এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “জীবাশ্ম জ্বালানি কাকে বলে? উদাহরণ দাও। জীবাশ্ম জ্বালানি সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তাগুলি কী কী?” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “জীবাশ্ম জ্বালানি কাকে বলে? উদাহরণ দাও। জীবাশ্ম জ্বালানি সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তাগুলি কী কী?” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের প্রথম অধ্যায় “পরিবেশের জন্য ভাবনা“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়।

জীবাশ্ম জ্বালানি কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
জীবাশ্ম জ্বালালি (Fossil Fuel) – পাললিক শিলার বিভিন্ন স্তরে আবদ্ধ হয়ে থাকা উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহাবশেষ বা প্রস্তরীভূত রূপকে জীবাশ্ম (fossil) বলা হয়। সজীব উদ্ভিদ বা প্রাণীর জীবাশ্মীভবন (fossilization)-এর ফলে উৎপন্ন হয় বলে কয়লা, পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাসকে সাধারণভাবে জীবাশ্ম জ্বালানি ও বলা হয়। যেমন – কয়লা, পেট্রোলিয়াম এবং প্রাকৃতিক গ্যাস।
জীবাশ্ম জ্বালানি সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তাগুলি কী কী?
জীবাশ্ম জ্বালানি সংরক্ষণ করা বিশেষভাবে প্রয়োজন কারণ –
- সভ্যতার বিকাশ ও অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বেড়ে গেছে। এভাবে চললে শীঘ্রই জীবাশ্ম জ্বালানি নিঃশোষিত হয়ে যাবে।
- জীবাশ্ম জ্বালানিগুলি পুনর্নবীকরণ যোগ্য নয়। অর্থাৎ একবার ফুরিয়ে গেলে এগুলি আর তৈরি করা যাবে না। তাই এগুলি সংরক্ষণ করা দরকার যাতে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মও এগুলি ব্যবহার করতে পারে।
- জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমালে এদের দহনে গ্রিন হাউস গ্যাসগুলি কম পরিমাণে উৎপন্ন হবে। ফলে বিশ্ব উষ্ণায়নের মাত্রা কমবে।
- শক্তির উৎস ছাড়া মানব সভ্যতার বিকাশ সম্ভব নয়। তাই শক্তির অভাবে যাতে মানব সভ্যতার অগ্রগতি অদূর ভবিষ্যতে থমকে না যায় তার জন্য জীবাশ্ম জ্বালানি সংরক্ষণ করে রাখা একান্ত প্রয়োজন।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
জীবাশ্ম জ্বালানি কী?
জীবাশ্ম জ্বালানি হলো প্রাচীন উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহাবশেষ থেকে সৃষ্ট প্রাকৃতিক জ্বালানি, যা মাটির নিচে লক্ষাধিক বছর ধরে উচ্চ চাপ ও তাপে রূপান্তরিত হয়েছে।
জীবাশ্ম জ্বালানি কেন অ-নবায়নযোগ্য শক্তি উৎস?
জীবাশ্ম জ্বালানি গঠনে লক্ষাধিক বছর সময় লাগে এবং মানবসৃষ্ট প্রক্রিয়ায় এগুলিকে দ্রুত পুনরুৎপাদন করা সম্ভব নয়। তাই একবার নিঃশেষ হলে প্রকৃতিতে এগুলির পুনঃসৃষ্টি অসম্ভব, তাই এগুলি অ-নবায়নযোগ্য শক্তি।
জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহারে কী কী পরিবেশগত সমস্যা দেখা দেয়?
জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহারে নিম্নলিখিত পরিবেশগত সমস্যাগুলি দেখা দেয় –
1. বায়ুদূষণ – কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO2), সালফার ডাই-অক্সাইড (SO2) নির্গমন।
2. বৈশ্বিক উষ্ণায়ন – গ্রিনহাউস গ্যাস বৃদ্ধির কারণে জলবায়ু পরিবর্তন।
3. অম্ল বৃষ্টি – SO2 ও নাইট্রোজেন অক্সাইডের কারণে বৃষ্টির পানির pH কমে যায়।
জীবাশ্ম জ্বালানি সংরক্ষণ কেন গুরুত্বপূর্ণ?
জীবাশ্ম জ্বালানি সংরক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ কারণ –
1. এগুলি সীমিত সম্পদ, তাই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সংরক্ষণ প্রয়োজন।
2. পরিবেশ দূষণ কমাতে এর ব্যবহার হ্রাস করা দরকার।
3. শক্তির বিকল্প উৎস (সৌর, বায়ুশক্তি) ব্যবহারে উৎসাহিত করতে হবে।
জীবাশ্ম জ্বালানির বিকল্প শক্তি উৎস কী কী?
জীবাশ্ম জ্বালানির বিকল্প শক্তি উৎসের মধ্যে রয়েছে –
1. নবায়নযোগ্য শক্তি – সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি, জলবিদ্যুৎ, জৈবজ্বালানি।
2. নিউক্লিয়ার শক্তি – ইউরেনিয়াম-ভিত্তিক শক্তি (তবে এটি বিতর্কিত)।
জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানোর উপায় কী?
জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানোর উপায়গুলি হল –
1. গণপরিবহন ও ইলেকট্রিক যানবাহন ব্যবহার।
2. শক্তি-সাশ্রয়ী যন্ত্রপাতি ব্যবহার (LED বাল্ব, এনার্জি স্টার রেটিং)।
3. নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “জীবাশ্ম জ্বালানি কাকে বলে? উদাহরণ দাও। জীবাশ্ম জ্বালানি সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তাগুলি কী কী?” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “জীবাশ্ম জ্বালানি কাকে বলে? উদাহরণ দাও। জীবাশ্ম জ্বালানি সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তাগুলি কী কী?” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের প্রথম অধ্যায় “পরিবেশের জন্য ভাবনা” -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।





মন্তব্য করুন