এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “একটি সরল ক্যামেরার মডেল এবং কার্যপ্রণালী সম্পর্কে লেখো।” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “একটি সরল ক্যামেরার মডেল এবং কার্যপ্রণালী সম্পর্কে লেখো।” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের পঞ্চম অধ্যায় “আলো“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়।

একটি সরল ক্যামেরার মডেল এবং কার্যপ্রণালী সম্পর্কে লেখো।
একটি সরল ক্যামেরার মডেল তৈরি –
একটি ঘনকাকৃতি পিচবোর্ডের বাক্স নেওয়া হল। এরপর একটি পিন দিয়ে বাক্সটির একদিকে ক্ষুদ্র একটি ছিদ্র করা হল। বাক্সটির যে পাশে ছিদ্র করা হল তার ঠিক বিপরীত দিকে ছিদ্র বরাবর একটি ফোটোগ্রাফিক প্লেট বা ফিল্ম পেপার আঠা দিয়ে আটকানো হল। পিচবোর্ডের একটি ক্ষুদ্র অংশ পূর্বেই কেটে রাখা হয়েছিল যেটিকে ক্যামেরার মধ্যে আলোক-রশ্মির প্রবেশের সময় নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সাটাররূপে ব্যবহার করা হল। এরপর বাক্সটিকে সম্পূর্ণ আলোক নিরোধক করার জন্য ছিদ্র বাদে বাকি অংশ একটি অ্যালুমিনিয়াম পাত দ্বারা আবৃত করে দেওয়া হল।

সরল ক্যামেরার কার্যপ্রণালী –
ক্যামেরার ছিদ্রের সম্মুখে রাখা বস্তু থেকে আলো ক্যামেরার ছিদ্রের মধ্য দিয়ে ফোটোগ্রাফিক প্লেটের ওপর প্রক্ষিপ্ত হয়। ফলে বস্তুর একটি অবশীর্ষ, সুস্পষ্ট প্রতিবিম্ব গঠিত হয়।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
সরল ক্যামেরা কী?
সরল ক্যামেরা হল একটি মৌলিক ধরনের ক্যামেরা যাতে কোনও লেন্স ব্যবহার করা হয় না। এতে শুধুমাত্র একটি ক্ষুদ্র ছিদ্র (পিনহোল) থাকে যা দিয়ে আলো প্রবেশ করে এবং বাক্সের অভ্যন্তরে একটি উল্টো (অবশীর্ষ) প্রতিবিম্ব তৈরি করে।
সরল ক্যামেরার মূলনীতি কী?
এর মূলনীতি হল আলোর সরলরৈখিক প্রচার। বস্তু থেকে প্রতিফলিত আলো সরল রেখায় চলে এবং ক্ষুদ্র ছিদ্র দিয়ে গিয়ে বাক্সের পিছনের দিকে (যেখানে ফিল্ম বা পেপার থাকে) বস্তুটির একটি উল্টো ও স্পষ্ট প্রতিবিম্ব গঠন করে।
সরল ক্যামেরায় প্রতিবিম্বটি উল্টো (অবশীর্ষ) হয় কেন?
সরল ক্যামেরার প্রতিবিম্বটি উল্টো (অবশীর্ষ) হয় কারণ আলো সরলরেখায় চলে। বস্তুর উপরের অংশ থেকে আসা আলো ছিদ্র দিয়ে ঢুকে নিচের দিকে পড়ে। একইভাবে, বস্তুর নিচের অংশ থেকে আসা আলো ছিদ্র দিয়ে ঢুকে উপরের দিকে পড়ে। এর ফলেই একটি উল্টো প্রতিবিম্ব তৈরি হয়।
সরল ক্যামেরায় সাটার কী কাজ করে?
সাটার হল একটি ঢাকনা যা ছিদ্রটিকে ঢেকে রাখে। এটি খোলার মাধ্যমে আলো প্রবেশের সময় নিয়ন্ত্রণ করা হয়। খুব বেশি সময় আলো পড়লে ফিল্ম বা পেপারটি অতিরিক্ত আলোকিত (overexposed) হয়ে যেতে পারে, আবার খুব কম সময় দিলে প্রতিবিম্ব গাঢ় (underexposed) হয়ে যাবে।
সরল ক্যামেরার প্রতিবিম্ব কী রঙিন হয়?
হ্যাঁ, যদি রঙিন ফোটোগ্রাফিক পেপার বা ফিল্ম ব্যবহার করা হয়, তাহলে রঙিন প্রতিবিম্ব পাওয়া সম্ভব। তবে সাধারণত বাড়িতে তৈরি ক্যামেরাগুলোতে সাদা-কালো ফোটোগ্রাফিক কাগজ ব্যবহার করা হয়, ফলে প্রতিবিম্বটি সাদা-কালো হয়।
সরল ক্যামেরার অসুবিধাগুলো কী কী?
সরল ক্যামেরার অসুবিধাগুলো হল –
1. প্রতিবিম্ব খুব উজ্জ্বল হয় না।
2. ছিদ্র খুব ছোট হওয়ায় আলো কম প্রবেশ করে, তাই প্রতিবিম্ব গঠনে বেশি সময় (Exposure Time) লাগে। এর জন্য ক্যামেরাটি নড়াচড়া না করে স্থির রাখতে হয়।
3. লেন্সবিহীন হওয়ায় জুম (Zoom) করা বা ফোকাস সামঞ্জস্য করার কোনও সুযোগ নেই।
সরল ক্যামেরা দিয়ে কি চলমান বস্তুর ছবি তোলা সম্ভব?
সাধারণত না। কারণ, আলোর পরিমাণ কম থাকায় এক্সপোজারের সময় অনেক বেশি (কয়েক সেকেন্ড থেকে কয়েক মিনিট পর্যন্ত) লাগে। এই দীর্ঘ সময়ে চলমান বস্তু তার অবস্থান পরিবর্তন করলে প্রতিবিম্ব ঝাপসা হয়ে যাবে।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “একটি সরল ক্যামেরার মডেল এবং কার্যপ্রণালী সম্পর্কে লেখো।” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “একটি সরল ক্যামেরার মডেল এবং কার্যপ্রণালী সম্পর্কে লেখো।” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের পঞ্চম অধ্যায় “আলো“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন