এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “সত্যাগ্রহ বলতে কী বোঝো? ভারতবর্ষে গান্ধিজি পরিচালিত প্রথম তিনটি সত্যাগ্রহ কী কী?” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “সত্যাগ্রহ বলতে কী বোঝো? ভারতবর্ষে গান্ধিজি পরিচালিত প্রথম তিনটি সত্যাগ্রহ কী কী?“ প্রশ্নটি মাধ্যমিক ইতিহাসের ষষ্ট অধ্যায় “বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন: বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়।

সত্যাগ্রহ বলতে কী বোঝো?
গান্ধিজির মতে, ‘সত্যাগ্রহ’ হল সত্যের প্রতি অনুরাগ ও বিশ্বাস এবং অহিংস উপায়ে সত্যের পথ অনুসরণ করা। গান্ধিজির মতে, ‘সত্যাগ্রহ’ একটি মহান নৈতিক শক্তি এবং একান্তভাবেই সবলের ধর্ম। আত্মকষ্টের মাধ্যমে এবং অহিংস পদ্ধতিতে শত্রুকে জয় করাই হল সত্যাগ্রহ আন্দোলনের মূল লক্ষ।
ভারতবর্ষে গান্ধিজি পরিচালিত প্রথম তিনটি সত্যাগ্রহ কী কী?
গান্ধিজি 1915 খ্রিস্টাব্দে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ভারতে ফিরে আসেন। এখানে এসে প্রথমে তিনি তিনটি আঞ্চলিক পর্যায়ে সত্যাগ্রহ আন্দোলন গড়ে তোলেন।
ভারতবর্ষে গান্ধিজি পরিচালিত প্রথম তিনটি সত্যাগ্রহ হল –
- বিহারের চম্পারণ সত্যাগ্রহ (1917 খ্রিস্টাব্দ),
- গুজরাটের খেদা জেলার ‘খেদা’ সত্যাগ্রহ (1918 খ্রিস্টাব্দ) এবং
- আমেদাবাদ সত্যাগ্রহ (1918 খ্রিস্টাব্দ)।
চম্পারন সত্যাগ্রহ –
নীলকর সাহেবদের অত্যাচারের প্রতিবাদে সংঘটিত হয় চম্পারন সত্যাগ্রহ (1917 খ্রিস্টাব্দ)।
গুজরাটের খেদা জেলার ‘খেদা’ সত্যাগ্রহ –
গুজরাটের কৃষকদের করভার লাঘবের দাবিতে গড়ে ওঠে খেড়া সত্যাগ্রহ (1918 খ্রিস্টাব্দ)।
আমেদাবাদ সত্যাগ্রহ –
আমেদাবাদের মিল-শ্রমিকদের সঠিক মজুরির দাবিতে হয় আমেদাবাদ সত্যাগ্রহ (1918 খ্রিস্টাব্দ)।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
সত্যাগ্রহ বলতে কী?
সত্যাগ্রহ হল সত্যের প্রতি অনুরাগ ও অহিংস উপায়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা। মহাত্মা গান্ধীর মতে, এটি একটি নৈতিক শক্তি যা আত্মকষ্ট ও অহিংসার মাধ্যমে শত্রুকে জয় করে।
গান্ধিজির প্রথম তিনটি সত্যাগ্রহ আন্দোলনের নাম কী?
গান্ধিজির প্রথম তিনটি সত্যাগ্রহ আন্দোলনের নাম হল –
1. চম্পারণ সত্যাগ্রহ (1917) – নীলকর সাহেবদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে বিহারে সংঘটিত হয়।
2. খেদা সত্যাগ্রহ (1918) – গুজরাটের কৃষকদের করভার লাঘবের দাবিতে সংঘটিত হয়।
3. আহমেদাবাদ সত্যাগ্রহ (1918) – মিল শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরির দাবিতে সংঘটিত হয়।
সত্যাগ্রহের মূল নীতি কী?
সত্যাগ্রহের মূল নীতি হল –
1. সত্য ও ন্যায়ের পথে অটল থাকা।
2. অহিংস উপায়ে প্রতিবাদ জানানো।
3. অন্যায়ের কাছে নতি স্বীকার না করা।
4. আত্মশুদ্ধি ও ত্যাগের মাধ্যমে শত্রুকে পরিবর্তিত করা।
গান্ধিজি কেন সত্যাগ্রহকে ‘শক্তিশালীদের অস্ত্র’ বলেছেন?
গান্ধিজির মতে, সত্যাগ্রহ কেবল দুর্বলদের পথ নয়, বরং এটি নৈতিক সাহস ও আত্মসংযমের মাধ্যমে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তিশালী হাতিয়ার।
সত্যাগ্রহের সাফল্যের কারণ কী ছিল?
সত্যাগ্রহের সাফল্যের কারণ ছিল –
1. জনগণের সমর্থন ও অংশগ্রহণ।
2. গান্ধিজির নেতৃত্ব ও অহিংস নীতি।
3. ব্রিটিশ সরকারের নীতির বিরুদ্ধে নৈতিক জয়।
সত্যাগ্রহের ধারণা গান্ধিজি কোথা থেকে পেয়েছিলেন?
গান্ধিজি দক্ষিণ আফ্রিকায় ভারতীয়দের অধিকার রক্ষার জন্য প্রথম সত্যাগ্রহ প্রয়োগ করেন। পরে ভারতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করে স্বাধীনতা আন্দোলনকে শক্তিশালী করেন।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “সত্যাগ্রহ বলতে কী বোঝো? ভারতবর্ষে গান্ধিজি পরিচালিত প্রথম তিনটি সত্যাগ্রহ কী কী?” নিয়ে আলোচনা করেছি। এই “সত্যাগ্রহ বলতে কী বোঝো? ভারতবর্ষে গান্ধিজি পরিচালিত প্রথম তিনটি সত্যাগ্রহ কী কী?” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ইতিহাসের ষষ্ঠ অধ্যায় “বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন: বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা” -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন