এখনই আমাদের Telegram Community গ্রুপে যোগ দিন।। এখানে WBBSE বোর্ডের পঞ্চম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির যেকোনো বিষয়ভিত্তিক সমস্যা শেয়ার করতে পারেন এবং একে অপরের সাহায্য করতে পারবেন। এছাড়া, কোনও সমস্যা হলে আমাদের শিক্ষকরা তা সমাধান করে দেবেন।

Telegram Logo Join Our Telegram Community

তোর আসল লজ্জা জলে, আসল গর্বও জলে। — কোন্ প্রসঙ্গে এই উক্তি? উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

“তোর আসল লজ্জা জলে, আসল গর্বও জলে।” এই উক্তিটি দশম বাংলা সহায়ক পাঠ কোনি উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে। “তোর আসল লজ্জা জলে, আসল গর্বও জলে।” — কোন্ প্রসঙ্গে এই উক্তি? উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যান্ত গুরুত্তপূর্ণ। কোনি উপন্যাসের এই রচনাধর্মী প্রশ্নটি তৈরী করে গেলে মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষায় একটি ৫ নম্বরের পাওয়া যেতে পারে।

মতি নন্দীর বিখ্যাত উপন্যাস ‘কোনি’ থেকে উদ্ধৃত এই অংশে, ক্ষিতীশ কোনিকে সান্ত্বনা দিচ্ছে। অমিয়া কোনিকে ঝিয়ের কাজ করতে দেখে অবাক হয়েছিল এবং তাকে ছোটো চোখে দেখেছিল। এই কথায় কোনি লজ্জিত ও অপমানিত বোধ করে। তখন ক্ষিতীশ তাকে বলে যে, “তুই জলের মানুষ। জলের বাইরে তোর লজ্জা বা গর্বের কোনো কারণ নেই। তোর সাফল্য বা ব্যর্থতা সাঁতার কাটাতেই সীমাবদ্ধ। তুই যদি ভালো সাঁতারু হতে চাস, তাহলে অমিয়ার কথায় কান দিও না। মনোযোগ দিয়ে সাঁতার কাটার প্রশিক্ষণ নে।”

এই উক্তির মাধ্যমে ক্ষিতীশ কোনিকে তার প্রকৃত পরিচয় সম্পর্কে সচেতন করে তোলার চেষ্টা করেছেন। কোনি একজন প্রতিভাবান সাঁতারু, এবং তার সম্মান ও লজ্জা জলের সাথেই জড়িত। জলের বাইরে তার কোনো লজ্জা বা গর্বের কারণ নেই। তাই অমিয়ার কথায় লজ্জিত না হয়ে তার উচিত মনোযোগ দিয়ে সাঁতারের প্রশিক্ষণ নেওয়া।

এই উক্তিটি ‘কোনি’ উপন্যাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ কারণ এটি কোনির চরিত্রের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই উক্তি শুনে কোনি তার প্রকৃত পরিচয় সম্পর্কে সচেতন হয় এবং তার আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায়।

তোর আসল লজ্জা জলে, আসল গর্বও জলে। — কোন্ প্রসঙ্গে এই উক্তি? উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

“তোর আসল লজ্জা জলে, আসল গর্বও জলে।” — কোন্ প্রসঙ্গে এই উক্তি? উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

উৎস ও প্রসঙ্গ – মতি নন্দী রচিত কোনি উপন্যাস থেকে আলোচ্য উক্তিটি গৃহীত হয়েছে। সাঁতারের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি কোনি চল্লিশ টাকার বিনিময়ে লীলাবতীর দর্জির দোকানে ঝাঁট দেয় ও ফাইফরমাশ খাটে। একদিন অমিয়া ওই দোকানে ব্লাউজ করাতে এসেছিল। কোনিকে সেখানে দেখে অমিয়া বলেছিল, “তুই এখানে ঝিয়ের কাজ করিস?” এই কথায় কোনি অত্যন্ত লজ্জিত ও অপমানিত বোধ করে। ক্ষিতীশকে এ কথা জানালে ক্ষিতীশ তাকে সান্ত্বনা দিতে আলোচ্য উক্তিটি করেন।

তাৎপর্য বিশ্লেষণ –

  • সম্মান প্রদর্শন – কোনি সম্ভাবনাময় সাঁতারু। তার সম্পর্ক জলের সঙ্গে। যার যেখানে অবস্থান, তার লজ্জা এবং সম্মান সেখানেই। একজন ক্রিকেটার বা ফুটবলারের সম্মান, লজ্জা, গর্ব সব কিছু খেলার মাঠেই। দোকানে ঝিয়ের কাজ করে বলে কোনিকে ছোটো চোখে দেখেছিল অমিয়া। কিন্তু ক্ষিতীশ তাকে বুঝিয়ে দেন যে সেটা তার প্রকৃত কর্মক্ষেত্র নয়। সেখানে তার সাফল্য, ব্যর্থতা, লজ্জা বা গর্বের কোনো স্থান নেই। কেন-না, কোনি প্রতিভাবান সাঁতারু।
  • অনুপ্রেরণাদান – কোনির সাফল্য বা ব্যর্থতা সাঁতারু হিসেবে জলেই সীমাবদ্ধ। সাঁতারে ব্যর্থ হলে তার লজ্জিত হওয়া উচিত, আবার সাফল্য লাভ করলে গর্ব বোধ করা উচিত। এই কারণেই ক্ষিতীশ কোনিকে বলতে চেয়েছেন অমিয়ার কথায় লজ্জিত না হয়ে সে যেন সাঁতারটা ভালো করে শেখে। জলের বাইরে কোনির লজ্জা বা গর্বের কোনো কিছু নেই।

আরও পড়ুন, তাহলে বিরাট এক অপূর্ণতা ক্ষিতীশের জীবনে যেন রয়ে যাবে। – কোন্ প্রসঙ্গে এ কথা বলা হয়েছে এবং এজন্য তিনি কী করেছিলেন?

মতি নন্দীর বিখ্যাত উপন্যাস ‘কোনি’ থেকে উদ্ধৃত এই অংশে ক্ষিতীশের উক্তিটি আমাদের জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রদান করে। আমাদের সকলেরই জীবনে এমন পরিস্থিতি আসে যখন আমরা অন্যের কথায় লজ্জিত বা অপমানিত বোধ করি। কিন্তু আমাদের মনে রাখা উচিত যে, আমাদের প্রকৃত পরিচয় কেবল আমাদের কর্মের মাধ্যমেই প্রকাশিত হয়। অন্যের কথায় আমাদের আত্মবিশ্বাস নষ্ট হওয়া উচিত নয়।

ক্ষিতীশ কোনিকে বলেছিলেন যে, “তুই জলের মানুষ। জলের বাইরে তোর লজ্জা বা গর্বের কোনো কারণ নেই।” এই উক্তির মাধ্যমে তিনি কোনিকে তার প্রকৃত পরিচয় সম্পর্কে সচেতন করে তুলেছিলেন। কোনি একজন প্রতিভাবান সাঁতারু, এবং তার সম্মান ও লজ্জা জলের সাথেই জড়িত। জলের বাইরে তার কোনো লজ্জা বা গর্বের কারণ নেই।

আমাদেরও জীবনে এই শিক্ষাটি মেনে চলা উচিত। আমাদের প্রকৃত পরিচয় কেবল আমাদের কর্মের মাধ্যমেই প্রকাশিত হয়। অন্যের কথায় আমাদের আত্মবিশ্বাস নষ্ট হওয়া উচিত নয়। আমাদের উচিত আমাদের নিজস্ব প্রতিভা ও দক্ষতার উপর বিশ্বাস রাখা এবং আমাদের লক্ষ্য অর্জনে নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়া।

Share via:

মন্তব্য করুন