এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “একগাদা খড় বাতাসে পোড়ালে সামান্য ছাইমাত্র অবশিষ্ট থাকে। – এক্ষেত্রে ভরের সংরক্ষণ হয় কি? – ব্যাখ্যা করো।” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “একগাদা খড় বাতাসে পোড়ালে সামান্য ছাইমাত্র অবশিষ্ট থাকে – এক্ষেত্রে ভরের সংরক্ষণ হয় কি? ” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের তৃতীয় অধ্যায় “রাসায়নিক গণনা“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়।

একগাদা খড় বাতাসে পোড়ালে সামান্য ছাইমাত্র অবশিষ্ট থাকে – এক্ষেত্রে ভরের সংরক্ষণ হয় কি? – ব্যাখ্যা করো।
খড় হল একপ্রকার হাইড্রোকার্বন (কার্বন ও হাইড্রোজেনের যৌগ) যা বাতাসে পোড়ালে খড়ের কার্বন ও হাইড্রোজেন বাতাসের অক্সিজেনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে কার্বন ডাইঅক্সাইড (CO2) ও জলীয় বাষ্প উৎপন্ন করে, যা উৎপন্ন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাতাসে মিশে যায়। তাই আপাত দৃষ্টিতে মনে হয় খড়ের গাদা বাতাসে পোড়ালে ভরের হ্রাস হয়। কিন্তু উৎপন্ন CO2 ও জলীয় বাষ্পের ভর যদি মাপা সম্ভব হয় তাহলে দেখা যায়, দহনের পূর্বে খড়ের ভর + দহনে ব্যবহৃত অক্সিজেনের ভর = দহনের পরে (উৎপন্ন CO2 + উৎপন্ন জলীয় বাষ্প অবশিষ্ট ছাইয়ের) মোট ভর।
অতএব এক্ষেত্রে ভরের সংরক্ষণ সূত্র লঙ্ঘিত হয় না।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
খড় পোড়ালে ভরের সংরক্ষণ হয় কীভাবে?
খড় পোড়ানোর সময় কার্বন ও হাইড্রোজেন অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে CO2 ও জলীয় বাষ্প (H2O) উৎপন্ন করে, যা বাতাসে মিশে যায়। ফলে শুধু ছাই অবশিষ্ট থাকে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে, খড়ের ভর + ব্যবহৃত অক্সিজেনের ভর = CO2 + H2O + ছাইয়ের ভর অর্থাৎ, মোট ভর অপরিবর্তিত থাকে।
ম্যাগনেসিয়াম ফিতা পোড়ালে ভর বেড়ে যায় কেন?
ম্যাগনেসিয়াম (Mg) অক্সিজেনের (O₂) সাথে বিক্রিয়া করে ম্যাগনেসিয়াম অক্সাইড (MgO) তৈরি করে। 2Mg + O2 → 2MgO এখানে, MgO -এর ভর Mg -এর ভরের চেয়ে বেশি হয় কারণ এতে অক্সিজেনের ভর যুক্ত হয়। তবে ম্যাগনেসিয়াম + অক্সিজেন = ম্যাগনেসিয়াম অক্সাইড—মোট ভর সংরক্ষিত হয়।
ভরের সংরক্ষণ সূত্র কী?
“রাসায়নিক বিক্রিয়ায় ভর সৃষ্টি বা ধ্বংস হয় না, শুধু রূপান্তরিত হয়।” অর্থাৎ, বিক্রিয়ার আগের মোট ভর = বিক্রিয়ার পরের মোট ভর।
ছাইয়ের ভর কম দেখালেও ভরের সংরক্ষণ হয় কীভাবে?
খড় বা কাঠ পোড়ালে CO2 ও H2O গ্যাসীয় অবস্থায় বাতাসে মিশে যায়, তাই শুধু কঠিন ছাই দেখা যায়। কিন্তু সমস্ত উৎপাদ (গ্যাস + ছাই) মাপলে ভর অপরিবর্তিত থাকে।
ভরের সংরক্ষণ সূত্রের ব্যতিক্রম আছে কি?
না, নিউক্লিয়ার বিক্রিয়া ছাড়া সাধারণ রাসায়নিক বিক্রিয়ায় ভরের সংরক্ষণ সূত্র সর্বদা প্রযোজ্য। নিউক্লিয়ার বিক্রিয়ায় ভর শক্তিতে রূপান্তরিত হয় (E = mc2)।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “একগাদা খড় বাতাসে পোড়ালে সামান্য ছাইমাত্র অবশিষ্ট থাকে – এক্ষেত্রে ভরের সংরক্ষণ হয় কি? – ব্যাখ্যা করো।” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “একগাদা খড় বাতাসে পোড়ালে সামান্য ছাইমাত্র অবশিষ্ট থাকে – এক্ষেত্রে ভরের সংরক্ষণ হয় কি? – ব্যাখ্যা করো।” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের তৃতীয় অধ্যায় “রাসায়নিক গণনা“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন