এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “চৌম্বক বলরেখা কাকে বলে? তড়িৎপ্রবাহের চৌম্বক ক্রিয়া এবং তড়িৎপ্রবাহের উপর চুম্বকের ক্রিয়া বলতে কী বোঝো?” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “চৌম্বক বলরেখা কাকে বলে? তড়িৎপ্রবাহের চৌম্বক ক্রিয়া এবং তড়িৎপ্রবাহের উপর চুম্বকের ক্রিয়া বলতে কী বোঝো?” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের ষষ্ঠ অধ্যায় “চলতড়িৎ“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়।

চৌম্বক বলরেখা কাকে বলে?
চৌম্বক বলরেখা – চৌম্বক বলরেখা হল চৌম্বকক্ষেত্রে এমন কতকগুলি কাল্পনিক রেখা, যে রেখার কোনো বিন্দুতে অঙ্কিত স্পর্শক ওই বিন্দুতে চৌম্বকক্ষেত্র প্রাবল্যের অভিমুখ নির্দেশ করে।
তড়িৎপ্রবাহের চৌম্বক ক্রিয়া এবং তড়িৎপ্রবাহের উপর চুম্বকের ক্রিয়া বলতে কী বোঝো?
চুম্বকের উপর তড়িৎপ্রবাহের ক্রিয়া বা তড়িৎপ্রবাহের চৌম্বক ক্রিয়া – কোনো পরিবাহীর মধ্য দিয়ে তড়িৎপ্রবাহ গেলে তার চারপাশে একটি চৌম্বকক্ষেত্রের সৃষ্টি হয়। একে তড়িৎপ্রবাহের চুম্বকীয় ফল বা চুম্বকের উপর তড়িৎপ্রবাহের ক্রিয়া বলে।
তড়িৎপ্রবাহের উপর চুম্বকের ক্রিয়া – তড়িৎপ্রবাহ চুম্বকের ওপর ক্রিয়া করে চুম্বক মেরুকে বিক্ষিপ্ত করার সময় ওর ওপর একটি বল প্রয়োগ করে। এই কারণে পরিবাহী নিজ অবস্থান থেকে বিক্ষিপ্ত হয়। একেই তড়িৎপ্রবাহের উপর চুম্বকের ক্রিয়া বলে।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
তড়িৎপ্রবাহের চৌম্বক ক্রিয়া আবিষ্কার করেন কে?
ডেনিশ বিজ্ঞানী হ্যান্স ক্রিশ্চিয়ান ওয়ারস্টেড (Hans Christian Ørsted) 1820 সালে প্রথম আবিষ্কার করেন যে তড়িৎপ্রবাহের একটি চৌম্বক ক্ষেত্র থাকে।
একটি সরল পরিবাহীর চারপাশে সৃষ্ট চৌম্বকক্ষেত্রের দিক কীভাবে নির্ধারণ করা যায়?
ডানহাতের নিয়ম ব্যবহার করে। ডান হাতটি এমনভাবে ধরে পরিবাহীটিকে মুঠোয় রাখতে হবে যাতে বুড়ো আঙুলটি তড়িৎপ্রবাহের দিক নির্দেশ করে। তাহলে বাকি আঙুলগুলো চৌম্বকক্ষেত্রের বলরেখার দিক (মুঠোর দিক) নির্দেশ করবে।
তড়িৎপ্রবাহের চৌম্বক ক্রিয়ার ব্যবহার কোথায় হয়?
এর ব্যবহার অনেক জায়গায় দেখা যায়, যেমন – ইলেক্ট্রোম্যাগনেট, বৈদ্যুতিক মোটর, ট্রান্সফরমার, লাউডস্পিকার এবং বিভিন্ন ধরনের সেন্সর -এ।
তড়িৎপ্রবাহের উপর চুম্বকের ক্রিয়ার ফলাফল কী?
তড়িৎপ্রবাহের উপর চুম্বকের ক্রিয়ার ফলে, একটি চৌম্বক ক্ষেত্রের মধ্যে থাকা তড়িৎবাহী পরিবাহীর উপর একটি বল কাজ করে, যা পরিবাহীটিকে তার মূল অবস্থান থেকে সরে যেতে বা সঞ্চালিত হতে বাধ্য করে।
তড়িৎবাহী পরিবাহীর উপর প্রযুক্ত বলের দিক কীভাবে নির্ণয় করা যায়?
ফ্লেমিং -এর বামহস্ত নিয়ম ব্যবহার করে। বাম হাতের তর্জনি, মধ্যমা ও বুড়ো আঙুল পরস্পর সমকোণে রাখতে হবে।
1. তর্জনি → চৌম্বকক্ষেত্রের দিক নির্দেশ করে (উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরু)।
2. মধ্যমা → তড়িৎপ্রবাহের দিক নির্দেশ করে।
3. বুড়ো আঙুল → পরিবাহীর গতি বা প্রযুক্ত বলের দিক নির্দেশ করে।
চৌম্বক বলরেখার দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।
চৌম্বক বলরেখার দুটি বৈশিষ্ট্য হল –
1. বলরেখাগুলো চৌম্বকের উত্তর মেরু থেকে বের হয়ে দক্ষিণ মেরুতে প্রবেশ করে।
2. বলরেখাগুলো কখনোই একে অপরকে ছেদ করে না।
যেখানে চৌম্বকক্ষেত্র শক্তিশালী সেখানে বলরেখাগুলো কেমন দেখায়?
যেখানে চৌম্বকক্ষেত্র শক্তিশালী, সেখানে বলরেখাগুলো খুব ঘনভাবে ও পরস্পরের কাছাকাছি অবস্থান করে।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “চৌম্বক বলরেখা কাকে বলে? তড়িৎপ্রবাহের চৌম্বক ক্রিয়া এবং তড়িৎপ্রবাহের উপর চুম্বকের ক্রিয়া বলতে কী বোঝো?” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “চৌম্বক বলরেখা কাকে বলে? তড়িৎপ্রবাহের চৌম্বক ক্রিয়া এবং তড়িৎপ্রবাহের উপর চুম্বকের ক্রিয়া বলতে কী বোঝো?” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের ষষ্ঠ অধ্যায় “চলতড়িৎ“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন