এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “কুলম্বের সূত্র এবং সূত্রের গাণিতিক রূপটি লেখো। কুলম্বের সূত্রটি সর্বজনীন নয় কেন?” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “কুলম্বের সূত্র এবং সূত্রের গাণিতিক রূপটি লেখো। কুলম্বের সূত্রটি সর্বজনীন নয় কেন?” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের ষষ্ঠ অধ্যায় “চলতড়িৎ“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়।

কুলম্বের সূত্র এবং সূত্রের গাণিতিক রূপটি লেখো।
কুলম্বের সূত্র – দুটি স্থির বিন্দু আধানের মধ্যে কার্যকর আকর্ষণ বা বিকর্ষণ বল আধানদ্বয়ের পরিমাণের গুণফলের সমানুপাতিক এবং তাদের মধ্যবর্তী দূরত্বের বর্গের ব্যস্তানুপাতিক।
কুলম্বের সূত্রের গাণিতিক রূপ –
ধরা যাক, দুটি আধান \(q_1\) ও \(q_2\) পরস্পর থেকে \(r\) দূরত্বে অবস্থিত। এদের মধ্যে কার্যকর বলের মান \(F\) হলে, কুলম্বের সূত্রানুযায়ী, \(F\propto q_1q_2\) এবং \(F\propto\frac1{r^2}\)
∴ \(F\propto\frac{q_1q_2}{r^2}\)
বা, \(F=k\cdot\frac{q_1q_2}{r^2}\) (\(k\) একটি ধ্রুবক)
কুলম্বের সূত্রটি সর্বজনীন নয় কেন?
তড়িৎ আকর্ষণ বা বিকর্ষণ সংক্রান্ত কুলম্বের সূত্রটি হল \(F=\frac{q_1q_2}{kr^2}\) এই বল আধান দুটির ভিতর উপস্থিত মাধ্যমের প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল। এ ছাড়া ব্যবহৃত একক পদ্ধতির ওপরও বলের পরিমাণ নির্ভর করে। তাই এই সূত্রটি সর্বজনীন নয়।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
কুলম্বের সূত্রটি কী?
কুলম্বের সূত্র অনুসারে, দুটি স্থির বিন্দু আধানের মধ্যকার আকর্ষণ বা বিকর্ষণ বলের মান আধান দুটির পরিমাণের গুণফলের সমানুপাতিক এবং তাদের মধ্যবর্তী দূরত্বের বর্গের ব্যস্তানুপাতিক।
কুলম্বের ধ্রুবক (k) কী?
কুলম্বের সূত্রের সমানুপাতিক ধ্রুবককে কুলম্বের ধ্রুবক (k) বলে। শূন্য মাধ্যম বা বায়ুশূন্য স্থানের জন্য এর মান সর্বোচ্চ। কোনো মাধ্যমের জন্য k -এর মান k = 1/(4πε) দ্বারা প্রকাশ করা হয়, যেখানে ε হল সেই মাধ্যমের তড়িৎভেদ্যতা।
কুলম্বের সূত্রটি কী শুধু বায়ু বা শূন্য মাধ্যমের জন্য প্রযোজ্য?
না, কুলম্বের সূত্র যেকোনো মাধ্যমের জন্য প্রযোজ্য। কিন্তু যেকোনো মাধ্যমের জন্য সূত্রে k ধ্রুবকের মান সেই মাধ্যমের তড়িৎভেদ্যতার সাথে সামঞ্জস্য রেখে নির্ধারণ করতে হয়। বায়ু বা শূন্য মাধ্যমের জন্য k -এর মানকে প্রমাণ ধরা হয়।
আধান দুটির মাঝের দূরত্ব দ্বিগুণ করলে তাদের মধ্যকার বলের কী পরিবর্তন হবে?
কুলম্বের সূত্রানুযায়ী, বল দূরত্বের বর্গের ব্যস্তানুপাতিক (F ∝ 1/r²)। তাই দূরত্ব দ্বিগুণ (2r) করলে বল হবে আগের বলের এক-চতুর্থাংশ (F/4)।
একটি আধানের পরিমাণ দ্বিগুণ করলে বলের কী পরিবর্তন হবে?
বল আধানদ্বয়ের গুণফলের সমানুপাতিক (F ∝ q₁q₂)। তাই যদি q₁ -কে দ্বিগুণ (2q₁) করা হয়, তবে বলও হবে দ্বিগুণ (2F)। যদি উভয় আধানই দ্বিগুণ করা হয়, তবে বল হবে চার গুণ (4F)।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “কুলম্বের সূত্র এবং সূত্রের গাণিতিক রূপটি লেখো। কুলম্বের সূত্রটি সর্বজনীন নয় কেন?” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “কুলম্বের সূত্র এবং সূত্রের গাণিতিক রূপটি লেখো। কুলম্বের সূত্রটি সর্বজনীন নয় কেন?” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের ষষ্ঠ অধ্যায় “চলতড়িৎ“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন