এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “ওজোন গহ্বর কাকে বলে? কী কী কারণে ওজোন গহ্বর সৃষ্টি হয়? ওজোন গ্যাস ধ্বংসে নাইট্রোজেনের অক্সাইডসমূহের ভূমিকা উল্লেখ করো।” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “ওজোন গহ্বর কাকে বলে? কী কী কারণে ওজোন গহ্বর সৃষ্টি হয়? ওজোন গ্যাস ধ্বংসে নাইট্রোজেনের অক্সাইডসমূহের ভূমিকা উল্লেখ করো।” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের প্রথম অধ্যায় “পরিবেশের জন্য ভাবনা“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়।

ওজোন গহ্বর কাকে বলে? কী কী কারণে ওজোন গহ্বর সৃষ্টি হয়?
অথবা, বায়ুমণ্ডলে ওজোন স্তরের ধ্বংসের কারণ লেখো।
ওজোন গহ্বর –
পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে 20-30 কিলোমিটার উচ্চতায় স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার স্তরে অবস্থিত ওজোন স্তরের ওজোন অণু ক্ষয় হওয়ার ফলে যে গহ্বর সৃষ্টি হয়, তাকে ওজোন হোল বলে।

ওজোন গহ্বর সৃষ্টির কারণ –
প্রাকৃতিক কারণে ও মনুষ্যসৃষ্ট কারণে ওজোন গহ্বর সৃষ্টি বা ওজোন স্তর ধ্বংস হয়ে থাকে। মনুষ্যসৃষ্ট কারণের মধ্যে ক্লোরোফ্লুরোকার্বন (CFC) যৌগসমূহ, নাইট্রোজেনের অক্সাইডসমূহ (NO, NO2 ইত্যাদি), হ্যালোন যৌগসমূহ (যেমন – হ্যালোন 1211 ও হ্যালোন 1301) ওজোন স্তরের বিনাশ ঘটায়।
বজ্রপাত, আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত, অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাব, আলোক রাসায়নিক বিক্রিয়া প্রভৃতি প্রকৃতিক কারণেও ওজোন স্তরের বিনাশ ঘটে।
ওজোন গ্যাস ধ্বংসে নাইট্রোজেনের অক্সাইডসমূহের ভূমিকা উল্লেখ করো।
অথবা, ওজোন স্তর ধ্বংসে NO ও NO2 -এর ভূমিকা কী?
অথবা, ওজোন স্তর ধ্বংসে নাইট্রোজেন যৌগসমূহের ভূমিকা লেখো।
ওজোন গ্যাস ধ্বংসে NO এবং NO2 (সংক্ষেপে NOx) -এর ভূমিকা –
স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের নাইট্রোজেন অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে (দ্রুতগামী বিমান, জেট প্লেন থেকে নির্গত) ওজোন স্তরের ব্যাপক ক্ষতি হয়। ওজোন অণু NOx -এর সঙ্গে বিক্রিয়ায় O2 অণুতে পরিণত হয়।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
ওজোন হোল বা ওজোন স্তরের ফাঁক কী?
পৃথিবীর স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার স্তরে (20-30 কিমি উচ্চতায়) অবস্থিত ওজোন (O3) স্তরের ঘনত্ব হ্রাস পেয়ে যে ফাঁক বা গহ্বর সৃষ্টি হয়, তাকে ওজোন গহ্বর বলে। এটি প্রধানত অ্যান্টার্কটিকা ও আশেপাশের অঞ্চলে বেশি দেখা যায়।
ওজোন গহ্বর সৃষ্টির প্রধান কারণ কী?
প্রাকৃতিক কারণ – বজ্রপাত, আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত, অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাব।
মানুষসৃষ্ট কারণ –
1. CFC (ক্লোরোফ্লুরোকার্বন) – রেফ্রিজারেটর, এয়ার কন্ডিশনার, অ্যারোসল স্প্রেতে ব্যবহৃত হয়।
2. হ্যালোন – অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রে ব্যবহার হয়।
3. নাইট্রোজেন অক্সাইড (NO, NO₂) – জেট ইঞ্জিন, যানবাহনের ধোঁয়া থেকে নির্গত হয়।
ওজোন স্তর ক্ষয়ের ফলে কী ক্ষতি হয়?
1. ত্বকের ক্যান্সার (মেলানোমা) বৃদ্ধি পায়।
2. চোখের ক্ষতি (ক্যাটারাক্ট) হতে পারে।
3. ফসলের উৎপাদন হ্রাস পায়।
4. জলজ জীবের ক্ষতি হয় (ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটন ক্ষতিগ্রস্ত হয়)।
ওজোন গহ্বর কোন অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়?
অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের ওপর সবচেয়ে বড় ওজোন গহ্বর দেখা যায়, বিশেষ করে দক্ষিণ গোলার্ধের বসন্তকালে (সেপ্টেম্বর-অক্টোবর)।
CFC কিভাবে ওজোন স্তর ধ্বংস করে?
1. সূর্যের UV রশ্মি CFC কে ভেঙে ক্লোরিন (Cl) মুক্ত করে।
2. ক্লোরিন ওজোনের সাথে বিক্রিয়া করে ClO ও O2 তৈরি করে – Cl + O3 → ClO + O2
3. ClO আবার অক্সিজেন পরমাণুর সাথে বিক্রিয়া করে Cl মুক্ত করে, যা পুনরায় ওজোন ধ্বংস করে।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “ওজোন গহ্বর কাকে বলে? কী কী কারণে ওজোন গহ্বর সৃষ্টি হয়? ওজোন গ্যাস ধ্বংসে নাইট্রোজেনের অক্সাইডসমূহের ভূমিকা উল্লেখ করো।” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “ওজোন গহ্বর কাকে বলে? কী কী কারণে ওজোন গহ্বর সৃষ্টি হয়? ওজোন গ্যাস ধ্বংসে নাইট্রোজেনের অক্সাইডসমূহের ভূমিকা উল্লেখ করো।” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের প্রথম অধ্যায় “পরিবেশের জন্য ভাবনা” -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন