এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান বিষয়ের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন — “CNG কী? এর উপাদান কী? CNG -এর ব্যবহার উল্লেখ করো।” — নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের অষ্টম অধ্যায় “পদার্থের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মসমূহ” -এর “জৈব রসায়ন” অংশ থেকে নেওয়া হয়েছে। মাধ্যমিক পরীক্ষা এবং বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় এই প্রশ্নটি প্রায়ই আসে, তাই এটি শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

CNG কী? এর উপাদান কী?
সিএনজি (CNG) – প্রাকৃতিক গ্যাসকে চাপ প্রয়োগে তরলে পরিণত করলে তাকে কমপ্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস বা সংক্ষেপে সিএনজি (CNG) বলে। তরল প্রাকৃতিক গ্যাসকে স্টিলের সিলিন্ডারে রাখা হয়।
CNG -এর উপাদান – CNG -এর প্রধান উপাদান মিথেন (70%), এ ছাড়া এতে সামান্য ইথেন ও প্রোপেন মিশ্রিত থাকে।
CNG -এর ব্যবহার উল্লেখ করো।
CNG -এর ব্যবহার –
- নানা ধরনের শিল্পে, যেমন – লৌহ ইস্পাত শিল্প, সিমেন্ট শিল্প প্রভৃতিতে জ্বালানি হিসেবে প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করা হয়।
- ঘর গরম রাখতে, রাস্তাঘাটে বাতি জ্বালাতে, রান্নার কাজে জ্বালানি হিসেবে প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করা হয়।
- বিভিন্ন যানবাহনে জ্বালানি হিসেবে CNG ব্যবহার করা হয়।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
সিএনজি (CNG) বলতে কী বোঝায়?
CNG হল Compressed Natural Gas -এর সংক্ষিপ্ত রূপ। এটি প্রাকৃতিক গ্যাসকে অত্যন্ত উচ্চচাপে সংকুচিত করে তৈরি করা হয়, যাতে এটি একটি তরল-সদৃশ অবস্থায় পরিণত হয় এবং গাড়ির জ্বালানি ট্যাঙ্কে সংরক্ষণ করা যায়।
সিএনজির প্রধান উপাদান কী?
সিএনজির (CNG) প্রধান ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো মিথেন গ্যাস (CH₄), যা সাধারণত 70% থেকে 90% বা তারও বেশি পরিমাণে থাকতে পারে। এছাড়া সামান্য পরিমাণে ইথেন, প্রোপেন ও অন্যান্য গ্যাস মিশ্রিত থাকতে পারে।
সিএনজি (CNG) এবং এলএনজি (LNG) -এর মধ্যে পার্থক্য কী?
সিএনজি (CNG) এবং এলএনজি (LNG) -এর মধ্যে পার্থক্য –
1. সিএনজি (CNG) হল সংকুচিত প্রাকৃতিক গ্যাস, যাকে কক্ষ তাপমাত্রায় উচ্চচাপে রাখা হয়।
2. এলএনজি (LNG) হল তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস, যাকে অত্যন্ত নিম্ন তাপমাত্রায় (−162°C) শীতল করে তরলে পরিণত করা হয়।
3. সিএনজি সাধারণত যানবাহনে ব্যবহৃত হয়, আর এলএনজি বড় আকারে পরিবহন ও সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হয়।
গাড়িতে CNG ব্যবহারের প্রধান সুবিধাগুলো কী কী?
গাড়িতে সিএনজি ব্যবহারের প্রধান সুবিধা –
1. সাশ্রয়ী – পেট্রল বা ডিজেলের তুলনায় দাম কম।
2. পরিবেশবান্ধব – পেট্রল বা ডিজেলের চেয়ে কম দূষণকারী পদার্থ ও গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ করে।
3. দহন দক্ষতা – উচ্চ অকটেন রেটিং -এর কারণে জ্বালানি দহন বেশি দক্ষতার সাথে হয়।
4. নিরাপদ – বাতাসের তুলনায় হালকা হওয়ায় লিক হলে তা দ্রুত বাতাসে মিশে যায়, ফলে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি কম।
CNG ব্যবহারের কিছু অসুবিধা কী?
সিএনজি ব্যবহারের কিছু অসুবিধা –
1. গাড়ির ব্যাগেজ স্পেস কমে – সিএনজি সিলিন্ডার ব্যাগেজের একটি বড় অংশ দখল করে।
2. সর্বোচ্চ গতি কম – পেট্রল বা ডিজেলের তুলনায় গাড়ির শক্তি ও ত্বরণ কিছুটা কম হতে পারে।
3. রিফুয়েলিং সময় বেশি – পেট্রল বা ডিজেলের তুলনায় সিএনজি ভরতে বেশি সময় লাগে।
4. সীমিত রিফুয়েলিং স্টেশন – সব জায়গায় সিএনজি স্টেশন সহজে পাওয়া যায় না।
CNG গাড়ি ব্যবহার পরিবেশের জন্য কতটা ভালো?
সিএনজি গাড়ি পেট্রল বা ডিজেল গাড়ির তুলনায় অনেক কম ধোঁয়া ও বিষাক্ত গ্যাস (যেমন – সীসা, সালফার ডাই-অক্সাইড) নির্গত করে। এটি কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO₂) নিঃসরণও প্রায় 20–30% কমায়, যা বায়ু দূষণ ও গ্লোবাল ওয়ার্মিং কমাতে সাহায্য করে।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান বিষয়ের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন — “CNG কী? এর উপাদান কী? CNG -এর ব্যবহার উল্লেখ করো।” — নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের অষ্টম অধ্যায় “পদার্থের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মসমূহ” -এর “জৈব রসায়ন” অংশ থেকে নেওয়া হয়েছে। মাধ্যমিক পরীক্ষা এবং বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় এই প্রশ্নটি প্রায়ই আসে, তাই এটি শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন