এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান বিষয়ের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন — “জিঙ্ক ব্লেন্ডকে জিঙ্কের খনিজ ও আকরিক দুই-ই বলা যায় কেন?” — নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের অষ্টম অধ্যায় “পদার্থের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মসমূহ” -এর “ধাতুবিদ্যা” অংশ থেকে নেওয়া হয়েছে। মাধ্যমিক পরীক্ষা এবং বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় এই প্রশ্নটি প্রায়ই আসে, তাই এটি শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

জিঙ্ক ব্লেন্ডকে জিঙ্কের খনিজ ও আকরিক দুই-ই বলা যায় কেন?
প্রকৃতিতে কোনো মৌল যৌগ আকারে অবস্থান করলে ওই যৌগকে মৌলটির খনিজ বলে। জিঙ্ক ব্লেন্ড যৌগরূপে জিঙ্ককে প্রকৃতিতে পাওয়া যায়। সুতরাং জিঙ্ক ব্লেন্ড জিঙ্কের খনিজ। আবার, যেসব খনিজ পদার্থ থেকে প্রয়োজনীয় ধাতুকে অল্প খরচে ও সহজ উপায়ে নিষ্কাশন করা যায় তাকে ওই ধাতুর আকরিক বলে। জিঙ্ক ব্লেন্ড থেকে জিঙ্ককে অল্প খরচে ও সহজ উপায়ে নিষ্কাশন করা যায়। সুতরাং জিঙ্ক ব্লেন্ড জিঙ্কের আকরিক। এই জন্য জিঙ্ক ব্লেন্ডকে জিঙ্কের খনিজ ও আকরিক দুই-ই বলা হয়।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
জিঙ্ক ব্লেন্ড কী?
জিঙ্ক ব্লেন্ড হল একটি প্রাকৃতিক খনিজ পদার্থ, যার রাসায়নিক নাম জিঙ্ক সালফাইড (ZnS)। এটি প্রকৃতিতে জিঙ্ক ধাতুর একটি প্রধান উৎস।
জিঙ্ক ব্লেন্ডকে কেন জিঙ্কের “খনিজ” বলা হয়?
জিঙ্ক ব্লেন্ডকে জিঙ্কের “খনিজ” বলা হয় কারণ এটি প্রকৃতিতে পাওয়া যায় এবং এতে জিঙ্ক যৌগ (জিঙ্ক সালফাইড) রূপে বিদ্যমান থাকে। কোনো মৌল তার যৌগ রূপে প্রকৃতিতে থাকলে তাকে সেই মৌলের খনিজ বলে।
“খনিজ” এবং “আকরিক” শব্দ দুটির মধ্যে মূল পার্থক্যটি কী?
“খনিজ” এবং “আকরিক” শব্দ দুটির মধ্যে মূল পার্থক্যটি দৃষ্টিভঙ্গির উপর নির্ভরশীল –
1. খনিজ – এটি একটি বৈজ্ঞানিক ও প্রাকৃতিক ধারণা, যা প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট একটি সুনির্দিষ্ট রাসায়নিক যৌগকে বোঝায়।
2. আকরিক – এটি একটি অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত ধারণা, যা বোঝায় যে কোন খনিজটি বাণিজ্যিকভাবে ধাতু নিষ্কাশনের জন্য যথেষ্ট মূল্যবান ও উপযুক্ত।
জিঙ্ক ব্লেন্ড ছাড়া জিঙ্কের অন্য কোন আকরিক আছে কি?
হ্যাঁ, আছে। জিঙ্কাইট (জিঙ্ক অক্সাইড – ZnO) হল জিঙ্কের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ আকরিক। তবে জিঙ্ক ব্লেন্ডই জিঙ্কের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত আকরিক।
জিঙ্ক ব্লেন্ড থেকে জিঙ্ক নিষ্কাশন সহজ কেন?
জিঙ্ক ব্লেন্ড থেকে জিঙ্ক নিষ্কাশন তুলনামূলক সহজ ও লাভজনক, কারণ —
1. এতে জিঙ্কের পরিমাণ বেশি থাকে।
2. এটিকে প্রথমে জারণ করে জিঙ্ক অক্সাইড (ZnO) এ রূপান্তরিত করা হয়, যা পরবর্তীতে কার্বন দিয়ে সহজেই বিজারিত হয়ে জিঙ্ক ধাতু দেয়।
3. এই প্রক্রিয়াটি শিল্পক্ষেত্রে দক্ষতার সাথে সম্পন্ন করা যায়।
জিঙ্কের আরেকটি আকরিকের উদাহরণ দিন।
হ্যাঁ, জিঙ্কাইট (Zincite), যা মূলত জিঙ্ক অক্সাইড (ZnO), জিঙ্কের আরেকটি আকরিক। তবে জিঙ্ক ব্লেন্ডের মতো এতটা সাধারণ নয়।
জিঙ্ক ব্লেন্ডের বাণিজ্যিক নাম কী?
জিঙ্ক ব্লেন্ডের বাণিজ্যিক নাম হলো স্ফালেরাইট (Sphalerite)।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান বিষয়ের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন — “জিঙ্ক ব্লেন্ডকে জিঙ্কের খনিজ ও আকরিক দুই-ই বলা যায় কেন?” — নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের অষ্টম অধ্যায় “পদার্থের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মসমূহ” -এর “ধাতুবিদ্যা” অংশ থেকে নেওয়া হয়েছে। মাধ্যমিক পরীক্ষা এবং বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় এই প্রশ্নটি প্রায়ই আসে, তাই এটি শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন