এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “তেজস্ক্রিয়তা বলতে কী বোঝো? তেজস্ক্রিয়তার তিনটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “তেজস্ক্রিয়তা বলতে কী বোঝো? তেজস্ক্রিয়তার তিনটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের সপ্তম অধ্যায় “পরমাণুর নিউক্লিয়াস“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়।

তেজস্ক্রিয়তা বলতে কী বোঝো?
অথবা, প্রাকৃতিক তেজস্ক্রিয়তা কী?
ইউরেনিয়াম, থোরিয়াম, রেডিয়ামের মতো কতকগুলি ভারী মৌলের পরমাণুর নিউক্লিয়াস, যে-কোনো অবস্থায় নিজে থেকেই স্বতঃস্ফূর্তভাবে অবিরাম গতিতে বিভাজিত হয়ে নতুন মৌলের নিউক্লিয়াসে পরিণত হয় এবং সেই সঙ্গে এক বিশেষ ধরনের অদৃশ্য রশ্মি বিকিরণ করে। যা অন্ধকারে ফোটোগ্রাফিক প্লেটকে আক্রান্ত করে, পাতলা ধাতব পাত ভেদ করে এবং গ্যাসের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময় গ্যাসকে আয়নিত করে। এই বিকিরিত রশ্মিগুলি আলোক, চাপ, উষ্ণতা, রাসায়নিক বিক্রিয়া প্রভৃতি কোনো কারণ দ্বারাই প্রভাবিত হয় না। ভারী মৌলের পরমাণুর এরূপ রশ্মি বিকিরণ ধর্মকে তেজস্ক্রিয়তা বলে।
তেজস্ক্রিয়তার তিনটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।
তেজস্ক্রিয়তার বৈশিষ্ট্য –
- তেজস্ক্রিয়তা একটি পারমাণবিক এবং পরমাণুর কেন্দ্রীয় ঘটনা, তেজস্ক্রিয় মৌল অন্য কোনো মৌলের সঙ্গে রাসায়নিকভাবে যুক্ত থাকলেও এর রশ্মি বিকিরণ অব্যাহত থাকে।
- তেজস্ক্রিয়তা একটি স্বতঃস্ফূর্ত প্রক্রিয়া। আলোক, তাপ, চাপ প্রভৃতি কোনো কারণ দ্বারাই প্রভাবিত হয় না।
- তেজস্ক্রিয় রশ্মি নির্গমনের ফলে তেজস্ক্রিয় মৌল ভেঙে যায় এবং নতুন মৌলের পরমাণুর সৃষ্টি হয়।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
তেজস্ক্রিয়তা কী?
তেজস্ক্রিয়তা হল ইউরেনিয়াম, থোরিয়াম, রেডিয়ামের মতো কিছু ভারী মৌলের পরমাণুর নিউক্লিয়াসের একটি ধর্ম, যেখানে নিউক্লিয়াসটি নিজে থেকেই স্বতঃস্ফূর্তভাবে এবং অবিরাম গতিতে বিভাজিত হয়ে নতুন মৌলের নিউক্লিয়াসে পরিণত হয় এবং এক বিশেষ ধরনের অদৃশ্য রশ্মি বিকিরণ করে।
তেজস্ক্রিয়তার প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো কী কী?
তেজস্ক্রিয়তার প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো হল –
1. এটি একটি পারমাণবিক ঘটনা এবং পরমাণুর নিউক্লিয়াস থেকে সৃষ্টি হয়। রাসায়নিক বিক্রিয়া বা বন্ধন দ্বারা এটি প্রভাবিত হয় না।
2. এটি একটি স্বতঃস্ফূর্ত প্রক্রিয়া। আলো, তাপ, চাপ বা রাসায়নিক বিক্রিয়ার মতো কোনো বাহ্যিক কারণ দ্বারা এর বিকিরণের হার নিয়ন্ত্রিত বা প্রভাবিত হয় না।
3. এটি রূপান্তরের সূচক; তেজস্ক্রিয় মৌলের নিউক্লিয়াস ভেঙে যায় এবং সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি নতুন মৌলের পরমাণু সৃষ্টি হয়।
প্রাকৃতিক তেজস্ক্রিয়তা কী?
যে তেজস্ক্রিয়তা প্রকৃতিতে স্বাভাবিকভাবে পাওয়া যায় এমন মৌলগুলোর (যেমন: ইউরেনিয়াম, থোরিয়াম, রেডিয়াম) মধ্যে নিজে থেকেই ঘটতে থাকে, তাকেই প্রাকৃতিক তেজস্ক্রিয়তা বলে। এটি কৃত্রিমভাবে তৈরি করা হয় না।
কোন কোন বিষয় তেজস্ক্রিয়তাকে প্রভাবিত করতে পারে না?
তেজস্ক্রিয়তা একটি স্বতঃস্ফূর্ত নিউক্লীয় প্রক্রিয়া, তাই এটি আলো, তাপ, চাপ বা কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়ার দ্বারা প্রভাবিত হয় না।
তেজস্ক্রিয়তার ফলে কী হয়?
তেজস্ক্রিয়তার ফলে দুটি প্রধান ঘটনা ঘটে –
1. রশ্মি বিকিরণ – তেজস্ক্রিয় মৌল থেকে আলফা, বিটা, গামার মতো রশ্মি নির্গত হয়।
2. পরমাণুর রূপান্তর – মূল তেজস্ক্রিয় মৌলের পরমাণু ভেঙে যায় এবং সম্পূর্ণ নতুন একটি মৌলের পরমাণুতে পরিণত হয়।
তেজস্ক্রিয়তা কি একটি রাসায়নিক ধর্ম?
না, তেজস্ক্রিয়তা কোনো রাসায়নিক ধর্ম নয়। এটি একটি পারমাণবিক বা নিউক্লীয় ধর্ম যা পরমাণুর নিউক্লিয়াস থেকে উদ্ভূত হয়। একটি তেজস্ক্রিয় মৌল যেকোনো রাসায়নিক যৌগে থাকলেও তার তেজস্ক্রিয়তা অপরিবর্তিত থাকে।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “তেজস্ক্রিয়তা বলতে কী বোঝো? তেজস্ক্রিয়তার তিনটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “তেজস্ক্রিয়তা বলতে কী বোঝো? তেজস্ক্রিয়তার তিনটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের সপ্তম অধ্যায় “পরমাণুর নিউক্লিয়াস“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন