতাশ্রয় – স্বাভাবিক
  • আমদানি – অশোধিত তেল, যন্ত্রপাতি, দীর্ঘ আঁশযুক্ত তুলো খাদ্যশস্য, সার
  • রপ্তানি – আকরিক লোহা, সিমেন্ট, সুতিবস্ত্র, তৈলবীজ, মশলা

এন্নোর বন্দর –

  • রাজ্য – তামিলনাড়ু
  • পোতাশ্রয় – স্বাভাবিক
  • আমদানি – অশোধিত তেল, সার, কাগজ
  • রপ্তানি – কফি, মাছ, ম্যাঙ্গানিজ

চেন্নাই বন্দর –

  • রাজ্য – তামিলনাড়ু
  • পোতাশ্রয় – কৃত্রিম
  • আমদানি – অশোধিত তেল, খাদ্যশস্য, নিউজপ্রিন্ট
  • রপ্তানি – চা, কফি, সুতিবস্ত্র, চর্মজাত দ্রব্য, আকরিক লোহা

নিউ তুতিকোরিন বন্দর –

  • রাজ্য – তামিলনাড়ু
  • পোতাশ্রয় – কৃত্রিম
  • আমদানি – রাসায়নিক দ্রব্য, অশোধিত তেল
  • রপ্তানি – তুলো, সুতিবস্ত্র, মশলা, মাছ, কফি

ভারতের পশ্চিম উপকূলের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দরের নাম করো।

ভারতের পশ্চিম উপকূলের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর –

জওহরলাল নেহরু বন্দর – 

  • রাজ্য – মহারাষ্ট্র
  • পোতাশ্রয় – স্বাভাবিক
  • আমদানি – অশোধিত তেল, ভোজ্য তেল, দীর্ঘ আঁশযুক্ত তুলো, রাসায়নিক দ্রব্য
  • রপ্তানি – সুতিবস্ত্র, চিনি, মশলা, ম্যাঙ্গানিজ

কান্ডলা বন্দর –

  • রাজ্য – গুজরাত
  • পোতাশ্রয় – স্বাভাবিক
  • আমদানি – অশোধিত তেল, তরল অ্যামোনিয়া, সার, দস্তা, লোহা ও ইস্পাত
  • রপ্তানি – চাল, বার্লি, লবণ

মুম্বাই বন্দর –

  • রাজ্য – মহারাষ্ট্র
  • পোতাশ্রয় – স্বাভাবিক
  • আমদানি – অশোধিত তেল, দীর্ঘ আঁশযুক্ত তুলো, যন্ত্রপাতি, রাসায়নিক দ্রব্য, ওষুধ, নিউজপ্রিন্ট
  • রপ্তানি – সুতিবস্ত্র, চামড়া, মশলা, অভ্র, আকরিক লোহা

মার্মাগাও বন্দর –

  • রাজ্য – গোয়া
  • পোতাশ্রয় – স্বাভাবিক
  • আমদানি – অশোধিত তেল, রাসায়নিক সার, লোহা ও ইস্পাত, ফসফোরিক অ্যাসিড
  • রপ্তানি – আকরিক লোহা, চিনি, লবণ, চিংড়িমাছ

নিউ ম্যাঙ্গালোর বন্দর –

  • রাজ্য – কর্ণাটক
  • পোতাশ্রয় – স্বাভাবিক
  • আমদানি – অশোধিত তেল, রাসায়নিক সার, তরল অ্যামোনিয়া
  • রপ্তানি – আকরিক লোহা, কফি, গ্র্যানাইট, কাঠ

কোচি বন্দর –

  • রাজ্য – কেরল
  • পোতাশ্রয় – স্বাভাবিক
  • আমদানি – অশোধিত তেল, কয়লা, রাসায়নিক সার, লোহা ও ইস্পাত, নিউজপ্রিন্ট
  • রপ্তানি – চা, কাজুবাদাম, কফি, মশলা, মাছ

ভারতে আকাশপথে পরিবহণের ধারণা দাও।

ভারতে বিমান চলাচল শুরু হয় 1911 সালে। আকাশপথ বা বিমানপথ বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত এবং দ্রুতগতির আরামদায়ক পরিবহণ ব্যবস্থা। ভারতে দুই ধরনের বিমানপথ রয়েছে –

  1. অন্তর্দেশীয় বা জাতীয় বিমানপথ,
  2. আন্তর্জাতিক বিমানপথ।

বর্তমানে ভারতে ছোটো-বড়ো প্রায় 450টি বিমানবন্দর রয়েছে। এর মধ্যে 28টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। অন্তর্দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক উভয় বিমানপথকে নিয়ন্ত্রণ করে এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া। 2014-2015 সালে বিমান পরিবহণে 19.01 কোটি যাত্রী আরোহী হয়েছে।

ভারতের আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহণ সম্পর্কে লেখো।

ভারতের সাথে বর্তমানে শতাধিক দেশের দ্বিপাক্ষিক চুক্তি রয়েছে। ভারত থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যেমন সৌদি আরব, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, কানাডা, ব্রাজিল, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ইজিপ্ট, বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান প্রভৃতি দেশের সাথে আন্তর্জাতিক বিমানপথে যোগাযোগ রয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে নানা ধরনের বিমান সংস্থা ভারতে যাত্রী পরিবহণ করে। বিমান বাংলাদেশ, ড্রুক এয়ার, জাপান এয়ারলাইন্স, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, এয়ার ফ্রান্স প্রভৃতি সংস্থার বিমান ভারতে যাত্রী নিয়ে আসে এবং এদেশ থেকে যাত্রী নিয়ে যায়।

ভারতে রজ্জুপথের গুরুত্ব লেখো।

ভারতে রজ্জুপথের পুরুত্ব –

  • দুর্গম এবং পার্বত্য অঞ্চলে রজ্জুপথের মাধ্যমে যোগাযোগ রক্ষা করা যায়।
  • কয়লাখনি অঞ্চলে খনি থেকে কয়লা তুলে অন্যত্র প্রেরণ করা যায়। 
  • সড়ক এবং রেলযোগাযোগহীন অঞ্চলে পণ্য এবং যাত্রী পরিবহণে রজ্জুপথ খুবই কার্যকরী।
  • অনেক পার্বত্য পর্যটনকেন্দ্রে বিনোদন ভ্রমণেও রজ্জুপথের ব্যবহার দেখা যায়।
  • রজ্জুপথের সাহায্যে অনেকসময় পাহাড়ে বা দুর্গম অঞ্চলে বিপর্যয়ের সময় ত্রাণ পাঠানো হয়।
  • ভারতে রজ্জুপথের সাহায্যে দুর্গম অঞ্চলগুলিতে খাদ্যদ্রব্য, পণ্য, ওষুধপত্র ইত্যাদি পাঠানো হয়।

ভারতের কয়েকটি রজ্জুপথের নাম করো।

ভারতে প্রায় 100টির বেশি রজ্জুপথ রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি হল –

  • পৃথিবীর অন্যতম দ্রুতগতির রজ্জুপথটি রয়েছে ঝাড়খণ্ডের ঝরিয়া কয়লাখনি অঞ্চলে। এটি প্রায় 30 কিমি দীর্ঘ।
  • 1968 সালে দার্জিলিং-এ একই সঙ্গে যাত্রী এবং পণ্য পরিবহণের জন্য 8 কিমি দীর্ঘ রজ্জুপথ নির্মাণ করা হয়েছে।
  • মেঘালয় মালভূমির চেরাপুঞ্জি এবং শিলং অঞ্চলে রজ্জুপথ রয়েছে।
  • সম্প্রতি অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং-এ 1.2 কিমি দীর্ঘ একটি রজ্জুপথ চালু হয়েছে।
  • রাজগির, মুসৌরি, সিমলা, নৈনিতাল, দক্ষিণ ভারতের আনাইমালাই পার্বত্য অঞ্চলে, মধ্যপ্রদেশের অমরকণ্টক পাহাড়ে এবং অন্যত্র রজ্জুপথ রয়েছে।
রজ্জুপথ

পাইপলাইন বা নলপথ সম্পর্কে কী জান?

গ্যাস এবং তরল পদার্থ পরিবহণের জন্য প্রধানত পাইপলাইন ব্যবহার করা হয়। একবার স্থাপন করা হয়ে গেলে পাইপলাইনের রক্ষণাবেক্ষণ খরচ সাধারণত খুব কম। শহরাঞ্চলে জল পরিবহণ এবং গ্যাস পরিবহণে এর জুড়ি মেলা ভার। ভারতে প্রথম পাইপলাইন চালু হয় 1956 সালে। এর জন্য ডিগবয় থেকে তিনসুকিয়া পর্যন্ত 28 কিমি দীর্ঘ নলপথ তৈরি করা হয়। বর্তমানে ভারতের সক্রিয় পাইপলাইনগুলি হল –

  • নাহারকার্টিয়া-নুনমাটি-বারাউনি নলপথ – অশোধিত খনিজ তেল নাহারকাটিয়া থেকে বিহারের বারাউনি পর্যন্ত পাঠানোর জন্য 1167 কিমি দীর্ঘ নলপথ চালু রয়েছে। বর্তমানে এটি কানপুর ও হলদিয়া পর্যন্ত প্রসারিত হয়েছে।
  • বম্বে হাই-মুম্বাই-আংকেলেশ্বর-কয়ালি নলপথ – এই পথে খনিজ তেল বম্বে হাই থেকে মুম্বাই-এ এবং আংকেলেশ্বর থেকে কয়ালি শোধনাগারে পাঠানো হয়।
  • সালায়া-কয়ালি-মথুরা নলপথ – গুজরাতের সালায়া থেকে উত্তরপ্রদেশের মথুরা পর্যন্ত 1256 কিমি দীর্ঘ এই পাইপলাইনের মাধ্যমেও খনিজ তেল পরিবাহিত হয়।
  • হাজিরা-বিজয়পুর-জগদীশপুর গ্যাস নলপথ – 1750 কিমি দীর্ঘ এই পথে রাষ্ট্রায়ত্ত গ্যাস সংস্থা GAIL গ্যাস পাঠায়।
  • জামনগর-লোনি এলপিজি নলপথ – 1269 কিমি দীর্ঘ এই পাইপলাইনে GAIL তরল পেট্রোলিয়ামজাত গ্যাস সরবরাহ করে।

পাতালরেলের গুরুত্ব কতখানি?

ভূগর্ভ দিয়ে যে রেল চলাচল করে তাকে পাতালরেল বলে। বর্তমান মহানাগরিক জীবনে পাতাল রেলের গুরুত্ব অপরিসীম।

  • যানজট মুক্ত – পাতালরেল একটি নিজস্ব রেলপথ। এই রেলপথের সাথে অন্য কোনো রেল, সড়কপথের সংযোগ নেই। তাই এটি একেবারে যানজটমুক্ত।
  • দূষণহীন – বিদ্যুৎচালিত হওয়ায় পাতাল রেলে দূষণ কম। তাই দূষিত শহরের মধ্যে পাতালরেল দূষণহীন যান।
  • জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন কম – মাটির নীচে দিয়ে বেশিরভাগ জায়গায় চলে বলে খুব বেশি জমি অধিগ্রহণের ব্যাপার নেই।
  • নিয়ম মেনে চলা – সড়ক পরিবহণ যখন কোনো সময় মেনে চলে না সেখানে পাতালরেল অত্যন্ত নিখুঁত সময় অনুযায়ী চলাচল করে। এতে নাগরিক জীবনে কাজের পরিবেশ ফিরে আসে।
  • আরামদায়ক – বেশিরভাগ পাতালরেল স্টেশন ও কোচগুলি বাতানুকূল। তাই যাত্রীদের যাতায়াত অনেক আরামদায়ক ও পরিবেশবান্ধব।
ভারতের পাতালরেল

ভারতের কয়েকটি পাতালরেলের পরিচয় দাও।

ভারতের কয়েকটি পাতাল রেলের পরিচয় –

  • কলকাতা মেট্রো রেল – 1984 সালে কলকাতাতেই প্রথম মেট্রো রেল চালু হয়। বর্তমানে নোয়াপাড়া থেকে গড়িয়ার কাছে কবি সুভাস পর্যন্ত 27 কিমি পথে এই রেল চলছে। এই রেলপথে 24টি স্টেশন রয়েছে। পাতালরেল প্রতিদিন প্রায় সাড়ে 6 লক্ষ যাত্রী বহন করে।
  • দিল্লি মেট্রো রেল – 2002 সালে 24 ডিসেম্বর থেকে এই পথ চালু হয়। এই রেলে 132টি স্টেশন রয়েছে। এই রেলের দৈর্ঘ্য 194 কিমি। 2014 সালের 8 সেপ্টেম্বর দিল্লি মেট্রো প্রায় 28.87 লক্ষ যাত্রী বহন করেছিল।
  • বেঙ্গালুরু মেট্রো রেল – স্থানীয়ভাবে এই রেলকে নাম্মা (Namma) মেট্রো বলে। 2011 সালের 20 অক্টোবর এই রেল চালু হয়। প্রথম পর্যায়ে বেঙ্গালুরু মেট্রো রেল 19 কিমি দীর্ঘ পথে প্রতিদিন প্রায় 50000 যাত্রী পরিবহণ করে।

এ ছাড়া, জয়পুর, গুরগাঁও, চেন্নাই ও মুম্বাই শহরেও মেট্রো পরিসেবা চালু হয়েছে।

যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে মোবাইল ফোনের গুরুত্ব কতখানি?

আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যম হিসেবে মোবাইল ফোন একটি জনপ্রিয় মাধ্যম –

  • এই তারহীন ফোন মানুষ সর্বত্র বহন করতে পারে। তাই এর গুরুত্ব খুব বেশি।
  • মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যে-কোনো সময়, প্রায় যে-কোনো প্রান্ত থেকে কথা বলা বা যোগাযোগ করা যায়।
  • মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মোবাইল ব্যাংকিং, রেলের টিকিট কাটা, ছবি এবং তথ্যের আদান-প্রদান করা হয়।
  • মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইনটারনেট সংযোগ রাখা যায়। এতে যে-কোনো মুহূর্তে যে-কোনো তথ্যকে হস্তগত করা সম্ভব।
  • মোবাইল ফোন ব্যবহার করে পৃথিবীপৃষ্ঠে নিজের অবস্থান দেখে নেওয়া যায়, একে GPS বলে।
  • বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এবং পরিচিতদের সাথে গল্প, আলাপ আলোচনা, ইত্যাদি করার জন্য মোবাইলে SMS, হোয়াটস অ্যাপ, ফেসবুক, টুইটার ইত্যাদি ব্যবহার করা যায়। এতে এর ব্যবহারযোগ্যতা আরও বেড়েছে।

ইনটারনেট কী? এর ব্যাবহারিক গুরুত্ব কতখানি?

সমগ্র পৃথিবীর কম্পিউটার, ল্যাপটপ, পামটপ, মোবাইল ফোন যে ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পরস্পর যুক্ত থাকে, তাকে ইনটারনেট বা অন্তর্জাল বলে।

ইনটারনেট এর ব্যাবহারিক গুরুত্ব – এর মাধ্যমে –

  • পৃথিবীর যে-কোনো প্রান্ত থেকে অতি দ্রুত তথ্যের আদানপ্রদান করা যায়। 
  • এর মাধ্যমে নেট ব্যাংকিং, ইমেল, চ্যাটিং, তথ্য সংগ্রহ, প্রেরণ, তথ্য অনুসন্ধান প্রভৃতি কাজ করা যায়।
  • দূরশিক্ষা, টেলিমেডিসিন ইনটারনেটের মাধ্যমে সম্ভব।
  • এই মুহূর্তে সারা পৃথিবীর মানুষ ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটস অ্যাপ, গুগল প্লাস, ইনস্টাগ্রাম প্রভৃতি সোশ্যাল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করছে।

ভারতে মোবাইল ফোনের ব্যবহার খুব বেশি হলেও ইনটারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা একটু কম। 2017 সালের 30 জুন তারিখ পর্যন্ত ভারতে ইনটারনেট ব্যবহারকারীদের সংখ্যা ছিল প্রায় 46.21 কোটি। উন্নত ইনটারনেট পরিসেবা প্রদানের জন্য সৌরবিদ্যুৎ চালিত Wi-Fi ব্যবস্থা ও উন্নত ফাইবার কেবল ব্যবহার করা হচ্ছে।

পরিবহণ ও যোগাযোগ ব্যবস্থার পার্থক্য লেখো।

পরিবহণ ও যোগাযোগ ব্যবস্থার পার্থক্যগুলি হল –

বিষয়পরিবহণ ব্যবস্থাযোগাযোগ ব্যবস্থা
প্রকৃতিযাত্রী বা পণ্য চলাচলের মাধ্যমকে পরিবহণ বলে।স্থান পরিবর্তন না করে সংবাদ, তথ্য প্রযুক্তির আদানপ্রদান হল যোগাযোগ।
মাধ্যমরেলগাড়ি, মোটরগাড়ি, জাহাজ, স্টিমার, বিমান, সাইকেল প্রভৃতি হল পরিবহণের মাধ্যম।টেলিফোন, রেডিয়ো, ইনটারনেট, মোবাইল ফোন, সংবাদপত্র হল যোগাযোগের মাধ্যম।
সময়পরিবহণে সময় বেশি লাগে।এই যোগাযোগ মুহূর্তের মধ্যে করা সম্ভব।
খরচপরিবংশের খরচ বেশি হয়।তুলনামূলকভাবে কম খরচে করা সম্ভব।

সড়কপথ ও রেলপথের পার্থক্য লেখো।

সড়কপথ ও রেলপথের পার্থক্যগুলি হল –

বিষয়সড়কপথরেলপথ
নির্মাণ ব্যয়নির্মাণ ব্যয় রেলপথ থেকে কম।নির্মাণ ব্যয় সড়কপথ থেকে বেশি।
দ্রুততাসড়কপথ মাঝারি দ্রুতগামী।রেলপথ দ্রুতগামী।
পরিবহণের প্রকৃতিসড়কপথের মাধ্যমে হালকা এবং মাঝারি পণ্য দ্রব্য পরিবাহিত হয়।রেলপথের মাধ্যমে মাঝারি থেকে ভারী দ্রব্য বাহিত হয়।
পরিমাণসড়কপথের মাধ্যমে একসাথে স্বল্প পণ্য পরিবহণ করা যায়।রেলপথের সাহায্যে একসাথে প্রচুর পণ্য পরিবাহিত হয়।
পরিবহণ ব্যয়সড়কপথে পরিবহণ ব্যয় যথেষ্ট বেশি।রেলপথে পরিবহণ ব্যয় যথেষ্ট কম।

জলপথ ও আকাশপথের পার্থক্য লেখো।

জলপথ ও আকাশপথের পার্থক্যগুলি হল –

বিষয়জলপথআকাশপথ
নির্মাণ ব্যয়জলপথ নির্মাণে ব্যয় নেই, কিন্তু বন্দর নির্মাণে খরচ যথেষ্ট।আকাশপথ নির্মাণে ব্যয় নেই, কিন্তু বিমানবন্দর নির্মাণ ব্যয় বহুল।
দ্রুততাপরিবহণ মাধ্যমের মধ্যে সবচেয়ে ধীর গতির।পরিবহণ মাধ্যমের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত গতির।
পরিবহণের প্রকৃতিপৃথিবীর সর্বাধিক ভারী দ্রব্য জলপথের মাধ্যমে পরিবাহিত হয়।পৃথিবীর সবচেয়ে দামি, হালকা, পচনশীল দ্রব্য বাহিত হয়।
পরিবহণ ব্যয়সব ধরনের পরিবহণের মধ্যে জলপথে পরিবহণ ব্যয় সবচেয়ে কম।সব ধরনের পরিবহণের মধ্যে আকাশপথে পরিবহণ ব্যয় সবচেয়ে বেশি।

আমরা আমাদের আর্টিকেলে মাধ্যমিক (দশম শ্রেণী) ভূগোলের ষষ্ঠ অধ্যায় “ভারতের অর্থনৈতিক পরিবেশ” -এর “ভারতের পরিবহণ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা” বিভাগের কিছু গুরুত্বপূর্ণ “ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন ও উত্তর” নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নগুলো মাধ্যমিক (দশম শ্রেণী) ভূগোল পরীক্ষার জন্য ও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই প্রশ্নগুলি মাধ্যমিক (দশম শ্রেণী) পরীক্ষা বা চাকরির পরীক্ষায় প্রায় দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা হলে, আপনারা আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। তাছাড়া নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।

Categories -
Please Share This Article

Related Posts

মাধ্যমিক ভূগোল - উপগ্রহ চিত্র ও ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র - মানচিত্র চিহ্নিতকরণ

মাধ্যমিক ভূগোল – উপগ্রহ চিত্র ও ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র – মানচিত্র চিহ্নিতকরণ

মাধ্যমিক ভূগোল - উপগ্রহ চিত্র ও ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র - ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন ও উত্তর

মাধ্যমিক ভূগোল – উপগ্রহ চিত্র ও ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র – ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন ও উত্তর

মাধ্যমিক ভূগোল - উপগ্রহ চিত্র ও ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র - সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

মাধ্যমিক ভূগোল – উপগ্রহ চিত্র ও ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র – সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

About The Author

Souvick

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

"SolutionWbbse" শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনলাইন অধ্যয়ন প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গাইডলাইন, এবং বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সাহায্য প্রদান করা হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল বিষয়ের শিক্ষণীয় উপকরণ সহজেই সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া।

Editor Picks

HCl (গ্যাস) তড়িৎ পরিবহন করে না কিন্তু HCl -এর জলীয় দ্রবণ তড়িৎ পরিবহন করে কেন?

Cu-তড়িৎদ্বারের সাহায্যে CuSO₄ দ্রবণের তড়িৎবিশ্লেষণের ফলে অ্যানোডের ভর হ্রাস ও ক্যাথোডের ভর বৃদ্ধি পায় কেন?

কপার তড়িৎদ্বার দিয়ে কপার সালফেটের তড়িৎবিশ্লেষণে বর্ণ কেন অপরিবর্তিত থাকে? গাঢ়ত্বের পরিবর্তন কী হবে?

জলের তড়িৎবিশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় H₂SO₄ -এর পরিবর্তে HCl বা HNO₃ ব্যবহার করা হয় না কেন?

লঘু H₂SO₄ মিশ্রিত জলের তড়িৎবিশ্লেষণ করলে ক্যাথোডে SO₄²⁻ আয়ন ইলেকট্রন বর্জন করে না কেন?