অষ্টম শ্রেণি – বাংলা – ছন্নছাড়া – অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের লেখা দুটি বই-এর নাম হল – ‘অমাবস্যা’ ও ‘আমরা’।

তিনি ‘কল্লোল’ পত্রিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন।

একজন নামপরিচয়হীন ভিখিরিকে একটি গাড়ি চাপা দিয়ে চলে গিয়েছে এবং তার দেহ রক্তাক্ত অবস্থায় দলা পাকিয়ে গিয়েছে – যে কারণে সেখানে ভিড় জমেছিল।

লোক’টি একটি পরিচয়হীন চালচুলোহীন ফুটপাথবাসী ভিখিরি, যার দেহ গাড়ি চাপা পড়ে রক্তে মাখামাখি হয়ে প্রায় দলা পাকিয়ে গিয়েছে।

ভিখিরির দেহে প্রাণ থাকার আনন্দে যুবকেরা সমস্বরে ‘প্রাণ আছে, এখনও প্রাণ আছে’ বলে আনন্দে ঝংকৃত হয়ে চেঁচিয়ে উঠল।

ছন্নছাড়া কবিতাটির রচয়িতা হলেন অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত।

ছন্নছাড়া কবিতায় উল্লিখিত গাছটি দাঁড়িয়ে রয়েছে গলির মোড়ে।

রাস্তায় দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিল এক ভিখিরি।

ওরা বিরাট এক নৈরাজ্যের এক নেই রাজ্যের বাসিন্দা।

তা সুধাহরণের ক্ষুধাভরণের উদাহরণ।

তাই এখন পথে এসে দাঁড়িয়েছে সড়কের মাঝখানে।

কোথায় চলেছে নেই সেই ভবিষ্যতের ঠিকানা।

ধীরে ধীরে ঘন পত্রপুঞ্জে ফেলেছে স্নেহার্দ্র দীর্ঘছায়া।

অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত প্রথম ‘নীহারিকা দেবী’ ছদ্মনামে সাহিত্যরচনা শুরু করেন।

অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত কিছু সময়ের জন্য ‘কল্লোল’ পত্রিকার সম্পাদনার দায়িত্ব সামলেছিলেন।

গলির মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা রুক্ষ, রিক্ত, জীর্ণ গাছটিকে দেখে কবির ‘গাছের প্রেতচ্ছায়া’ বলে মনে হয়েছিল।

অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের লেখা দুটি উল্লেখযোগ্য উপন্যাস হল ‘বিবাহের চেয়ে বড়ো’ এবং ‘ইন্দ্রাণী’। তাঁর লেখা উল্লেখযোগ্য দুটি কাব্যগ্রন্থ হল ‘অমাবস্যা’ এবং ‘নীল আকাশ’।

ছন্নছাড়া বেকার যুবকেরা দুর্ঘটনায় আহত নামপরিচয়হীন ভিখিরির দেহে প্রাণ আছে দেখে আনন্দে উল্লসিত হয়ে সমস্বরে চেঁচিয়ে উঠল ‘প্রাণ আছে, এখনও প্রাণ আছে’ বলে।

গলির মোড়ের গাছটিকে দেখে কবির প্রথমে মনে হয়েছিল লতাপাতাহীন, বিন্দুমাত্র সবুজের চিহ্নবিহীন এবং কতকগুলো শুকনো ডাল মেলে ধরা গাছটা যেন আসলে একটা প্রকৃত জীবন্ত গাছ নয়। গাছের কঙ্কাল বা প্রেতমূর্তি।