ধনুকাকৃতি, তীক্ষ্ণাগ্র এবং পাখির পায়ের মতো বদ্বীপ কাকে বলে?

Rahul

আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে দেখবো যে ধনুকাকৃতি, তীক্ষ্ণাগ্র এবং পাখির পায়ের মতো বদ্বীপ কাকে বলে? এই দুটি প্রশ্ন দশম শ্রেণীর জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও দুটি প্রশ্ন আপনি পরীক্ষার জন্য তৈরী করে গেলে আপনি লিখে আস্তে পারবেন।

ধনুকাকৃতি, তীক্ষ্ণাগ্র এবং পাখির পায়ের মতো বদ্বীপ কাকে বলে?

ধনুকাকৃতি বদ্বীপ – এই ধরনের বদ্বীপের সমুদ্রমুখী বহিরেখা সমুদ্রের দিকে ধনুকের মতো বেঁকে যায়। এই ধরনের বদ্বীপ অনেকটা জিভের মতো হয় বলে একে ‘জিহ্বাগ্র বদ্বীপ’-ও বলে। এর আকৃতি অনেকটা গ্রিক অক্ষর ‘Δ’ বা বাংলা মাত্রাহীন ‘ব’-এর মতো হয়। এদের আকৃতি সমুদ্রের মধ্যে ক্রমবর্ধমান হয়। উদাহরণ — নাইজার, নীলনদ, হোয়াংহো, মেকং, গঙ্গা, রাইন নদীতে এমন বদ্বীপ দেখা যায়।

তীক্ষ্ণাগ্র বদ্বীপ – মূলনদীর মোহানা করাতের দাঁতের মতো হয়ে থাকে। ল্যাটিন শব্দ ‘কাসপেট’ শব্দের অর্থ তীক্ষ্ণ। নদী যেখানে সমুদ্রে এসে পড়ে সেখানে নদীর শক্তির তুলনায় সমুদ্রের শক্তি বেশি হলে এমন ধরনের বদ্বীপ গড়ে ওঠে। উদাহরণ — ইটালির টাইবার নদীর বদ্বীপ এই ধরনের।

পাখির পায়ের মতো বদ্বীপ – মূলনদী অনেকগুলি শাখায় বিভক্ত হয়ে সমুদ্রে পড়লে এমন বদ্বীপ গড়ে ওঠে। এক্ষেত্রে নদীর গতিবেগ বদ্বীপ অঞ্চলে একটু বেশি থাকে ফলে দ্রবীভূত পদার্থগুলি সমুদ্রের বহুদূর পর্যন্ত গিয়ে জমা হয়। এই ধরনের বদ্বীপ দেখতে পাখির পায়ের মতো হয়। উদাহরণ – মিসিসিপি নদীর বদ্বীপ।

পাখির পায়ের মতো বদ্বীপ

আরও পড়ুন – উচ্চগতিতে পার্শ্বক্ষয় অপেক্ষা নিম্নক্ষয় বেশি হয় কেন?

কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর

পাখির পায়ের মতো ব দ্বীপ ভারতের কোন নদীতে দেখা যায়?

কৃষ্ণা নদীর বদ্বীপ পাখির পায়ের মতো দেখতে।

সক্রিয় বদ্বীপ কাকে বলে?

যে বদ্বীপে নদী নিয়মিত পলি জমা করে নতুন ভূমি তৈরি করে এবং নতুন নতুন চর তৈরি করে, তাকে সক্রিয় বদ্বীপ বলে।

ধনুকাকৃতি ব-দ্বীপ কোন নদীতে দেখা যায়?

গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র পৃথিবীর বৃহত্তম বদ্বীপটি গঠন করে। এটি একটি ধনুকাকৃতি বদ্বীপ। এর দৈর্ঘ্য 400 কিমি।

কাসপেট বদ্বীপ কাকে বলে?

নদীর মোহনায় অনুকূল পরিস্থিতিতে নদীস্রোত যখন সোজাসোজি সমুদ্রের মধ্যে অনেক দূর পর্যন্ত প্রবাহিত হয়, তখন সমুদ্রের তীরে  স্রোতপ্রবাহের উভয়পাশে পলি  সঞ্চিত  হয়ে ত্রিকোণাকার বদ্বীপ তৈরি করে।  এই ধরণের বদ্বীপকে  কাসপেট বদ্বীপ বলা হয়।

এই আর্টিকেলে আমরা তিন ধরণের বদ্বীপ সম্পর্কে আলোচনা করেছি: ধনুকাকৃতি, তীক্ষ্ণাগ্র এবং পাখির পায়ের মতো। আমরা তাদের বৈশিষ্ট্য, গঠন প্রক্রিয়া এবং উদাহরণগুলিও দেখেছি।

Please Share This Article

Related Posts

শিশির, কুয়াশা প্রভৃতি অধঃক্ষেপণ নয় কেন

অধঃক্ষেপণ কাকে বলে? অধঃক্ষেপণের রূপভেদ গুলি আলোচনা করো।

মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা সম্পর্কে টীকা লেখো।

মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা সম্পর্কে টীকা লেখো।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীকালে ভারতের শ্রমিক আন্দোলনগুলির সাধারণ বৈশিষ্ট্য কী ছিল?

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীকালে ভারতের শ্রমিক আন্দোলনগুলির সাধারণ বৈশিষ্ট্য কী ছিল?

About The Author

Rahul

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

"SolutionWbbse" শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনলাইন অধ্যয়ন প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গাইডলাইন, এবং বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সাহায্য প্রদান করা হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল বিষয়ের শিক্ষণীয় উপকরণ সহজেই সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া।

Editor Picks

অধঃক্ষেপণ কাকে বলে? অধঃক্ষেপণের রূপভেদ গুলি আলোচনা করো।

মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা সম্পর্কে টীকা লেখো।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীকালে ভারতের শ্রমিক আন্দোলনগুলির সাধারণ বৈশিষ্ট্য কী ছিল?

বিংশ শতকে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে ভারতে সংঘটিত কৃষক বিদ্রোহগুলির সাধারণ বৈশিষ্ট্য কী ছিল?

অহিংস অসহযোগ আন্দোলনে কৃষক সমাজ কীভাবে অংশগ্রহণ করেছিল?