এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “তড়িৎবিশ্লেষ্য পদার্থ ও ধাতব পরিবাহীরকাকে বলে? তড়িৎবিশ্লেষ্য পদার্থ ও ধাতব পরিবাহীর মধ্যে পার্থক্য লেখো।” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “তড়িৎবিশ্লেষ্য পদার্থ ও ধাতব পরিবাহী কাকে বলে? তড়িৎবিশ্লেষ্য পদার্থ ও ধাতব পরিবাহীর মধ্যে পার্থক্য লেখো।” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের ষষ্ঠ অধ্যায় “চলতড়িৎ“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়।

তড়িৎবিশ্লেষ্য পদার্থ ও ধাতব পরিবাহী কাকে বলে?
তড়িৎবিশ্লেষ্য পদার্থ – যে সমস্ত পদার্থ জলীয় দ্রবনে অথবা গলিত অবস্থায় আয়নিত হয়ে তড়িৎ পরিবহণ করে। তাদের তড়িৎবিশ্লেষ্য পদার্থ বলে।
ধাতব পরিবাহী – যে সকল ধাতু মুক্ত ইলেকট্রনের প্রবাহের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পরিবহণ করে, তাদের ধাতব পরিবাহী বলে। এদের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করলে পরিবাহিতা হ্রাস পায়।
তড়িৎবিশ্লেষ্য পদার্থ ও ধাতব পরিবাহীর মধ্যে পার্থক্য লেখো।
তড়িৎবিশ্লেষ্য ও ধাতব পরিবাহীর মধ্যে পার্থক্য –
তড়িৎবিশ্লেষ্য পদার্থ | ধাতব পরিবাহী |
তড়িৎবিশ্লেষ্য পদার্থগুলিতে তরল বা গলিত অবস্থায় ক্যাটায়ন ও অ্যানায়ন থাকে। এই আয়নগুলি তড়িৎ পরিবহণ করে। | ধাতব পরিবাহীতে মুক্ত ইলেকট্রন থাকে। এই মুক্ত ইলেকট্রনগুলি তড়িৎ পরিবহণ করে। |
উষ্ণতা বাড়লে এক্ষেত্রে পরিবাহিতা বাড়ে। কিন্তু রোধ কমে। | উষ্ণতা বাড়লে এদের পরিবাহিতা কমে ও রোধ বাড়ে। |
তড়িৎবিশ্লেষ্য পদার্থে তড়িৎপ্রবাহ ওহমের সূত্রানুযায়ী হয় না। | ধাতব পরিবাহীতে প্রবাহমাত্রা ওহমের সূত্রানুযায়ী হয়। |
তড়িৎবিশ্লেষ্য পদার্থে তড়িৎপ্রবাহ ‘চলাকালীন রাসায়নিক বিক্রিয়া হয়। | ধাতব পরিবাহীতে প্রবাহ চলাকালীন কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়া হয় না। |
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
তড়িৎবিশ্লেষ্য পদার্থ কী?
যে সকল পদার্থ তাদের জলীয় দ্রবণ বা গলিত অবস্থায় আয়নিতে পরিণত হয়ে তড়িৎ পরিবহন করে, তাদের তড়িৎবিশ্লেষ্য পদার্থ বলে। যেমন – লবণ (NaCl) এর দ্রবণ, গলিত সোডিয়াম ক্লোরাইড ইত্যাদি।
ধাতব পরিবাহী কী?
যে সকল ধাতব পদার্থ তাদের মধ্যে থাকা মুক্ত ইলেকট্রনের প্রবাহের মাধ্যমে তড়িৎ পরিবহন করে, তাদের ধাতব পরিবাহী বলে। যেমন – তামা (Cu), রূপা (Ag), অ্যালুমিনিয়াম (Al) ইত্যাদি।
উষ্ণতা বাড়লে তড়িৎবিশ্লেষ্যের পরিবাহিতা বাড়ে কেন?
উষ্ণতা বাড়লে তড়িৎবিশ্লেষ্য পদার্থের আয়নগুলির গতিশক্তি বৃদ্ধি পায় এবং দ্রবণের সান্দ্রতা (viscosity) কমে। এর ফলে আয়নগুলি সহজে ও দ্রুততর গতিতে চলাচল করতে পারে, ফলে পরিবাহিতা বৃদ্ধি পায়।
উষ্ণতা বাড়লে ধাতব পরিবাহীর পরিবাহিতা কমে কেন?
ধাতব পরিবাহীতে উষ্ণতা বৃদ্ধি পেলে পরমাণুগুলির কম্পন বৃদ্ধি পায়। এর ফলে মুক্ত ইলেকট্রনগুলির প্রবাহপথে বাধার সৃষ্টি হয় এবং ইলেকট্রনের গতিপথে বিচ্যুতি ঘটে। ফলে পরিবাহিতা হ্রাস পায় বা রোধ বৃদ্ধি পায়।
কোন প্রকারের পরিবাহীতে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে?
শুধুমাত্র তড়িৎবিশ্লেষ্য পদার্থের মধ্য দিয়ে তড়িৎপ্রবাহ চালনা করার সময় ইলেক্ট্রোডের পৃষ্ঠে রাসায়নিক বিক্রিয়া সংঘটিত হয়। ধাতব পরিবাহীতে কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে না।
তড়িৎবিশ্লেষণের সময় কী হয়?
তড়িৎবিশ্লেষণের সময় তড়িৎবিশ্লেষ্য পদার্থের দ্রবণ বা গলিত অবস্থায় বিদ্যুৎ প্রবাহিত করলে, ধনাত্মক আয়ন (ক্যাটায়ন) ক্যাথোডে (-ve) এবং ঋণাত্মক আয়ন (অ্যানায়ন) অ্যানোডে (+ve) গিয়ে জমা হয় এবং নতুন পদার্থ উৎপন্ন করে। এটি একটি রাসায়নিক বিক্রিয়া।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “তড়িৎবিশ্লেষ্য পদার্থ ও ধাতব পরিবাহী কাকে বলে? তড়িৎবিশ্লেষ্য পদার্থ ও ধাতব পরিবাহীর মধ্যে পার্থক্য লেখো।” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “তড়িৎবিশ্লেষ্য পদার্থ ও ধাতব পরিবাহী কাকে বলে? তড়িৎবিশ্লেষ্য পদার্থ ও ধাতব পরিবাহীর মধ্যে পার্থক্য লেখো।” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের ষষ্ঠ অধ্যায় “চলতড়িৎ“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন