এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “তড়িৎবিভব ও তড়িৎপ্রবাহ কাকে বলে? তড়িৎবিভব এবং তড়িৎপ্রবাহের মধ্যে সম্পর্ক কী?” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “তড়িৎবিভব ও তড়িৎপ্রবাহ কাকে বলে? তড়িৎবিভব এবং তড়িৎপ্রবাহের মধ্যে সম্পর্ক কী?” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের ষষ্ঠ অধ্যায় “চলতড়িৎ“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়।

তড়িৎবিভব ও তড়িৎপ্রবাহ কাকে বলে?
তড়িৎবিভব – কোনো পরিবাহী তড়িদাহিত হলে ওই পরিবাহীটি অন্য কোনো পরিবাহীকে তড়িৎ দিতে পারে কিংবা অন্য কোনো পরিবাহী থেকে তড়িৎ নিতে পারে। পরিবাহীর এইরকম তড়িৎ অবস্থাকে ওর তড়িৎবিভব বলে। এটি স্কেলার রাশি।
তড়িৎপ্রবাহ – তড়িৎচালক বলের প্রভাবে কোনো পরিবাহীর মধ্য দিয়ে মুক্ত ইলেকট্রনের নিরবচ্ছিন্ন প্রবাহই হল তড়িৎপ্রবাহ।
তড়িৎবিভব এবং তড়িৎপ্রবাহের মধ্যে সম্পর্ক কী?
ভিন্ন বিভবযুক্ত দুটি তড়িৎগ্রস্ত বস্তুকে একটি পরিবাহী তার দিয়ে যোগ করলে ধনাত্মক আধান উচ্চ বিভবযুক্ত বস্তু থেকে নিম্ন বিভবযুক্ত বস্তুতে প্রবাহিত হয়ে তড়িৎপ্রবাহের সৃষ্টি করে। অর্থাৎ, ঋণাত্মক তড়িৎগ্রস্ত বস্তুটির মধ্যে যে অতিরিক্ত ইলেকট্রন আছে তা পরিবাহীর মধ্য দিয়ে ধনাত্মক তড়িৎগ্রস্ত বস্তুর দিকে আসবে। এইভাবে পরিবাহীর মধ্য দিয়ে ইলেকট্রন প্রবাহ ঘটবে। দুটি বস্তুর মধ্যে বিভবপার্থক্য যত বেশি হবে, তড়িৎপ্রবাহ তত বেশি হবে। বস্তু দুটির তড়িৎবিভব সমান হলে অর্থাৎ তাদের বিভবপার্থক্য শূন্য হলে তড়িৎপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। সুতরাং, কোনো পরিবাহীর দু-প্রান্তে বিভব পার্থক্যই পরিবাহীর মধ্য দিয়ে তড়িৎপ্রবাহের কারণ।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
তড়িৎবিভব কী?
কোনো তড়িদাহিত পরিবাহীর অন্য একটি পরিবাহীকে তড়িৎ দান বা গ্রহণ করার সামর্থ্যকেই তার তড়িৎবিভব বলে। এটি একটি স্কেলার রাশি।
তড়িৎপ্রবাহ কী?
তড়িৎচালক বলের প্রভাবে কোনো পরিবাহীর মধ্য দিয়ে মুক্ত ইলেকট্রনের যে নিরবচ্ছিন্ন ও ক্রমাগত প্রবাহ ঘটে, তাকেই তড়িৎপ্রবাহ বলে।
তড়িৎপ্রবাহ সৃষ্টির মূল কারণ কী?
কোনো পরিবাহীর দুটি প্রান্তের মধ্যে বিভব পার্থক্যই হল তড়িৎপ্রবাহ সৃষ্টির মূল কারণ। যতক্ষণ পর্যন্ত বিভব পার্থক্য থাকে, ততক্ষণ পর্যন্ত প্রবাহ চলতে থাকে।
কখন তড়িৎপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়?
যখন দুটি বস্তু বা একটি পরিবাহীর দুটি প্রান্তের তড়িৎবিভব সমান হয়ে যায় (অর্থাৎ বিভবপার্থক্য শূন্য হয়), তখন তড়িৎপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়।
তড়িৎপ্রবাহের দিক কেমন হয়?
প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী, ধনাত্মক আধান উচ্চ বিভব থেকে নিম্ন বিভবের দিকে প্রবাহিত হয়। কিন্তু বাস্তবে, ইলেকট্রন (ঋণাত্মক আধান) নিম্ন বিভব থেকে উচ্চ বিভবের দিকে প্রবাহিত হয়। তাই, তড়িৎপ্রবাহের প্রচলিত দিক এবং ইলেকট্রনের প্রবাহের দিক পরস্পর বিপরীত।
তড়িৎ বিভব কি স্কেলার রাশি নাকি ভেক্টর রাশি?
তড়িৎ বিভব একটি স্কেলার রাশি। এর কেবল মান আছে, দিক নেই।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “তড়িৎবিভব ও তড়িৎপ্রবাহ কাকে বলে? তড়িৎবিভব এবং তড়িৎপ্রবাহের মধ্যে সম্পর্ক কী?” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “তড়িৎবিভব ও তড়িৎপ্রবাহ কাকে বলে? তড়িৎবিভব এবং তড়িৎপ্রবাহের মধ্যে সম্পর্ক কী?” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের ষষ্ঠ অধ্যায় “চলতড়িৎ“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন