বিদ্যালয় পত্রিকায় প্রথম তোমার লেখা মুদ্রিত হওয়ার অভিজ্ঞতা – প্রবন্ধ রচনা

Rahul

আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ‘বিদ্যালয় পত্রিকায় প্রথম তোমার লেখা মুদ্রিত হওয়ার অভিজ্ঞতা‘ প্রবন্ধ রচনাটি নিয়ে আলোচনা করব। মাধ্যমিক বা স্কুল পরীক্ষায় এই রচনাটি প্রায়ই আসে এবং এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ রচনা। একবার ভালোভাবে আয়ত্ত করলে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি — যেকোনো ক্লাসের পরীক্ষাতেই তোমরা এই রচনার প্রশ্নের উত্তর সহজেই লিখতে পারবে!

বিদ্যালয় পত্রিকায় প্রথম তোমার লেখা মুদ্রিত হওয়ার অভিজ্ঞতা – প্রবন্ধ রচনা
বিদ্যালয় পত্রিকায় প্রথম তোমার লেখা মুদ্রিত হওয়ার অভিজ্ঞতা – প্রবন্ধ রচনা

বিদ্যালয় পত্রিকায় প্রথম তোমার লেখা মুদ্রিত হওয়ার অভিজ্ঞতা – প্রবন্ধ রচনা

আমি একজন ছাত্র। জীবনে কবি বা গল্পলেখক হব এমন ইচ্ছে কোনোদিনই আমার সেভাবে ছিল না। কিন্তু সাহিত্য পড়তে ভালোবাসতাম, পড়ার বইয়ের পাশাপাশি আমি ছিলাম গল্পের বইয়ের পোকা। তাই শখ করে দু-একটা কবিতাও লেখা হয়ে গিয়েছিল। আমার এই লেখার বিষয়ে কেউই তেমন কিছু জানত না, শ্রেণির বন্ধুরা তো নয়ই। তবে তাদের মধ্যে একজন, সহপাঠীর কাছে এই লেখার কথা লুকোতে পারিনি। সে হল প্রসুন, আমার সহপাঠী। একদিন ওই সংবাদ নিয়ে এসে আমাকে জানাল যে বেশ কয়েকবছর বন্ধ থাকার পর আবার আমাদের বিদ্যালয় পত্রিকা প্রকাশিত হতে চলেছে। প্রধান শিক্ষক মহাশয় উৎসাহী ও আগ্রহী ছাত্রদের লেখা দিতে অনুরোধ করেছেন। প্রসূন আমাকে লেখা দেওয়ার জন্য জোরাজুরি করতে লাগল। আমি কথাটি শুনে একেবারে উড়িয়ে দিলাম ব্যাপারটা, মনে ভাবলাম শিক্ষক মহাশয় ও উঁচু ক্লাসের বড়ো দাদারা কত ভালো লেখা পত্রিকায় দেবেন, যাতে বিদ্যালয়ের সুনাম বৃদ্ধি পাবে, সেখানে আমি একজন শখের কবি খেলার ছলে লেখা কবিতা দিয়ে কি করব? যাই হোক প্রসূনের চাপে কবিতা দিতেই হল। অনেক ভেবেচিন্তে ‘সাঁওতাল’ নামে একটি কবিতা বিদ্যালয় পত্রিকায় দিলাম। কবিতাটি আমার খুব প্রিয় ছিল, কিন্তু সেটি যে পত্রিকার জন্য বিবেচিত হতে পারে তা কখনও বিশ্বাস করিনি। আমাকে আশ্চর্য করে দিয়ে বিদ্যালয় পত্রিকায় শিক্ষক মহাশয়গণ ও মাননীয় ব্যক্তিদের লেখা বিষয়গুলির পরেই প্রথমে আমার কবিতাটি মুদ্রিত হল। শ্রেণিশিক্ষক মহাশয় আমার হাতে পত্রিকাটি দিয়ে পিঠ চাপড়ে বললেন ‘খুব ভালো লিখেছ’। আমার তো নিজের চোখকেই বিশ্বাস হচ্ছিল না। ঠিক দেখছি তো? ছাপার অক্ষরে আমার নামই লেখা রয়েছে। রাতারাতি আমি বন্ধুবান্ধব ও শিক্ষক মহাশয়দের কাছে প্রশংসার পাত্র হয়ে উঠলাম। বন্ধুরাও অভিনন্দন জানাল। বাবা-মা খুশি হলেন কারণ তাঁরা আমার কবিতা লেখার ব্যাপারটা সেভাবে জানতেন না। তবে আমি সবচেয়ে খুশি হলাম আমার বন্ধু প্রসূনকে ধন্যবাদ জানিয়ে কারণ ওর উৎসাহ না থাকলে আমার লেখা কবিতাটি পত্রিকায় দেওয়াই হত না। তাই বিদ্যালয় পত্রিকায় প্রথম আমার লেখা মুদ্রিত হওয়ার পিছনে প্রসূনেরও বড়ো অবদান রয়েছে। এই স্মৃতি ও অভিজ্ঞতা তাই আমার কাছে খুবই আনন্দদায়ক হয়ে রয়েছে।


আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ‘বিদ্যালয় পত্রিকায় প্রথম তোমার লেখা মুদ্রিত হওয়ার অভিজ্ঞতা‘ প্রবন্ধ রচনাটি নিয়ে আলোচনা করেছি। মাধ্যমিক বা স্কুল পরীক্ষায় ‘বিদ্যালয় পত্রিকায় প্রথম তোমার লেখা মুদ্রিত হওয়ার অভিজ্ঞতা‘ রচনাটি প্রায়ই আসে এবং এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ রচনা। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।

Please Share This Article

Related Posts

একটি অচল পয়সার আত্মকথা – প্রবন্ধ রচনা

একটি অচল পয়সার আত্মকথা – প্রবন্ধ রচনা

একটি প্রাচীন বটগাছের আত্মকথা – প্রবন্ধ রচনা

একটি প্রাচীন বটগাছের আত্মকথা – প্রবন্ধ রচনা

একটি মেলা দেখার অভিজ্ঞতা – প্রবন্ধ রচনা

একটি মেলা দেখার অভিজ্ঞতা – প্রবন্ধ রচনা

About The Author

Rahul

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

"SolutionWbbse" শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনলাইন অধ্যয়ন প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গাইডলাইন, এবং বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সাহায্য প্রদান করা হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল বিষয়ের শিক্ষণীয় উপকরণ সহজেই সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া।

Editor Picks

অ্যামোনিয়া গ্যাসে চোখে মুখে জলের ঝাপটা দেওয়া উচিত, অ্যাসিড নয় কেন?

লাইকার ও তরল অ্যামোনিয়ার পার্থক্য ও তরল অ্যামোনিয়ার হিমায়ক ব্যবহার কারণ লিখো।

অ্যামোনিয়ার ক্ষারধর্মের পরিচয় দাও।

অ্যামোনিয়া ট্যাঙ্ক বা কারখানা থেকে অ্যামোনিয়া গ্যাস বেরোতে থাকলে প্রাথমিক সতর্কতা হিসেবে কী করা উচিত?

লাইকার অ্যামোনিয়ার বোতলের ছিপি খোলার সময় বোতলটিকে বরফে ঠান্ডা করে খুলতে হয় কেন?