আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ‘পথনিরাপত্তা ও আমরা‘ প্রবন্ধ রচনাটি নিয়ে আলোচনা করব। মাধ্যমিক বা স্কুল পরীক্ষায় এই রচনাটি প্রায়ই আসে এবং এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ রচনা। একবার ভালোভাবে আয়ত্ত করলে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি — যেকোনো ক্লাসের পরীক্ষাতেই তোমরা এই রচনার প্রশ্নের উত্তর সহজেই লিখতে পারবে!

পথনিরাপত্তা ও আমরা
ভূমিকা – ‘পথ শব্দটার কোনো বিকল্প ছিল না’ তাই মানুষের প্রাত্যহিক জীবনের একটি নির্বিকল্প অংশ পথ। জীবনের প্রয়োজনে মানুষ বার বার পথের সম্মুখীন হয়। তাই যথাযথ পথ পরিক্রমাই সার্থকভাবে তাকে গন্তব্যে পৌঁছে দেয়। কিন্তু নিত্যদিনের পথ দুর্ঘটনায় জীবনের পথ চলা হঠাৎ থমকে যায়। মৃত্যুর সেই শূন্যতাকে প্রতিরোধ করার জন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে পশ্চিমবঙ্গ সরকার সম্প্রতি 8 জুলাই 2016 সালে সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ কর্মসূচি গ্রহণ করে।
পথ নিরাপত্তা বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্যোগ – পথ নিরাপত্তা বৃদ্ধির উদ্দেশ্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ স্লোগানকে বাস্তবায়িত করতে পুলিশ প্রশাসন বিশিষ্ট ভূমিকা গ্রহণ করেছে। কলকাতা ও রাজ্য পুলিশের শীর্ষ ব্যক্তিত্বদের নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের পরিবহন দপ্তর প্রচার অভিযান শুরু করেছে। রাজ্যের ক্রমশ বেড়ে চলা পথ দুর্ঘটনা বন্ধ করতে এই প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ পরিবহন সংস্থা। সুশীল জনসমাজ, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, সাধারণ মানুষের তৎপরতা রাজ্যের পথ দুর্ঘটনা কমাবে বলে পশ্চিমবঙ্গ সরকার আশাবাদী।
পথ দুর্ঘটনার প্রকৃতি – সাম্প্রতিক নগর জীবনের ব্যস্ততা মানুষকে যেন এক দৌড় প্রতিযোগিতায় সামিল করেছে। তাই পথে যানবাহন বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে তাদের গতিও বৃদ্ধি পেয়েছে। সে কারণে বেপরোয়া গাড়ি চালানো, গাড়ির সঙ্গে গাড়ির রেষারেষি, ট্রাফিক সিগন্যাল অমান্য করা প্রভৃতি কারণে পথ দুর্ঘটনা একটি প্রায় নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়ায়। ফলে পথ চলতি মানুষ কিংবা আরোহী দু’জনেরই প্রাণ সংশয় ঘটে।
প্রতিকার – দৈনন্দিন পথ দুর্ঘটনার এই সমস্যার সমাধান করতে রাজ্য সরকার প্রণোদিত সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ কর্মসূচি জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে পেরেছে। সেই সঙ্গে মানুষের ধৈর্য, সহনশীলতা যদি ক্রমশ বাড়িয়ে তোলা যায়, তাহলে পথ দুর্ঘটনা অনেক কমানো যাবে।
উপসংহার – পথ নিরাপত্তা সপ্তাহ পালিত হলেও পথ দুর্ঘটনা রোধ করা যায়নি। সেই তুলনায় ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ প্রকল্প অনেকাংশেই সার্থক হয়েছে। যদি আরও ব্যাপকভাবে সার্বিক ক্ষেত্রে এই সচেতনতা জাগিয়ে তোলা যায়, তাহলে পথ চলতি মানুষ সর্বোতভাবে নিরাপদ থাকবে।
আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ‘পথনিরাপত্তা ও আমরা‘ প্রবন্ধ রচনাটি নিয়ে আলোচনা করেছি। মাধ্যমিক বা স্কুল পরীক্ষায় ‘একটি অচল পয়সার আত্মকথা‘ রচনাটি প্রায়ই আসে এবং এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ রচনা। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।





মন্তব্য করুন