তাহলে বিরাট এক অপূর্ণতা ক্ষিতীশের জীবনে যেন রয়ে যাবে। – কোন্ প্রসঙ্গে এ কথা বলা হয়েছে এবং এজন্য তিনি কী করেছিলেন?

“তাহলে বিরাট এক অপূর্ণতা ক্ষিতীশের জীবনে যেন রয়ে যাবে।” এই উক্তিটি দশম বাংলা সহায়ক পাঠ কোনি উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে। “তাহলে বিরাট এক অপূর্ণতা ক্ষিতীশের জীবনে যেন রয়ে যাবে।” – কোন্ প্রসঙ্গে এ কথা বলা হয়েছে এবং এজন্য তিনি কী করেছিলেন? এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যান্ত গুরুত্তপূর্ণ। কোনি উপন্যাসের এই রচনাধর্মী প্রশ্নটি তৈরী করে গেলে মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষায় একটি ৫ নম্বরের পাওয়া যেতে পারে।

ক্ষিতীশ কোনিকে ক্রমাগত প্রশিক্ষণ দিচ্ছিলেন, তবে এখনও পর্যন্ত তাকে কোন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করাননি। কারণ, তিনি অমিয়ার সাঁতারের সময় জানতে চেয়েছিলেন। এই পরিস্থিতিতে, জুপিটারের দুই কর্তা ধীরেন ঘোষ এবং বদু চাটুজ্জে ক্ষিতীশের সাথে দেখা করতে আসেন। তারা কোনিকে নিয়ে ক্ষিতীশের কাছে নানা কটূক্তি করেন। তাদের কাছ থেকেই ক্ষিতীশ জানতে পারেন যে, এই বছরই অমিয়ার সাঁতারু হিসেবে শেষ বছর, তারপর সে বিয়ে করে কানাডায় চলে যাবে। এই কথা শুনে ক্ষিতীশ চমকে ওঠেন। একদিন কোনি অমিয়াকে তার পা ধোয়া জল খাওয়ার কথা বলেছিল। তাই কোনি অমিয়াকে হারাতে না পারলে ক্ষিতীশ ও কোনির জীবনে বিরাট অপূর্ণতা থেকে যাবে বলে ক্ষিতীশ মনে করেন।

অমিয়ার বিয়ের কথা জানতে পেরে ক্ষিতীশ তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেন যে, তিনি কোনিকে প্রতিযোগিতায় নামাবেন। বদু চাটুজ্জে এই সিদ্ধান্তে আপত্তি জানান। এমনকি, ব্যঙ্গ করে বলেন যে, অল্প বয়সে বাজেভাবে হেরে গেলে কোনিরই ক্ষতি হবে। কিন্তু ক্ষিতীশ ছিলেন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তাই অ্যাপোলোর ভাইস-প্রেসিডেন্ট নকুল মুখুজ্জেকে তিনি জানিয়ে দেন যে, জুপিটারের প্রতিযোগিতায় কোনির এন্ট্রি অবশ্যই নেওয়া হবে।

তাহলে বিরাট এক অপূর্ণতা ক্ষিতীশের জীবনে যেন রয়ে যাবে। - কোন্ প্রসঙ্গে এ কথা বলা হয়েছে এবং এজন্য তিনি কী করেছিলেন?

“তাহলে বিরাট এক অপূর্ণতা ক্ষিতীশের জীবনে যেন রয়ে যাবে।” – কোন্ প্রসঙ্গে এ কথা বলা হয়েছে এবং এজন্য তিনি কী করেছিলেন?

উৎস – আলোচ্য উক্তিটি মতি নন্দী রচিত কোনি উপন্যাস থেকে গৃহীত হয়েছে।

প্রসঙ্গ – ক্ষিতীশ অমানুষিক পরিশ্রম করিয়ে কোনিকে ক্রমাগত প্রতিযোগিতার উপযুক্ত করে গড়ে তুলছিলেন। কিন্তু তখনও পর্যন্ত তাকে কোনো প্রতিযোগিতায় নামাননি। তার কারণ তিনি চেয়েছিলেন বালিগঞ্জের হিয়া মিত্রের সময় জেনে নিতে। এরকম পরিস্থিতিতে একদিন ক্ষিতীশের সঙ্গে দেখা করতে আসে জুপিটারের দুই কর্তা ধীরেন ঘোষ আর বদু চাটুজ্জে। তারা কোনিকে নিয়ে ক্ষিতীশের কাছে নানা কটূক্তি করতে থাকে। তাদের কাছ থেকেই ক্ষিতীশ জানতে পারেন যে, সে বছরটাই অমিয়ার সাঁতারু হিসেবে শেষ বছর। তারপরেই বিয়ে করে সে কানাডায় চলে যাবে। এই কথা শুনে ক্ষিতীশ চমকে ওঠেন। একদিন কোনিকে অমিয়া তার পা ধোয়া জল খাওয়ার কথা বলেছিল। তাই কোনি অমিয়াকে হারাতে না পারলে বিরাট একটা অপূর্ণতা ক্ষিতীশ ও কোনি-দুজনেরই জীবনে থেকে যাবে বলে ক্ষিতীশ মনে করেন।

ক্ষিতীশের করণীয় বিষয় – অমিয়ার বিয়ের কথা জানতে পেরে ক্ষিতীশ মুহূর্তের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেন যে, কোনিকে তিনি প্রতিযোগিতায় নামাবেন। বদু চাটুজ্জেরা তাতে আপত্তি জানান। এমনকি এই পরামর্শের আড়ালে ব্যঙ্গ করে এ কথাও বলেন যে, অল্পবয়সে বাজেভাবে হেরে গেলে আখেরে কোনিরই ক্ষতি হবে। কিন্তু ক্ষিতীশ ছিলেন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তাই অ্যাপোলোর ভাইস-প্রেসিডেন্ট নকুল মুখুজ্জেকে তিনি জানিয়ে দেন যে, জুপিটারের প্রতিযোগিতায় কোনির এন্ট্রি যেন অবশ্যই নেওয়া হয়।

আরও পড়ুন, ক্ষিতীশ কথাটা বলেই মনে মনে ব্যথিত হল। — ক্ষিতীশ কাকে, কী কথা বলেছিলেন? তাঁর ব্যথিত হবার কারণ কী?

ক্ষিতীশ কোনিকে প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুত করেছিলেন, কিন্তু অমিয়ার সময় সম্পর্কে জানার জন্য তাকে কোন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করাননি। জুপিটারের কর্তাদের কাছ থেকে অমিয়ার বিয়ের খবর জানতে পেরে ক্ষিতীশ তাকে হারানোর ভয়ে তাকে প্রতিযোগিতায় নামানোর সিদ্ধান্ত নেন। বদু চাটুজ্জের আপত্তি সত্ত্বেও, ক্ষিতীশ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন এবং কোনিকে জুপিটারের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করান।

এই অংশটি ক্ষিতীশের কোনির প্রতি নিষ্ঠা এবং অমিয়ার প্রতি তার প্রতিযোগিতামূলক মনোভাবকে তুলে ধরে। এটি কোনির প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য ক্ষিতীশের দৃঢ় সংকল্প এবং কোনিকে একজন সাঁতারু হিসেবে গড়ে তোলার জন্য তার অক্লান্ত পরিশ্রমের প্রমাণ।

এই অংশটির উপসংহারে বলা যায় যে, ক্ষিতীশ কোনিকে একজন সফল সাঁতারু হিসেবে গড়ে তোলার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন এবং তার জন্য যেকোনো বাধা অতিক্রম করতে প্রস্তুত ছিলেন।

Share via:

মন্তব্য করুন