আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ‘পরিবেশরক্ষায় প্লাস্টিক বর্জন‘ প্রবন্ধ রচনাটি নিয়ে আলোচনা করব। মাধ্যমিক বা স্কুল পরীক্ষায় এই রচনাটি প্রায়ই আসে এবং এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ রচনা। একবার ভালোভাবে আয়ত্ত করলে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি — যেকোনো ক্লাসের পরীক্ষাতেই তোমরা এই রচনার প্রশ্নের উত্তর সহজেই লিখতে পারবে!

পরিবেশরক্ষায় প্লাস্টিক বর্জন
প্লাস্টিকের প্রকৃতি – আমাদের চারপাশে লক্ষ করলেই দেখতে পাই নানান ক্ষেত্রে পলিথিন বা প্লাস্টিকের ব্যবহার। পলিথিন বা প্লাস্টিকের তৈরি নানা অব্যবহৃত জিনিস বা তার অংশবিশেষ পরিবেশে বর্জ্য হিসেবে চারিদিকে ছড়িয়ে থাকে। প্রযুক্তিনির্ভর মানবসভ্যতার এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ প্লাস্টিক। এক ধরনের বিশেষ পলিমারকে প্লাস্টিক বলা হয়। সাধারণত কৃত্রিম পলিমার কার্বনগঠিত যৌগ থেকে তৈরি। এগুলির দীর্ঘায়ুর জন্য মানুষ অধিক পরিমাণে ব্যবহার করছে। নন-বায়োডিগ্রেডেবল (Non-Biodegradable) প্লাস্টিক কোনো ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাকে নষ্ট হয় না বলে দীর্ঘদিন পরিবেশে পড়ে থাকে ফলে এগুলি পরিবেশকে দূষিত করে, তার ভারসাম্যও নষ্ট করে ও মৃত্তিকার উর্বরাশক্তি ধ্বংস করে।
প্লাস্টিকের ভয়াবহতা – প্লাস্টিক ব্যাগ, ডটপেনের রিফিল, পিভিসি পাইপ প্রভৃতি মানুষের তৈরি কৃত্রিম নন-বায়োডিগ্রেডেবল সামগ্রীর ব্যবহার না কমালে পরিবেশেদূষণের মাত্রা বাড়তে থাকবে। জনজীবন নানা কঠিন ব্যাধিতে আক্রান্ত হবে। বিশেষত, এগুলিকে পোড়ালে কার্বন মনোক্সাইডের মতো বিষাক্ত গ্যাস বায়ুমণ্ডলকে দূষিত করে। আবার দীর্ঘদিন ধরে নর্দমা প্রভৃতির মুখে এগুলি স্তূপাকার হয়ে থাকলে জমা জলে নানা ক্ষতিকারক জীবাণু জন্ম নেয়। যা থেকে জীবকুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পুকুর বা জলাশয়ে প্লাস্টিক পড়লে মাছ চাষে প্রভাব পড়ে। এককথায় প্লাস্টিকের ব্যবহারে পরিবেশ ভয়াবহ হয়ে ওঠে।
প্লাস্টিক বর্জনের আবশ্যিকতা – জনজীবনকে সুস্থ রাখতে, পরিবেশের ভারসাম্য ও বায়ুর স্বচ্ছতা বজায় রাখতে রোগজীবাণুর সংক্রমণ থেকে জনজীবনকে রক্ষা করতে নন-বায়োডিগ্রেডেবল প্লাস্টিক বর্জন একান্ত আবশ্যক। জীবজগৎ দ্বারা যেসব প্লাস্টিক বা পলিথিন নষ্ট হয় সেইসব বায়োডিগ্রেডেবল প্লাস্টিক ব্যবহার করা যেতে পারে।
উপসংহার – নৈতিক পরিবেশ তৈরি হয় সুস্থ মূল্যবোধের ওপর ভিত্তি করে। পরিবেশ রচনার কারিগর হল মানুষ। সেই মানুষেরই সচেতনতার অভাবে তার পরিবেশ বিষময় হয়ে ওঠে। সুস্থ ও সতেজ পরিবেশরক্ষায় প্লাস্টিকের মতো বিষময় বস্তুসামগ্রী ব্যবহার একেবারেই বর্জন করতে হবে। আগামী প্রজন্মের জন্য কবির কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে প্রতিজ্ঞা করতে হবে –
“এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।”
আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ‘পরিবেশরক্ষায় প্লাস্টিক বর্জন‘ প্রবন্ধ রচনাটি নিয়ে আলোচনা করেছি। মাধ্যমিক বা স্কুল পরীক্ষায় ‘একটি অচল পয়সার আত্মকথা‘ রচনাটি প্রায়ই আসে এবং এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ রচনা। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।





মন্তব্য করুন