এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “একটি বৃত্তাকার পরিবাহীর মধ্য দিয়ে তড়িৎপ্রবাহ পাঠালে ওই পরিবাহীর চতুর্দিকে যে চৌম্বকক্ষেত্র সৃষ্টি হয় তার বলরেখার প্রকৃতি কীরূপ হবে তা একটি পরীক্ষার সাহায্যে দেখাও।” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “একটি বৃত্তাকার পরিবাহীর মধ্য দিয়ে তড়িৎপ্রবাহ পাঠালে ওই পরিবাহীর চতুর্দিকে যে চৌম্বকক্ষেত্র সৃষ্টি হয় তার বলরেখার প্রকৃতি কীরূপ হবে তা একটি পরীক্ষার সাহায্যে দেখাও।” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের ষষ্ঠ অধ্যায় “চলতড়িৎ“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়।

একটি বৃত্তাকার পরিবাহীর মধ্য দিয়ে তড়িৎপ্রবাহ পাঠালে ওই পরিবাহীর চতুর্দিকে যে চৌম্বকক্ষেত্র সৃষ্টি হয় তার বলরেখার প্রকৃতি কীরূপ হবে তা একটি পরীক্ষার সাহায্যে দেখাও।
একটি বৃত্তাকার পরিবাহীর মধ্য দিয়ে তড়িৎপ্রবাহ পাঠালে ওই পরিবাহীর চতুর্দিকে যে চৌম্বকক্ষেত্র সৃষ্টি হয় তার বলরেখার প্রকৃতি নিম্নলিখিত পরীক্ষার সাহায্যে নির্ধারণ করা যায়।

পরীক্ষা – একটি অনুভূমিক চিত্র কার্ডবোর্ডের দুটির ছিদ্রের মধ্য দিয়ে একটি বৃত্তাকার তারের কুণ্ডলীকে উল্লম্বভাবে ঢুকিয়ে বোর্ডের উপর কিছু লোহার টুকরো ছড়িয়ে দেওয়া হল। এখন তার কুণ্ডলীর মধ্য দিয়ে তড়িৎপ্রবাহ পাঠিয়ে বোর্ডটিকে খুব হালকাভাবে টোকা দিলে লোহার টুকরোগুলি চিত্রের মতো চৌম্বক বলরেখা বরাবর সজ্জিত হবে। একটি ছোটো চুম্বকশলাকা ব্যবহার করে বলরেখাগুলির অভিমুখ নির্ণয় করা যায়।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
বৃত্তাকার পরিবাহীর চারপাশে সৃষ্ট চৌম্বকক্ষেত্রের বলরেখাগুলোর আকৃতি কেমন হয়?
একটি বৃত্তাকার পরিবাহীর ভিতর দিয়ে যখন বিদ্যুৎপ্রবাহ পাঠানো হয়, তখন তার চারপাশে সৃষ্ট চৌম্বকক্ষেত্রের বলরেখাগুলোর আকৃতিও হয় বৃত্তাকার বা চক্রাকার। এই বলরেখাগুলো পরিবাহীটিকে বেষ্টন করে এককেন্দ্রিক বৃত্ত (Concentric Circle) এর মতো একটি প্যাটার্ন তৈরি করে।
বৃত্তাকার পরিবাহীর চৌম্বকক্ষেত্রের অভিমুখ (দিক) কীভাবে নির্ণয় করা যায়?
একটি বৃত্তাকার পরিবাহীর ভিতর দিয়ে যখন বিদ্যুৎপ্রবাহ পাঠানো হয়, তখন তার চারপাশে সৃষ্ট চৌম্বকক্ষেত্রের বলরেখাগুলোর আকৃতিও হয় বৃত্তাকার বা চক্রাকার। এই বলরেখাগুলো পরিবাহীটিকে বেষ্টন করে এককেন্দ্রিক বৃত্ত (Concentric Circle) এর মতো একটি প্যাটার্ন তৈরি করে।
চৌম্বকক্ষেত্রের মেরু (উত্তর-দক্ষিণ) কীভাবে চিনতে পারবে?
পরীক্ষায় একটি ছোট কম্পাস বা চুম্বকসূচক (চুম্বকশলাকা) ব্যবহার করা যায়। চৌম্বকক্ষেত্রের মধ্যে কম্পাস রাখলে তার কাটাটি ক্ষেত্রের অভিমুখ বরাবর ঘুরে যায়। কম্পাসের কাটার উত্তর প্রান্ত (সাধারণত লাল রঙের) যে দিকে ঘুরে যায়, সেটিই সেই বিন্দুতে চৌম্বকক্ষেত্রের দক্ষিণ মেরুর দিক। কারণ, চৌম্বকক্ষেত্রের দিক সর্বদা উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরুর দিকে হয়।
বিদ্যুৎপ্রবাহের মান বাড়ালে চৌম্বকক্ষেত্রের কী পরিবর্তন হয়?
বিদ্যুৎপ্রবাহের মান বাড়ালে চৌম্বকক্ষেত্রের প্রাবল্য বা শক্তিও (Strength) বাড়ে। এর ফলে বলরেখাগুলো আরও বেশি কাছাকাছি ও স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান হয় এবং লোহার গুঁড়োগুলো দ্রুত ও শক্তভাবে সজ্জিত হয়।
বৃত্তাকার পরিবাহীর ব্যাসার্ধ বাড়লে চৌম্বকক্ষেত্রের কী হয়?
বৃত্তাকার পরিবাহীর ব্যাসার্ধ বাড়লে তার কেন্দ্রে সৃষ্ট চৌম্বকক্ষেত্রের প্রাবল্য কমে যায়। কারণ, চৌম্বকক্ষেত্রের প্রাবল্য ব্যাসার্ধের ব্যস্তানুপাতিক (Inversely Proportional)।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “একটি বৃত্তাকার পরিবাহীর মধ্য দিয়ে তড়িৎপ্রবাহ পাঠালে ওই পরিবাহীর চতুর্দিকে যে চৌম্বকক্ষেত্র সৃষ্টি হয় তার বলরেখার প্রকৃতি কীরূপ হবে তা একটি পরীক্ষার সাহায্যে দেখাও।” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “একটি বৃত্তাকার পরিবাহীর মধ্য দিয়ে তড়িৎপ্রবাহ পাঠালে ওই পরিবাহীর চতুর্দিকে যে চৌম্বকক্ষেত্র সৃষ্টি হয় তার বলরেখার প্রকৃতি কীরূপ হবে তা একটি পরীক্ষার সাহায্যে দেখাও।” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের ষষ্ঠ অধ্যায় “চলতড়িৎ“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন