মাধ্যমিক ভূগোল – ভারতের অর্থনৈতিক পরিবেশ – ভারতের পরিবহণ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা – সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

Souvick

আমরা আমাদের আর্টিকেলে মাধ্যমিক (দশম শ্রেণী) ভূগোলের ষষ্ঠ অধ্যায় “ভারতের অর্থনৈতিক পরিবেশ” -এর “ভারতের পরিবহণ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা” বিভাগের কিছু গুরুত্বপূর্ণ “সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর” নিয়ে আলোচনা করবো। এই প্রশ্নগুলো মাধ্যমিক (দশম শ্রেণী) ভূগোল পরীক্ষার জন্য ও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

মাধ্যমিক ভূগোল - ভারতের অর্থনৈতিক পরিবেশ - ভারতের পরিবহণ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা - সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
Contents Show

পরিবহণ বলতে কী বোঝ?

বিভিন্ন যানবাহনের মাধ্যমে যখন পণ্য এবং যাত্রী এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় বহন করে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন তাকে পরিবহণ বলে। পরিবহণ ব্যবস্থার উন্নতি হলে দেশের অধিক উন্নতি হয়।

যোগাযোগ বলতে কী বোঝ?

সংবাদ, তথ্য বা ভাবের আদান-প্রদানকে এককথায় যোগাযোগ বলে। যোগাযোগ ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে তথ্যের আদান-প্রদান হয়। টেলিফোন, ফ্যাক্স, ইনটারনেট এসব যোগাযোগের মাধ্যম।

জাতীয় সড়ক কাকে বলে?

কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক নির্মিত যেসব সড়ক পথগুলি বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে সংযোগ রক্ষা করে সেই সব সড়ক পথকে জাতীয় সড়ক বলে। জাতীয় সড়কগুলি যেমন দৈর্ঘ্যে বেশি হয়, তেমনি এগুলি 2-6 লেন সম্পন্ন হয়ে থাকে।

রাজ্য সড়ক কী?

রাজ্য সরকার কর্তৃক নির্মিত এবং রক্ষণাবেক্ষিত সড়কপথকে রাজ্য সড়ক বলে। এইসব রাজ্য সড়কগুলি জাতীয় সড়কের সাথে সংযুক্ত থাকে।

সোনালি চতুর্ভুজ কী?

ভারতের চারটি প্রধান শহর যথা কলকাতা, দিল্লি, মুম্বাই এবং চেন্নাই-এর মধ্যে সংযুক্তকারী ছয় লেনবিশিষ্ট জাতীয় সড়কপথকে সোনালি চতুর্ভুজ বলে। এর মোট দৈর্ঘ্য 5846 কিমি। এই চতুর্ভুজের চারটি বাচ্চু হল –

  • কলকাতা-দিল্লি (1453 কিমি),
  • দিল্লি-মুম্বাই (1419 কিমি),
  • মুম্বাই-চেরাহ (1290 কিমি) এবং
  • চেন্নাই-কলকাতা (1684 কিমি)।

এটি কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা নির্মিত।

শিপিং লেন কী?

নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য জাহাজ সমুদ্রের যে পথকে অনুসরণ করে সেই নির্দিষ্ট পথকেই শিপিং লেন বলে।

শিপিং লাইন কী?

যেসব নির্দিষ্ট কোম্পানি বা সংস্থার জাহাজ সমুদ্রে চলাচল করে ওইসব সংস্থা বা কোম্পানিকে শিপিং লাইন বলে।

জলপথ কী?

নদী, সমুদ্র, হ্রদের ওপর দিয়ে যে নির্দিষ্ট পথে জলযান চলাচল করে, তাকে জলপথ বলে। জলপথ এখনও পর্যন্ত পৃথিবীর সবচেয়ে সস্তা পরিবহণ মাধ্যম।

স্থলপথ কী?

স্থলভাগের ওপর দিয়ে নির্মিত পরিবহণ পথকে স্থলপথ বলে। স্থলপথ দুধরনের হতে পারে – সড়কপথ ও রেলপথ।

আকাশপথ কাকে বলে?

বায়ুমণ্ডলের যে পথ দিয়ে আকাশযান যাতায়াত করে সেই পথকে আকাশপথ বলে। বিমানপথ বা আকাশপথ নির্মাণে তেমন কোনো খরচ নেই। তবে এই পথে পরিবহণ ব্যয় খুব বেশি।

সড়কপথে পরিবহণের দুটি সুবিধা লেখো।

সড়কপথে পরিবহণের দুটি সুবিধা হল –

  1. সড়কপথ দেশের সর্বত্র গড়ে তোলা সম্ভব। তাই দুর্গম অঞ্চলেও সড়কপথ গড়ে ওঠে।
  2. সড়কপথে পরিবহণে ব্যয় অপেক্ষাকৃত কম।

সড়কপথে পরিবহণের দুটি অসুবিধা লেখো।

সড়কপথে পরিবহণের দুটি অসুবিধা হল –

  1. সড়কপথের রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় যথেষ্ট বেশি।
  2. যানজট সড়কপথে যাত্রী এবং পণ্য পরিবহণে বাধা তৈরি করে।

রেলপরিবহণ ব্যবস্থার দুটি সুবিধা লেখো।

রেলপরিবহণ ব্যবস্থার দুটি সুবিধা হল –

  1. রেলপথের মাধ্যমে ভারী এবং প্রচুর পণ্য দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া যায়। 
  2. রেলপথের মাধ্যমে একসাথে অনেক পণ্য কম দামে পরিবহণ করা সম্ভব।

রেলপরিবহণ ব্যবস্থার দুটি অসুবিধা লেখো।

রেলপরিবহণ ব্যবস্থার দুটি অসুবিধা হল –

  1. রেলপরিবহণ ব্যবস্থা সর্বত্র চালু করা সম্ভব নয়। নদীবহুল অঞ্চল অথবা উচ্চ পার্বত্য অংশে রেলপরিবহণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা কঠিন।
  2. একটি নির্দিষ্ট পথেই রেল চলাচল করে বলে প্রয়োজনে পথ পরিবর্তন করতে পারে না।

আকাশপথে পরিবহণের দুটি সুবিধা লেখো।

আকাশপথে পরিবহণের দুটি সুবিধা হল –

  1. এটি অতি দ্রুত পণ্য বা যাত্রী পরিবহণে করতে পারে।
  2. জরুরি অবস্থায় উদ্ধার কাজ এবং ত্রাণকার্যে আকাশপথ পরিবহণ প্রধান ভরসা।

আকাশপথে পরিবহণের দুটি অসুবিধা লেখো।

আকাশপথে পরিবহণের দুটি অসুবিধা হল –

  1. আকাশপথ পরিবহণ খুব ব্যয়বহুল। তাই সবার পক্ষে এর পরিসেবা নেওয়া সম্ভব নয়।
  2. আকাশপথে স্বল্প দূরত্বে পরিবহণ করা যায় না।

অন্তর্দেশীয় বিমানপথের ধারণা দাও।

ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে এবং প্রতিবেশী দেশগুলির মধ্যে যাত্রী ও পণ্য পরিবহণ করে এয়ার ইন্ডিয়া, জেট এয়ারওয়েজ, স্পাইসজেট, ইন্ডিগো, গো এয়ার, ব্লু ডাট এভিয়েশন প্রভৃতি। এ ছাড়া, সরকারি ‘পবন হংস’ সংস্থাটি বিভিন্ন জায়গায় হেলিকপ্টার পরিসেবা দেয়।

বন্দর সংযোজক পরিকল্পনা কী?

যে পরিকল্পনার মাধ্যমে চার লেনবিশিষ্ট সড়কপথ ভারতের বিভিন্ন বন্দরগুলিকে সংযুক্ত করে, তাকে বন্দর সংযোজক পরিকল্পনা বলে।

স্থল পরিবহণ কত রকমের হতে পারে।

স্থল পরিবহণ ব্যবস্থাকে প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা –

  1. সড়কপথ ও
  2. রেলপথ।

রেলপথ আবার দুরকমের হয়, যথা –

  1. ভূপৃষ্ঠস্থ রেলপথ এবং 
  2. ভূগর্ভস্থ রেলপথ।

জলপথ পরিবহণ কত রকমের হয়?

জলপথ পরিবহণ দুরকমের হতে পারে। যথা – অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক জলপথ। অভ্যন্তরীণ জলপথ আবার দুরকমের –

  1. নদীপথ এবং
  2. খালপথ।

নলপথ কী?

পাইপ লাইন বা নলপথের মাধ্যমে তরল এবং গ্যাসীয় পদার্থের পরিবহণ করা হয়। প্রাকৃতিক গ্যাস, খনিজ তেল, জল একস্থান থেকে অন্যস্থানে পরিবাহিত হয়। খনিজ তেল পরিবহণে নলপথের ভূমিকা খুব বেশি।

রজ্জুপথ বলতে কী বোঝ?

দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে বা খনি অঞ্চলে গভীর উপত্যকা পারাপার করার জন্য দড়ির মাধ্যমে নির্মিত পরিবহণ ব্যবস্থাকে রজ্জুপথ বলে। এগুলি স্বল্প দূরত্বের হয়। ভ্রমণার্থী, খাবার, জল বা খনিজ দ্রব্য রজ্জুপথে পরিবহণ করা হয়।

মোবাইল ফোন কোন্ কাজে লাগে?

মোবাইল ফোনের উল্লেখযোগ্য দুটি ব্যবহার হল –

  • পৃথিবীর যে-কোনো প্রান্তের মানুষ অন্য প্রান্তের মানুষের সাথে যোগাযোগ করতে পারে।
  • বর্তমানে মোবাইল ফোন ছবি তোলা, SMS, MMS, ইনটারনেটের কাজেও বহুল ব্যবহৃত হয়।

পুনঃরপ্তানি বন্দর কাকে বলে?

যে বন্দরের মাধ্যমে পণ্যদ্রব্য আমদানি, আমদানিকৃত পণ্য সঞ্চয় অথবা ব্যাবসা করার পর পুনরায় রপ্তানি করা হয়, তাকে পুনঃরপ্তানি বন্দর বলে। যেমন – কেরলের কোল্লাম বন্দর।

ইনটারনেটের কাজ কী?

ইনটারনেটের মাধ্যমে তথ্যরাশি প্রয়োজন মতো ব্যবহার করা যায়। পৃথিবীর যে-কোনো স্থানে বার্তা, ইমেল, তথ্য, সিনেমা, গান প্রভৃতি খুব দ্রুত পাঠানো যায়। বর্তমানে ইনটারনেট ছাড়া যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় বিকল।

পরিবহণ ও যোগাযোগ ব্যবস্থার মধ্যে প্রভেদ কী?

পরিবহণ বলতে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পণ্যের লেনদেন ও যাত্রীর যাতায়াতকে বোঝায়। কিন্তু যোগাযোগ হল তথ্যের আদানপ্রদান।

শিল্পের ওপর সড়ক পরিবহণের প্রভাব কতখানি?

যেসব শিল্পে কাঁচামাল বা উৎপাদিত দ্রব্য খুব বেশি দূরে আমদানি-রপ্তানি করতে হয় না, সেইসব শিল্পে সড়ক পরিবহণের প্রভাব সবচেয়ে বেশি। মূলত আঞ্চলিক পরিবহণের ক্ষেত্রে সড়কপথ ব্যয় সংকোচনকারী এবং লাভজনক পরিবহণ মাধ্যম।

শিল্পের ওপর জলপথ পরিবহণের ভূমিকা কতখানি?

জলপথ পরিবহণ সবচেয়ে সস্তা ও লাভজনক। সেইজন্য আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে জলপথের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। জলপথ পরিবহণ সস্তা এবং সুলভবলেই বন্দরের নিকটবর্তী অঞ্চলেই বিভিন্ন শিল্পের বিকাশ ঘটে। যে দেশে যত বেশি বন্দর সেই দেশ শিল্পে তত উন্নত।

ভারতের পরিবহণের মাধ্যমগুলি কী কী?

ভারতের পরিবহণ ব্যবস্থাকে পাঁচটি ভাগে ভাগ করা যায়। এগুলি হল –

  1. স্থলপথ,
  2. জলপথ,
  3. বিমানপথ,
  4. পাইপলাইন ও
  5. রজ্জুপথ।

স্থলপথকে আবার দুভাগে ভাগ করা যায়। যথা –

  1. সড়কপথ ও
  2. রেলপথ।

তেমনি জলপথকে তিনভাগে ভাগ করা যায়। যথা –

  1. অভ্যন্তরীণ জলপথ,
  2. উপকূলীয় জলপথ ও
  3. আন্তর্জাতিক জলপথ।

বিমানপথকে দুভাগে ভাগ করা যেতে পারে। যথা –

  1. অভ্যন্তরীণ বিমানপথ ও
  2. আন্তর্জাতিক বিমানপথ।

গ্রামীণ পথ কোগুলি?

গ্রামের মধ্যে দিয়ে প্রসারিত পথকে গ্রামীণ পথ বলে। এগুলি বেশির ভাগ সময়ে কাঁচা, মোরাম দেওয়া থাকে। এগুলি অপ্রশস্ত এবং আঁকাবাঁকা হয়ে থাকে। গ্রামীণ পথগুলি প্রধান সড়কপথের সাথে মেশে।

জলপথকে ‘উন্নয়নের জীবনরেখা’ বলে কেন?

আধুনিক যুগে বাণিজ্যের মাধ্যম হিসেবে জলপথের গুরুত্ব এত বেশি যে একে ‘উন্নয়নের জীবনরেখা’ বলে।

  • বহির্বাণিজ্যের বেশিরভাগই জলপথে পরিবাহিত হয়।
  • জলপথে পরিবহণ ব্যয় সবচেয়ে কম।
  • মুদ্রবেষ্টিত দেশগুলির অর্থনৈতিক উন্নতি নির্ভর করে জলপথে বাণিজ্যের ওপর।

সীমান্ত সড়কপথ কী?

স্বাধীনতা লাভের পর দেশের প্রতিরক্ষার জন্য সীমান্ত অঞ্চল বরাবর সড়কপথ নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের উদ্দেশ্যে 1960 সালে ‘সীমান্ত সড়ক উন্নয়ন সংস্থা’ (Border Roads Organisation) গঠন করা হয়। এগুলিকে সীমান্ত সড়ক বলে। বর্তমানে এই রাস্তার মোট দৈর্ঘ্য প্রায় 32885 কিমি। এই সংস্থার উল্লেখযোগ্য কীর্তি হল পৃথিবীর অন্যতম উচ্চ পথ নির্মাণ। এটি লেহ্ থেকে তিব্বত সীমান্ত পর্যন্ত গেছে। অন্য একটি পথ হিমাচলের মানালি থেকে লাদাখের লেহ্ শহর পর্যন্ত প্রসারিত। এটি পৃথিবীর দ্বিতীয় উচ্চতম পথ।

লাইনার কী?

জলপথে বাণিজ্যের যে জাহাজগুলি একটি নির্দিষ্ট পথে পণ্য এবং যাত্রী পরিবহণ করে, তাকে লাইনার বলে। এগুলি দ্রুতগামী এবং নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলে। এর পরিবহণ ব্যয় অপেক্ষাকৃত বেশি হয়।

ট্রাম্প কী?

জলপথের এই জাহাজগুলি ধীরগামী। এগুলির কোনো নির্দিষ্ট যাত্রাপথ নেই বা নির্দিষ্ট সময় ধরেও চলে না। যেখানে যেমন পণ্য পায় তেমনি ওইসব সব পণ্য বহন করে নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে দেয়। কয়লা, কাঠ শিল্পের বিভিন্ন কাঁচামাল এই সব জাহাজগুলি বহন করে।

সওদাগরি জাহাজ কী?

সওদাগরি জাহাজগুলি নির্দিষ্ট কিছু পণ্য নির্দিষ্ট পথে, নির্দিষ্ট দেশে পরিবহণ করে। যেমন – খনিজ তেল, লোহা ও ইস্পাত, মূল্যবান কাঠ ইত্যাদি এরা পরিবহণ করে।

বায়ুদূত কী?

দেশের অভ্যন্তরে স্থানীয়ভাবে ছোটো ছোটো বিমানবন্দরগুলির মধ্যে ছোটো ছোটো বিমানগুলি চলাচল করে। অল্প সংখ্যক আসনবিশিষ্ট স্বল্প দূরত্ব অতিক্রমকারী বিমান পরিসেবা বায়ুদূত নামে পরিচিত।

পবন হংস কী?

রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ এবং কখনো-কখনো রাজ্য সরকারের উদ্যোগে যে হেলিকপ্টার পরিসেবা প্রদান করা হয় তার নাম পবন হংস। খনিজ তেলের ক্ষেত্র এবং অল্প দূরত্বের পাহাড়ি পথে যাতায়াতের জন্য এই হেলিকপ্টার পরিসেবা চালু আছে।

টেলিঘনত্ব কাকে বলে?

কোনো দেশে বা অঞ্চলে বসবাসকারী প্রতি 1000 জন লোকের মধ্যে যতজন লোক টেলিফোন ব্যবহার করে, তাকে টেলিঘনত্ব বলে। আধুনিক বা উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার অন্যতম সূচক বোঝানো হয় টেলিঘনত্বের মাধ্যমে। টেলিঘনত্ব ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জে প্রথম চালু হয়।

চক্ররেল কী?

কলকাতা পরিবহণ-পরিসেবার সুব্যবস্থার উদ্দেশ্যে কলকাতা চক্ররেল পরিসেবা চালু আছে। এটি প্রিন্সেপঘাট, বনগাঁ, ব্যারাকপুর প্রভৃতি স্টেশন থেকে শুরু হয়ে হাসনাবাদ, বারাসত, দমদম, প্রিন্সেপঘাট ও ব্যারাকপুর স্টেশনে এসে শেষ হয়।

কৃষি উন্নয়নে রেলপথের ভূমিকা কতখানি?

রেলপথের মাধ্যমে কৃষিপণ্য বাজার এলাকায় পৌঁছোনোর সুযোগ পায়। উৎপাদিত কৃষিপণ্য রেলপথের মাধ্যমে অনেক দূরে নিয়ে গিয়ে বিক্রয় করা যায়। তেমনি কৃষিতে প্রয়োজনীয় সার, কীটনাশক, বীজ, কৃষিযন্ত্রপাতি রেল পরিবহণ করে এনে কৃষক এবং কৃষিকাজে সহায়তা করে।

ভারী পণ্য পরিবহণের জন্য কোন্ পথ সর্বাপেক্ষা কম ব্যয়সাপেক্ষ ও কেন?

ভারী পণ্য পরিবহণের জন্য সর্বাপেক্ষা কম ব্যয়সাপেক্ষ পথ হল জলপথ। এর কারণ –

  • জলপথ নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণে কোনো ব্যয় হয় না,
  • একসঙ্গে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন আকার ও আয়তনের পণ্য পরিবহণ করা যায় এবং 
  • খালপথ ও নদীপথ ছাড়া বাকি জলপথ অবাধ – অর্থাৎ জলপথে যে-কোনো দিকে যে-কোনো দেশের সঙ্গে বাণিজ্য করা যায়। আলাদা করে শুল্ক দিতে হয় না।

আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থার দুটি মাধ্যম কী কী?

আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থার দুটি মাধ্যম হল –

  1. ইনটারনেট এবং
  2. সেলফোন বা মোবাইল ফোন।

সহযোগী বা পরিপূরক বন্দর কাকে বলে?

যখন প্রাকৃতিক বা অপ্রাকৃতিক কারণে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বন্দরের নাব্যতা হ্রাস-সহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়, তখন তা সমাধানের জন্য সেই বন্দরের সহায়ক হিসেবে যে আর একটি বন্দর গড়ে তোলা হয়, যার মাধ্যমে মূল বন্দরটির আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের অনেকটা কাজই সম্পন্ন হয়, তাকে সহযোগী বা পরিপূরক বন্দর বলে। যেমন – কলকাতা বন্দরের সহযোগী বা পরিপূরক বন্দর হল হলদিয়া।

ইনটারনেট কী?

‘Interconnected Networks’ শব্দ দুটিকে সংক্ষেপে ‘Internet’ বলে। সমগ্র বিশ্বের সমস্ত কম্পিউটারকে মডেমের মাধ্যমে টেলিফোন লাইনের সাহায্যে একসঙ্গে যুক্ত করে যে পারস্পরিক সংযোগ ব্যবস্থা বা কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সৃষ্টি হয়, তাকেই বলে ইনটারনেট। ইনটারনেট ব্যবস্থার মাধ্যমে বিশ্বের যে-কোনো স্থানে সংবাদ, তথ্য, ছবি, চিঠিপত্র প্রভৃতি দ্রুত পাঠানো যায়।


আমরা আমাদের আর্টিকেলে মাধ্যমিক (দশম শ্রেণী) ভূগোলের ষষ্ঠ অধ্যায় “ভারতের অর্থনৈতিক পরিবেশ” -এর “ভারতের পরিবহণ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা” বিভাগের কিছু গুরুত্বপূর্ণ “সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর” নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নগুলো মাধ্যমিক (দশম শ্রেণী) ভূগোল পরীক্ষার জন্য ও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই প্রশ্নগুলি মাধ্যমিক (দশম শ্রেণী) পরীক্ষা বা চাকরির পরীক্ষায় প্রায় দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা হলে, আপনারা আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। তাছাড়া নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।

Categories -
Please Share This Article

Related Posts

মাধ্যমিক ভূগোল - উপগ্রহ চিত্র ও ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র - মানচিত্র চিহ্নিতকরণ

মাধ্যমিক ভূগোল – উপগ্রহ চিত্র ও ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র – মানচিত্র চিহ্নিতকরণ

মাধ্যমিক ভূগোল - উপগ্রহ চিত্র ও ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র - ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন ও উত্তর

মাধ্যমিক ভূগোল – উপগ্রহ চিত্র ও ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র – ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন ও উত্তর

মাধ্যমিক ভূগোল - উপগ্রহ চিত্র ও ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র - সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

মাধ্যমিক ভূগোল – উপগ্রহ চিত্র ও ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র – সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

About The Author

Souvick

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

"SolutionWbbse" শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনলাইন অধ্যয়ন প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গাইডলাইন, এবং বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সাহায্য প্রদান করা হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল বিষয়ের শিক্ষণীয় উপকরণ সহজেই সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া।

Editor Picks

HCl (গ্যাস) তড়িৎ পরিবহন করে না কিন্তু HCl -এর জলীয় দ্রবণ তড়িৎ পরিবহন করে কেন?

Cu-তড়িৎদ্বারের সাহায্যে CuSO₄ দ্রবণের তড়িৎবিশ্লেষণের ফলে অ্যানোডের ভর হ্রাস ও ক্যাথোডের ভর বৃদ্ধি পায় কেন?

কপার তড়িৎদ্বার দিয়ে কপার সালফেটের তড়িৎবিশ্লেষণে বর্ণ কেন অপরিবর্তিত থাকে? গাঢ়ত্বের পরিবর্তন কী হবে?

জলের তড়িৎবিশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় H₂SO₄ -এর পরিবর্তে HCl বা HNO₃ ব্যবহার করা হয় না কেন?

লঘু H₂SO₄ মিশ্রিত জলের তড়িৎবিশ্লেষণ করলে ক্যাথোডে SO₄²⁻ আয়ন ইলেকট্রন বর্জন করে না কেন?