এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “সংকট কোণ ও অভ্যন্তরীণ পূর্ণ প্রতিফলন কাকে বলে?” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “সংকট কোণ ও অভ্যন্তরীণ পূর্ণ প্রতিফলন কাকে বলে?” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের পঞ্চম অধ্যায় “আলো“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়।

সংকট কোণ ও অভ্যন্তরীণ পূর্ণ প্রতিফলন কাকে বলে?
সংকট কোণ – আলোকরশ্মি ঘন মাধ্যম থেকে লঘু মাধ্যমে প্রতিসৃত হওয়ার সময় যে আপতন কোণের জন্য প্রতিসরণ কোণ 90° হয়, সেই আপতন কোণকে ওই দুটি মাধ্যমের সংকট কোণ বলে।
অভ্যন্তরীণ পূর্ণ প্রতিফলন – সংকট কোণের থেকেও বড়ো আপতন কোণে আপতিত হলে আলোকরশ্মি দ্বিতীয় মাধ্যমে প্রবেশ না করে প্রথম মাধ্যমেই ফিরে আসে। একে অভ্যন্তরীণ পূর্ণ প্রতিফলন বলে।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
সংকট কোণ কী?
সংকট কোণ হল একটি নির্দিষ্ট আপতন কোণ, যখন আলো একটি ঘন মাধ্যম (যেমন: পানি বা কাঁচ) থেকে একটি লঘু মাধ্যম (যেমন: বায়ু) এ প্রবেশ করে, এবং তখন প্রতিসরণ কোণের মান ঠিক 90° হয়। এই বিশেষ আপতন কোণটিই ঐ দুটি মাধ্যমের জন্য সংকট কোণ।
পূর্ণ প্রতিফলন কী?
পূর্ণ প্রতিফলন হল একটি ঘটনা যখন আলোর রশ্মি ঘন মাধ্যম থেকে লঘু মাধ্যমে যাওয়ার সময় সংকট কোণের চেয়ে বড়ো একটি কোণে আপতিত হয়। এই অবস্থায়, আলোর রশ্মি দ্বিতীয় মাধ্যম (লঘু মাধ্যম) এ প্রবেশ করতে পারে না এবং সম্পূর্ণরূ
পূর্ণ প্রতিফলন ঘটার জন্য কী কী শর্ত প্রয়োজন?
পূর্ণ প্রতিফলন ঘটার জন্য দুটি অত্যাবশ্যকীয় শর্ত পূরণ হতে হবে –
1. আলোকরশ্মিকে অবশ্যই ঘন মাধ্যম থেকে লঘু মাধ্যমের দিকে যেতে হবে।
2. আপতন কোণের মান অবশ্যই সংকট কোণের চেয়ে বেশি (>) হতে হবে।
আপতন কোণ ঠিক সংকট কোণের সমান হলে কী হয়?
যখন আপতন কোণ সংকট কোণের ঠিক সমান হয়, তখন প্রতিসরণ কোণ 90° হয়। এর মানে হল যে, প্রতিসৃত রশ্মিটি দুটি মাধ্যমের বিভেদতল বরাবর পিছলে যাবে। এটি পূর্ণ আভ্যন্তরীণ প্রতিফলন শুরুর সীমারেখা নির্দেশ করে।
সংকট কোণের মান কি সব মাধ্যমের জন্য একই?
না, সংকট কোণের মান মাধ্যম দুটির প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল। যেহেতু বিভিন্ন মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক ভিন্ন, তাই একটি মাধ্যম ও বায়ুর মধ্যে সংকট কোণের মানও ভিন্ন হবে। উদাহরণস্বরূপ, পানির জন্য বায়ুর সাপেক্ষে সংকট কোণ প্রায় 49° এবং কাঁচের জন্য এটি প্রায় 42°।
পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের কিছু ব্যবহারিক উদাহরণ দাও।
পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন আমাদের দৈনন্দিন জীবন ও প্রযুক্তিতে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। কিছু উল্লেখযোগ্য উদাহরণ নিম্নরূপ –
1. অপটিক্যাল ফাইবার (Optical Fiber) – টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থায় তথ্য প্রেরণের জন্য অপটিক্যাল ফাইবারে এই নীতিটি ব্যবহার করা হয়।
2. মরীচিকা (Mirage) – রাস্তায় বা মরুভূমিতে তাপের তারতম্যের কারণে বাতাসের ঘনত্বের স্তরভেদে এই ঘটনাটি ঘটে, যা পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের ফল।
3. প্রিজম (Prism) – বাইনোকুলার, পেরিস্কোপ এবং বিভিন্ন দৃশ্য-যন্ত্রে (Optical Instruments) প্রিজম ব্যবহার করা হয়।
4. হীরক (Diamond) – হীরাকে চকচকে ও উজ্জ্বল দেখানোর জন্য এটিকে বিশেষভাবে কাটার সময় পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের নীতিটিকে কাজে লাগানো হয়।
“অভ্যন্তরীণ পূর্ণ প্রতিফলন” বলতে কী বোঝায়?
“অভ্যন্তরীণ” শব্দটি দ্বারা বোঝায় যে প্রতিফলনটি ঘটেছে মাধ্যমের ভিতরের তল বা পৃষ্ঠ থেকে। আলো যখন একটি ঘন মাধ্যমের ভেতরেই সীমাবদ্ধ থাকে এবং সীমানা পৃষ্ঠ অতিক্রম না করে সম্পূর্ণরূপে ফিরে আসে, তখনই এই পরিভাষাটি ব্যবহার করা হয়। সাধারণ দর্পণে প্রতিফলন হয় তার বাইরের পৃষ্ঠতলে, কিন্তু এখানে এটি মাধ্যমের অভ্যন্তরীণ পৃষ্ঠতলে ঘটে।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “সংকট কোণ ও অভ্যন্তরীণ পূর্ণ প্রতিফলন কাকে বলে?” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “সংকট কোণ ও অভ্যন্তরীণ পূর্ণ প্রতিফলন কাকে বলে?” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের পঞ্চম অধ্যায় “আলো“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন