আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ‘তোমার প্রিয় খেলোয়াড়‘ প্রবন্ধ রচনাটি নিয়ে আলোচনা করব। মাধ্যমিক বা স্কুল পরীক্ষায় এই রচনাটি প্রায়ই আসে এবং এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ রচনা। একবার ভালোভাবে আয়ত্ত করলে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি — যেকোনো ক্লাসের পরীক্ষাতেই তোমরা এই রচনার প্রশ্নের উত্তর সহজেই লিখতে পারবে!

তোমার প্রিয় খেলোয়াড়
ভূমিকা – ক্রিকেট নামটিই আমার সমস্ত শরীরে শিহরণ জাগায়। আমার প্রিয় খেলা ক্রিকেট ভারতের জনপ্রিয়তম খেলা। আর ক্রিকেট শব্দটির সঙ্গে যে মানুষটির নাম আজ অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত তিনি হলেন সচিন রমেশ তেন্ডুলকর। তিনিই হলেন আমার প্রিয় খেলোয়াড়। নবপ্রজন্মের ক্রিকেটারদের কাছে তিনি বিস্ময়কর প্রতিভা, ক্রিকেট দুনিয়ার ইতিহাসে তিনি ‘ঋষিযোদ্ধা’।
প্রিয় খেলোয়াড় সচিন রমেশ তেন্ডুলকর – 15 নভেম্বর 1989, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট জগতে তাঁর পথচলা শুরু। সেই থেকে 16 নভেম্বর 2013 পর্যন্ত তাঁর রাজকীয় যাত্রা। আজ তিনি ‘ভারতরত্ন’, কিন্তু ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে তিনি ‘বিশ্বরত্ন’ হয়ে আছেন এবং যতদিন ক্রিকেট আছে ততদিন থাকবেনও। রমাকান্ত আচরেকর তাঁর ক্রিকেটগুরু, তাঁর সান্নিধ্যেই সচিনের জীবনে আসে দিনবদলের পালা। ক্রিকেটের অর্জুন সচিনের জীবনে গুরু আচরেকরই দ্রোণাচার্য। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মাত্র ষোলো বছর বয়সেই তাঁর লক্ষ্যভেদের শুভারম্ভ। মাত্র 18 বছর বয়সে অস্ট্রেলিয়ায় করেন যুগ্ম শতরান। এরপর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তাঁর ব্যাট থেকে পায় 100 শতরান।
সচিনের ক্রিকেট জীবন – সচিন আজ ক্রিকেট ইতিহাসের ‘ঈশ্বর’। মাত্র 23 বছর বয়সে 1996 -এর বিশ্বকাপে ভারতের অধিনায়ক হিসেবে প্রস্তাব করা হয় তাঁর নাম। ক্রিকেট দুনিয়ায় তিনি যথার্থই ‘The Last Hero’। সচিন ক্রিকেট খেলেছেন দেশের জন্য, নিজের জন্য নয়। নিজেকে উৎসর্গ করেছেন দেশের জাতীয় সম্মানের স্বার্থে। মোট 664টি আন্তর্জাতিক খেলায় তাঁর মোট রান 34,257। এর মধ্যে 200টি টেস্টে 15921 রান, টেস্টে সেঞ্চুরির সংখ্যা 51, আর ওয়ান-ডে তে 49। শুধু ব্যাট হাতে নয়, বল হাতেও তিনি দেশের জন্য নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন। সেরা বোলিং 5-32।
উপসংহার – সচিনের জনপ্রিয়তা দেশজোড়া। তার এই জনপ্রিয়তার কারণ শুধু খেলার মাঠে তাঁর সাফল্য নয়। এর সঙ্গে আমরা পাই তাঁর খেলোয়াড়সুলভ মনোভাব, নক্ষত্র হয়েও সহজ-সরল আন্তরিক ব্যবহার, বিতর্কহীন জীবন, রাজনীতিমুক্ত মন আর চব্বিশ বছর ধরে নিজেকে উজাড় করে দেওয়া শুধু খেলার জন্য। খেলার জগতে আরও অনেক তারকাকে আমরা জানি-ধ্যানচাঁদ থেকে শুরু করে কপিলদেব, চুনী গোস্বামী থেকে লিয়েন্ডার পেজ অথবা বিশ্বনাথন আনন্দ, সানিয়া মীর্জা বা সাইনা নেহওয়াল বা মেরি কম তাঁরাও দেশের জন্য নিজেদের উজাড় করে দিয়েছেন। তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেও আমি বলতে পারি আমার প্রিয় খেলোয়াড় শুধু নন, আমার অন্যতম আদর্শ সচিন রমেশ তেন্ডুলকর।
আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ‘তোমার প্রিয় খেলোয়াড়‘ প্রবন্ধ রচনাটি নিয়ে আলোচনা করেছি। মাধ্যমিক বা স্কুল পরীক্ষায় ‘একটি অচল পয়সার আত্মকথা‘ রচনাটি প্রায়ই আসে এবং এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ রচনা। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।





মন্তব্য করুন