এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “ওজোন স্তর কাকে বলে? ওজোন স্তরের কাজ কী? ওজোন স্তরের সৃষ্টি হয় কীভাবে?” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “ওজোন স্তর কাকে বলে? ওজোন স্তরের কাজ কী? ওজোন স্তরের সৃষ্টি হয় কীভাবে?” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের প্রথম অধ্যায় “পরিবেশের জন্য ভাবনা“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়।

ওজোন স্তর কাকে বলে? ওজোন স্তরের কাজ কী?
বায়ুমণ্ডলের স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার স্তরে 15-40 কিমি উচ্চতায় অবস্থিত তিনটি অক্সিজেন পরমাণু দ্বারা গঠিত ওজোন গ্যাসের যে ঘন স্তর থাকে তাকে ওজোন স্তর বা ওজোনোস্ফিয়ার বলে। বায়ুমণ্ডলের মোট ওজোন গ্যাসের 90% এই স্তরে উপস্থিত।
সূর্য থেকে আসা অতিবেগুনি রশ্মি জীবজগতের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকারক। সূর্য থেকে আগত এই ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি (UV-রশ্মি) ওজোনোস্ফিয়ার স্তর শোষণ করে পৃথিবীর জীবজগতকে এই রশ্মির ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে রক্ষা করে।
ওজোন স্তরের সৃষ্টি হয় কীভাবে?
অথবা, ওজোনস্তরের সৃষ্টি কীভাবে হয় রাসায়নিক বিক্রিয়াসহ লেখো।
ওজোন স্তরের সৃষ্টি –
বায়ুমণ্ডলের স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে অতিবেগুনি রশ্মির উপস্থিতিতে দুটি অনুক্রমিক আলোক- রাসায়নিক বিক্রিয়ায় ওজোন গ্যাসের সৃষ্টি হয়। প্রথমে দ্বিপরমাণুযুক্ত অক্সিজেন অণু অতিবেগুনি রশ্মির ফোটোন কণার (UV-B ও UV-C) দ্বারা বিয়োজিত হয়ে অক্সিজেন পরমাণুতে পরিণত হয়।
দ্বিতীয় ক্ষেত্রে এই অক্সিজেন পরমাণু অনুঘটকের উপস্থিতিতে অক্সিজেন অণুর সঙ্গে যুক্ত হয়ে ওজোন গ্যাসের অণু ও তাপ উৎপন্ন করে।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
ওজোনোস্ফিয়ার কাকে বলে?
বায়ুমণ্ডলের স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার স্তরে (15-40 কিমি উচ্চতায়) অবস্থিত তিনটি অক্সিজেন পরমাণু দ্বারা গঠিত ওজোন (O3) গ্যাসের ঘন স্তরকে ওজোন স্তর বা ওজোনোস্ফিয়ার বলে। বায়ুমণ্ডলের প্রায় 90% ওজোন গ্যাস এই স্তরে থাকে।
ওজোন স্তরের প্রধান কাজ কী?
ওজোন স্তর সূর্য থেকে আসা ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি (UV রশ্মি) শোষণ করে পৃথিবীর জীবজগৎকে এর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে।
ওজোন স্তর ধ্বংসের প্রধান কারণ কী?
1. CFC (ক্লোরোফ্লুরোকার্বন) গ্যাস, যা রেফ্রিজারেটর, এয়ার কন্ডিশনার, অ্যারোসল স্প্রে ইত্যাদিতে ব্যবহৃত হয়।
2. হ্যালন (অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রে ব্যবহৃত রাসায়নিক)
3. নাইট্রোজেন অক্সাইড (NO2) এবং অন্যান্য শিল্পজাত দূষণকারী পদার্থ।
ওজোন স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হলে কী সমস্যা হয়?
1. মানুষের উপর প্রভাব – ত্বকের ক্যান্সার (মেলানোমা), চোখের ছানি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া।
2. প্রাণী ও উদ্ভিদের উপর প্রভাব – ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটনের বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়া, খাদ্য শৃঙ্খলে ব্যাঘাত।
3. পরিবেশগত প্রভাব – জলবায়ু পরিবর্তন ও গ্লোবাল ওয়ার্মিং বৃদ্ধি।
ওজোন স্তর রক্ষায় কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে?
1. মন্ট্রিয়ল প্রোটোকল (1987 খ্রিস্টাব্দ) – CFC ও অন্যান্য ওজোন-ক্ষয়কারী রাসায়নিক নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
2. CFC-মুক্ত পণ্য ব্যবহার বৃদ্ধি।
3. পরিবেশবান্ধব শীতলকরণ প্রযুক্তির উন্নয়ন।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “ওজোন স্তর কাকে বলে? ওজোন স্তরের কাজ কী? ওজোন স্তরের সৃষ্টি হয় কীভাবে?” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “ওজোন স্তর কাকে বলে? ওজোন স্তরের কাজ কী? ওজোন স্তরের সৃষ্টি হয় কীভাবে?” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের প্রথম অধ্যায় “পরিবেশের জন্য ভাবনা” -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন