আমরা আমাদের আর্টিকেলে মাধ্যমিক (দশম শ্রেণী) ভূগোলের প্রথম অধ্যায় “বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ” -এর “বহির্জাত প্রক্রিয়া ও নদীর কাজ দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ” বিভাগের কিছু গুরুত্বপূর্ণ “দীর্ঘধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর” নিয়ে আলোচনা করবো। এই প্রশ্নগুলো মাধ্যমিক (দশম শ্রেণী) ভূগোল পরীক্ষার জন্য ও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

নদীর ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপগুলির বর্ণনা করো।
নদীর ক্ষয়জাত ভূমিরূপ
উৎস থেকে মোহানা পর্যন্ত নদী তার গতিপথে তিনটি কাজ করে – ক্ষয়, বহন এবং সঞ্চয়। এগুলির মধ্যে নদীর ক্ষয়কার্যের ফলে যেসব ভূমিরূপ গঠিত হয় সেগুলি হল
‘I’- আকৃতির উপত্যকা ও ক্যানিয়ন –
শুষ্ক ও প্রায়-শুষ্ক পার্বত্য অঞ্চলে নদীর ক্ষয়কার্যের ফলে ‘I’-আকৃতির নদী উপত্যকার সৃষ্টি হয়। কারণ, বৃষ্টিপাতের স্বল্পতার জন্য নদী উপত্যকাগুলির পার্শ্বদেশের বিস্তার কম, কিন্তু ভূমির ঢাল বেশি হওয়ায় নদীগুলির নিম্নক্ষয় বেশি হয়। এজন্য নদী উপত্যকা সংকীর্ণ ও গভীর হয়ে ইংরেজি ‘I’ অক্ষরের মতো দেখতে হয়। শুষ্ক অঞ্চলে গভীর ‘I’-আকৃতির উপত্যকাকে ক্যানিয়ন বলা হয়। যেমন – কলোরাডো নদীর গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন (গভীরতা প্রায় 1857 মিটার)।

‘V’-আকৃতির উপত্যকা ও গিরিখাত –
আর্দ্র ও আর্দ্রপ্রায় অঞ্চলে নদীর ঊর্ধ্ব বা পার্বত্য প্রবাহে ভূমির ঢাল অধিক থাকায় নদীগুলি প্রবলভাবে নিম্নক্ষয় করে। এরূপ নিম্নক্ষয়ের কারণে নদী উপত্যকাগুলি যেমন সংকীর্ণ ও গভীর হয়ে ওঠে তেমনি আবহবিকার, পুঞ্জিত ক্ষয় ইত্যাদির প্রভাবে কিছু পরিমাণ পার্শ্বক্ষয়ও চলে। ফলে নদী উপত্যকা পূর্বাপেক্ষা চওড়া হয়ে ‘V’ আকৃতি ধারণ করে। অতিগভীর ‘V’-আকৃতির উপত্যকাকে বলা হয় গিরিখাত। যেমন – নেপালের কালী নদীর গিরিখাত।

জলপ্রপাত –
নদীর গতিপথে কঠিন ও কোমল শিলাস্তর ওপর-নীচে আড়াআড়িভাবে থাকলে প্রবল স্রোতে কঠিন ও কোমল শিলার সন্ধিস্থল উন্মুক্ত হয় এবং ওপরের কঠিন শিলাস্তর ধীরে ধীরে ক্ষয়প্রাপ্ত হলে নীচের কোমল শিলাস্তর বেরিয়ে আসে। কোমল শিলাস্তর দ্রুত ক্ষয় পাওয়ার কারণে নদীস্রোত হঠাৎ খাড়া ঢাল সৃষ্টি করে প্রবল বেগে নীচে পড়ে। একেই বলা হয় জলপ্রপাত। উদাহরণ – ভেনেজুয়েলার ক্যারোনি (Caroni) নদীর উপনদী চুরান (Churun) নদীর গতিপথে সৃষ্ট অ্যাঞ্জেল প্রপাতটি পৃথিবীর উচ্চতম জলপ্রপাত।

পটহোল বা মন্থকূপ –
পার্বত্য অঞ্চলে প্রবল স্রোতের সঙ্গে বাহিত বড়ো বড়ো পাথরের সঙ্গে নদীখাতের সংঘর্ষের ফলে অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় নদীর বুকে মাঝে মাঝে যে গোলাকার গর্ত সৃষ্টি হয়, সেগুলিকে বলা হয় পটহোল বা মন্থকূপ। উদাহরণ – দক্ষিণ আফ্রিকার ব্লাইড নদীখাতে অনেকগুলি মন্থকূপের সৃষ্টি হয়েছে। তিস্তা নদীর পার্বত্য প্রবাহেও ম্যকূপ দেখা যায়।

শৃঙ্খলিত শৈলশিরা –
পার্বত্য অঞ্চলে অনেক সময় কঠিন শিলাগঠিত শৈলশিরাসমূহ নদীর গতিপথে এমনভাবে বাধার সৃষ্টি করে যে, সেই বাধা এড়াতে নদী শৈলশিরাগুলির পাদদেশ ক্ষয় করে এঁকেবেঁকে প্রবাহিত হয়। তখন পরপর অবস্থিত ওই শৈলশিরাগুলিকে দূর থেকে দেখলে মনে হয়, ওগুলি যেন একত্রে শৃঙ্খলিত বা আবদ্ধ হয়ে আছে। একেই বলা হয় শৃঙ্খলিত শৈলশিরা।

কর্তিত শৈলশিরা –
পার্বত্য প্রবাহে নদী উপত্যকার দুই পাশের বহিঃপ্রসূত বা নদীর দিকে বেরিয়ে থাকা শৈলশিরাগুলির সামনের অংশটি নদীর ক্ষয়কার্যের ফলে ক্রমশ মসৃণ হয়ে যায়। এই ধরনের শৈলশিরাগুলিকে বলে কর্তিত শৈলশিরা। হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলে তিস্তা, তোর্সা, মহানন্দা প্রভৃতি নদীর গতিপথে এই ধরনের শৈলশিরা দেখা যায়।
নদীর সঞ্চয়কার্যের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপগুলির সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।
নদীর সঞ্চয়জাত ভূমিরূপ –
নদী পার্বত্য অঞ্চলে প্রধানত ক্ষয়কাজ করে এবং সমভূমি অঞ্চলে সঞ্চয়কাজ করে। নদীর এই সঞ্চয়কাজের ফলে কতকগুলি উল্লেখযোগ্য ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়। যেমন –

নীচে এই বিভিন্ন প্রকার ভূমিরূপ সম্পর্কে আলোচনা করা হল –
ত্রিকোণাকার পললভূমি বা পলল ব্যজনী –
উৎপত্তি – পার্বত্য অঞ্চল ছেড়ে নদী সমভূমিতে এসে পড়লে, ভূমির ঢাল হঠাৎ কমে যায় বলে নদীর গতিবেগ এবং বহনক্ষমতা-উভয়ই হ্রাস পায়। এর ফলে সমভূমিতে অবতরণের স্থানে অর্থাৎ, পর্বতের পাদদেশীয় অঞ্চলে নদী উপত্যকায় পলি, বালি, কাঁকর প্রভৃতি জমে ত্রিকোণাকার পললভূমির সৃষ্টি হয়। প্রধানত পলি গঠিত এবং ব্যজনী (হাত পাখা) -এর মতো দেখতে হয় বলে একে পলল ব্যজনীও বলে।
উদাহরণ – হিমালয়ের পাদদেশে গঙ্গার বিভিন্ন উপনদীর গতিপথে এই ধরনের ভূমিরূপ প্রায়শই দেখা যায়।

নদীচর –
উৎপত্তি – সমভূমিতে নদীর গতিবেগ কম থাকার দরুন পার্বত্য অঞ্চল থেকে বয়ে আনা নুড়ি, পাথর, বালি প্রভৃতি নদীবক্ষে সঞ্চিত হয় এবং জলপ্রবাহকে রুদ্ধ করে। এইভাবে নদীবক্ষে চরের আকারে সঞ্চিত পলিরাশিকে নদীচর বা বালুচর বলে।
উদাহরণ – অসম সমভূমিতে ব্রহ্মপুত্র নদের মাজুলি দ্বীপটি ভারতের বৃহত্তম নদীচর বা নদী-দ্বীপ।

প্লাবনভূমি –
উৎপত্তি – সমভূমিতে ভূমির ঢাল কম থাকে বলে নদী ধীরগতিতে প্রবাহিত হয়। বর্ষাকালে গতিপথের এই অংশে নদীতে হঠাৎ জল বেড়ে গেলে নদীর দু-কূল ছাপিয়ে উপত্যকায় বন্যা বা প্লাবন হয়। প্লাবিত অঞ্চলে নদীর জলের সঙ্গে বাহিত কাদা, পলি, বালি প্রভৃতি সঞ্চিত হয়ে যে সমতলভূমির সৃষ্টি হয়, তাকে বলে প্লাবনভূমি বা প্লাবন সমভূমি।
উদাহরণ – বিহারে গঙ্গানদীর গতিপথের দুই পাশে এই প্রকার ভূমিরূপ লক্ষ করা যায়।

স্বাভাবিক বাঁধ –
উৎপত্তি – সমভূমিতে নদীর গতিবেগ কম থাকে বলে ঊর্ধ্বপ্রবাহে জলের সঙ্গে যেসব পলি, বালি, কাদা বাহিত হয়ে আসে, নদী আর সেগুলি বহন করতে পারে না। বন্যার সময় সেগুলি নদীর দুই তীরে ক্রমশ সঞ্চিত হয়ে বাঁধের মতো উঁচু হয়ে যায়। প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ায় গঠিত হয় বলে এর নাম স্বাভাবিক বাঁধ।
উদাহরণ – সমভূমিতে গঙ্গার দুই তীরে বা মিশরে নীলনদের দুই তীরে উঁচু স্বাভাবিক বাঁধ দেখা যায়।
বদ্বীপ –
উৎপত্তি – নদীর জলের সঙ্গে বাহিত পলি, কাদা মোহানার কাছে সমুদ্রের লবণাক্ত জলের সংস্পর্শে এসে সহজে সংবদ্ধ হয় এবং নদীর মোহানায় বা অগভীর সমুদ্রে জমা হয়। এগুলি ক্রমশ জমে জমে মোহানার কাছে যে নতুন ভূখণ্ডের সৃষ্টি করে, তাকে দ্বীপ বলে। পৃথিবীর অধিকাংশ দ্বীপগুলি দেখতে ঠিক ওলটানো মাত্রাহীন বাংলা অক্ষর ‘ব’ -এর মতো অথবা গ্রিক অক্ষর ‘ডেল্টা’ (Δ) -র মতো হওয়ায় এদের বদ্বীপ বলে।
উদাহরণ – গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র নদীর মোহানায় গড়ে ওঠা বদ্বীপ পৃথিবীর বৃহত্তম বদ্বীপ। আবার আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপি- মিসৌরি নদীর বদ্বীপের আকৃতি পাখির পায়ের মতো।

বিভিন্ন গতিতে নদীর কার্যের তুলনামূলক সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।
বিভিন্ন গতিতে নদীর কার্যের তুলনা –
গতিপথের বিভিন্ন অংশে নদীর কার্যের মধ্যে যথেষ্ট বৈচিত্র্য লক্ষ করা যায়, যেমন –
| তুলনার বিষয় | উচ্চগতি | মধ্যগতি | নিম্নগতি | 
| এলাকা | পার্বত্য অঞ্চলে যেখানে নদীর উৎপত্তি হয় সেখান থেকে সমভূমিতে নেমে আসার আগে পর্যন্ত নদীর পার্বত্য প্রবাহ বা উচ্চগতি। | পার্বত্য অঞ্চল ছেড়ে নদী যখন সমভূমির ওপর দিয়ে বয়ে যায়, তখন নদীর সেই প্রবাহ পথটি হল সমভূমি প্রবাহ বা মধ্যগতি। | নদী প্রবাহপথে যখন সাগরের নিকটে এসে পড়ে, অর্থাৎ মোহানার কাছাকাছি অঞ্চলে নদীর প্রবাহের নাম বদ্বীপ প্রবাহ বা নিম্নগতি। | 
| গতিবেগ | ভূমির ঢাল খুব বেশি থাকে বলে নদী প্রবলবেগে নীচের দিকে বয়ে চলে, অর্থাৎ এই অংশে নদী খরস্রোতা। | ভূমির ঢাল অপেক্ষাকৃত কম থাকে বলে স্রোতের বেগও কমে যায়। | ভূমির ঢাল খুব কমে যায় বলে নদী অত্যন্ত ধীরগতিতে এগোয়। | 
| কাজ | প্রবল স্রোতের জন্য নদী এই অংশে প্রধানত ক্ষয়কার্য করে। পার্থক্ষয়ের তুলনায় নিম্নক্ষয় খুব বেশি হয়। এ ছাড়া, এই অংশে নদী ক্ষয়জাত বড়ো বড়ো শিলাখণ্ড বহন করে নিয়ে যায়। | স্রোতের বেগ অপেক্ষাকৃত কম থাকে বলে মধ্যগতিতে নদীর প্রধান কাজ হয় বহন এবং বাহিত পদার্থের কিছু পরিমাণ অবক্ষেপণ। এই অংশে নদী ছোটো ছোটো শিলাখণ্ড ও পলি বহন করে নিয়ে যায় এবং কিছু পরিমাণ পার্শ্বক্ষয়ও করে। | স্রোতের বেগ খুব সামান্য থাকে বলে নিম্নগতিতে নদীর ক্ষয়কার্যের ক্ষমতা প্রায় থাকে না এবং তাই তার প্রধান কাজ হয় বাহিত অতিসূক্ষ্ম কণাসমূহের নদীখাতে অবক্ষেপণ বা সঞ্চয়। | 
| খাতের আকৃতি | নিম্নক্ষয় খুব বেশি হয় বলে নদীখাত খুব সংকীর্ণ ও গভীর হয়ে ইংরেজি অক্ষর ‘I’ এবং ‘V’-আকৃতির হয়। | নিম্নক্ষয়ের তুলনায় পার্শ্বক্ষয় বেশি হয় বলে কম গভীরতাবিশিষ্ট চওড়া নদীখাতের সৃষ্টি হয়। | ক্ষয়কার্য বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এবং অবক্ষেপণ প্রাধান্য পাওয়ায় নদীখাত খুব প্রশস্ত এবং প্রকৃতই অগভীর হয়। | 
| সৃষ্ট ভূমিরূপ | মন্থকূপ বা পটহোল, জলপ্রপাত, খরস্রোত, শৃঙ্খলিত শৈলশিরা প্রভৃতির সৃষ্টি হয়। | পলল ব্যজনী বা ত্রিকোণ পললভূমি, নদীচর, প্লাবনভূমি, স্বাভাবিক বাঁধ, অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ প্রভৃতি গঠিত হয়। | বিস্তৃত প্লাবনভূমি, উঁচু স্বাভাবিক বাঁধ, বৃহদাকার অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ, বদ্বীপ প্রভৃতি গড়ে ওঠে। | 

নদীর পার্বত্য প্রবাহ বা উচ্চগতি কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
অথবা, পার্বত্য প্রবাহ বা উচ্চগতিতে নদীর প্রধান কাজ কী?
অথবা, পার্বত্য প্রবাহ বা উচ্চগতিতে নদীর কার্যের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।
নদীর পার্বত্য প্রবাহ বা উচ্চগতি –
পার্বত্য অঞ্চলে যেখানে নদীর উৎপত্তি হয়, সেখান থেকে সমভূমিতে নেমে আসার আগে পর্যন্ত নদীর গতিপথকে বলে পার্বত্য প্রবাহ বা উচ্চগতি। উদাহরণ – গঙ্গোত্রী হিমবাহের গোমুখ তুষারগুহা থেকে হরিদ্বার পর্যন্ত গঙ্গানদীর উচ্চগতি বা পার্বত্য প্রবাহ।
পার্বত্য প্রবাহে নদীর প্রধান কাজ –
পার্বত্য প্রবাহ বা উচ্চগতিতে নদী প্রধানত ক্ষয়কার্য (মূলত নিম্নক্ষয়) করে। তা ছাড়া, এই অংশে নদী ক্ষয়জাত পদার্থ বহনও করে।
পার্বত্য প্রবাহে নদীগঠিত ভূমিরূপসমূহ –
উৎস থেকে মোহানা পর্যন্ত নদী তার গতিপথে তিনটি কাজ করে – ক্ষয়, বহন এবং সঞ্চয়। এগুলির মধ্যে নদীর ক্ষয়কার্যের ফলে যেসব ভূমিরূপ গঠিত হয় সেগুলি হল
‘I’- আকৃতির উপত্যকা ও ক্যানিয়ন –
শুষ্ক ও প্রায়-শুষ্ক পার্বত্য অঞ্চলে নদীর ক্ষয়কার্যের ফলে ‘I’-আকৃতির নদী উপত্যকার সৃষ্টি হয়। কারণ, বৃষ্টিপাতের স্বল্পতার জন্য নদী উপত্যকাগুলির পার্শ্বদেশের বিস্তার কম, কিন্তু ভূমির ঢাল বেশি হওয়ায় নদীগুলির নিম্নক্ষয় বেশি হয়। এজন্য নদী উপত্যকা সংকীর্ণ ও গভীর হয়ে ইংরেজি ‘I’ অক্ষরের মতো দেখতে হয়। শুষ্ক অঞ্চলে গভীর ‘I’-আকৃতির উপত্যকাকে ক্যানিয়ন বলা হয়। যেমন – কলোরাডো নদীর গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন (গভীরতা প্রায় 1857 মিটার)।

‘V’-আকৃতির উপত্যকা ও গিরিখাত –
আর্দ্র ও আর্দ্রপ্রায় অঞ্চলে নদীর ঊর্ধ্ব বা পার্বত্য প্রবাহে ভূমির ঢাল অধিক থাকায় নদীগুলি প্রবলভাবে নিম্নক্ষয় করে। এরূপ নিম্নক্ষয়ের কারণে নদী উপত্যকাগুলি যেমন সংকীর্ণ ও গভীর হয়ে ওঠে তেমনি আবহবিকার, পুঞ্জিত ক্ষয় ইত্যাদির প্রভাবে কিছু পরিমাণ পার্শ্বক্ষয়ও চলে। ফলে নদী উপত্যকা পূর্বাপেক্ষা চওড়া হয়ে ‘V’ আকৃতি ধারণ করে। অতিগভীর ‘V’-আকৃতির উপত্যকাকে বলা হয় গিরিখাত। যেমন – নেপালের কালী নদীর গিরিখাত।

জলপ্রপাত –
নদীর গতিপথে কঠিন ও কোমল শিলাস্তর ওপর-নীচে আড়াআড়িভাবে থাকলে প্রবল স্রোতে কঠিন ও কোমল শিলার সন্ধিস্থল উন্মুক্ত হয় এবং ওপরের কঠিন শিলাস্তর ধীরে ধীরে ক্ষয়প্রাপ্ত হলে নীচের কোমল শিলাস্তর বেরিয়ে আসে। কোমল শিলাস্তর দ্রুত ক্ষয় পাওয়ার কারণে নদীস্রোত হঠাৎ খাড়া ঢাল সৃষ্টি করে প্রবল বেগে নীচে পড়ে। একেই বলা হয় জলপ্রপাত। উদাহরণ – ভেনেজুয়েলার ক্যারোনি (Caroni) নদীর উপনদী চুরান (Churun) নদীর গতিপথে সৃষ্ট অ্যাঞ্জেল প্রপাতটি পৃথিবীর উচ্চতম জলপ্রপাত।

পটহোল বা মন্থকূপ –
পার্বত্য অঞ্চলে প্রবল স্রোতের সঙ্গে বাহিত বড়ো বড়ো পাথরের সঙ্গে নদীখাতের সংঘর্ষের ফলে অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় নদীর বুকে মাঝে মাঝে যে গোলাকার গর্ত সৃষ্টি হয়, সেগুলিকে বলা হয় পটহোল বা মন্থকূপ। উদাহরণ – দক্ষিণ আফ্রিকার ব্লাইড নদীখাতে অনেকগুলি মন্থকূপের সৃষ্টি হয়েছে। তিস্তা নদীর পার্বত্য প্রবাহেও ম্যকূপ দেখা যায়।

শৃঙ্খলিত শৈলশিরা –
পার্বত্য অঞ্চলে অনেক সময় কঠিন শিলাগঠিত শৈলশিরাসমূহ নদীর গতিপথে এমনভাবে বাধার সৃষ্টি করে যে, সেই বাধা এড়াতে নদী শৈলশিরাগুলির পাদদেশ ক্ষয় করে এঁকেবেঁকে প্রবাহিত হয়। তখন পরপর অবস্থিত ওই শৈলশিরাগুলিকে দূর থেকে দেখলে মনে হয়, ওগুলি যেন একত্রে শৃঙ্খলিত বা আবদ্ধ হয়ে আছে। একেই বলা হয় শৃঙ্খলিত শৈলশিরা।

কর্তিত শৈলশিরা –
পার্বত্য প্রবাহে নদী উপত্যকার দুই পাশের বহিঃপ্রসূত বা নদীর দিকে বেরিয়ে থাকা শৈলশিরাগুলির সামনের অংশটি নদীর ক্ষয়কার্যের ফলে ক্রমশ মসৃণ হয়ে যায়। এই ধরনের শৈলশিরাগুলিকে বলে কর্তিত শৈলশিরা। হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলে তিস্তা, তোর্সা, মহানন্দা প্রভৃতি নদীর গতিপথে এই ধরনের শৈলশিরা দেখা যায়।
নদীর বদ্বীপ প্রবাহ বা নিম্নগতি কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
অথবা, বদ্বীপ প্রবাহ বা নিম্নগতিতে নদীর প্রধান কাজ কী?
অথবা, বদ্বীপ প্রবাহ বা নিম্নগতিতে নদীর কার্যের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।
নদীর বদ্বীপ প্রবাহ বা নিম্নগতি –
মোহানার কাছাকাছি নদীর গতিপথটিকে বলা হয় বদ্বীপ প্রবাহ বা নিম্নগতি। উদাহরণ – পশ্চিমবঙ্গের ধূলিয়ানের পর থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত গঙ্গার বদ্বীপ প্রবাহ বা নিম্নগতি।
বদ্বীপ প্রবাহে নদীর প্রধান কাজ –
বদ্বীপ প্রবাহ বা নিম্নগতিতে নদীর প্রধান কাজ হল বাহিত সূক্ষ্ম পলি, বালি ও কাদার সঞ্চয় বা অবক্ষেপণ। তবে এই অংশে নদী অল্প পরিমাণে বহনও করে।
বদ্বীপ প্রবাহে নদীগঠিত ভূমিরূপ –
বদ্বীপ প্রবাহ বা নিম্নগতিতে নদীর কার্যের ফলে বিভিন্ন প্রকার ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে, প্লাবনভূমি ও স্বাভাবিক বাঁধ, নদীচর ও বিনুনি নদী এবং অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ যেমন নদীর মধ্য বা সমভূমি প্রবাহে দেখা যায়, তেমনি আবার এই ভূমিরূপগুলি নিম্ন বা বদ্বীপ প্রবাহেও দেখা যায়। বদ্বীপ প্রবাহে নদীগঠিত ভূমিরূপগুলি হল-

প্লাবনভূমি ও স্বাভাবিক বাঁধ –
বর্ষাকালে নদীতে জল বেড়ে গেলে নদীর দু-কূল ছাপিয়ে উপত্যকায় বন্যা বা প্লাবন হয় এবং প্লাবিত অঞ্চলে কাদা, পলি, বালি প্রভৃতি সঞ্চিত হয়ে গঠিত হয় প্লাবনভূমি। আবার, নদীর দুই তীরে ক্রমাগত বালি, পলি, কাদা প্রভৃতি জমা হয়ে তীরভূমি ধীরে ধীরে বাঁধের মতো উঁচু হয়ে যায়। এইভাবে প্রাকৃতিক ক্রিয়ায় গঠিত হয় বলে একে স্বাভাবিক বাঁধ বলা হয়। উদাহরণ-বিহারের রাজমহল অঞ্চলে গঙ্গার গতিপথের দু-পাশে প্লাবনভূমি ও স্বাভাবিক বাঁধ দেখা যায়।
নদীচর ও বিনুনি নদী –
নদীর স্রোতের সঙ্গে বাহিত বালি, পলি ও কাদা নিম্নপ্রবাহে নদীবক্ষে সঞ্চিত হয় এবং এর ফলে নদীবক্ষে বালির চর ও দ্বীপের সৃষ্টি হয়।

নদীর নিম্নগতিতে ভূমির ঢাল হ্রাস পাওয়ার জন্য নদী জালের মতো একাধিক খাতের মধ্যে দিয়ে বইতে থাকে। এই নদীঘাতগুলি বিনুনি বার বা মিড-চ্যানেল বার দ্বারা পরস্পর থেকে পৃথক থাকে। চুলের বিনুনির মতো দেখতে এরূপ নদীখাতকে বিনুনি নদী বলা হয়।
অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ –
সমভূমি অঞ্চলের ওপর দিয়ে নদী খুব বেশি এঁকেবেঁকে প্রবাহিত হলে অনেক সময় দুটি বাঁকের মাঝখানের ভূমি ক্ষয় করে নদী সোজা বয়ে যায়। পরিত্যক্ত বাঁক তখন হ্রদ বা বিলে পরিণত হয়। একে অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ বা মর্ট হ্রদ বলে। যেমন – গঙ্গানদীর মধ্য এবং নিম্নগতিতে অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ দেখতে পাওয়া যায়।
অগভীর এবং প্রশস্ত নদী উপত্যকা –
বদ্বীপ প্রবাহ বা নিম্নগতিতে নদীর স্রোতের বেগ খুব কমে যায় বলে জলের সঙ্গে বাহিত পলি, কাদা প্রভৃতি বেশি করে নদীর বুকে সঞ্চিত হতে থাকে এবং এর ফলে নদীখাত ক্রমশ অগভীর ও খুব প্রশস্ত হয়ে ওঠে।
বদ্বীপ –
নদীর জলের সঙ্গে বাহিত পলি, কাদা প্রভৃতি মোহানার কাছে সমুদ্রের লবণাক্ত জলের সংস্পর্শে এসে সহজে সংবদ্ধ হয় এবং নতুন নতুন ভূভাগের সৃষ্টি করে। এইসব ভূভাগের আকৃতি সাধারণত গ্রিক অক্ষর (Δ) ডেল্টা বা ওলটানো মাত্রাহীন বাংলা অক্ষর ‘ব’ -এর মতো হয় বলে এগুলিকে ডেল্টা বা বদ্বীপ বলা হয়। গঙ্গানদীর মোহানায় গড়ে ওঠা বদ্বীপ বিশ্বের বৃহত্তম বদ্বীপ।
জলপ্রপাত সৃষ্টির কারণগুলি আলোচনা করো।
জলপ্রপাত সৃষ্টির কারণ –
পৃথিবীতে ছোটো-বড়ো অসংখ্য জলপ্রপাত আছে। সেগুলি বিভিন্ন কারণে সৃষ্টি হয়েছে। কারণগুলি হল –

- চ্যুতি – নদীর গতিপথে হঠাৎ কোনো চ্যুতি গঠিত হলে খাড়া ঢালের সৃষ্টি হয়। এর ফলে জলপ্রপাতের সৃষ্টি হয়।
- শৈলশিরার অবস্থান – অনেক সময় দেখা যায়, নদীর গতিপথে কঠিন লাভা শৈলশিরার ন্যায় অবস্থান করছে। এর ফলে ঢালের তারতম্যজনিত কারণে অনেক সময় জলপ্রপাতের সৃষ্টি হয়।
- ভূ-আন্দোলন – ভূ-আন্দোলনের ফলে কোনো স্থানে হঠাৎ খাড়া ঢালের সৃষ্টি হতে দেখা যায়। এইরূপ স্থানের ওপর দিয়ে নদী প্রবাহিত হলে সেখানে জলপ্রপাতের সৃষ্টি হয়।
- ঝুলন্ত উপত্যকা – পার্বত্য অঞ্চলে হিমবাহের ক্ষয়কার্যের ফলে ঝুলন্ত উপত্যকার সৃষ্টি হয়। এই ঝুলন্ত উপত্যকার অগ্রভাগে খাড়া ঢাল থাকায় এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে নদী প্রবাহিত হলে জলপ্রপাত সৃষ্টি হয়।
- শিলাস্তরের বিন্যাস – ভূপৃষ্ঠের সব অংশ একই ধরনের শিলা দ্বারা গঠিত হয় না। এর ফলে পাশাপাশি কঠিন ও কোমল শিলার ওপর দিয়ে নদী যখন প্রবাহিত হয় তখন কোমল শিলায় অধিক ক্ষয় করে খাড়া ঢালের সৃষ্টি করে এবং জলপ্রপাতের সৃষ্টি হয়।
নদীর মোহানায় বদ্বীপ সৃষ্টির ভৌগোলিক কারণগুলি লেখো।
নদীর মোহানায় বদ্বীপ সৃষ্টির ভৌগোলিক কারণ –
সব নদীর মোহানায় বদ্বীপ গড়ে ওঠে না। কয়েকটি বিশেষ ভৌগোলিক পরিবেশের ওপর নির্ভর করে বদ্বীপ গড়ে ওঠে –
- পলিরাশির পরিমাণ – নদী অববাহিকা বৃহৎ, নদীর প্রবাহপথ দীর্ঘ ও নদী অববাহিকা অঞ্চলের শিলা নরম প্রকৃতির হলে এবং অনেক উপনদী ওই নদীতে এসে মিশলে ওইসব নদীতে পলির পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে নদীর জল অতিরিক্ত পলিসমৃদ্ধ হয়ে বদ্বীপ সৃষ্টি সম্ভব হয়।
- সমুদ্রের ঢেউ ও জোয়ারভাটা – নদীমোহানায় জোয়ারভাটার প্রকোপ থাকলে এবং ঢেউয়ের তীব্রতা কম হলে দ্রুত বদ্বীপ গড়ে উঠতে পারে।
- আবহাওয়া ও জলবায়ু – যেসব নদীর মোহানায় নদীর স্রোতের বিপরীতে বায়ুপ্রবাহ হয় সেখানে দ্রুত পলির অধঃক্ষেপণ ঘটে। তাই দ্রুত বদ্বীপ গড়ে ওঠে। আবার উষ্ণ-আর্দ্র জলবায়ুতে নদনদীর সংখ্যা বেশি থাকে বলে সেখানে বদ্বীপের সংখ্যাও বেশি হয়।
- অগভীর উপকূলভাগ – উপকূলভাগ অগভীর হলে দ্রুত পলি দ্বারা ভরাট হয়ে বদ্বীপ তৈরি হয়। ভারতের পূর্ব উপকূল অগভীর বলে বদ্বীপের সংখ্যাও বেশি।
- জলের ঘনত্ব – নদীমোহানায় সমুদ্রজলের ঘনত্ব যত বেশি হওয়ার জন্য সেখানে অতিদ্রুত পলি থিতিয়ে পড়ে। তাই দ্রুত বদ্বীপ গড়ে ওঠে।
- সমুদ্রের উন্মুক্ততা – স্থলবেষ্টিত সমুদ্রে বদ্বীপ গঠন প্রক্রিয়া দ্রুত হয়। কারণ এখানে সমুদ্রস্রোতের প্রভাব কম থাকে।
- সমুদ্রজলের লবণতা – সমুদ্রজলের লবণতা বাড়লে মোহানায় নদীজলের পলিরাশি দ্রুত অধঃক্ষিপ্ত হয়। এতে বদ্বীপ গঠনের হার বাড়ে।
- অন্যান্য – এ ছাড়া নদী ধীরে ধীরে সমুদ্রে পড়লে, মোহানা অঞ্চলটি স্থিতিশীল হলে নদীর মুখে চর সৃষ্টি হলে দ্রুত বদ্বীপ গড়ে উঠতে পারে।
জলবায়ুর পরিবর্তন কীভাবে লোহাচড়া, ঘোড়ামারা বা নিউমুর দ্বীপকে প্রভাবিত করছে?
যেভাবে জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটছে, তাতে আগামী দিনে পৃথিবী গভীর সংকটে পড়তে চলেছে। ইতিমধ্যেই সুন্দরবনের লোহাচড়া, ঘোড়ামারা বা নিউমুর দ্বীপগুলি সমুদ্রের তলায় তলিয়ে গেছে বা ‘ভ্যানিশিং আইল্যান্ড’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
এর কারণ হিসেবে বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর ক্রম উষ্ণায়নকেই দায়ী করেছেন। পৃথিবীর উষ্ণতা ক্রমাগত বেড়ে যাওয়ায় গত শতক থেকেই মেরুপ্রদেশের বরফ দ্রুত গলে যাচ্ছে এবং বরফের অতিরিক্ত গলন সমুদ্রের জলের পরিমাণকে বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে সমুদ্রের জলতলের উত্থান ঘটেছে। এর ফলে সমুদ্রের মধ্যে দ্বীপগুলির অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়েছে। এমন অনেক দ্বীপ রয়েছে যেখানে সমৃদ্ধ গ্রাম ছিল। জলস্তর বৃদ্ধির জন্য ওই দ্বীপগুলি এখন সমুদ্রে হারিয়ে গেছে। এর ফলে, হাজার হাজার মানুষ ‘ক্লাইমেট রিফিউজি’ হয়ে পড়েছেন।
নীচে উল্লিখিত দ্বীপগুলির অবস্থা আলোচনা করা হল –
- লোহাচড়া দ্বীপ – হুগলি নদীর মোহানায় সুন্দরবন জাতীয় উদ্যানের একটি সাধারণ দ্বীপ ছিল লোহাচড়া দ্বীপ। সেটি এখন সম্পূর্ণ বিলুপ্ত দ্বীপে পরিণত হয়েছে। 2006 সাল নাগাদ এই দ্বীপটি সম্পূর্ণ জলমগ্ন হয়ে পড়ে। 2009 সালে দ্বীপটি আবার ধীরে ধীরে জেগে উঠতে থাকে। বর্তমানে দ্বীপটি অবশ্য আবার ডুবে গেছে।
- নিউমুর বা পূর্বাশা দ্বীপ – এই ছোটো দ্বীপটি হাড়িয়াভাঙা নদীর মোহানা থেকে 2 কিমি দূরে অবস্থিত ছিল। 1970 সালে ‘ভোলা’ ঘূর্ণিঝড়ের ঠিক পরেই এই দ্বীপটি সমুদ্র থেকে জেগে ওঠে এবং একবিংশ শতাব্দীর প্রথম দশকে জলমগ্ন হয়ে অদৃশ্য হয়। 1974 সালে আমেরিকার উপগ্রহ চিত্র থেকে জানা যাচ্ছে সে সময় এর আয়তন ছিল 2500 বর্গমিটার। কিন্তু বর্তমানে এটি সম্পূর্ণ জলমগ্ন বা মগ্নচরা হিসেবে অবস্থান করছে।
- ঘোড়ামারা দ্বীপ – কলকাতা থেকে মাত্র 92 কিমি দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের মধ্যে এটিও একটি ক্রমনিমজ্জমান দ্বীপ। পরীক্ষা থেকে জানা গেছে, 1951 সালে এই দ্বীপের আয়তন ছিল 38.23 বর্গকিমি। 2011 সালে এর আয়তন দাঁড়ায় 4.37 বর্গকিমি। বর্তমানে এই দ্বীপে প্রায় 3000 জন বাস করে।
আমরা আমাদের আর্টিকেলে মাধ্যমিক (দশম শ্রেণী) ভূগোলের প্রথম অধ্যায় “বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ” -এর “বহির্জাত প্রক্রিয়া ও নদীর কাজ দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ” বিভাগের কিছু গুরুত্বপূর্ণ “দীর্ঘধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর” নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নগুলো মাধ্যমিক (দশম শ্রেণী) ভূগোল পরীক্ষার জন্য ও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই প্রশ্নগুলি মাধ্যমিক (দশম শ্রেণী) পরীক্ষা বা চাকরির পরীক্ষায় প্রায় দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা হলে, আপনারা আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। তাছাড়া নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।
 





মন্তব্য করুন