এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “ফ্লেমিং -এর বামহস্ত নিয়মটি লেখো।” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “ফ্লেমিং -এর বামহস্ত নিয়মটি লেখো।” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের ষষ্ঠ অধ্যায় “চলতড়িৎ“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়।

ফ্লেমিং -এর বামহস্ত নিয়মটি লেখো।
অথবা, চৌম্বকক্ষেত্রে অবস্থিত কোনো তড়িৎবাহী পরিবাহীর গতির অভিমুখ নির্ণয়ের সংশ্লিষ্ট নিয়মটি লেখো।
ফ্লেমিং -এর বামহস্ত নিয়ম – বাম হাতের তর্জনী, মধ্যমা এবং বৃদ্ধাঙ্গুলি পরস্পরের সঙ্গে সমকোণে রেখে প্রসারিত করলে যদি তর্জনী চৌম্বকক্ষেত্রের দিক নির্দেশ করে এবং মধ্যমা তড়িৎপ্রবাহের দিক নির্দেশ করে, তবে বৃদ্ধাঙ্গুলি পরিবাহীর গতির অভিমুখ নির্দেশ করবে।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
ফ্লেমিং -এর বামহস্ত নিয়মটি কী?
এটি একটি স্মরণীয় কৌশল যা তড়িৎপ্রবাহ, চৌম্বকক্ষেত্র এবং একটি পরিবাহীর উপর প্রযুক্ত বলের দিক নির্ণয় করতে ব্যবহৃত হয়। নিয়মটি হলো: বাম হাতের তর্জনী, মধ্যমা ও বৃদ্ধাঙ্গুলি পরস্পরের সাথে সমকোণে রেখে প্রসারিত করলে তর্জনী চৌম্বকক্ষেত্রের (B) দিক, মধ্যমা তড়িৎপ্রবাহের (I) দিক এবং বৃদ্ধাঙ্গুলি পরিবাহীর গতি বা প্রযুক্ত বলের (F) দিক নির্দেশ করে।
ফ্লেমিং -এর বামহস্ত নিয়মটি কার নামানুসারে নামকরণ করা হয়েছে?
ফ্লেমিং -এর বামহস্ত নিয়মটি বিখ্যাত ব্রিটিশ বিজ্ঞানী জন অ্যামব্রোজ ফ্লেমিং-এর নামানুসারে নামকরণ করা হয়েছে।
ফ্লেমিং -এর বামহস্ত নিয়মটি কোন যন্ত্রের কার্যনীতি ব্যাখ্যা করতে ব্যবহৃত হয়?
ফ্লেমিং -এর বামহস্ত নিয়মটি ইলেকট্রিক মোটর-এর কার্যনীতি ব্যাখ্যা করতে ব্যবহৃত হয়। মোটর কীভাবে তড়িৎশক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে (ঘূর্ণনে) রূপান্তরিত করে, তা এই নিয়মের মাধ্যমে বোঝা যায়।
ফ্লেমিং -এর ডানহস্ত নিয়মটি কোন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়?
ফ্লেমিং -এর ডানহস্ত নিয়মটি জেনারেটর বা ডায়নামোর কার্যনীতি ব্যাখ্যা করতে ব্যবহৃত হয়, যা যান্ত্রিক শক্তিকে তড়িৎশক্তিতে রূপান্তরিত করে। এটি গতি (motion), ক্ষেত্র (field) এবং প্ররোচিত প্রবাহ (induced current) -এর দিক নির্দেশ করে।
ফ্লেমিং -এর বামহস্ত নিয়মে তিনটি আঙুল দ্বারা কী কী রাশির দিক নির্দেশ করা হয়?
ফ্লেমিং -এর বামহস্ত নিয়মে তিনটি আঙুল দ্বারা দিক নির্দেশ করা হয় –
1. তর্জনী – চৌম্বক ক্ষেত্রের দিক (উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরুর দিক)।
2. মধ্যমা – পরিবাহীর মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত তড়িৎপ্রবাহের দিক (+ থেকে – এর দিকে)।
3. বৃদ্ধাঙ্গুলি – পরিবাহীর গতি বা চৌম্বক ক্ষেত্রের কারণে পরিবাহীর উপর প্রযুক্ত বলের দিক।
চৌম্বকক্ষেত্রের দিক সর্বদা কী দিকে থাকে?
চৌম্বকক্ষেত্রের দিক সর্বদা চৌম্বক ক্ষেত্রের উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরুর দিকে প্রবাহিত হয়।
ফ্লেমিং -এর বামহস্ত নিয়মে যদি তড়িৎপ্রবাহ বা চৌম্বকক্ষেত্রের দিক উল্টে দেওয়া হয়, তাহলে কী হবে?
ফ্লেমিং -এর বামহস্ত নিয়মে যদি তড়িৎপ্রবাহ বা চৌম্বকক্ষেত্রের দিক উল্টে দেওয়া হয়, তবে পরিবাহীর উপর প্রযুক্ত বলের দিকও উল্টে যাবে (অর্থাৎ গতির দিক পরিবর্তন হবে)। যদি উভয়ের দিকই উল্টে দেওয়া হয়, তবে বলের দিক একই থাকবে।
বামহস্ত নিয়মের বাস্তব প্রয়োগ কী?
বামহস্ত নিয়মের বাস্তব প্রয়োগ হলো ইলেকট্রিক মোটর, লাউডস্পিকারের ডায়াফ্রামকে কম্পিত করা, গ্যালভানোমিটার ইত্যাদি। যেসব যন্ত্রে তড়িৎশক্তিকে যান্ত্রিক গতিতে রূপান্তর করা হয়, সেসব যন্ত্রে এই নিয়ম কার্যকর হয়।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “ফ্লেমিং -এর বামহস্ত নিয়মটি লেখো।” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “ফ্লেমিং -এর বামহস্ত নিয়মটি লেখো।” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের ষষ্ঠ অধ্যায় “চলতড়িৎ“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন