এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “দীপালি সংঘ কেন প্রতিষ্ঠিত হয়? দীপালি সংঘের কার্যাবলি কী ছিল?” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “দীপালি সংঘ কেন প্রতিষ্ঠিত হয়? দীপালি সংঘের কার্যাবলি কী ছিল?” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ইতিহাসের সপ্তম অধ্যায় “বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়।

দীপালি সংঘ কেন প্রতিষ্ঠিত হয়?
1923 খ্রিস্টাব্দে ডিসেম্বর মাসে লীলা নাগ (পরবর্তীকালে বিপ্লবী অনিল রায়ের সঙ্গে বিবাহ সূত্রে আবদ্ধ হয়ে লীলা রায় নামে পরিচিত হন) ঢাকায় ‘দীপালি সংঘ’ প্রতিষ্ঠা করেন।
দীপালি সংঘ প্রতিষ্ঠার কারণ/উদ্দেশ্য –
- দীপালি সংঘ প্রতিষ্ঠার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল নারী শিক্ষা ও নারী প্রগতি অর্থাৎ মেয়েদের শিক্ষিত, আত্মসচেতন ও সাবলম্বী করে গড়ে তোলা।
- নারীদের স্বদেশপ্রেম ও বৈপ্লবিক চিন্তা-চেতনার উন্মেষ ঘটানো, পুরুষদের পাশাপাশি নারীদেরকেও স্বদেশ মুক্তির সৈনিক হিসেবে গড়ে তোলা।
- নারীদের লাঠিখেলা, শরীরচর্চা, অস্ত্র চালানো প্রভৃতির প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের সাহসী এবং শক্তিশালী করে তোলা।
- দীপালি সংঘের মুখপত্র মাসিক পত্রিকা “জয়শ্রী”-তে দীপালি সংঘের আদর্শ ও কার্যকলাপ নিয়মিতভাবে প্রকাশিত হত। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্বয়ং “জয়শ্রী” পত্রিকার নামকরণ করেন।
দীপালি সংঘের কার্যাবলি কী ছিল?
দীপালি সংঘের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল নারী শক্তির জাগরণ, নারীর আত্মপ্রতিষ্ঠা এবং সর্বোপরি সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলনে নারী সমাজকে শামিল করা। এই উদ্দেশ্যে ‘দীপালি সংঘ’-এর তরফে মেয়েদের শিক্ষিত করার পাশাপাশি লাঠি খেলা, শরীর চর্চা, অস্ত্র চালনা প্রভৃতির প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে মেয়েদের অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী করে তুলতে 1924 খ্রিস্টাব্দে থেকে শুরু হয় ‘দীপালি প্রদর্শনী’। মেয়েদের তৈরি দ্রব্য সামগ্রী এখানে প্রদর্শন ও বিক্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
দীপালি সংঘ কে প্রতিষ্ঠা করেন?
1923 সালের ডিসেম্বর মাসে লীলা নাগ (পরবর্তীতে লীলা রায়) ঢাকায় দীপালি সংঘ প্রতিষ্ঠা করেন।
দীপালি সংঘ প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য কী ছিল?
দীপালি সংঘের মূল উদ্দেশ্য ছিল –
1. নারী শিক্ষা ও নারী প্রগতি অর্থাৎ মেয়েদের শিক্ষিত, আত্মসচেতন ও স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলা।
2. নারীদের মধ্যে স্বদেশপ্রেম ও বিপ্লবী চেতনা জাগ্রত করা।
3. নারীদেরকে লাঠিখেলা, শরীরচর্চা ও অস্ত্রচালনার প্রশিক্ষণ দেওয়া।
দীপালি সংঘের মুখপত্র কী ছিল?
দীপালি সংঘের মুখপত্র ছিল “জয়শ্রী” নামক একটি মাসিক পত্রিকা, যার নামকরণ করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
দীপালি সংঘের কার্যাবলি কী ছিল?
দীপালি সংঘের উল্লেখযোগ্য কার্যাবলি ছিল –
1. মেয়েদের শিক্ষিত করে তোলা।
2. লাঠিখেলা, শরীরচর্চা ও অস্ত্রচালনার প্রশিক্ষণ দেওয়া।
3. নারীদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে দীপালি প্রদর্শনী আয়োজন করা (1924 সাল থেকে), যেখানে নারীদের তৈরি দ্রব্য বিক্রি হতো।
দীপালি সংঘের প্রতিষ্ঠাতা লীলা নাগের পরবর্তী পরিচয় কী?
লীলা নাগ পরে বিপ্লবী অনিল রায়-এর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে লীলা রায় নামে পরিচিত হন।
দীপালি সংঘের মাধ্যমে নারীদের কীভাবে স্বাধীনতা আন্দোলনে যুক্ত করা হয়েছিল?
দীপালি সংঘ নারীদেরকে শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুত করে স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করত, বিশেষ করে সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলনে নারীদের ভূমিকা বৃদ্ধির জন্য।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “দীপালি সংঘ কেন প্রতিষ্ঠিত হয়? দীপালি সংঘের কার্যাবলি কী ছিল?” নিয়ে আলোচনা করেছি। এই “দীপালি সংঘ কেন প্রতিষ্ঠিত হয়? দীপালি সংঘের কার্যাবলি কী ছিল?” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ইতিহাসের সপ্তম অধ্যায় “বিশ শতকের ভারতে নারী, ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন: বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ” -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন