এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “আর্থিং কী? আর্থ তারের বৈশিষ্ট্য কী? আর্থিং -এর প্রয়োজনীয়তা কী?” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “আর্থিং কী? আর্থ তারের বৈশিষ্ট্য কী? আর্থিং -এর প্রয়োজনীয়তা কী?” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের ষষ্ঠ অধ্যায় “চলতড়িৎ“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়।

আর্থিং কী? আর্থ তারের বৈশিষ্ট্য কী?
অথবা, আর্থ করা কী?
আর্থ – নিরাপত্তার প্রয়োজনে তড়িৎবাহী তার, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, হিটার, ইস্ত্রি, রেফ্রিজারেটর প্রভৃতি বিভিন্ন যন্ত্রের তড়িৎ পরিবাহী উন্মুক্ত অংশের সঙ্গে মাটির বৈদ্যুতিক সংযোগ স্থাপন করার ব্যবস্থাকে আর্থ করা বলে।
আর্থ তারের বৈশিষ্ট্য – তারের রোধ কম হওয়া উচিত। কারণ তারের মধ্য দিয়ে নির্দিষ্ট সীমার বেশি তড়িৎপ্রবাহ হলে সার্কিটের ফিউজ তারটি পুড়ে গিয়ে লাইনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
আর্থিং -এর প্রয়োজনীয়তা কী?
অথবা, আর্থিং ব্যবস্থার সুফল কোথায়?
অথবা, গৃহস্থালির ওয়ারিং -এ আর্থিং -এর গুরুত্ব কী?
আর্থিং ব্যবস্থা থাকলে, যদি লাইভ তারটি ধাতব গাত্রের সংস্পর্শে আসে তড়িৎ আর্থ তারের মধ্য দিয়ে যাবে কারণ ধাতব গাত্র পৃথিবীর সঙ্গে শূন্য বিভবে আছে। ফলে কেউ স্পর্শ করলেও শক লাগবে না। তা ছাড়া যদি কোনো কারণে শর্টসার্কিট হয়, তাহলে বেশির ভাগ তড়িৎ পৃথিবীতে চলে গিয়ে যন্ত্রপাতিকে রক্ষা করবে। একই সঙ্গে বেশির ভাগ তড়িৎ ফিউজের মধ্য দিয়ে যাবে। ফলে ফিউজ তার গলে গিয়ে যন্ত্রপাতিকে মেন লাইনের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেবে। ফলে যন্ত্রপাতিগুলি রক্ষা পাবে, তবে সেক্ষেত্রে ফিউজকে লাইভ তারের সঙ্গে যুক্ত থাকতে হবে।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
আর্থিং এর প্রধান উদ্দেশ্য কী?
আর্থিং এর প্রধান উদ্দেশ্য হল –
1. বৈদ্যুতিক শক থেকে মানুষকে রক্ষা করা।
2. শর্ট-সার্কিট বা তড়িৎ প্রবাহের অতিরিক্ত হলে যন্ত্রপাতিকে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচানো।
3. বৈদ্যুতিক সার্কিটে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা।
আর্থিং এর জন্য ব্যবহৃত তারের কী বৈশিষ্ট্য থাকা আবশ্যক?
আর্থিং তারের মূল বৈশিষ্ট্য হলো এর রোধ খুব কম হতে হবে। এর ফলে, যখনই অতিরিক্ত তড়িৎপ্রবাহ (লিকেজ কারেন্ট বা শর্ট-সার্কিট কারেন্ট) হবে, এটি সহজেই সেই প্রবাহ ভূমিতে পাঠিয়ে দিতে পারবে। এই উচ্চ প্রবাহের কারণে সার্কিটের ফিউজটি গলে বা পুড়ে গিয়ে সম্পূর্ণ ব্যবস্থাটিকে মূল লাইন থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়, ফলে নিরাপত্তা আরও সুনিশ্চিত হয়।
আর্থিং না থাকলে কী সমস্যা হতে পারে?
আর্থিং না থাকলে বেশ কয়েকটি ঝুঁকি দেখা দেয় –
1. কোনো যন্ত্রের ভিতরে লাইভ তার ধাতব কাঠামো স্পর্শ করলে (ফল্ট অবস্থায়) সম্পূর্ণ যন্ত্রটিই তড়িতাহত হয়ে উঠতে পারে।
2. কোনো ব্যক্তি সেই তড়িতাহত যন্ত্র স্পর্শ করলে মারাত্মক বৈদ্যুতিক শক লাগতে পারে যা প্রাণঘাতীও হতে পারে।
3. শর্ট-সার্কিট বা ওভারলোড হলে যন্ত্রপাতি পুড়ে নষ্ট হয়ে যেতে পারে বা অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হতে পারে।
আর্থিং এর জন্য সাধারণত কোন রঙের তার ব্যবহার করা হয়?
বাংলাদেশ ও ভারতসহ অনেক দেশের ক্ষেত্রে আর্থিং তার সাধারণত সবুজ বা সবুজ-হলুদ (স্ট্রিপড) রঙের হয়ে থাকে। এটি একটি আন্তর্জাতিক মানও বটে।
ফিউজ এবং আর্থিং কি একই?
না, ফিউজ এবং আর্থিং একই জিনিস নয়, তবে তারা একসাথে কাজ করে নিরাপত্তা বাড়ায়।
1. আর্থিং – অতিরিক্ত তড়িৎপ্রবাহকে ভূমিতে পাঠিয়ে দেয় এবং যন্ত্রের বাইরের কাঠামোকে নিরাপদ ভোল্টেজে রাখে।
2. ফিউজ – এটি একটি সুরক্ষা ডিভাইস যা সার্কিটের সাথে সিরিজে সংযুক্ত থাকে। অতিরিক্ত তড়িৎপ্রবাহ হলে ফিউজের তার গলে যায় এবং পুরো সার্কিটকেই বিদ্যুৎ সরবরাহ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। আর্থিং ব্যবস্থা কার্যকর হওয়ার জন্য ফিউজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “আর্থিং কী? আর্থ তারের বৈশিষ্ট্য কী? আর্থিং -এর প্রয়োজনীয়তা কী?” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “আর্থিং কী? আর্থ তারের বৈশিষ্ট্য কী? আর্থিং -এর প্রয়োজনীয়তা কী?” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের ষষ্ঠ অধ্যায় “চলতড়িৎ“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন