এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “অভ্যন্তরীণ রোধ কাকে বলে? কোশের অভ্যন্তরীণ রোধ কোন্ কোন্ বিষয়ের ওপর নির্ভর করে?” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “অভ্যন্তরীণ রোধ কাকে বলে? কোশের অভ্যন্তরীণ রোধ কোন্ কোন্ বিষয়ের ওপর নির্ভর করে?” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের ষষ্ঠ অধ্যায় “চলতড়িৎ“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়।

অভ্যন্তরীণ রোধ কাকে বলে?
অভ্যন্তরীণ রোধ – তড়িৎ কোশের মধ্যস্থ সক্রিয় পদার্থ বা তরলের কিছুটা রোধ থাকে, যা কোশের মধ্য দিয়ে তড়িৎপ্রবাহের বিরুদ্ধে বাধার সৃষ্টি করে। এই বাধাকেই কোশের অভ্যন্তরীণ রোধ বলা হয়।
কোশের অভ্যন্তরীণ রোধ কোন্ কোন্ বিষয়ের ওপর নির্ভর করে?
কোশের অভ্যন্তরীণ রোধ নিম্নলিখিত বিষয়গুলির ওপর নির্ভর করে।
- তড়িদ্দারদ্বয়ের মধ্যবর্তী দূরত্বের উপর – তড়িদ্বারদ্বয়ের মধ্যবর্তী দূরত্ব বাড়ালে অভ্যন্তরীণ রোধ বৃদ্ধি পায়।
- সক্রিয় তরলের মধ্যে তড়িদ্দ্বারদ্বয়ের নিমজ্জিত অংশের ক্ষেত্রফলের ওপর – নিমজ্জিত অংশের ক্ষেত্রফল বৃদ্ধি পেলে অভ্যন্তরীণ রোধ হ্রাস পায়।
- কোশ মধ্যস্থ সক্রিয় তরলের প্রকৃতির ওপর – সক্রিয় তরলের পরিবাহিতা বৃদ্ধি পেলে কোশের অভ্যন্তরীণ রোধের মান হ্রাস পায়।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
অভ্যন্তরীণ রোধ কী?
কোন তড়িৎ কোশের (electrochemical cell) ভিতরের সক্রিয় পদার্থ বা তরলের একটি স্বাভাবিক রোধ থাকে। যখন কোশের মধ্য দিয়ে তড়িৎপ্রবাহ চলে, তখন এই রোধ প্রবাহের বিরুদ্ধে একটি বাধা সৃষ্টি করে। এই বিশেষ রোধকেই ওই কোশের অভ্যন্তরীণ রোধ বলা হয়।
তড়িদ্দ্বারদ্বয়ের মধ্যবর্তী দূরত্ব বাড়লে অভ্যন্তরীণ রোধের কী পরিবর্তন হয়?
তড়িদ্দ্বারদ্বয়ের মধ্যবর্তী দূরত্ব বাড়লে কোষের অভ্যন্তরীণ রোধ বৃদ্ধি পায়। যেহেতু রোধ দৈর্ঘ্যের সমানুপাতিক, তাই এই দূরত্ব বাড়লে তরলের মধ্য দিয়ে তড়িৎপ্রবাহের পথটিও দীর্ঘ হয়। এর ফলে রোধের মান বেড়ে যায়।
তড়িদ্দ্বারদ্বয়ের নিমজ্জিত ক্ষেত্রফলের সাথে অভ্যন্তরীণ রোধের সম্পর্ক কী?
এদের মধ্যে একটি বিপরীত সম্পর্ক রয়েছে। তড়িদ্দ্বারদ্বয়ের নিমজ্জিত ক্ষেত্রফল বৃদ্ধি পেলে কোষের অভ্যন্তরীণ রোধ হ্রাস পায়। রোধ ক্ষেত্রফলের ব্যস্তানুপাতিক হওয়ায়, ক্ষেত্রফল বাড়লে তড়িৎ প্রবাহের জন্য বেশি অনুপ্রস্থ-কর্ত (Cross-sectional Area) পাওয়া যায়। ফলে মোট রোধের মান কমে যায়।
সক্রিয় তরল কীভাবে অভ্যন্তরীণ রোধকে প্রভাবিত করে?
সক্রিয় তরলের রোধীকতা বা পরিবাহিতা অভ্যন্তরীণ রোধকে সরাসরি প্রভাবিত করে। তরলের পরিবাহিতা বৃদ্ধি পেলে (উদাহরণস্বরূপ, তরলটি বেশি ঘনীভূত বা বেশি আয়নযুক্ত হলে), কোষের অভ্যন্তরীণ রোধ হ্রাস পায়। বিপরীতভাবে, তরলের রোধীকতা বেশি হলে অভ্যন্তরীণ রোধও বেড়ে যায়।
একটি ব্যবহারিক উদাহরণ দিন যেখানে অভ্যন্তরীণ রোধ গুরুত্বপূর্ণ।
একটি কোষ বা ব্যাটারি থেকে যখন অধিক তড়িৎপ্রবাহ নেওয়া হয় (যেমন, একটি স্টার্টার মোটর চালু করার সময়), তখন তার অভ্যন্তরীণ রোধের কারণে ব্যাটারির টার্মিনাল বিভব (Terminal Voltage) হ্রাস পায়। এই কারণেই একটি দুর্বল ব্যাটারি খোলা বর্তনীতে (Open Circuit) ভালো ভোল্টেজ দেখালেও, তাতে লোড (Load) সংযুক্ত করার পর সেই ভোল্টেজ ব্যাপকভাবে কমে যায়—এটাই অভ্যন্তরীণ রোধের প্রভাব।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “অভ্যন্তরীণ রোধ কাকে বলে? কোশের অভ্যন্তরীণ রোধ কোন্ কোন্ বিষয়ের ওপর নির্ভর করে?” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “অভ্যন্তরীণ রোধ কাকে বলে? কোশের অভ্যন্তরীণ রোধ কোন্ কোন্ বিষয়ের ওপর নির্ভর করে?” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের ষষ্ঠ অধ্যায় “চলতড়িৎ“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন