রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন (1953 খ্রিস্টাব্দ) কেন গঠিত হয়েছিল? ভারতের রাজ্য পুনর্গঠন এর ভিত্তিগুলি লেখো।

Souvick

এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন (1953 খ্রিস্টাব্দ) কেন গঠিত হয়েছিল? ভারতের রাজ্য পুনর্গঠন এর ভিত্তিগুলি লেখো।” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন (1953 খ্রিস্টাব্দ) কেন গঠিত হয়েছিল? ভারতের রাজ্য পুনর্গঠন এর ভিত্তিগুলি লেখো।” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ইতিহাসের অষ্টম অধ্যায় “উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (1947-1964)“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়।

রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন (1953 খ্রিস্টাব্দ) কেন গঠিত হয়েছিল? ভারতের রাজ্য পুনর্গঠন এর ভিত্তিগুলি লেখো।

রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন (1953 খ্রিস্টাব্দ) কেন গঠিত হয়েছিল?

ভাষাভিত্তিক রাজ্য পুনর্গঠনের দাবি ভারতের স্বাধীনতা লাভের পর থেকেই উঠতে শুরু করে। 1953 খ্রিস্টাব্দে ভাষাভিত্তিক অন্ধ্রপ্রদেশ গঠনের পর থেকে এই দাবি আরও জোরদার হয়। এমতাবস্থায় এই দাবির যৌক্তিকতা বিচারের জন্য 1953 খ্রিস্টাব্দে প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর নির্দেশে এবং স্বরাষ্ট্র দপ্তরের উদ্যোগে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ফজল আলির সভাপতিত্বে কে. এম. পানিক্কর ও হৃদয়নাথ কুঞ্জরুকে নিয়ে রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন (1953 খ্রিস্টাব্দ) গড়ে উঠেছিল।

ভারতের রাজ্য পুনর্গঠন এর ভিত্তিগুলি লেখো।

রাজ্য পুনর্গঠনের ভিত্তি –

  • ভাষা – ভারত নানা ভাষাভাষীর দেশ। প্রধান ভাষা 122টি। সংবিধান স্বীকৃত ভাষা এখন 22টি। যে অঞ্চলের মানুষ যে ভাষায় কথা বলে তার উপর ভিত্তি করেই রাজ্যগুলিকে ভাগ করা হয়। রাজ্য পুনর্গঠনে ভাষাকে সবচেয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়।
  • সংস্কৃতি – ভাষার সঙ্গে সঙ্গে সংস্কৃতিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়। তাই বিহার থেকে আলাদা করা হয়েছে ঝাড়খণ্ডকে।
  • প্রশাসনিক সুবিধা – প্রশাসনিক সুবিধার কারণেই হিন্দি ভাষা অঞ্চলে অনেকগুলি রাজ্য (উত্তরপ্রদেশ, বিহার, মধ্যপ্রদেশ ইত্যাদি) গঠিত হয়েছে।
  • অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও পরিকল্পনা – অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও পরিকল্পনা গ্রহণে যাতে সুবিধা হয় তার জন্য রাজ্যগুলিকে পুনরায় ভাগ করা হয়েছে। তাই উত্তরাখণ্ড উত্তরপ্রদেশ থেকে পৃথক রয়েছে।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর

রাজ্য পুনর্গঠন কমিশনের সদস্যরা কারা ছিলেন?

এই কমিশনের সভাপতি ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ফজল আলি। অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন কে. এম. পানিক্কর ও হৃদয়নাথ কুঞ্জরু

ভারতের রাজ্য পুনর্গঠনের ভিত্তিগুলি কী কী?

রাজ্য পুনর্গঠনের মূল ভিত্তিগুলি হলো –
1. ভাষা – বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের ভৌগোলিক একত্রীকরণ।
2. সংস্কৃতি – সাংস্কৃতিক পরিচয়ের ভিত্তিতে রাজ্য বিভাজন (যেমন – বিহার থেকে ঝাড়খণ্ড)।
3. প্রশাসনিক সুবিধা – বৃহৎ রাজ্যকে ছোট করে কার্যকর শাসন নিশ্চিত করা।
4. অর্থনৈতিক উন্নয়ন – আঞ্চলিক উন্নয়নের জন্য নতুন রাজ্য গঠন (যেমন – উত্তরাখণ্ড)।

ভাষাভিত্তিক রাজ্য গঠনের পিছনে মূল কারণ কী ছিল?

ভারতে বহুভাষিক সমাজ থাকায়, মানুষ চেয়েছিল তাদের মাতৃভাষায় প্রশাসন ও শিক্ষা পেতে। এর ফলে ভাষাগত ঐক্য ও সাংস্কৃতিক পরিচয় রক্ষা করা সহজ হয়।

রাজ্য পুনর্গঠন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী কয়টি রাজ্য গঠিত হয়েছিল?

1956 সালে রাজ্য পুনর্গঠন আইন পাস হয়, যার মাধ্যমে 14টি রাজ্য ও 6টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠিত হয়।

রাজ্য পুনর্গঠনের সময় সংস্কৃতিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল কেন?

ভাষার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক পার্থক্যও রাজ্য গঠনে ভূমিকা রেখেছে। যেমন –
1. ঝাড়খণ্ড (আদিবাসী সংস্কৃতি),
2. উত্তরাখণ্ড (পাহাড়ি সংস্কৃতি)।

উত্তরপ্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশের মতো বড় রাজ্য কেন বিভক্ত করা হয়েছিল?

বৃহৎ রাজ্যগুলির প্রশাসনিক জটিলতা কমানো এবং স্থানীয় উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার জন্য এগুলিকে বিভক্ত করা হয়েছিল।


এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন (1953 খ্রিস্টাব্দ) কেন গঠিত হয়েছিল? ভারতের রাজ্য পুনর্গঠন এর ভিত্তিগুলি লেখো।” নিয়ে আলোচনা করেছি। এই “রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন (1953 খ্রিস্টাব্দ) কেন গঠিত হয়েছিল? ভারতের রাজ্য পুনর্গঠন এর ভিত্তিগুলি লেখো।” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ইতিহাসের অষ্টম অধ্যায় “উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (1947-1964)” -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।

Please Share This Article

Related Posts

সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলনে নারীদের ভূমিকা বিশ্লেষণ করো।

সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলনে নারীদের ভূমিকা বিশ্লেষণ করো।

সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলনে ছাত্রদের অবদান আলোচনা করো।

সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলনে ছাত্রদের অবদান আলোচনা করো।

দার কমিশন কী? দার কমিশন (1948 খ্রিস্টাব্দ) কেন গঠিত হয়েছিল?

দার কমিশন কী? দার কমিশন (1948 খ্রিস্টাব্দ) কেন গঠিত হয়েছিল?

About The Author

Souvick

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

"SolutionWbbse" শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনলাইন অধ্যয়ন প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গাইডলাইন, এবং বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সাহায্য প্রদান করা হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল বিষয়ের শিক্ষণীয় উপকরণ সহজেই সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া।

Editor Picks

সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলনে নারীদের ভূমিকা বিশ্লেষণ করো।

কোনো প্রিজমের মধ্য দিয়ে আলোর প্রতিসরণের ক্ষেত্রে দেখাও যে চ্যুতিকোণ(δ) = i1+i2−A

তোমার জীবনের একটি স্মরণীয় অভিজ্ঞতা – প্রবন্ধ রচনা

একটি গ্রামের ভ্রমণের অভিজ্ঞতা – প্রবন্ধ রচনা

অরণ্য ভ্রমণের অভিজ্ঞতা – প্রবন্ধ রচনা