এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “ওহমীয় পরিবাহী বলতে কী বোঝো? উদাহরণ দাও। অ-ওহমীয় পরিবাহী বলতে কী বোঝো?” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “ওহমীয় পরিবাহী বলতে কী বোঝো? উদাহরণ দাও। অ-ওহমীয় পরিবাহী বলতে কী বোঝো?” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের ষষ্ঠ অধ্যায় “চলতড়িৎ“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়।

ওহমীয় পরিবাহী বলতে কী বোঝো? উদাহরণ দাও।
ওহমীয় পরিবাহী – যে সমস্ত পরিবাহীর ক্ষেত্রে ওহমের সূত্রটি তড়িৎ প্রবাহমাত্রা ও বিভবপ্রভেদের বিস্তীর্ণ পাল্লার মধ্যে সঠিকভাবে প্রযোজ্য হয়। সেইসব পরিবাহীকে বলা হয় ওহমীয় পরিবাহী।
উদাহরণ – সমস্ত ধাতব পরিবাহী।
অ-ওহমীয় পরিবাহী বলতে কী বোঝো?
অ-ওহমীয় পরিবাহী – যে সমস্ত পরিবাহী ওহমের সূত্র মেনে চলে না অর্থাৎ যাদের ক্ষেত্রে I-V লেখচিত্রটি মূলবিন্দুগামী সরলরেখা হয় না তাদের অ-ওহমীয় পরিবাহী বলে। যেমন – অর্ধপরিবাহী, বৈদ্যুতিক ফিলামেন্টযুক্ত বাল্ব ইত্যাদি।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
ওহমীয় পরিবাহী কী?
যে সকল পরিবাহীর দুই প্রান্তে প্রযুক্ত বিভব পার্থক্য এবং এর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত তড়িৎ প্রবাহমাত্রার অনুপাত স্থির থাকে (অর্থাৎ রোধ ধ্রুবক থাকে) এবং তাদের I-V লেখচিত্র মূলবিন্দুগামী একটি সরলরেখা হয়, তাদের ওহমীয় পরিবাহী বলে।
অ-ওহমীয় পরিবাহী কী?
যে সকল পরিবাহী ওহমের সূত্র মেনে চলে না, অর্থাৎ তাদের রোধ ধ্রুবক না থেকে বিভব পার্থক্যের সাথে পরিবর্তিত হয় এবং তাদের I-V লেখচিত্র মূলবিন্দুগামী সরলরেখা না হয়, তাদের অ-ওহমীয় পরিবাহী বলে।
ওহমীয় পরিবাহীর তিনটি উদাহরণ দাও।
ওহমীয় পরিবাহীর তিনটি উদাহরণ হল –
1. তামার তার,
2. অ্যালুমিনিয়ামের রড,
3. রূপার পাত (প্রায় সব ধাতব পরিবাহীই ওহমীয় পরিবাহীর উদাহরণ)।
অ-ওহমীয় পরিবাহীর তিনটি উদাহরণ দাও।
অ-ওহমীয় পরিবাহীর তিনটি উদাহরণ হল –
1. ডায়োড – এটি একটি অর্ধপরিবাহী যন্ত্র যা একদিকে তড়িৎ প্রবাহিত হতে দেয় কিন্তু অন্যদিকে বাধা দেয়।
2. টিউব লাইট বা CFL বাল্ব – এগুলোর ভিতরের গ্যাস ওহমের সূত্র মেনে চলে না।
3. ট্রানজিস্টর – এটি আরেকটি অর্ধপরিবাহী উপাদান যার রোধ পরিবর্তনশীল।
ওহমীয় ও অ-ওহমীয় পরিবাহীর মূল পার্থক্য কী?
মূল পার্থক্য হল রোধের ধ্রুবতা।
1. ওহমীয় পরিবাহীর রোধ (R) ধ্রুবক থাকে। বিভব পার্থক্য (V) পরিবর্তন করলে প্রবাহমাত্রা (I) সমানুপাতিক হারে পরিবর্তিত হয়।
2. অ-ওহমীয় পরিবাহীর রোধ ধ্রুবক থাকে না। V পরিবর্তন করলে I সমানুপাতিক হারে পরিবর্তিত হয় না, ফলে রোধের মানও পরিবর্তিত হয়।
I-V লেখচিত্র বলতে কী বোঝায় এবং এটি থেকে ওহমীয়তা কীভাবে নির্ণয় করা যায়?
I-V লেখচিত্র হল একটি গ্রাফ যেখানে Y-অক্ষে প্রবাহমাত্রা (I) এবং X-অক্ষে বিভব পার্থক্য (V) নেওয়া হয়।
1. যদি গ্রাফটি মূলবিন্দুগামী একটি সরলরেখা হয়, তবে পরিবাহীটি ওহমীয়।
2. যদি গ্রাফটি সরলরেখা না হয় (বক্ররেখা হয়) বা মূলবিন্দুগামী না হয়, তবে পরিবাহীটি অ-ওহমীয়।
বৈদ্যুতিক বাল্বকে সাধারণত অ-ওহমীয় পরিবাহী বলা হয় কেন?
বাল্বের ভিতরের টাংস্টেন ফিলামেন্টের রোধ তাপমাত্রার উপর নির্ভরশীল। যখন তড়িৎ প্রবাহিত হয়, ফিলামেন্ট গরম হয়ে আলো দেয় এবং তার তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। তাপমাত্রা বাড়ার সাথে সাথে এর রোধও অনেক বেশি পরিমাণে বেড়ে যায়। যেহেতু রোধ স্থির থাকে না, তাই এটি ওহমের সূত্র মেনে চলে না এবং এর ফলে এটি একটি অ-ওহমীয় পরিবাহী।
সকল পরিবাহী কি ওহমীয়?
না, সকল পরিবাহী ওহমীয় নয়। বেশিরভাগ ধাতু ওহমীয় পরিবাহীর শ্রেণীর অন্তর্গত, কিন্তু অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইলেকট্রনিক উপাদান (যেমন ডায়োড, ট্রানজিস্টর) এবং গরম হয়ে যাওয়া বস্তু (যেমন ফিলামেন্ট) অ-ওহমীয় হয়।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “ওহমীয় পরিবাহী বলতে কী বোঝো? উদাহরণ দাও। অ-ওহমীয় পরিবাহী বলতে কী বোঝো?” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “ওহমীয় পরিবাহী বলতে কী বোঝো? উদাহরণ দাও। অ-ওহমীয় পরিবাহী বলতে কী বোঝো?” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের ষষ্ঠ অধ্যায় “চলতড়িৎ“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন