এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “ওহমের সূত্র থেকে কীভাবে পরিবাহীর রোধের সংজ্ঞা পাওয়া যায়? রোধের ব্যবহারিক এককের সংজ্ঞা দাও।” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “ওহমের সূত্র থেকে কীভাবে পরিবাহীর রোধের সংজ্ঞা পাওয়া যায়? রোধের ব্যবহারিক এককের সংজ্ঞা দাও।” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের ষষ্ঠ অধ্যায় “চলতড়িৎ“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়।

ওহমের সূত্র থেকে কীভাবে পরিবাহীর রোধের সংজ্ঞা পাওয়া যায়?
পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভবপ্রভেদ \(V\), পরিবাহীতে তড়িৎ প্রবাহমাত্রা \(I\) এবং পরিবাহীর রোধ \(R\) হলে, ওহমের সূত্র থেকে পাই; \(R=\frac VI\)
সুতরাং, ওহমের সূত্র থেকে রোধের সংজ্ঞা হল – কোনো পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভবপ্রভেদ এবং পরিবাহীর মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহমাত্রার অনুপাতকে ওই পরিবাহীর রোধ বলে।
রোধের ব্যবহারিক এককের সংজ্ঞা দাও।
রোধের ব্যবহারিক এককটি হল ওহম।
ওহম – যদি কোনো পরিবাহীর দুই প্রান্তের মধ্যে বিভবপ্রভেদ এক ভোল্ট হয় এবং ওর মধ্য দিয়ে এক অ্যাম্পিয়ার তড়িৎ প্রবাহিত হয়, তবে সেই পরিবাহীর রোধকে এক ওহম বলে।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
ওহমের সূত্রটি কী?
ওহমের সূত্রটি হল – V = I × R
যেখানে, V হল পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভবপ্রভেদ (ভোল্ট এককে), I হল পরিবাহীর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত তড়িৎ প্রবাহমাত্রা (অ্যাম্পিয়ার এককে), R হল পরিবাহীর রোধ (ওহম এককে)
রোধ কী পরিমাপ করে?
রোধ পরিমাপ করে একটি পদার্থ বা বস্তু কতটা জোড়ে তড়িৎ প্রবাহের বিরোধিতা করে। একটি বস্তু বা পদার্থ কতটুকু তড়িৎ প্রবাহের বিরোধিতা করে, সেটাই পরিমাপ করা হয় এর রোধের মান দিয়ে। উচ্চ রোধের অর্থ হল কম তড়িৎ প্রবাহ হবে, এবং নিম্ন রোধের অর্থ হল বেশি তড়িৎ প্রবাহ হবে।
রোধ (R) এবং রোধীত্ত্ব (ρ) – এর মধ্যে পার্থক্য কী?
রোধ (R) এবং রোধীত্ত্ব (ρ) – এর মধ্যে পার্থক্য হল –
1. রোধ (R) – এটি একটি নির্দিষ্ট বস্তুর (যেমন একটি তার, রেজিস্টর) বৈশিষ্ট্য যা তড়িৎ প্রবাহের বিরোধিতা করে পরিমাপ করে। এর মান বস্তুর উপাদান, দৈর্ঘ্য, প্রস্থচ্ছেদ এবং তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে। এর একক ওহম (Ω)।
2. রোধীত্ত্ব (ρ) – এটি একটি পদার্থের আভ্যন্তরীণ বৈশিষ্ট্য যা পরিমাপ করে যে সেই পদার্থ কতটুকু তড়িৎ প্রবাহের বিরোধিতা করবে। এটি পদার্থের প্রকৃতি ও তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে, কিন্তু এর আকার বা আকৃতির উপর নয়। এর একক ওহম-মিটার (Ω∙m)।
বিভবপ্রভেদ (V) এবং তড়িৎ প্রবাহ (I) – এর মধ্যে গ্রাফ কেমন হয়?
একটি ওহমিক পরিবাহীর (যেমন একটি ধাতব তার) জন্য, V-I গ্রাফ একটি সরল রেখা হয় যা মূলবিন্দু (origin) দিয়ে অতিক্রম করে। এই সরলরেখার ঢাল (slope) পরিবাহীর রোধ (R) এর মানের সমান। R = V/I হওয়ায়, ঢাল = R।
সকল পদার্থই কি ওহমের সূত্র মেনে চলে?
না, সকল পদার্থ ওহমের সূত্র মেনে চলে না। যে সকল পদার্থ ওহমের সূত্র মেনে চলে (যেমন: ধাতু, রেজিস্টর ইত্যাদি) তাদের ওহমিক বা Ohmic পরিবাহী বলে। আর যে সকল পদার্থ তাপমাত্রা, প্রয়োগকৃত বিভব ইত্যাদি পরিবর্তনের সাথে তাদের রোধের মান পরিবর্তন করে এবং ওহমের সূত্র মেনে চলে না (যেমন: অর্ধপরিবাহী, ডায়োড ইত্যাদি) তাদের অন-ওহমিক বা Non-Ohmic পরিবাহী বলে।
রোধের গুণগত সংজ্ঞা দাও।
যে ধর্মের জন্য পরিবাহী তার মধ্যে তড়িৎ চলাচলে বাধা দেয়, পরিবাহীর সেই ধর্মকে ওই পরিবাহীর রোধ বলে।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “ওহমের সূত্র থেকে কীভাবে পরিবাহীর রোধের সংজ্ঞা পাওয়া যায়? রোধের ব্যবহারিক এককের সংজ্ঞা দাও।” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “ওহমের সূত্র থেকে কীভাবে পরিবাহীর রোধের সংজ্ঞা পাওয়া যায়? রোধের ব্যবহারিক এককের সংজ্ঞা দাও।” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের ষষ্ঠ অধ্যায় “চলতড়িৎ“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন