এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “ভর ও শক্তির পারস্পরিক রূপান্তর সম্পর্কিত আইনস্টাইনের সমীকরণটি লেখো। সমীকরণে ব্যবহৃত প্রতীকগুলি কী কী নির্দেশ করে? সাধারণ রাসায়নিক বিক্রিয়ার ক্ষেত্রে E = mc2 সূত্রটি প্রযোজ্য নয় কেন? কোন্ ক্ষেত্রে এই সমীকরণটি প্রযোজ্য?” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “ভর ও শক্তির পারস্পরিক রূপান্তর সম্পর্কিত আইনস্টাইনের সমীকরণটি লেখো। সমীকরণে ব্যবহৃত প্রতীকগুলি কী কী নির্দেশ করে? সাধারণ রাসায়নিক বিক্রিয়ার ক্ষেত্রে E = mc2 সূত্রটি প্রযোজ্য নয় কেন? কোন্ ক্ষেত্রে এই সমীকরণটি প্রযোজ্য?” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের তৃতীয় অধ্যায় “রাসায়নিক গণনা“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়।

ভর ও শক্তির পারস্পরিক রূপান্তর সম্পর্কিত আইনস্টাইনের সমীকরণটি লেখো। সমীকরণে ব্যবহৃত প্রতীকগুলি কী কী নির্দেশ করে?
বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতাবাদ তত্ত্ব অনুসারে ভর ও শক্তি পরস্পর রূপান্তরযোগ্য। তাঁর আপেক্ষিকতাবাদ তত্ত্ব অনুসারে, কোনো প্রক্রিয়ায় ‘m’ পরিমাণ ভরের পদার্থ সম্পূর্ণরূপে রূপান্তরিত হয়ে ‘E’ পরিমাণ শক্তি উৎপন্ন করে। অর্থাৎ, E = mc2,
যেখানে, c = শূন্য মাধ্যমে আলোর গতিবেগ = 3 × 1010 cm/s।
সাধারণ রাসায়নিক বিক্রিয়ার ক্ষেত্রে E = mc2 সূত্রটি প্রযোজ্য নয় কেন? কোন্ ক্ষেত্রে এই সমীকরণটি প্রযোজ্য?
সাধারণ রাসায়নিক বিক্রিয়ার ক্ষেত্রে ভরের পরিবর্তন খুব সামান্য হওয়ায় সেটিকে পরিমাপ করা যায় না। সেক্ষেত্রে বিক্রিয়ায় উৎপন্ন বা শোষিত শক্তি (তাপ, আলোক ইত্যাদি) অগ্রাহ্য করা হয়। তাই সাধারণ রাসায়নিক বিক্রিয়ার ক্ষেত্রে E = mc2 সূত্রটি প্রযোজ্য নয়।
উচ্চ শক্তির বিক্রিয়ার (যেমন – নিউক্লিয় বিক্রিয়া, পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণ) ক্ষেত্রে এই সূত্রটি প্রযোজ্য।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
আইনস্টাইনের ভর-শক্তি সমীকরণটি কী?
আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতাবাদ তত্ত্ব অনুসারে, ভর ও শক্তি পরস্পর রূপান্তরযোগ্য। তাঁর বিখ্যাত সমীকরণটি হল – E = mc2।
E = mc2 সমীকরণে ব্যবহৃত প্রতীকগুলির অর্থ কী?
E = mc2 সমীকরণে ব্যবহৃত প্রতীকগুলির অর্থ হল –
1. E = শক্তি (এনার্জি, জুল বা erg এককে পরিমাপ করা হয়),
2. m = ভর (মাস, গ্রাম বা কিলোগ্রাম এককে পরিমাপ করা হয়),
3. c = শূন্য মাধ্যমে আলোর গতিবেগ (প্রায় 3 × 1010 cm/s বা, 3 × 108 m/s)।
কোন ক্ষেত্রে E = mc2 সূত্রটি প্রযোজ্য?
এই সূত্রটি প্রযোজ্য উচ্চ শক্তির নিউক্লিয় বিক্রিয়ার ক্ষেত্রে, যেমন –
1. নিউক্লিয় ফিশন (ইউরেনিয়াম বা প্লুটোনিয়ামের বিভাজন, পারমাণবিক বোমা বা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ব্যবহৃত),
2. নিউক্লিয় ফিউশন (সূর্য ও হাইড্রোজেন বোমায় সংঘটিত বিক্রিয়া),
3. কণা পদার্থবিজ্ঞানের গবেষণায় (যেখানে কণাগুলির ভর শক্তিতে রূপান্তরিত হয়)।
E = mc2 সমীকরণের তাৎপর্য কী?
E = mc2 সমীকরণ প্রমাণ করে যে ভর ও শক্তি একই সত্তার দুটি রূপ এবং এদের মধ্যে রূপান্তর সম্ভব। এটি আধুনিক পদার্থবিজ্ঞান ও শক্তি উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিপ্লব এনেছে।
নিউক্লিয় বিক্রিয়ায় ভরের কত অংশ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়?
নিউক্লিয় বিক্রিয়ায় অতি সামান্য ভর (Δm) শক্তিতে রূপান্তরিত হয়, কিন্তু c2 (≈ 9 × 1016 m2/s2) এর মান অত্যন্ত বেশি হওয়ায় বিপুল শক্তি নির্গত হয়।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “ভর ও শক্তির পারস্পরিক রূপান্তর সম্পর্কিত আইনস্টাইনের সমীকরণটি লেখো। সমীকরণে ব্যবহৃত প্রতীকগুলি কী কী নির্দেশ করে? সাধারণ রাসায়নিক বিক্রিয়ার ক্ষেত্রে E = mc2 সূত্রটি প্রযোজ্য নয় কেন? কোন্ ক্ষেত্রে এই সমীকরণটি প্রযোজ্য?” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “ভর ও শক্তির পারস্পরিক রূপান্তর সম্পর্কিত আইনস্টাইনের সমীকরণটি লেখো। সমীকরণে ব্যবহৃত প্রতীকগুলি কী কী নির্দেশ করে? সাধারণ রাসায়নিক বিক্রিয়ার ক্ষেত্রে E = mc2 সূত্রটি প্রযোজ্য নয় কেন? কোন্ ক্ষেত্রে এই সমীকরণটি প্রযোজ্য?” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের তৃতীয় অধ্যায় “রাসায়নিক গণনা“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন