আজকের এই আর্টিকেলে আমরা অষ্টম শ্রেণির বাংলা বিষয়ের সপ্তত্রিংশ অধ্যায় ‘টিকিটের অ্যালবাম’-এর গুরুত্বপূর্ণ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করবো। এই প্রশ্নগুলো অষ্টম শ্রেণির বাংলা পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য অত্যন্ত সহায়ক, কারণ এসব প্রশ্ন প্রায়ই পরীক্ষায় আসে।
টিকিটের অ্যালবাম – অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
সুন্দর রামস্বামী কোন্ ভাষার লেখক?
সুন্দর রামস্বামী তামিল ভাষার লেখক।
তিনি কোন্ ছদ্মনামে লিখতেন?
তিনি ‘পদুবিয়া’ ছদ্মনামে লিখতেন।
টিকিটের অ্যালবাম গল্পের লেখক কে?
টিকিটের অ্যালবাম নামক গল্পের লেখক হলেন সুন্দর রামস্বামী।
মূল গল্পটি কোন্ ভাষায় রচিত?
মূল গল্পটি তামিল ভাষায় রচিত।
গল্পটিতে মোট ক-টি চরিত্রের দেখা পাওয়া যায়?
গল্পটিতে মূলত দুটি চরিত্রের দেখা পাওয়া যায় – রাজাপ্পা ও নাগরাজন। এ ছাড়াও কয়েকটি গৌণ চরিত্র রয়েছে। যথা – নাগরাজনের বোন কামাক্ষী, আপ্পু, বন্ধু কৃষ্ণাণ ও রাজাপ্পার মা।
মেয়েদের পক্ষ থেকে কে নাগরাজনের থেকে অ্যালবামটি চেয়ে নিয়ে যেত?
মেয়েদের পক্ষ থেকে নাগরাজনের কাছ থেকে অ্যালবামটি চেয়ে নিয়ে যেত পার্বতী।
রাজাপ্পা কীভাবে তার অমূল্য ডাকটিকিটগুলি সংগ্রহ করত?
মৌমাছির মধু সংগ্রহ করার মতো রাজাপ্পা খুব কষ্ট করে টিকিট সংগ্রহ করত।
নাগরাজনের অ্যালবামটি তাকে কে উপহার দিয়েছিলেন?
নাগরাজনের অ্যালবামটি তার কাকা তাকে উপহার দিয়েছিল।
নাগরাজনের অ্যালবামের প্রতি সকলে আকৃষ্ট হয়ে পড়ল কেন?
নাগরাজনের টিকিটের অ্যালবামটি ছিল অপরূপ সুন্দর। হয়তো রাজাপ্পার অ্যালবামের চেয়ে অনেক বেশি সংখ্যক টিকিট ওতে রক্ষিত ছিল না, তবে কোনো স্থানীয় দোকানেও অমন অ্যালবাম সহজে পাওয়া যেত না। এককথায় তার অ্যালবামটি ছিল অদ্বিতীয়। একারণেই সকলে নাগরাজনের অ্যালবামের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েছিল।
টিকিটের অ্যালবাম মূল গল্পটি ー (হিন্দি/তামিল/তেলেগু) ভাষায় লেখা।
টিকিটের অ্যালবাম মূল গল্পটি তামিল ভাষায় লেখা।
টিকিটের অ্যালবাম গল্পটি বাংলায় তর্জমা করেছেন – (অর্ঘ্যকুসুম দত্তগুপ্ত/অর্ঘ্যকমল মিত্র/অর্ঘ্যকমল দত্তগুপ্ত)।
টিকিটের অ্যালবাম গল্পটি বাংলায় তর্জমা করেছেন অর্ঘ্যকুসুম দত্তগুপ্ত।
নাগরাজনকে টিকিটের অ্যালবামটি দিয়েছিল তার – (কাকা/মামা/বাবা)।
নাগরাজনকে টিকিটের অ্যালবামটি দিয়েছিল তার কাকা।
নাগরাজনের বোনের নাম হল – (এণাক্ষী/কামাক্ষী/মীনাক্ষী)।
নাগরাজনের বোনের নাম হল কামাক্ষী।
আলোচ্য গল্পের ডানপিটে মেয়েটি হল _____।
আলোচ্য গল্পের ডানপিটে মেয়েটি হল পার্বতী।
পার্বতীর যে স্বভাববৈশিষ্ট্য গল্পে উল্লেখ করা হয়েছে তা হল _____।
পার্বতীর যে স্বভাববৈশিষ্ট্য গল্পে উল্লেখ করা হয়েছে তা হল ডানপিটে।
রাজাপ্পা রাশিয়ার টিকিটের সঙ্গে _____ টিকিটের বিনিময় করত।
রাজাপ্পা রাশিয়ার টিকিটের সঙ্গে পাকিস্তানি টিকিটের বিনিময় করত।
কৃষ্নান ঠাট্টা করে বলল, ‘তোর অ্যালবামটা _____ রাখার যোগ্য।’
কৃষ্নান ঠাট্টা করে বলল, ‘তোর অ্যালবামটা ডাস্টবিনে রাখার যোগ্য।’
রাজাপ্পা _____ ছড়ানো বইগুলো দেখল।
রাজাপ্পা টেবিলে ছড়ানো বইগুলো দেখল।
নাগরাজনের কাকা কোথা থেকে নাগরাজনকে ডাকটিকিটের অ্যালবামটি পাঠিয়েছিল?
নাগরাজনের কাকা সিঙ্গাপুর থেকে নাগরাজনকে ডাকটিকিটের অ্যালবামটি পাঠিয়েছিল।
অ্যালবাম দেখানোর ব্যাপারে নাগরাজনের শর্ত কী ছিল?
অ্যালবাম দেখানোর ব্যাপারে নাগরাজনের একমাত্র শর্ত ছিল যে কেউ সেটা ধরবে না।
রাজস্ব বিভাগের অফিসারের ছেলে কত দিয়ে রাজাপ্পার অ্যালবামটা কিনতে চেয়েছিল?
রাজস্ব বিভাগের অফিসারের ছেলে ২৫ টাকা দিয়ে রাজাপ্পার অ্যালবামটা কিনতে চেয়েছিল।
রাজাপ্পা কোন্ সময় নাগরাজনের বাড়িতে গিয়েছিল?
একদিন সন্ধ্যাবেলা রাজাপ্পা নাগরাজনের বাড়ি গিয়েছিল।
ওটা ছিল একেবারে অদ্বিতীয়। – কীসের সম্পর্কে এ ধরনের মন্তব্য করা হয়েছে?
নাগরাজনের কাকার নাগরাজনকে সিঙ্গাপুর থেকে পাঠানো অ্যালবাম সম্পর্কে প্রশ্নে প্রদত্ত মন্তব্যটি করা হয়েছে।
তোরা এমন নকল-নবীশ হয়েছিস কেন রে? – কে, কাকে এ কথা বলেছে?
প্রশ্নে প্রদত্ত মন্তব্যটি রাজাপ্পা স্কুলের ছেলেদের অর্থাৎ যারা নাগরাজনের অ্যালবামের প্রথম পৃষ্ঠায় লেখা মন্তব্যটি নকল করত তাদের উদ্দেশ্যে বলেছে।
ছেলেরা নাগরাজনের চারপাশে জড়ো হত কেন?
নাগরাজনের কাকা সিঙ্গাপুর থেকে নাগরাজনকে ডাকটিকিট সংবলিত একটি অ্যালবাম পাঠিয়েছিল। সেই অ্যালবামটা ছিল অদ্বিতীয়, সেটা দেখার জন্য ছেলেরা নাগরাজনের চারপাশে জড়ো হত।
মেয়েরা কীভাবে নাগরাজনের অ্যালবামটি দেখত?
মেয়েদেরও নাগরাজনের অ্যালবামটা দেখতে ইচ্ছা হলে ডানপিটে মেয়ে পার্বতী এসে নাগরাজনের কাছে অ্যালবামটি চাইত। নাগরাজন মলাট লাগিয়ে তাকে সেটি দিত। সব মেয়েরা দেখে নিয়ে সন্ধ্যায় অ্যালবামটি আবার নাগরাজনকে ফিরিয়ে দিত।
ছেলেরা জবাবটার তারিফ করল – কোন্ জবাবের?
রাজস্ব বিভাগের এক অফিসারের ছেলে ২৫ টাকার বিনিময়ে রাজাপ্পার অ্যালবামটা কিনে নিতে চাইলে রাজাপ্পা বলেছিল – ‘তুই কি তোর বাচ্চা ভাইকে আমার কাছে তিরিশ টাকায় বিক্রি করবি?’ – রাজাপ্পার এই জবাবেরই তারিফ করেছিল ছেলেরা।
স্কুলের ছেলেমেয়েদের নাগরাজন কীভাবে তার নিজের অ্যালবামটি দেখতে দিত?
নাগরাজন পরম ধৈর্য সহকারে স্কুলের ছেলেদের তার অ্যালবামটি দেখাত। তবে তার একমাত্র শর্ত ছিল যে, কেউ অ্যালবামটা হাত দিয়ে ধরতে পারবে না। নাগরাজন নিজের কোলে অ্যালবামটা রেখে পাতাগুলো ওলটাত, সবাই সেটা প্রাণভরে দেখত।
আজকের এই নিবন্ধে অষ্টম শ্রেণির বাংলা বিষয়ের সপ্তত্রিংশ অধ্যায় ‘টিকিটের অ্যালবাম’ এর গুরুত্বপূর্ণ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এই প্রশ্নগুলো পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত সহায়ক, কারণ এগুলো প্রায়ই পরীক্ষায় আসে। আশা করি, এই নিবন্ধটি আপনার প্রস্তুতিতে সহায়ক হয়েছে। যদি আপনার কোনো প্রশ্ন থাকে বা আরও সাহায্যের প্রয়োজন হয়, টেলিগ্রামে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আর নিবন্ধটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না, যাতে তারাও উপকৃত হতে পারে। ধন্যবাদ!