ভালোবাসলে সবকিছু করিয়ে নেওয়া যায়, মানুষকে দিয়েও। – প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

“ভালোবাসলে সবকিছু করিয়ে নেওয়া যায়, মানুষকে দিয়েও।” এই উক্তিটি দশম বাংলা সহায়ক পাঠ কোনি উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে। “ভালোবাসলে সবকিছু করিয়ে নেওয়া যায়, মানুষকে দিয়েও।” – প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যান্ত গুরুত্তপূর্ণ। কোনি উপন্যাসের এই রচনাধর্মী প্রশ্নটি তৈরী করে গেলে মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষায় একটি ৫ নম্বরের পাওয়া যেতে পারে।

এই অংশে, ক্ষিতীশ তার দুটি পোষা বিড়াল বিশু ও খুশির প্রশিক্ষণের কথা উল্লেখ করে প্রীতির সম্পর্কের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন। বিষ্টু ধর যখন বিড়াল দুটিকে দেখে ভয় পেয়েছিলেন, তখন ক্ষিতীশ তাদের ধমক দিলেই ওরা বারান্দা থেকে নেমে যায়। এই দৃশ্য দেখে বিষ্টু ধর বিড়ালদের প্রশিক্ষণের প্রশংসা করেন।

ক্ষিতীশ এখানে বিড়ালের প্রতীকে মানুষের কথা বলতে চেয়েছেন। তার মতে, মানুষকে ভালোবাসতে পারলে পারস্পরিক সম্পর্ক নিবিড় হয় এবং সহমর্মিতা গড়ে ওঠে। ক্ষিতীশ কোনিকে নিজের মেয়ের মতো ভালোবাসেন। সেই ভালোবাসার কারণেই কোনি ক্ষিতীশের যাবতীয় নির্দেশ মেনে চলে এবং গুরুবাক্য মনে করে পালন করার চেষ্টা করে।

ক্ষিতীশ আরও বলেন যে, মানুষে-মানুষে প্রীতির সম্পর্ক গড়ে উঠলে কর্মের ক্ষেত্রটি মসৃণ হয়। বিষ্টু ধরের ক্ষেত্রেও কথাটা সত্যি। বিষ্টু ধর ভোটে দাঁড়াতে চায় এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিনোদ ভড়। এই নির্বাচনে জয়ী হতে হলে তাকে জনসংযোগ বাড়াতে হবে এবং মানুষকে ভালোবাসতে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। তবেই জনগণ বিষ্টু ধরের পক্ষে রায় দেবেন। ভালোবেসে মানুষের জন্য কাজ করলে তারাও খালিহাতে ফিরিয়ে দেবে না।

এইভাবে ক্ষিতীশ বিড়ালের প্রতীকে প্রীতির সম্পর্কের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন এবং বিষ্টু ধরকে ভোটে জয়ী হতে মানুষকে ভালোবাসার পরামর্শ দেন।

ভালোবাসলে সবকিছু করিয়ে নেওয়া যায়, মানুষকে দিয়েও। - প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

“ভালোবাসলে সবকিছু করিয়ে নেওয়া যায়, মানুষকে দিয়েও।” – প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

উৎস – প্রখ্যাত সাহিত্যিক মতি নন্দীর কোনি উপন্যাস থেকে আলোচ্য উদ্ধৃতিটি গৃহীত।

প্রসঙ্গ – ক্ষিতীশের দুটি পোষা বিড়াল ছিল। বিষ্টু ধর ক্ষিতীশের বাড়ি এসে বিড়াল দুটিকে দেখে একটু ভয় পেয়েছিলেন। ক্ষিতীশ বিশু আর খুশি নামক বিড়াল দুটিকে ধমক দিতেই ওরা বারান্দা থেকে নেমে যায়। এই দৃশ্য দেখে বিষ্টু ধর বলেছিলেন, দারুণ ট্রেনিং তো। বিষ্টু ধরের এই কথা প্রসঙ্গেই ক্ষিতীশ আলোচ্য উক্তিটি করেন।

তাৎপর্য বিশ্লেষণ –

  • কথামুখ – বিড়ালের প্রতীকে ক্ষিতীশ এখানে মানুষের কথা বলতে চেয়েছেন।
  • সহমর্মিতাবোধ – মানুষকে ভালোবাসতে পারলে পারস্পরিক সম্পর্ক নিবিড় হয়। গড়ে ওঠে সহমর্মিতা। ক্ষিতীশ কোনিকে নিজের মেয়ের মতোই ভালোবাসেন। সেই ভালোবাসার কারণেই কোনি ক্ষিতীশের যাবতীয় নির্দেশ মেনে চলে, ক্ষিতীশের নির্দেশ গুরুবাক্য মনে করে পালন করার চেষ্টা করে।
  • প্রীতির সম্পর্ক – মানুষে-মানুষে প্রীতির সম্পর্ক গড়ে উঠলে কর্মের ক্ষেত্রটি মসৃণ হয়। আবার বিষ্টু ধরের ক্ষেত্রেও কথাটা সত্যি। বিষ্টু ধর ভোটে দাঁড়াতে চায়। বিনোদ ভড় তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী। এই নির্বাচনে দাঁড়াতে গেলে জনসংযোগ বাড়াতে হবে। মানুষকে ভালোবাসতে হবে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। তবেই জনগণ বিষ্টু ধরের পক্ষে রায় দেবেন। ভালোবেসে মানুষের জন্য কাজ করলে তারাও খালিহাতে ফিরিয়ে দেবে না।

আরও পড়ুন, এটা বুকের মধ্যে পুষে রাখুক। — কী পুষে রাখার কথা বলা হয়েছে? কী কারণে এই পুষে রাখা?

ক্ষিতীশের বিড়ালের প্রশিক্ষণের উদাহরণের মাধ্যমে এই অংশে প্রীতির সম্পর্কের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করা হয়েছে। ক্ষিতীশের মতে, মানুষকে ভালোবাসার মাধ্যমে পারস্পরিক সম্পর্ক নিবিড় করা এবং সহমর্মিতা গড়ে তোলা সম্ভব। কোনি ক্ষিতীশের ভালোবাসা অনুভব করে তার নির্দেশাবলী মেনে চলে এবং তাকে সম্মান করে।

এই ধারণার প্রয়োগ বিষ্টু ধরের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। বিষ্টু ধর যদি ভোটে জয়ী হতে চান, তাহলে তাকে জনগণের সাথে প্রীতির সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে হবে এবং তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।

এই উপসংহারে বলা হচ্ছে যে, প্রীতি ও ভালোবাসার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে সুন্দর সম্পর্ক গড়ে তোলা সম্ভব। এই সম্পর্ক কেবল পারিবারিক জীবনেই নয়, কর্মক্ষেত্রেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

Share via:

মন্তব্য করুন