এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “বাবা রামচন্দ্র স্মরণীয় কেন? কৃষক আন্দোলনে বাবা রামচন্দ্রের ভূমিকা কীরূপ ছিল?” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “বাবা রামচন্দ্র স্মরণীয় কেন? কৃষক আন্দোলনে বাবা রামচন্দ্রের ভূমিকা কীরূপ ছিল?“ প্রশ্নটি মাধ্যমিক ইতিহাসের ষষ্ট অধ্যায় “বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন: বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়।

বাবা রামচন্দ্র স্মরণীয় কেন?
বাবা রামচন্দ্র স্মরণীয় কারণ –
- যুক্তপ্রদেশের (বর্তমান উত্তর প্রদেশের) কৃষক আন্দোলনের অন্যতম নেতা ছিলেন বাবা রামচন্দ্র, তাঁর প্রকৃত নাম ছিল শ্রীধর বলবন্ত জোধপুরকর (মহারাষ্ট্রের এক ব্রাহ্মণ পরিবারের সন্তান)।
- অহিংস অসহযোগ আন্দোলনকালে বেগারশ্রম, অতিরিক্ত কর, জমি থেকে উৎখাত, জমি বেদখল প্রভৃতির বিরুদ্ধে কৃষকদের সংঘবদ্ধ করে তিনি খাজনা বন্ধের আন্দোলন শুরু করলে, সরকার তাঁকে গ্রেফতার করে। তবে কৃষক বিক্ষোভের কারণে সরকার তাঁকে মুক্তি দেন।
- কারামুক্তির পর কৃষকদের সংগঠিত করে 1920 খ্রিস্টাব্দে বাবা রামচন্দ্র “অযোধ্যা কৃষাণ সভা” প্রতিষ্ঠা করে পুনরায় কৃষক আন্দোলন শুরু করলে, সরকার বাধ্য হয়ে “অযোধ্যা খাজনা আইন” পাস করে কৃষকদের ক্ষোভ প্রশমনে বাধ্য হয়।
কৃষক আন্দোলনে বাবা রামচন্দ্রের ভূমিকা কীরূপ ছিল?
যুক্তপ্রদেশের এক বিশিষ্ট কৃষক নেতা ছিলেন বাবা রামচন্দ্র। কৃষকদের ওপর মাত্রাতিরিক্ত করারোপ, অনাদায়ে অত্যাচার, জমি বাজেয়াপ্ত করণ, বেগার শ্রমদান প্রথা প্রভৃতির বিরুদ্ধে যুক্তপ্রদেশের প্রতাপগড় ও রায়বেরিলি অঞ্চলের কৃষকদের সংঘবদ্ধ করে 1920 খ্রিস্টাব্দ নাগাদ তিনি ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন গড়ে তোলেন। তাঁর নেতৃত্ব 1920 খ্রিস্টাব্দে প্রতাপগড়ে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘অযোধ্যা কিষান সভা’। আন্দোলনের তীব্রতায় 1921 খ্রিস্টাব্দে সরকার ‘অযোধ্যা খাজনা আইন’ পাস করে কর ভার কিছুটা লাঘব করতে বাধ্য হয়।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
বাবা রামচন্দ্র কে ছিলেন?
বাবা রামচন্দ্র ছিলেন ব্রিটিশ ভারতের যুক্তপ্রদেশ (বর্তমান উত্তর প্রদেশ) এর একজন বিশিষ্ট কৃষক নেতা। তাঁর প্রকৃত নাম ছিল শ্রীধর বলবন্ত জোধপুরকর, এবং তিনি মহারাষ্ট্রের এক ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
বাবা রামচন্দ্র বিখ্যাত কেন?
তিনি অযোধ্যা কৃষক আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং অযোধ্যা কিষান সভা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাঁর আন্দোলনের ফলে ব্রিটিশ সরকার অযোধ্যা খাজনা আইন পাস করতে বাধ্য হয়, যা কৃষকদের করের বোঝা লাঘব করে।
বাবা রামচন্দ্রের কৃষক আন্দোলনের মূল কারণ কী ছিল?
বাবা রামচন্দ্রের কৃষক আন্দোলনের মূল কারণ ছিল –
1. বেগার শ্রম (জবরদস্তিমূলক শ্রম),
2. অতিরিক্ত কর,
3. জমি থেকে উৎখাত ও বেদখল,
4. কৃষকদের উপর জমিদার ও ব্রিটিশ সরকারের অত্যাচার।
অযোধ্যা কিষান সভা কখন প্রতিষ্ঠিত হয়?
এই সংগঠনটি 1920 সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এটি যুক্তপ্রদেশের (বর্তমান উত্তরপ্রদেশ) কৃষকদের সংগঠিত করে ব্রিটিশ ও জমিদারদের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলে।
বাবা রামচন্দ্রের আন্দোলনের ফলাফল কী ছিল?
বাবা রামচন্দ্রের আন্দোলনের চাপে ব্রিটিশ সরকার 1921 সালে অযোধ্যা খাজনা আইন পাস করে, যা কৃষকদের কিছুটা রাহাত দেয়।
বাবা রামচন্দ্রকে কেন গ্রেফতার করা হয়েছিল?
তিনি খাজনা বন্ধ আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন, যার ফলে ব্রিটিশ সরকার তাঁকে গ্রেফতার করে। তবে কৃষকদের ব্যাপক বিক্ষোভের কারণে তাঁকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।
বাবা রামচন্দ্রের আন্দোলন কোন অঞ্চলে সবচেয়ে শক্তিশালী ছিল?
তাঁর আন্দোলন প্রতাপগড় ও রায়বেরিলি অঞ্চলে বিশেষভাবে শক্তিশালী ছিল।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “বাবা রামচন্দ্র স্মরণীয় কেন? কৃষক আন্দোলনে বাবা রামচন্দ্রের ভূমিকা কীরূপ ছিল?” নিয়ে আলোচনা করেছি। এই “বাবা রামচন্দ্র স্মরণীয় কেন? কৃষক আন্দোলনে বাবা রামচন্দ্রের ভূমিকা কীরূপ ছিল?” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ইতিহাসের ষষ্ঠ অধ্যায় “বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন: বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা” -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন