এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “এক্সোস্ফিয়ার ও ম্যাগনেটোস্ফিয়ার -এর সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও। এক্সোস্ফিয়ার ও ম্যাগনেটোস্ফিয়ার -এর মধ্যে পার্থক্য লেখো।” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “এক্সোস্ফিয়ার ও ম্যাগনেটোস্ফিয়ার -এর সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও। এক্সোস্ফিয়ার ও ম্যাগনেটোস্ফিয়ার -এর মধ্যে পার্থক্য লেখো।” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের প্রথম অধ্যায় “পরিবেশের জন্য ভাবনা“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়।

এক্সোস্ফিয়ার ও ম্যাগনেটোস্ফিয়ার এর সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।
এক্সোস্ফিয়ার (Exosphere) –
থার্মোস্ফিয়ারের ওপর থেকে অর্থাৎ 500 কিমি থেকে 750 কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত স্তরকে এক্সোস্ফিয়ার বলে। এক্সোস্ফিয়ারে উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে উষ্ণতা বৃদ্ধি পায় (1200°C-1600°C)। এই স্তরটি মূলত অক্সিজেন দ্বারা গঠিত হলেও সামান্য পরিমাণে হিলিয়াম ও হাইড্রোজেন দেখা যায়।
ম্যাগনেটোস্ফিয়ার (Magnetosphere) –
এক্সোস্ফিয়ারের ওপর থেকে বায়ুমণ্ডলের শেষ সীমা (750-16000 কিমি) পর্যন্ত বিস্তৃত স্তরটিকে ম্যাগনেটোস্ফিয়ার বলে। এই স্তরে সমস্ত বায়বীয় উপাদান আয়নিত অবস্থায় থাকে। অধিক উচ্চতায় উপাদানগুলি বলয়াকারে থাকে। এই বলয়গুলিকে ভ্যান অ্যালেন বিকিরণ বলয় বলে।
এক্সোস্ফিয়ার ও ম্যাগনেটোস্ফিয়ার এর মধ্যে পার্থক্য লেখো।
বিষয় | এক্সোস্ফিয়ার (Exosphere) | ম্যাগনেটোস্ফিয়ার (Magnetosphere) |
সংজ্ঞা | পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের সর্বশেষ স্তর। | পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র দ্বারা সৃষ্ট সুরক্ষা আবরণ। |
বিস্তার | 500 কিমি থেকে 750 কিমি পর্যন্ত। | 750 কিমি থেকে 16000 কিমি (বা তারও বেশি) পর্যন্ত। |
উপাদান | হাইড্রোজেন, হিলিয়াম ও অক্সিজেনের অত্যন্ত হালকা অণু। | আয়নিত কণা (প্লাজমা), সৌর বায়ু ও চৌম্বকীয় ক্ষেত্র দ্বারা গঠিত। |
তাপমাত্রা | 1200°C–1600°C (তবে অণুগুলোর ঘনত্ব খুবই কম)। | চৌম্বকীয় শক্তি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, নির্দিষ্ট তাপমাত্রা নেই। |
গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য | উপগ্রহ এই স্তরে কাজ করে। বায়ুমণ্ডল থেকে মহাশূন্যে রূপান্তর স্তর। | সৌর বিকিরণ ও মহাজাগতিক রশ্মি থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করে। ভ্যান অ্যালেন বিকিরণ বলয় রয়েছে। |
দৃশ্যমান ঘটনা | – | অরোরা (মেরুজ্যোতি) সৃষ্টি হয়। |
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
এক্সোস্ফিয়ার কী?
এক্সোস্ফিয়ার হল পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের সর্বশেষ স্তর, যা থার্মোস্ফিয়ারের উপরে 500–750 কিমি উচ্চতা থেকে শুরু হয়ে প্রায় 10,000 কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত। এই স্তরে অত্যন্ত হালকা গ্যাস (হাইড্রোজেন, হিলিয়াম) থাকে এবং বায়ুর অণুগুলো খুবই বিরল।
এক্সোস্ফিয়ারে তাপমাত্রা কত?
এক্সোস্ফিয়ারে উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে তাপমাত্রা বেড়ে 1200°C–1600°C পর্যন্ত হতে পারে, তবে বায়ুর অণুগুলো এতই কম থাকে যে তাপ অনুভূত হয় না।
ম্যাগনেটোস্ফিয়ার কী?
ম্যাগনেটোস্ফিয়ার হল পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র দ্বারা সৃষ্ট একটি অদৃশ্য আচ্ছাদন, যা সৌর বায়ু ও মহাজাগতিক রশ্মি থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করে। এটি এক্সোস্ফিয়ারের উপরে (750 কিমি) থেকে শুরু হয়ে 60,000 কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত।
ভ্যান অ্যালেন বিকিরণ বলয় কী?
ভ্যান অ্যালেন বিকিরণ বলয় হল ম্যাগনেটোস্ফিয়ারে অবস্থিত দুটি বলয়াকার অঞ্চল, যেখানে সৌর কণা ও মহাজাগতিক রশ্মি আটকা পড়ে। এই বলয়গুলি পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় এবং মহাকাশযান ও উপগ্রহের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
ম্যাগনেটোস্ফিয়ার কীভাবে পৃথিবীকে রক্ষা করে?
এটি সৌর বায়ুর উচ্চ-শক্তির কণাগুলিকে পৃথিবীর দিকে আসতে বাধা দেয় এবং এগুলোকে মেরু অঞ্চলে ঘনীভূত করে, যার ফলে অরোরা (মেরুজ্যোতি) সৃষ্টি হয়।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “এক্সোস্ফিয়ার ও ম্যাগনেটোস্ফিয়ার -এর সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও। এক্সোস্ফিয়ার ও ম্যাগনেটোস্ফিয়ার -এর মধ্যে পার্থক্য লেখো।” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “এক্সোস্ফিয়ার ও ম্যাগনেটোস্ফিয়ার -এর সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও। এক্সোস্ফিয়ার ও ম্যাগনেটোস্ফিয়ার -এর মধ্যে পার্থক্য লেখো।” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের প্রথম অধ্যায় “পরিবেশের জন্য ভাবনা” -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন