আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ‘অরণ্য ভ্রমণের অভিজ্ঞতা‘ প্রবন্ধ রচনাটি নিয়ে আলোচনা করব। মাধ্যমিক বা স্কুল পরীক্ষায় এই রচনাটি প্রায়ই আসে এবং এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ রচনা। একবার ভালোভাবে আয়ত্ত করলে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি — যেকোনো ক্লাসের পরীক্ষাতেই তোমরা এই রচনার প্রশ্নের উত্তর সহজেই লিখতে পারবে!

অরণ্য ভ্রমণের অভিজ্ঞতা – প্রবন্ধ রচনা
ছোটোবেলা থেকেই জঙ্গল আমায় টানে। অরণ্য জীবনের গল্প শুনতে আমার ভারি ভালো লাগত। তাই যখন সুন্দরবন ভ্রমণে যাওয়া হবে শুনলাম তখন অনেকদিনের ইচ্ছেপূরণ হবে ভেবে মনটা আনন্দে নেচে উঠল। কলকাতা থেকে যাত্রা শুরু করে কাকদ্বীপ হয়ে আমরা পৌঁছোলাম গোসাবা। এটাই সুন্দরবনের প্রবেশদ্বার। এখান থেকে জলপথে ছোটো বড়ো খাঁড়ি পেরিয়ে পৌঁছোতে হবে সুন্দরবনে। এই পথ একসময় ছিল ঝুঁকিপূর্ণ, বর্তমানে আধুনিকতার ছোঁয়ায় তা এখন নিরাপদ ও সুপরিকল্পিত। তাই ঠিক হল গাইডের সাহায্য নিয়ে এবং বনদপ্তরের প্রয়োজনীয় অনুমতি নিয়েই অরণ্যে প্রবেশ করা হবে। সেই অনুযায়ী আমরা দলে ভাগ হয়ে দুটি লঞ্চে করে খাঁড়িপথে জঙ্গলের উদ্দেশ্যে এগিয়ে চললাম। দুই ধারে জঙ্গল, মাটি কর্দমাক্ত, আকাশছোঁয়া বড়ো বড়ো গাছ চারধারে ঘিরে রয়েছে। মাটি থেকে বর্শার ফলার মতো বেরিয়ে রয়েছে ‘শূলো’ বা শ্বাসমূল। গাইড চিনিয়ে দিলেন চারপাশের গাছগুলো, এরমধ্যে সুন্দরী, গরান, গর্জন, হেতাল প্রভৃতি গাছ রয়েছে। আমরা গাইডের নির্দেশ মেনে অরণ্যে প্রবেশ করলাম। যত এগোতে থাকি জঙ্গল যেন ঘন হয়ে ঘিরে ধরে। এখানে আলো যেন কম, আর একটা ঠান্ডা শিরশিরে ভাব যেন বাতাসে টের পেতে লাগলাম। তবে একটু হতাশ হলাম বাঘ দেখা যাবে না শুনে, কারণ আমরা যে পথে জঙ্গল দেখতে চলেছি তা রয়াল বেঙ্গল টাইগারের বসবাসের এলাকা নয়। তবুও সুন্দরবন তো বাঘেরই বসতিস্থল। ঘণ্টা দুই-তিন ঘোরার পর গাইড ফেরার নির্দেশ দিলেন। এক উত্তেজনার মধ্যে আমরা পথ চলছিলাম। গাছপালার নিবিড় স্পর্শ অনুভব করে মনটা যেন অন্যরকম হয়ে উঠেছিল। আমরা ভ্রমণ শেষ করে লঞ্চে ফিরে এলাম। সেখান থেকে গেস্ট হাউসে এসে রাত্রিবাস করে পরের দিন ফিরে এলাম শহরে। মনের স্মৃতিপটে রয়ে গেল অরণ্যের এক অসাধারণ চিত্র।
আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ‘অরণ্য ভ্রমণের অভিজ্ঞতা‘ প্রবন্ধ রচনাটি নিয়ে আলোচনা করেছি। মাধ্যমিক বা স্কুল পরীক্ষায় ‘অরণ্য ভ্রমণের অভিজ্ঞতা‘ রচনাটি প্রায়ই আসে এবং এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ রচনা। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন