কম্পিটিশনে পড়লে মেয়েটা তো আমার পা ধোয়া জল খাবে। – বক্তা কে? কী প্রসঙ্গে তার এই উক্তি? এই উক্তিতে বক্তার কীরূপ মনোভাব ফুটে উঠেছে?

“কম্পিটিশনে পড়লে মেয়েটা তো আমার পা ধোয়া জল খাবে।” এই উক্তিটি দশম বাংলা সহায়ক পাঠ কোনি উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে। “কম্পিটিশনে পড়লে মেয়েটা তো আমার পা ধোয়া জল খাবে।” – বক্তা কে? কী প্রসঙ্গে তার এই উক্তি? এই উক্তিতে বক্তার কীরূপ মনোভাব ফুটে উঠেছে? এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যান্ত গুরুত্তপূর্ণ। কোনি উপন্যাসের এই রচনাধর্মী প্রশ্নটি তৈরী করে গেলে মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষায় একটি ৫ নম্বরের পাওয়া যেতে পারে।

মতি নন্দী রচিত কোনি উপন্যাসের সপ্তম পরিচ্ছেদে অমিয়া তার সহ-সাঁতারু বেলাকে কোনিকে উদ্দেশ্য করে বলে, “এই মেয়েটা জুপিটারকে ডাউন দেবে?” এই কথার মধ্য দিয়ে অমিয়ার ঔদ্ধত্য, অহংবোধ এবং অখেলোয়াড়ি মানসিকতার পরিচয় ফুটে উঠেছে।

অমিয়া একজন দীর্ঘদিনের সাঁতারু এবং বেঙ্গল চ্যাম্পিয়ন। অন্যদিকে কোনি সদ্য সাঁতার শিখতে শুরু করেছে। তাই অমিয়ার ধারণা, কোনির সাঁতার কাটার পদ্ধতি ত্রুটিপূর্ণ এবং সে কখনোই একজন ভাল সাঁতারু হতে পারবে না। এই ধারণা থেকেই সে বেলার কাছে এই প্রশ্নটি করে।

এই প্রশ্নের মাধ্যমে অমিয়া কেবল কোনির প্রতি তার অবিশ্বাসই প্রকাশ করে না, বরং তার নিজের ঔদ্ধত্য এবং অহংকারও প্রকাশ করে। সে মনে করে, সে নিজেই সাঁতারের একজন অদ্বিতীয় প্রতিভা এবং তার চেয়ে ভাল সাঁতারু আর কেউ হতে পারে না।

এছাড়াও, অমিয়ার এই কথার মধ্য দিয়ে তার অখেলোয়াড়ি মানসিকতারও পরিচয় পাওয়া যায়। একজন খেলোয়াড়ের সর্বদা উচিত তার প্রতিপক্ষকে সম্মান করা। কিন্তু অমিয়া কোনিকে তার প্রতিপক্ষ হিসেবে গ্রহণ না করে তাকে তুচ্ছ ও হেয় করতে চায়।

অমিয়ার এই ঔদ্ধত্য এবং অহংকার তার পতনের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। উপন্যাসের শেষে কোনি জুপিটারকে পরাজিত করে এবং বেঙ্গল চ্যাম্পিয়ন হয়। অমিয়ার ভুল ধারণা এবং অহংকারী মনোভাব তাকে পরাজয়ের দিকে ধাবিত করে।

কম্পিটিশনে পড়লে মেয়েটা তো আমার পা ধোয়া জল খাবে। - বক্তা কে? কী প্রসঙ্গে তার এই উক্তি? এই উক্তিতে বক্তার কীরূপ মনোভাব ফুটে উঠেছে?

“কম্পিটিশনে পড়লে মেয়েটা তো আমার পা ধোয়া জল খাবে।” – বক্তা কে? কী প্রসঙ্গে তার এই উক্তি? এই উক্তিতে বক্তার কীরূপ মনোভাব ফুটে উঠেছে?

বক্তা – মতি নন্দী রচিত কোনি উপন্যাসের সপ্তম পরিচ্ছেদে বাংলার চ্যাম্পিয়ন সাঁতারু অমিয়া তার সহ-সাঁতারু বেলাকে এই কথাগুলি বলেছে।

প্রসঙ্গ – ক্ষিতীশ সিংহ কমলদিঘিতে কোনিকে সাঁতার শেখাচ্ছিলেন। সেইসময় অ্যাপোলো ক্লাব থেকে বেরিয়ে আসে অমিয়া এবং বেলা। তারা একসময় ক্ষিতীশের ছাত্রী ছিল, কিন্তু ক্ষিতীশকে তারা ঘোর অপছন্দ করে। ক্ষিতীশের বর্তমান ছাত্রী সদ্য সাঁতার শিখতে আসা কোনির হাতের স্ট্রোক নিয়ে তারা কৌতুক করে। তখনই অহংকারী অমিয়া এই মন্তব্যটি করে।

বক্তার মনোভাব –

  • ঔদ্ধত্য এবং অহংবোধ – দীর্ঘদিনের সাঁতারু অমিয়া বেঙ্গল চ্যাম্পিয়ন। অপরদিকে কোনি সদ্য সাঁতার শিখতে শুরু করেছে। তুলনা করতে গেলে স্বাভাবিকভাবেই দেখা যায়, অমিয়া অনেক দক্ষ। একজন নবীন সাঁতারুর সাঁতার কাটার পদ্ধতি নিয়ে এমন মন্তব্য, তার ঔদ্ধত্য এবং অহংবোধেরই পরিচয় দেয়। অহংকার যে পতনের কারণ হতে পারে এটা হয়তো অমিয়ার জানা ছিল না। কাহিনির শেষে অমিয়ার সেই পতন দেখা যাবে। হরিচরণের মাধ্যমে তাদের কাছে খবর ছিল – ক্ষিদ্দা নাকি জুপিটারকে ডাউন দেবে ওই মেয়েটাকে দিয়ে।
  • অখেলোয়াড়ি মানসিকতা – কোনিকে বিপক্ষ ধরে নিয়ে অমিয়া তাকে তুচ্ছ ও হেয় করতে চেয়েছে। তার এই আচরণ একদমই খেলোয়ারসুলভ নয়। এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে অমিয়ার গর্ব ও অহংকারের চরম প্রকাশ ঘটেছে।

আরও পড়ুন, যন্ত্রণার সঙ্গে পরিচয় না হলে, তাকে ব্যবহার করতে না শিখলে, লড়াই করে তাকে হারাতে না পারলে কোনোদিনই তুই উঠতে পারবি না। – প্রসঙ্গ উল্লেখ করে উদ্ধৃতিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

মতি নন্দী রচিত কোনি উপন্যাসের সপ্তম পরিচ্ছেদে অমিয়ার বক্তব্য তার ঔদ্ধত্য, অহংবোধ এবং অখেলোয়াড়ি মানসিকতার পরিচয় বহন করে। একজন দীর্ঘদিনের সাঁতারু এবং বেঙ্গল চ্যাম্পিয়ন হিসেবে অমিয়ার উচিত ছিল একজন নবীন সাঁতারুর প্রতি সহায়ক ও উৎসাহব্যঞ্জক মনোভাব প্রদর্শন করা। কিন্তু তার বক্তব্য থেকে তার নিজের প্রতি অতিরিক্ত আস্থা এবং অন্যদের প্রতি অবজ্ঞার ভাব প্রকাশ পায়।

অমিয়ার এই ঔদ্ধত্য এবং অহংকারই তার পতনের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। উপন্যাসের শেষে কোনি জুপিটারকে পরাজিত করে এবং বেঙ্গল চ্যাম্পিয়ন হয়। অমিয়ার ভুল ধারণা এবং অহংকারী মনোভাব তাকে পরাজয়ের দিকে ধাবিত করে।

এই ঘটনা থেকে আমরা শিক্ষা লাভ করতে পারি যে, ঔদ্ধত্য এবং অহংকার কখনোই কাম্য নয়। বরং আমাদের উচিত সকলের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং উৎসাহব্যঞ্জক মনোভাব প্রদর্শন করা।

Share via:

মন্তব্য করুন