মাধ্যমিক ভূগোল – বায়ুমণ্ডল – আর্দ্রতা ও অধঃক্ষেপণ – ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন ও উত্তর

Souvick

আমরা আমাদের আর্টিকেলে মাধ্যমিক (দশম শ্রেণী) ভূগোলের দ্বিতীয় অধ্যায় “বায়ুমণ্ডল” -এর “আর্দ্রতা ও অধঃক্ষেপণ” বিভাগের কিছু গুরুত্বপূর্ণ “ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন ও উত্তর” নিয়ে আলোচনা করবো। এই প্রশ্নগুলো মাধ্যমিক (দশম শ্রেণী) ভূগোল পরীক্ষার জন্য ও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

মাধ্যমিক ভূগোল - বায়ুমণ্ডল - আর্দ্রতা ও অধঃক্ষেপণ - ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন ও উত্তর
Contents Show

নিরপেক্ষ বা চরম বা বিশুদ্ধ আর্দ্রতা এবং আপেক্ষিক আর্দ্রতা বা সাপেক্ষ আর্দ্রতা কাকে বলে?

নিরপেক্ষ আর্দ্রতা – একটি নির্দিষ্ট উষ্ণতায় নির্দিষ্ট আয়তনের বায়ুতে জলীয়-বাষ্পের মোট পরিমাণকে বলা হয় নিরপেক্ষ বা চরম বা বিশুদ্ধ আর্দ্রতা।

আপেক্ষিক আর্দ্রতা – কোনো নির্দিষ্ট উষ্ণতায় নির্দিষ্ট আয়তনের বায়ুতে প্রকৃত জলীয়বাষ্পের পরিমাণ এবং ওই একই উষ্ণতায় ওই একই আয়তনের বায়ুর সর্বোচ্চ জলীয়বাষ্প গ্রহণ করার ক্ষমতা-এই দুয়ের অনুপাতকেই বলা হয় আপেক্ষিক বা সাপেক্ষ আর্দ্রতা। আপেক্ষিক আর্দ্রতা শতকরা (%) হিসেবে প্রকাশ করা হয়। সুতরাং –

আপেক্ষিক আর্দ্রতা = {নির্দিষ্ট উষ্ণতায় নির্দিষ্ট পরিমাণ বায়ুতে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ (চরম আর্দ্রতা) ÷ ওই পরিমাণ উষ্ণতায় বায়ুকে পরিপৃক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় জলীয়বাষ্পের পরিমাণ} × 100

ঘূর্ণবাতজনিত বৃষ্টিপাত কীভাবে হয়?

প্রবল নিম্নচাপযুক্ত কেন্দ্রের আকর্ষণে জলীয়বাষ্পপূর্ণ বায়ু নিম্নচাপযুক্ত কেন্দ্রে এসে ঊর্ধ্বগামী হয়ে ক্রমশ শীতল ও ঘনীভূত হয়ে যে বৃষ্টিপাত ঘটায়, তাকে ঘূর্ণবাতজনিত বৃষ্টিপাত বলা হয়।

পদ্ধতি –

  • ক্রান্তীয় অঞ্চলে প্রবল নিম্নচাপের সৃষ্টি হলে উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে শীতল ও ভারী বাতাস নিম্নচাপযুক্ত কেন্দ্রের দিকে ছুটে আসে এবং কুণ্ডলী পাকিয়ে প্রবল বেগে ওপরে উঠে শীতল ও ঘনীভূত হয়ে এই বৃষ্টিপাত ঘটায়।
  • নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে শীতল ও উষ্ণ বায়ু পরস্পরের অভিমুখে প্রবাহিত হলে হালকা উষ্ণ বায়ু শীতল বায়ুর ওপর উঠে যায়। ফলে উষ্ণ বায়ুতে থাকা জলীয়বাষ্প শীতল ও ঘনীভূত হয়ে উষ্ণ ও শীতল বায়ুর সীমান্ত অঞ্চলে এই ধরনের বৃষ্টিপাত ঘটায়।

উদাহরণ – সমুদ্র-সংলগ্ন ক্রান্তীয় অঞ্চলে, উষ্ণ নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে এই প্রকার বৃষ্টিপাত ঘটে।

মেঘ কীভাবে সৃষ্টি হয়?

বায়ুমণ্ডলে ভাসমান ধূলিকণাকে আশ্রয় করে জলীয়বাষ্পপূর্ণ বায়ু পরিপৃত্ত হলে মেঘ সৃষ্টি হয়, কারণ – যে-কোনো বায়ুরই জলীয়বাষ্প ধারণ করার একটি নির্দিষ্ট ক্ষমতা আছে। উষ্ণ বায়ু অধিক জলীয়বাষ্প ধারণ করে এবং উষ্ণতা হ্রাসের সঙ্গে সঙ্গে বায়ুর জলীয়বাষ্প ধারণ করার ক্ষমতাও কমে যায়। অর্থাৎ নির্দিষ্ট উষ্ণতায় বায়ু নির্দিষ্ট পরিমাণ জলীয়বাষ্প ধারণ করতে পারে। যখন কোনো জায়গার বায়ুতে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ ওই নির্দিষ্ট পরিমাপের সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছোয়, তখন তাকে বায়ুর পরিপৃক্ত অবস্থা বলা হয়। পরিপৃক্ত বায়ুর উষ্ণতা শিশিরাঙ্কের নীচে নেমে গেলে অতিরিক্ত জলীয়বাষ্প ঘনীভূত হয় এবং বায়ুতে ভাসমান ধূলিকণা, লবণের কণা প্রভৃতিকে আশ্রয় করে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জলকণা ও তুষারকণায় পরিণত হয়ে মেঘ হিসেবে ভেসে বেড়ায়।

মেঘ সৃষ্টির প্রক্রিয়া

নিরক্ষীয় অঞ্চলে পরিচলন বৃষ্টি হয় কেন?

ভূপৃষ্ঠ অত্যধিক উষ্ণ হলে পরিচলন পদ্ধতিতে জলীয়বাষ্পপূর্ণ বায়ু প্রবল বেগে ওপরে উঠে শীতল বায়ুর সংস্পর্শে এসে শীতল ও ঘনীভূত হয়ে যে বৃষ্টিপাত ঘটায়, তাকে পরিচলন বৃষ্টিপাত বলা হয়।

নিরক্ষীয় অঞ্চলে জলভাগ বেশি বলে বায়ুতে জলীয়বাষ্পও বেশি থাকে। জলীয়বাষ্পপূর্ণ বায়ু সাধারণ বায়ু অপেক্ষা উষ্ণ ও হালকা। তাই দিনের বেলা জলভাগ থেকে সূর্যতাপে উৎপন্ন জলীয়বাষ্পপূর্ণ বায়ু সোজা ওপরে উঠে শীতল হয়। এ ছাড়া, ওপরে বায়ুর চাপ কম বলে ওই আর্দ্র বায়ু দ্রুত প্রসারিত হয়ে শীতল ও ঘনীভূত হয়ে প্রথমে মেঘ ও পরে জলকণায় পরিণত হয় এবং মাধ্যাকর্ষণ শক্তির টানে বৃষ্টিরূপে ওই স্থানেই নেমে আসে। এ কারণেই নিরক্ষীয় অঞ্চলে প্রায় প্রতিদিন বিকেলে পরিচলন বৃষ্টিপাত হয়।

পৃথিবীর নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চল কোথায় কোথায় রয়েছে?

নিরক্ষরেখার উভয় দিকে 5°-10° অক্ষাংশের মধ্যে এই জলবায়ু দেখা যায়। নিরক্ষীয় জলবায়ুর অন্তর্গত স্থানগুলি হল –

  • এশিয়া – ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব শ্রীলঙ্কা, ফিলিপিনস্।
  • আফ্রিকা – কঙ্গো অববাহিকা, গ্যাবোন, গিনি উপকূল, ক্যামেরুন, নাইজিরিয়া প্রভৃতি।
  • দক্ষিণ আমেরিকা – আমাজন অববাহিকা, বলিভিয়া, পেরু, ইকুয়েডর, কলম্বিয়া, ভেনেজুয়েলা ও অন্যান্য।
  • মধ্য আমেরিকা – হন্ডুরাস, নিকারাগুয়া, পানামা, কোস্টারিকা প্রভৃতি।
নিরক্ষীয় ও মৌসুমি জলবায়ু অঞ্চলের অবস্থান

নিরক্ষীয় জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য লেখো।

নিরক্ষীয় জলবায়ুর বৈশিষ্ট্যগুলি হল –

  • সারাবছর দিনের বেলা প্রায় একই রকম উষ্ণতা থাকে। উষ্ণতার প্রসর খুব কম। এখানে ঋতুপরিবর্তন হয় না।
  • বার্ষিক গড় উষ্ণতা প্রায় 27°C। বার্ষিক উষ্ণতার পার্থক্য 2°C-3°C।
  • দিন ও রাতের মধ্যে উষ্ণতার পার্থক্য খুব বেশি।
  • বিকেলের দিকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকে।
  • প্রতিদিন বিকালের দিকে 4 টে নাগাদ পরিচলন বৃষ্টিপাত হয়। একে 4 O’clock Rain বলে।
  • এখানে বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ প্রায় 250 সেমি।
  • এখানে তেমন কোনো ঝড় হয় না। কারণ এখানেই রয়েছে শান্তবলয়।

পৃথিবীর কোথায় কোথায় মৌসুমি জলবায়ু অঞ্চল দেখা যায়?

অক্ষাংশগতভাবে মৌসুমি জলবায়ু নিরক্ষরেখার উভয়দিকে 10°-25° উত্তর ও দক্ষিপ অক্ষাংশের মধ্যে বিস্তৃত। এই জলবায়ুর অন্তর্গত স্থানগুলি হল –

  • এশিয়া – ভারত, বাংলাদেশ, মায়ানমার, পাকিস্তান, কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড, লাওস, ভিয়েতনাম প্রভৃতি দেশে।
  • আফ্রিকা – মোজাম্বিক, ইথিওপিয়া, সোমালিয়া, লাইবেরিয়া, মাদাগাস্কারের পশ্চিমাংশ।
  • অস্ট্রেলিয়া – অস্ট্রেলিয়ার উত্তরাংশ।
  • উত্তর আমেরিকা – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিপ-পূর্বে।

মৌসুমি জলবায়ু অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য লেখো।

মৌসুমি জলবায়ু অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য –

  • এই জলবায়ুতে চারটি ঋতু, যথা – গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ এবং শীত স্পষ্টভাবে বোঝা যায়।
  • গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা সবচেয়ে বেশি হয়। গড়ে 27°C-32°C।
  • বার্ষিক উষ্ণতার প্রসর প্রায় 2°C-11°C।
  • মৌসুমি বায়ু অনিয়মিত এবং অনিশ্চিত। এর ফলে খরা বা বন্যার সৃষ্টি হয়। এজন্য এই বায়ুকে খামখেয়ালি বায়ু বলে।
  • এই জলবায়ুর সর্বত্র বৃষ্টিপাত সমান নয়। কোথাও খুব বেশি, কোথাও কম। বৃষ্টিপাত প্রধানত গ্রীষ্মকালে হয়। বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ 150-200 সেমি।
  • শীতকালে বৃষ্টি হয় না। শীতের তীব্রতা কম থাকে, দু-একটি স্থানে ঘূর্ণবাতজনিত বৃষ্টি হয়।

পৃথিবীর কোথায় কোথায় উষ্ণ মরু জলবায়ু দেখা যায়?

অক্ষাংশগতভাবে উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধের 15°-35° -র মধ্যে উষ্ণ মরু জলবায়ু দেখা যায়। এই জলবায়ু পৃথিবীর যেসব অঞ্চলে দেখা যায় সেগুলি হল –

  • আফ্রিকা – সাহারা, কালাহারি, নামিব মরুভূমি।
  • এশিয়া – সৌদি আরব, লেবানন, সিরিয়া, ইরান, ভারত ও পাকিস্তানের থর মরুভূমি।
  • ওশিয়ানিয়া – অস্ট্রেলিয়ার মরুভূমি।
  • উত্তর আমেরিকা – অ্যারিজোনা মরুভূমি।
  • দক্ষিণ আমেরিকা – আটাকামা মরুভূমি।
উষ্ণ মরু ও ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চলের অবস্থান

উষ্ণ মরু জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য লেখো।

উষ্ণ মরু জলবায়ুর বৈশিষ্ট্যগুলি হল –

  • গ্রীষ্মে তাপমাত্রা 40°C-45°C পর্যন্ত উঠে যায়।
  • শীতকালে তাপমাত্রা হয় 15°C-21°C।
  • দিন ও রাতের মধ্যে তাপমাত্রার প্রভেদ খুব বেশি।
  • মরুভূমিতে বৃষ্টিপাত খুব কম হয়। বছরে বৃষ্টিপাত হয় 25 সেমির কম।
  • এমন সব মরু অঞ্চল রয়েছে যেখানে দু-চার বছরে একবারও বৃষ্টিপাত হয় না।

ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ুর বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো।

ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ুর বৈশিষ্ট্যগুলি হল –

  • সারাবছর মাঝারি উষ্ণতা এখানকার বৈশিষ্ট্য। গ্রীষ্মকালে এখানে 20°C-27°C তাপমাত্রা থাকে।
  • শীতকালে ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চলে উষ্ণতা 5°C-10°C থাকে।
  • এখানে বার্ষিক উষ্ণতার প্রসর হয় 15°C থেকে 17°C।
  • গ্রীষ্মকাল এখানে শুষ্ক এবং আকাশ পরিষ্কার থাকে।
  • শীতকালে আর্দ্র পশ্চিমা বায়ুর প্রভাবে এখানে ঘূর্ণবাতজনিত বৃষ্টিপাত হয়। বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ 35 সেমি থেকে 65 সেমি।

পৃথিবীর কোথায় কোথায় ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু দেখা যায়?

ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু দুটি গোলার্ধের 30°-40° অক্ষাংশের মধ্যে রয়েছে। এর অন্তর্গত স্থানগুলি হল –

  • ইউরোপ – পোর্তুগাল, স্পেন, ইটালি, গ্রিস প্রভৃতি।
  • এশিয়া – পশ্চিম তুরস্ক, লেবানন, ইজরায়েল, সিরিয়া।
  • আফ্রিকা – মিশর, লিবিয়া, মরক্কো, উত্তর আলজিরিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ উপকূল।
  • উত্তর আমেরিকা – দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়া।
  • দক্ষিণ আমেরিকা – মধ্য চিলি।
  • ওশিয়ানিয়া – অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ ও দক্ষিগ-পশ্চিম উপকূল, নিউজিল্যান্ডের উত্তর দ্বীপ।

পৃথিবীর কোথায় কোথায় তুন্দ্রা জলবায়ু দেখা যায়? এই জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য লেখো।

উত্তর গোলার্ধে 65°-80° এবং দক্ষিণ গোলার্ধে 60°-75° অক্ষাংশের মধ্যে এরকম জলবায়ু দেখা যায়। সুমেরু মহাসাগরের তীরবর্তী কানাডা, গ্রিনল্যান্ড, ইউরোপ এবং রাশিয়ার কিছু অংশে এই জলবায়ু দেখা যায়।

তুন্দ্রা জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য –

  • এখানে বছরে প্রায় 8-9 মাস তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নীচে থাকে।
  • গ্রীষ্মকালে সর্বাধিক তাপমাত্রা হয় প্রায় 10°C।
  • অত্যধিক শীতলতার কারণে এখানে বৃষ্টিপাতের বদলে তুষারপাত হয়ে থাকে।

স্তেপ জলবায়ুর অবস্থান ও জলবায়ুগত বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো।

স্তেপ জলবায়ুর অবস্থান –

  • অক্ষাংশগত – উভয় গোলার্ধে 30°-50° অক্ষাংশের মধ্যে এই জলবায়ু দেখা যায়।
  • স্থানগত –
    • উত্তর আমেরিকার প্রেইরি,
    • দক্ষিণ আমেরিকার পম্পাস,
    • ইউরেশিয়ার স্তেপ,
    • দক্ষিণ আফ্রিকার ভেল্ড,
    • অস্ট্রেলিয়ার ডাউনস অঞ্চল।

স্তেপ জলবায়ুগত বৈশিষ্ট্য –

  • গ্রীষ্মকালীন গড় উষ্ণতা 16°C-20°C,
  • শীতকালীন গড় উষ্ণতা 5°C-8°C,
  • শীত ও গ্রীষ্মের মধ্যে উষ্ণতার পার্থক্য খুব বেশি,
  • উষ্ণ, আর্দ্র, গ্রীষ্মকাল ও শুষ্ক শীতকাল,
  • বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ 25-75 সেমি। সেজন্যই এখানে তৃণভূমি গড়ে উঠেছে,
  • শীতকালে মাঝে মাঝে তুষারপাত হয়। দক্ষিণ গোলার্ধের তৃণভূমি অঞ্চলগুলিতে সামুদ্রিক প্রভাবের জন্য আবহাওয়ার চরমভাব কম থাকে।
তুন্দ্রা ও স্তেপ জলবায়ু অঞ্চলের অবস্থান

পশ্চিম উপকূলীয় সামুদ্রিক জলবায়ুর অবস্থান ও বৈশিষ্ট্য লেখো।

পশ্চিম উপকূলীয় সামুদ্রিক জলবায়ুর অবস্থান –

  • অক্ষাংশগত – উভয় গোলার্ধে 40°-65° অক্ষাংশের মধ্যে এই জলবায়ু দেখা যায়।
  • স্থানগত –
    • ইউরোপের উত্তর-পশ্চিমাংশ, পশ্চিম নরওয়ে, ডেনমার্ক,
    • আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের কিছু অংশ প্রভৃতি স্থানে।

পশ্চিম উপকূলীয় সামুদ্রিক জলবায়ুগত বৈশিষ্ট্য –

  • গ্রীষ্মকালীন গড় উষ্ণতা 16°C,
  • শীতকালীন গড় উষ্ণতা 4°C,
  • জলবায়ু সমভাবাপন্ন,
  • মূলত পশ্চিমা বায়ুর প্রভাবে সারাবছর বৃষ্টিপাত হলেও বার্ষিক বৃষ্টিপাত 75-100 সেমি,
  • শীতকালে মাঝে মাঝে তুষারপাত হয়।
চীনদেশীয় ও পশ্চিম উপকূলীয় সামুদ্রিক জলবায়ুর অবস্থান

চিনদেশীয় জলবায়ুর অবস্থান ও বৈশিষ্ট্য লেখো।

চিনদেশীয় জলবায়ুর অবস্থান

  • অক্ষাংশগত – উভয় গোলার্ধে 20°-40° অক্ষাংশের মধ্যে এই জলবায়ু দেখা যায়।
  • স্থানগত –
    • দক্ষিণ-পূর্ব ও দক্ষিণ চিন,
    • অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব উপকূলে,
    • আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পূর্বভাগে।

চিনদেশীয় জলবায়ুগত বৈশিষ্ট্য –

  • উষ্ণ এবং আর্দ্র গ্রীষ্মকাল এবং মৃদু শীতল শীতকাল,
  • গ্রীষ্মকালীন গড় উষ্ণতা 24°C-26°C,
  • শীতকালীন গড় উষ্ণতা 6.6°C-10°C,
  • সামুদ্রিক বায়ুর প্রভাবে গ্রীষ্মকালে বৃষ্টিপাত হয়,
  • বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ 100-150 সেমি।

পৃথিবীর কোথায় কোথায় মহাদেশীয় জলবায়ু দেখা যায়?

মহাদেশীয় জলবায়ুর অবস্থান –

  • অক্ষাংশগত – উত্তর গোলার্ধে 30°-65° অক্ষাংশের মধ্যে এই জলবায়ু দেখা যায়।
  • স্থানগত –
    • উত্তর আমেরিকার হ্রদ অঞ্চল,
    • ইউরোপের মধ্যভাগ, রাশিয়া, ইউক্রেন,
    • মাঞ্চুরিয়া, শাখালিন দ্বীপপুঞ্জে।

মহাদেশীয় জলবায়ুগত বৈশিষ্ট্য –

  • গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা যথেষ্ট বেশি 20°C-25°C,
  • শীতকালীন সর্বোচ্চ উষ্ণতা 2°C-5°C,
  • শীতে বেশিরভাগ দিন তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নীচে থাকে,
  • শীতকালে তুষারপাত হয়,
  • বছরে 60-80 দিন ব্যাপক তুষারপাত ঘটে,
  • বার্ষিক বৃষ্টিপাত 50-100 সেমি,
  • শীত এবং গ্রীষ্মে তাপমাত্রায় ব্যাপক পার্থক্য দেখা যায়।

আর্দ্র নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ু পৃথিবীর কোথায় কোথায় দেখা যায়?

আর্দ্র নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ুর অবস্থান –

  • অক্ষাংশগত – উভয় গোলার্ধের 55°-65° অক্ষাংশের মধ্যে এই জলবায়ু দেখা যায়।
  • স্থানগত –
    • ইউরেশিয়া মহাদেশের উত্তরে তুন্দ্রার দক্ষিণ দিকে,
    • উত্তর আমেরিকার তুন্দ্রা অঞ্চলের দক্ষিণ দিকে।

আর্দ্র নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ুগত বৈশিষ্ট্য –

  • গ্রীষ্মকাল মাত্র 3 মাস স্থায়ী। এই সময় এখানে গড়ে 10°C উষ্ণতা থাকে,
  • শীতকালে বেশিরভাগ দিন তাপমাত্রা থাকে হিমাঙ্কের নীচে,
  • বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ 20-25 সেমি,
  • বেশিরভাগ বৃষ্টিপাত গ্রীষ্মকালেই হয়,
  • শীতে ভূপৃষ্ঠ তুষারে ঢেকে যায়।
  • শীত এবং গ্রীষ্মে উষ্ণতার প্রসর খুব বেশি। অর্থাৎ জলবায়ু চরমভাবাপন্ন।

জলচক্র কাকে বলে? কীভাবে জলচক্রে জল আবর্তিত হয়?

জলচক্রের ধারণা – পৃথিবীর জলরাশি তরল, গ্যাসীয় ও কঠিন অবস্থায় সাগর-মহাসাগর, বায়ুমণ্ডল এবং ভূপৃষ্ঠে অবস্থান করছে এবং একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় আবর্তিত হয়ে চলেছে। পৃথিবীর জলরাশির এই চক্রাকার আবর্তনকেই জলচক্র বলে। অর্থাৎ যে প্রক্রিয়ায় জলরাশি ভৌত অবস্থার পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে বারিমণ্ডল থেকে বায়ুমণ্ডলে যায় এবং বায়ুমণ্ডল থেকে পুনরায় শিলামণ্ডল ও বারিমণ্ডলে ফিরে আসে এবং পৃথিবীতে জলের ভারসাম্য বজায় থাকে, তাকে জলচক্র বলে।

জলচক্রে জলের আবর্তন –

  • বাষ্পীভবন – সমুদ্র হল মুক্ত জলের প্রধান ভান্ডার। এ ছাড়া নদী, খাল, বিল, জলাশয় থেকে জল সূর্যের তাপে বাষ্পীভূত হয়। এ ছাড়া মাটি, গাছপালা এবং অভ্যন্তরীণ জলকণা থেকেও জল বাষ্পীভূত হয়।
  • ঘনীভবন – বাষ্পীভূত জলকণা ধূলিকণাকে আশ্রয় করে প্রথমে মেঘ এবং পরে ওই মেঘ লীনতাপ ত্যাগ করে জলকণায় পরিণত হয়।
  • অধঃক্ষেপণ – ওই সব জলকণা ভারী হয়ে বৃষ্টিপাত বা তুষাররূপে ভূপৃষ্ঠে অধঃক্ষিপ্ত হয়। যে পরিমাণ জলকণা বাষ্পীভূত হয় ওই একই পরিমাণ জলকণা বৃষ্টি বা অধঃক্ষেপণ রূপে ঝরে পড়ে। এইজল নদীপ্রবাহ হিসেবে ভূপৃষ্ঠ থেকে সমুদ্রে চলে যায়। আর কিছু পরিমাণ জল ভূগর্ভের মধ্যে দিয়ে সমুদ্রে পৌঁছায়। সমুদ্র থেকে আবার ওই জল বাষ্পীভূত হয়। 

এভাবেই জলচক্রে জলের আবর্তন ঘটে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় জলচক্রের ভূমিকা অপরিসীম।

জলচক্র

ধোঁয়াশা কাকে বলে এবং কীভাবে সৃষ্টি হয়?

কুয়াশা (fog) এবং ধোঁয়া (smoke) মিশে তৈরি হয় ধোঁয়াশা (smog)। মূলত বড়ো শহরগুলিতে বায়ুতে প্রচুর ধোঁয়া, কার্বনকণা এবং নানাবিধ পদার্থ থাকে। ওই সব পদার্থগুলি জলাকষী পদার্থ হিসেবে কাজ করে। ভোরবেলায় কুয়াশা এইসব দূষিত ও কার্বন আশ্রিত ধোঁয়াকে আশ্রয় করে আরও গভীর ও ঘন হয়ে ওঠে। এই ধোঁয়াশার মধ্যে যেহেতু শিল্পকারখানার দূষিত পদার্থ মিশে থাকে তাই এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুব ক্ষতিকর।

চিনের সাংহাই, বেজিং এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশের শিল্পশহরে ধোঁয়াশার প্রকোপ খুব বেশি। বায়ুদূষণযুক্ত নগরে ধোঁয়াশার প্রকোপ বেশি হয়।

বৃষ্টিপাত পরিমাপ কীভাবে করা হয়?

বৃষ্টিপাত যে যন্ত্রের সাহায্যে পরিমাপ করা হয় তার নাম বৃষ্টিমাপক যন্ত্র বা রেনগজ। এই যন্ত্রটিতে 5 ইঞ্চি ব্যাসযুক্ত একটি বোতল থাকে। এই বোতলের মধ্যে একটি 5 ইঞ্চি ব্যাসের কুপি বা ফানেল এমনভাবে বসানো থাকে, যাতে কুপির মধ্যে পড়া বৃষ্টির জল একটুও নষ্ট না হয়ে ভিতরের বোতলে গিয়ে জমা হয়। বাইরের জলের ছিটে যাতে ভিতরে না পড়ে, তাই যন্ত্রটি ভূমি থেকে প্রায় 1 ফুট ওপরে রাখা হয়। 24 ঘণ্টা বা নির্দিষ্ট সময় পরে বোতলে যে পরিমাণ বৃষ্টির জল জমে, তা একটি নির্দিষ্ট দাগযুক্ত পরিমাপক চোঙ -এর মধ্যে ঢেলে বৃষ্টিপাত পরিমাপ করা হয়।

বৃষ্টিমাপক যন্ত্র

কুয়াশা এবং শিশির অধঃক্ষেপণ নয় কেন?

অধঃক্ষেপণে জলীয়বাষ্পপূর্ণ ঊর্ধ্বগামী বায়ু অতিরিক্ত শীতলতার কারণে ঘনীভূত হয়ে জলকণা বা তুষারকণায় পরিণত হয়ে ভারী হলে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির টানে জল বা তুষার বিন্দুরূপে ভূপৃষ্ঠে নেমে আসে।

1. শিশির কোনোপ্রকার ঊর্ধ্বগামী বায়ু থেকে সৃষ্টি হয় না। সারা রাত ভূপৃষ্ঠ তাপ বিকিরণ করে ঠান্ডা হলে বাতাসের জলীয়বাষ্প ঘনীভূত হয়ে ঘাসের ওপর, গাছের পাতায় জলবিন্দুর আকারে জমা হয়। তাই এটিও অধঃক্ষেপণ নয়।

শিশির

2. শীতকালের রাতে ভূপৃষ্ঠ তাপ বিকিরণ করে ঠান্ডা হলে ভূপৃষ্ঠ-সংলগ্ন বায়ুও ঠান্ডা হয়, তখন ওই বায়ুর তাপমাত্রা শিশিরাঙ্কে পৌঁছোলে জলীয়বাষ্প ঘনীভূত হয়ে ভাসমান ধূলিকণাকে আশ্রয় করে ভূমি- সংলগ্ন অংশে ভেসে বেড়ায়। কুয়াশা ওপর থেকে অধঃক্ষিপ্ত হয় না বলে এটি অধঃক্ষেপণ নয়।

কুয়াশা

বায়ুতে উপস্থিত জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন রকম হয় কেন?

বায়ুর জলীয়বাষ্পের পরিমাণ কয়েকটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে, যেমন –

  • জলভাগের অবস্থান – যেসব অঞ্চলে জলভাগ বেশি এবং সেখানে যদি জল বাষ্পীভূত মতো পর্যাপ্ত উত্তাপ থাকে তবে সেখানে বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকবে। যেমন – নিরক্ষীয় অঞ্চলের বায়ুতে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকে।
  • সূর্যরশ্মির পতন কোণের পার্থক্য – সূর্যরশ্মি যেসব অঞ্চলে লম্বভাবে পতিত হয় সেইসব অঞ্চলে উত্তাপ বেশি হয়। ফলে জলভাগের ওপর এই লম্ব সূর্যরশ্মি পড়লে বেশি পরিমাণ জল বাষ্পীভূত হবে এবং বায়ুতে জলীয়বাষ্পের পরিমাণও বাড়বে, যেমন – মেরু অঞ্চলে সূর্যরশ্মি তির্যকভাবে পড়ায় সেখানকার বায়ুতে জলীয়বাষ্প কম থাকে।
  • অরণ্যের পরিমাণ – যেসব অঞ্চলে উদ্ভিদের পরিমাণ বেশি সেখানে গাছ প্রস্বেদন প্রক্রিয়ায় প্রচুর জলীয়বাষ্প নির্গমন করে। যেমন – নিরক্ষীয় অরণ্য অঞ্চলে অত্যধিক জলীয়বাষ্পের জন্য সবসময় আর্দ্র ও স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া বিরাজ করে। অন্যদিকে, মরু অঞ্চলে বাতাসে জলীয়বাষ্প কম থাকায় রুক্ষ ও শুষ্ক আবহাওয়া দেখা যায়।

সব মেঘ থেকে বৃষ্টিপাত হয় না কেন?

জলীয়বাষ্প ওপরে উঠে বায়ুতে ভাসমান ধূলিকণা, লবণকণা প্রভৃতিকে আশ্রয় করে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জলকণা বা তুষারকণায় পরিণত হয়, যাদের গড় ব্যাস মাত্র 0.01 মিলিমিটার। এই ভাসমান জলকণা বা তুষারকণার সমষ্টি হল মেঘ। মেঘের মধ্যে ভাসমান এই অতি ক্ষুদ্র কণাগুলি যখন পরস্পর সংযুক্ত হয়ে গড়ে 0.5 মিলিমিটার ব্যাসের হয়, তখন এগুলি আর ভেসে থাকতে পারে না, মাধ্যাকর্ষণ শক্তির টানে বৃষ্টিরূপে ভূপৃষ্ঠে নেমে আসে। কিন্তু সব মেঘ থেকে বৃষ্টিপাত হয় না, কারণ –

  • মেঘের জলকণার ব্যাস 0.05 মিলিমিটারের বেশি না হলে, জলকণাগুলি বৃষ্টিরূপে ঝরে পড়তে পারে না।
  • মেঘের মধ্যে ভাসমান জলকণাগুলি যতক্ষণ সংযুক্ত না হবে ততক্ষণ বৃষ্টি সৃষ্টি হতে পারবে না।
  • বায়ুমণ্ডলের আপেক্ষিক আর্দ্রতা 100% না হলে জলীয়বাষ্প ঘনীভূত হবে না, ফলে বৃষ্টিপাতও হবে না।

পরিচলন বৃষ্টিপাতের বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো।

পরিচলন বৃষ্টিপাতের বৈশিষ্ট্যগুলি হল –

  • অঞ্চল – নিরক্ষরেখার উভয়দিকে 5°-10° অক্ষাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চলে এইজাতীয় বৃষ্টি বেশি হয়।
  • সময়কাল – গ্রীষ্মের শুরুতে নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে এবং সারাবছর ধরে নিরক্ষীয় অঞ্চলে এইপ্রকার বৃষ্টিপাত ঘটে।
  • পরিমাণ – নিরক্ষীয় অঞ্চলে বার্ষিক প্রায় 200-300 সেমি পরিচলন বৃষ্টি হয়।
  • নামকরণ – বিকেল বেলায় পরিচলন বৃষ্টিপাত বেশি হয় বলে নিরক্ষীয় অঞ্চলে একে four o’clock rain বলে।
  • মেঘ – সাধারণত কিউমুলোনিম্বাস মেঘ থেকে এই ধরনের বৃষ্টি হয়।
  • বজ্রপাত – এই ধরনের বৃষ্টিতে বজ্রপাত ঘটে, যেমন – জাভা দ্বীপের বোগের-এ বছরে 322 দিন বজ্রপাতের রেকর্ড আছে।
  • বৃষ্টির প্রকৃতি – বৃষ্টি স্বল্পস্থায়ী হলেও পরিমাণে অনেক বেশি হয়। বৃষ্টির পর আকাশ মেঘমুক্ত নির্মল হয়ে যায়।

কুয়াশার কারণে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কী সমস্যার সৃষ্টি হয়?

কুয়াশার কারণে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়। যেমন –

  • কুয়াশার কারণে সকালে দৃশ্যমানতা কমে যায়। এতে রেল ও সড়কপথে যান চলাচলে অসুবিধা তৈরি হয়।
  • শহরে কুয়াশার সাথে ধোঁয়া সংযুক্ত হয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি করে। এটি মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।
  • কুয়াশা ফসলের ক্ষতি করে।
  • কুয়াশা স্থানীয় আবহাওয়াকেও প্রভাবিত করে।

নিম্নে প্রদত্ত উষ্ণতা-বৃষ্টিপাতের লেখচিত্র থেকে জলবায়ু ও গোলার্ধ শনাক্ত করো।

উষ্ণতা-বৃষ্টিপাতের লেখচিত্র থেকে জলবায়ু ও গোলার্ধ শনাক্ত করো।

লেখচিত্রটি থেকে দেখা যাচ্ছে –

  1. লেখচিত্রের উষ্ণতা রেখাটি খুব বক্স নয়। উষ্ণতার প্রসরও খুব কম। সারাবছর উষ্ণতা রেখাটি প্রায় একই রকম। এই উষ্ণতা রেখাটি 26°C-28°C -এর মধ্যে থাকে।
  2. সারাবছর ধরেই বৃষ্টিপাত বেশি।

সিদ্ধান্ত – সারাবছর বেশি উষ্ণতা ও বৃষ্টিপাত হয় বলে এটি আর্দ্র নিরক্ষীয় জলবায়ু লেখচিত্র। সারাবছর এখানে উষ্ণতা প্রায় একই রকম। এই স্থানটি দুই গোলার্ধের মিলনস্থলে অবস্থিত বলে দুটি গোলার্ধের জলবায়ু প্রায় একই ধরনের। তাই গোলার্ধ নির্ণয় করা বেশ কঠিন। তবে এপ্রিল, মে মাসের উষ্ণতা বেশি দেখে মনে হয় এটি উত্তর গোলার্ধের।

নিম্নে প্রদত্ত উষ্ণতা-বৃষ্টিপাতের লেখচিত্রটি কোন্ গোলার্ধের কোন্ জলবায়ু অঞ্চলকে নির্দেশ করছে?

নিম্নে প্রদত্ত উষ্ণতা-বৃষ্টিপাতের লেখচিত্রটি কোন্ গোলার্ধের কোন্ জলবায়ু অঞ্চলকে নির্দেশ করছে?

লেখচিত্র দেখে বোঝা যাচ্ছে –

  1. মে মাসের উষ্ণতা সবচেয়ে বেশি এবং ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসের তাপমাত্রা কম।
  2. বেশিরভাগ বৃষ্টিপাত জুন, জুলাই, আগস্ট মাসে হয়েছে, শীতকালে সামান্য বৃষ্টি হয়েছে।

সিদ্ধান্ত – উষ্ণতারেখা এবং বৃষ্টিপাতস্তম্ভ দেখে বোঝা যাচ্ছে এটি ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ু অঞ্চলের লেখচিত্র। উষ্ণতারেখাটি উত্তল। মে, জুন মাসে গ্রীষ্মকাল ও ডিসেম্বর, জানুয়ারি মাসে উষ্ণতা কম বলে এটি অবশ্যই উত্তর গোলার্ধের কোনো স্থানের জলবায়ু অঞ্চলের লেখচিত্র।

প্রদত্ত লেখচিত্রটি থেকে কীভাবে বুঝবে জলবায়ুটি কোন্ জলবায়ু অঞ্চলকে ও কোন্ গোলার্ধকে নির্দেশ করছে?

প্রদত্ত লেখচিত্রটি থেকে কীভাবে বুঝবে জলবায়ুটি কোন্ জলবায়ু অঞ্চলকে ও কোন্ গোলার্ধকে নির্দেশ করছে?

লেখচিত্র থেকে বোঝা যাচ্ছে –

  1. স্থানটির উষ্ণতা 4 মাস (জুন-সেপ্টেম্বর) হিমাঙ্কের সামান্য ওপরে এবং বাকি মাসগুলির উষ্ণতা হিমাঙ্কের নীচে রয়েছে। এর থেকে বোঝা যায় অঞ্চলটির জলবায়ু খুব শীতল প্রকৃতির।
  2. এখানে জানুয়ারি মাসের তাপমাত্রা – 23°C -এর কাছে।
  3. উষ্ণতারেখাটি উত্তল, অর্থাৎ উত্তর গোলার্ধের কোনো স্থান দেখানো হয়েছে।
  4. বৃষ্টিপাতস্তম্ভের উষ্ণতা দেখে বোঝা যাচ্ছে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ খুব কম, বরং তুষারপাত খুব হয়।

সিদ্ধান্ত – প্রবল ঠান্ডা, অল্প বৃষ্টিপাত এবং উত্তল উষ্ণতারেখা হওয়ার জন্য এটি অবশ্যই উত্তর গোলার্ধের তুন্দ্রা জলবায়ুর লেখচিত্র।

নিম্নে প্রদত্ত লেখচিত্রটি থেকে কীভাবে বুঝবে জলবায়ুটি কোন্ জলবায়ু অঞ্চলকে ও কোন্ গোলার্ধকে নির্দেশ করছে?

নিম্নে প্রদত্ত লেখচিত্রটি থেকে কীভাবে বুঝবে জলবায়ুটি কোন্ জলবায়ু অঞ্চলকে ও কোন্ গোলার্ধকে নির্দেশ করছে?

লেখচিত্র থেকে বোঝা যাচ্ছে –

  1. উষ্ণতারেখাটি অবতল। তাই এটি অবশ্যই দক্ষিণ গোলার্ধের কোনো স্থানের উষ্ণতার লেখচিত্র।
  2. বৃষ্টিপাতস্তম্ভের অবস্থান থেকে দেখা যাচ্ছে জুন, জুলাই, আগস্ট মাসে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। উষ্ণতার রেখাটি থেকে বোঝা যাচ্ছে জুলাই-আগস্ট মাসে উষ্ণতা সবচেয়ে কম, অর্থাৎ ওই সময় শীতকাল এবং জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে উষ্ণতা সবচেয়ে বেশি, অর্থাৎ ওই সময় গ্রীষ্মকাল বিরাজ করে। অর্থাৎ শীতকাল বৃষ্টিবহুল। বৃষ্টিপাতের মোট পরিমাণ 80 সেমি-এর কাছাকাছি।

সিদ্ধান্ত – শীতকালে বৃষ্টিপাত, বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ 80 সেমি, সর্বাধিক উষ্ণতা 23°C ও সর্বনিম্ন উষ্ণতা 13°C -এর কম। এই বৈশিষ্ট্যগুলি নির্দেশ করছে এটি দক্ষিণ গোলার্ধের কোনো ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চলের লেখচিত্র।

প্রদত্ত উষ্ণতা-বৃষ্টিপাতের লেখচিত্রটি দেখে জলবায়ু ও গোলার্ধ শনাক্ত করো।

উষ্ণতা-বৃষ্টিপাতের লেখচিত্রটি দেখে জলবায়ু ও গোলার্ধ শনাক্ত করো।

লেখচিত্র থেকে বোঝা যাচ্ছে –

  1. উষ্ণতারেখাটি উত্তল এবং জুলাই-আগস্ট মাসে তাপমাত্রা 33°C -এর বেশি।
  2. বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণও খুব সামান্য। সারাবছরে 10 সেমির কম বৃষ্টি হয়েছে।

সিদ্ধান্ত – উষ্ণতারেখাটি উত্তল বলে অবশ্যই এটি উত্তর গোলার্ধের কোনো স্থানের উষ্ণতা-বৃষ্টিপাতের লেখচিত্র। বৃষ্টিপাত অতি সামান্য এবং উষ্ণতা খুব বেশি বলে স্থানটি অবশ্যই উষ্ণ মরু জলবায়ু অঞ্চলের অন্তর্গত।

বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

অথবা, বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল কীভাবে সৃষ্টি হয়?

জলীয়বাষ্পপূর্ণ বায়ু ভূপৃষ্ঠের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময় পর্বতে বাধা পেলে পর্বতের গা বেয়ে ওপরে ওঠে এবং শীতল হয়। এর ফলে জলীয়বাষ্প ঘনীভূত হয়ে পর্বতের প্রতিবাত ঢালে প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটায়। পর্বত অতিক্রম করে ওই বায়ু যখন বিপরীত বা অনুবাত ঢালে পৌঁছোয়, তখন বায়ুতে জলীয়বাষ্প কমে যায় এবং ওই বায়ুর উষ্ণতা বৃদ্ধি পায়। এজন্য পর্বতের বিপরীত পাশে বা অনুবাত ঢাল-সংলগ্ন এলাকায় বৃষ্টিপাত খুব কম হয়। এই স্বল্প-বৃষ্টিপাতযুক্ত অঞ্চলকে বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল বলা হয়। উদাহরণ – পশ্চিমঘাট পর্বতশ্রেণির পূর্ব ঢাল এবং সন্নিহিত এলাকা এই ধরনের বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল।

বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল

পশ্চিমঘাট পর্বতের পশ্চিম ঢালে শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টি ঘটে কেন?

জলীয়বাষ্পপূর্ণ বায়ু ভূপৃষ্ঠের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময় পর্বতে বাধা পেলে, পর্বতের গা বেয়ে ওপরে ওঠে এবং প্রসারিত ও শীতল হয়। এর ফলে জলীয়বাষ্প ঘনীভূত হয়ে পর্বতের প্রতিবাত ঢালে প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটায়। একে বলে শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত। আরব সাগরের ওপর দিয়ে আসা জলীয়বাষ্পপূর্ণ দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু সরাসরি ভারতে প্রবেশ করে পশ্চিমঘাট পর্বতের পশ্চিম ঢালে বাধাপ্রাপ্ত হয় এবং ওপরে উঠে শীতল ও ঘনীভূত হয়। এর ফলে পশ্চিমঘাটের পশ্চিম ঢালে প্রচুর পরিমাণে শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত হয়।

পশ্চিমঘাট পর্বতের পশ্চিম ঢালে বৃষ্টিপাত

শিলং এবং পশ্চিমঘাট পর্বতের পূর্বদিকে বৃষ্টি কম হয় কেন?

দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু মেঘালয়ের খাসি পাহাড়ের দক্ষিণ ঢালে বাধা পেয়ে প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটালেও শিলং শহরটি বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চলে অবস্থিত বলে সেখানে কম বৃষ্টি হয়। অন্যদিকে, পশ্চিমঘাট পর্বতের পশ্চিমে খুব বৃষ্টি হলেও পূর্বদিক বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চলে অবস্থিত তাই বৃষ্টিপাত কম হয়।

আপেক্ষিক আর্দ্রতা ও চরম আর্দ্রতার পার্থক্য লেখো।

আপেক্ষিক আর্দ্রতা ও চরম আর্দ্রতার মধ্যে পার্থক্যগুলি হল –

বিষয়আপেক্ষিক আর্দ্রতাচরম আর্দ্রতা
ধারণাকোনো নির্দিষ্ট উষ্ণতায় একটি নির্দিষ্ট আয়তনের বায়ুতে উপস্থিত জলীয়বাষ্পের পরিমাণ এবং ওই নির্দিষ্ট উষ্ণতায় ওই আয়তনের বায়ুকে সম্পৃক্ত করতে যে পরিমাণ জলীয়বাষ্প প্রয়োজন তার আনুপাতিক শতকরা হিসাব হল আপেক্ষিক আর্দ্রতা।প্রতি ঘনমিটার বায়ুতে যত গ্রাম জলীয়বাষ্প থাকে, তাকে চরম আর্দ্রতা বলা হয়।
উষ্ণতার সঙ্গে সম্পর্কযদি বায়ুতে উপস্থিত জলীয়বাষ্পের পরিমাণ স্থির থাকে, কিন্তু বায়ুর উষ্ণতা বৃদ্ধি পায় তাহলে আপেক্ষিক আর্দ্রতা হ্রাস পায়। বিপরীতক্ষেত্রে অর্থাৎ, বায়ুতে উপস্থিত জলীয়বাষ্পের পরিমাণ স্থির থেকে বায়ুর উষ্ণতা কমলে আপেক্ষিক আর্দ্রতা বৃদ্ধি পায়।বায়ুতে উপস্থিত জলীয়বাষ্পের পরিমাণ স্থির থাকলে সাধারণত উষ্ণতা হ্রাস-বৃদ্ধির সঙ্গে চরম আর্দ্রতার কোনোরূপ পরিবর্তন হয় না।
এককআপেক্ষিক আর্দ্রতা শতকরা হারে প্রকাশ করা হয়।চরম আর্দ্রতা গ্রাম/ঘনমিটারে প্রকাশ করা হয়।

মেঘ ও কুয়াশার মধ্যে পার্থক্য লেখো।

মেঘ ও কুয়াশার মধ্যে পার্থক্যগুলি হল –

বিষয়মেঘকুয়াশা
ধারণাবায়ুমণ্ডলে ভাসমান অসংখ্য জলকণা এবং তুষারকণার সমষ্টি হল মেঘ।ভূপৃষ্ঠ-সংলগ্ন অংশে ঘনীভূত জলকণা অথবা ভূপৃষ্ঠের নিকটবর্তী স্ট্র্যাটাস মেঘ হল কুয়াশা।
উৎপত্তিজলীয়বাষ্পপূর্ণ বায়ু ওপরে উঠে প্রসারিত হয় এবং ধীরে ধীরে শীতল হয়ে মেঘে পরিণত হয়।জলীয়বাষ্পপূর্ণ বায়ু ভূপৃষ্ঠ-সংলগ্ন অংশে তাপ বিকিরণ করে শীতল হয়ে কুয়াশা সৃষ্টি করে।
উচ্চতামেঘ ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় 14 কিমি উচ্চতার মধ্যে অবস্থান করে।কুয়াশা ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি অবস্থান করে।
অধঃক্ষেপণমেঘ থেকে পরবর্তীকালে অধঃক্ষেপণ হয়।কুয়াশা থেকে অধঃক্ষেপণ ঘটে না।

মেঘালয়ের শিলং -এ কেন বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল সৃষ্টি হয়েছে?

মেঘালয়ের প্রায় মধ্যভাগে অবস্থিত খাসি পাহাড় পূর্ব-পশ্চিমে বিস্তৃত। এই পাহাড় শ্রেণির উত্তর ঢালে গড়ে উঠেছে রাজধানী শহর শিলং। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর বঙ্গোপসাগরীয় শাখা বাংলাদেশের ওপর দিয়ে এসে সরাসরি খাসি পাহাড়ের দক্ষিণ ঢালে অর্থাৎ প্রতিবাত ঢালে প্রতিহত হয়ে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিপাত ঘটায় (চেরাপুঞ্জি-মৌসিনরাম এই দক্ষিণ ঢালে অবস্থিত)। এরপর খাসি পাহাড় অতিক্রম করে ওই বায়ু যখন পাহাড়ের উত্তর ঢালে অর্থাৎ অনুবাত ঢালে পৌঁছোয়, তখন স্বাভাবিকভাবেই ওই বায়ুতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কমে যায় এবং পাহাড়ের ঢাল বেয়ে নীচে নামে বলে তার উষ্ণতা ও জলধারণ ক্ষমতা উভয়ই বেড়ে যায়। ফলে ওই বায়ু থেকে তখন ওখানে খুব কমই বৃষ্টিপাত হয়। এজন্য খাসি পাহাড়ের উত্তর ঢালে অবস্থিত শিলংসহ সংলগ্ন এলাকা বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চলে পরিণত হয়েছে।


আমরা আমাদের আর্টিকেলে মাধ্যমিক (দশম শ্রেণী) ভূগোলের দ্বিতীয় অধ্যায় “বায়ুমণ্ডল” -এর “আর্দ্রতা ও অধঃক্ষেপণ” বিভাগের কিছু গুরুত্বপূর্ণ “ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন ও উত্তর” নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নগুলো মাধ্যমিক (দশম শ্রেণী) ভূগোল পরীক্ষার জন্য ও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই প্রশ্নগুলি মাধ্যমিক (দশম শ্রেণী) পরীক্ষা বা চাকরির পরীক্ষায় প্রায় দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা হলে, আপনারা আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। তাছাড়া নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।

Categories -
Please Share This Article

Related Posts

মাধ্যমিক ভূগোল - উপগ্রহ চিত্র ও ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র - মানচিত্র চিহ্নিতকরণ

মাধ্যমিক ভূগোল – উপগ্রহ চিত্র ও ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র – মানচিত্র চিহ্নিতকরণ

মাধ্যমিক ভূগোল - উপগ্রহ চিত্র ও ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র - ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন ও উত্তর

মাধ্যমিক ভূগোল – উপগ্রহ চিত্র ও ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র – ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন ও উত্তর

মাধ্যমিক ভূগোল - উপগ্রহ চিত্র ও ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র - সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

মাধ্যমিক ভূগোল – উপগ্রহ চিত্র ও ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র – সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

About The Author

Souvick

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

"SolutionWbbse" শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনলাইন অধ্যয়ন প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গাইডলাইন, এবং বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সাহায্য প্রদান করা হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল বিষয়ের শিক্ষণীয় উপকরণ সহজেই সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া।

Editor Picks

ধাতু নিষ্কাশনে তড়িৎবিশ্লেষণের প্রয়োগ উদাহরণসহ উল্লেখ করো।

তড়িৎলেপনের সময় কোন্ কোন্ বিষয়ের ওপর নজর রাখা প্রয়োজন?

লোহায় তামার প্রলেপ দিতে কোন ধাতু ক্যাথোড ও অ্যানোড হিসেবে ব্যবহার হয়? তড়িৎবিশ্লেষ্য কী? বিক্রিয়ার সমীকরণ লেখো।

তড়িৎলেপন পদ্ধতি বর্ণনা করো।

ধাতুর মধ্য দিয়ে তড়িৎপ্রবাহ ও তড়িৎবিশ্লেষ্যের মধ্য দিয়ে তড়িৎপ্রবাহ -এর মধ্যে পার্থক্য লেখো।