আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ‘বিশ্বপরিবেশ দিবস উদযাপনের গুরুত্ব‘ প্রবন্ধ রচনাটি নিয়ে আলোচনা করব। মাধ্যমিক বা স্কুল পরীক্ষায় এই রচনাটি প্রায়ই আসে এবং এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ রচনা। একবার ভালোভাবে আয়ত্ত করলে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি — যেকোনো ক্লাসের পরীক্ষাতেই তোমরা এই রচনার প্রশ্নের উত্তর সহজেই লিখতে পারবে!

বিশ্বপরিবেশ দিবস উদযাপনের গুরুত্ব
ভূমিকা – জননীস্বরূপ প্রকৃতি সন্তানরূপ জীবজগতের সুখস্বাচ্ছন্দ্য রক্ষার জন্য আমাদের সামনে উপস্থিত। আমাদের শীতলতা প্রদানে, তৃষ্ণা মেটাতে, ধরাকে রসসিক্ত করতে প্রকৃতি আবির্ভূত হয়েছে শস্যশ্যামলারূপে; প্রবাহিত হয়েছে জলধারারূপে। প্রকৃতির এমন অনুকূল পরিবেশে ছিল বিশুদ্ধতার ছোঁয়া, অফুরন্ত অক্সিজেন। আজ পরিবেশে অনুপস্থিত জীবনের সুনিশ্চিত আশ্বাস। মানুষ নগর ও জনপদ গড়ার প্রয়োজনে হাতে তুলে নিয়েছে পরশুরামের কুঠার। ধ্বংস করে চলেছে শস্যশ্যামলা বসুন্ধরাকে। বিশ্বপরিবেশের এই ধ্বংসলীলা প্রতিরোধে, বিষময় অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে মানবকুল পরিবেশসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য পালন করছে ‘বিশ্বপরিবেশ দিবস’।
বিশ্বপরিবেশ দিবসের উদ্ভব – সভ্যতার আদিতে মানুষ নিজের অজান্তে যে পরিবেশদূষণের সূত্রপাত ঘটিয়েছিল, তা বর্তমানে দানবীয় রূপ ধারণ করেছে। উনিশ শতকে সভ্যতার প্রগতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে দূষণ ভয়াবহ আকার নেয়। বিশ্বের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ প্রকৃতিকে বাঁচাতে 1984 খ্রিস্টাব্দে ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস’ হিসেবে 5 জুন দিনটিকে বেছে নেন।
বিশ্বপরিবেশ দিবস উদ্যাপনের গুরুত্ব – পরিবেশদূষণ প্রতিরোধকল্পে ঘটা করে সারা বিশ্বে 5 জুন ‘বিশ্বপরিবেশ দিবস’ পালিত হয়। প্রথমদিকে এই দিনটি পালনে নিষ্প্রাণ আনুষ্ঠানিকতা থাকলেও ধীরে ধীরে শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ এই দিনটির গুরুত্ব অনুভব করতে শুরু করে। দূষণের কুটিলতা থেকে পরিত্রাণের উদ্দেশে পথগ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে মানুষ নিজেকে নিবেদন করেছে জীবনদাত্রী পরিবেশের সংরক্ষণে। বায়ুতে যে অক্সিজেনের অভাব ভীষণভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছে তা যাতে আগামী দিনে মানুষের সচেতনতার ও পরিবেশের সবুজ সংরক্ষণের মাধ্যমে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয় সেই অঙ্গীকারের ভিত্তিতেই বিশ্বপরিবেশ দিবস উদ্যাপনের সূচনা।
উপসংহার – পৃথিবী নামক গ্রহের জীবনদাত্রী পরিবেশের ধারক ও বাহক, চিরকালের চিরন্তন সখা সবুজকে ফিরিয়ে আনার আন্তরিক প্রচেষ্টার মধ্যেই 5 জুন ‘বিশ্বপরিবেশ দিবস’ উদ্যাপনের সার্থকতা। পূর্বের মতো “সুজলাং সুফলাং মলয়জ শীতলম্” রূপদান করতে হবে পৃথিবীমাতাকে। পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্রগুলিতেও সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। এককথায়, সর্বস্তরে দূষণ প্রতিরোধের মহামন্ত্রে গোটা বিশ্বকে দীক্ষিত করতেই এই ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস’ উদযাপন।
“ধরাতলে
-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
চঞ্চলতা সব-আগে নেমেছিল জলে।
সবার প্রথম ধ্বনি উঠেছিল জেগে
তারি স্রোতবেগে।”
আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ‘বিশ্বপরিবেশ দিবস উদযাপনের গুরুত্ব‘ প্রবন্ধ রচনাটি নিয়ে আলোচনা করেছি। মাধ্যমিক বা স্কুল পরীক্ষায় ‘একটি অচল পয়সার আত্মকথা‘ রচনাটি প্রায়ই আসে এবং এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ রচনা। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।





মন্তব্য করুন