এখনই আমাদের Telegram Community গ্রুপে যোগ দিন।। এখানে WBBSE বোর্ডের পঞ্চম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির যেকোনো বিষয়ভিত্তিক সমস্যা শেয়ার করতে পারেন এবং একে অপরের সাহায্য করতে পারবেন। এছাড়া, কোনও সমস্যা হলে আমাদের শিক্ষকরা তা সমাধান করে দেবেন।

Telegram Logo Join Our Telegram Community

অষ্টম শ্রেণি – বাংলা – সুভা – রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর

আজকের এই আর্টিকেলে অষ্টম শ্রেণির বাংলা বইয়ের ত্রয়োত্রিংশ অধ্যায়সুভা’ নিয়ে রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর আলোচনা করা হবে। এই প্রশ্নগুলো অষ্টম শ্রেণির বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষত যারা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাদের জন্য। কারণ এই অধ্যায় থেকে প্রশ্ন প্রায়ই স্কুল পরীক্ষাসহ চাকরির পরীক্ষায় আসে, যা পরীক্ষার্থীদের জন্য মূল্যবান হতে পারে।

Table of Contents

সুভা – বাংলা  – অষ্টম শ্রেণি – রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর

সুভা গল্পে সুভা চরিত্রটি বিষয়ে আলোচনা করো।

চণ্ডীপুর গ্রামের বাণীকন্ঠের তিন মেয়ের কনিষ্ঠাটির নাম সুভাষিণী। সংক্ষেপে সুভা বলে ডাকে সবাই। সুভা মূক বা বোবা। সে কথা না বলতে পারলেও তার অনুভব শক্তি ছিল প্রখর। তাই তার ওষ্ঠাধর ভাবের আভাসমাত্রেই কচি কিশলয়ের মতো কেঁপে উঠত। সুভার সুদীর্ঘ পল্লববিশিষ্ট বড়ো বড়ো দুটি কালো চোখ ছিল। সুভার মন আপনি তার উপর ছায়া ফেলে ভাব বুঝিয়ে দিত। সাধারণ ছেলেমেয়েরা তার সঙ্গে খেলা করতে চাইত না, তাই তার বন্ধু ছিল তাদের গোয়ালের দুটি গাভী সর্বশী ও পাঙ্গুলি, আর একটি ছাগল ও একটি বিড়ালছানা। মানুষদের মধ্যে সুভার একটি সঙ্গী ছিল, গোঁসাইদের নিষ্কর্মা ছোটো ছেলে প্রতাপ। সুভা তেঁতুলতলায় বসে বসে দেখত প্রতাপের মাছ ধরা আর ইচ্ছা করত প্রতাপকে কোনো একটা বিশেষ সাহায্য করতে। নিজে প্রতাপের জন্য একটা করে পান সেজে এনে দিত। মনে মনে ঈশ্বরের কাছে অলৌকিক ক্ষমতা প্রার্থনা করত প্রতাপের সামনে আশ্চর্য কাণ্ড ঘটানোর জন্য।

সুভা গল্পে প্রতাপ চরিত্রটি বিষয়ে আলোচনা করো।

গোঁসাইদের ছোটো ছেলে প্রতাপ নিতান্তই অকর্মণ্য। সে যে কাজকর্ম করে সংসারের উন্নতি করবে সে আশা তার বাবা-মা ত্যাগ করেছেন। প্রতাপের প্রধান শখ ছিল ছিপ ফেলে মাছ ধরা। বিকেলে নদীর ধারে তাকে প্রায় এই কাজে নিযুক্ত দেখা যেত। এই উপলক্ষ্যেই সুভার সঙ্গে তার প্রায়ই দেখা হত। বাক্যহীনা এই সঙ্গীটিকে প্রতাপ মর্যাদা দিত। সুভাকে সে ‘সু’ বলে ডাকত। সুভার বিবাহের ঠিক হলে সে সুভাকে বলেছিল – কী রে, সু, তোর নাকি বর পাওয়া গেছে, তুই বিয়ে করতে যাচ্ছিস? দেখিস, আমাদের ভুলিস নে। এই কথা সুভাকে মনে মনে বেদনার্ত করলেও প্রতাপ তা বোঝেনি। যদিও সুভা তাকে খুব আপন মনে করত।

নীচের বাক্যগুলিকে কর্তা-খণ্ড ও ক্রিয়া-খণ্ডে ভাগ করে দেখাও –

সে নির্জন দ্বিপ্রহরের মতো শব্দহীন এবং সঙ্গীহীন।

  • কর্তাখণ্ড – সে।
  • ক্রিয়াখণ্ড – নির্জন দ্বিপ্রহরের মতো শব্দহীন এবং সঙ্গীহীন।

সে যে কাজকর্ম করিয়া সংসারের উন্নতি করিতে যত্ন করিবে, বহু চেষ্টার পর বাপ-মা সে আশা ত্যাগ করিয়াছেন।

  • কর্তাখণ্ড – সে।
  • ক্রিয়াখণ্ড – যে কাজকর্ম করিয়া সংসারের উন্নতি করিতে যত্ন করিবে, বহু চেষ্টার পর বাপ-মা সে আশা ত্যাগ করিয়াছেন।

এই বাক্যহীন মনুষ্যের মধ্যে বৃহৎ প্রকৃতির মতো একটা বিজন মহত্ব আছে।

  • কর্তাখণ্ড – এই বাক্যহীন মনুষ্যের মধ্যে।
  • ক্রিয়াখণ্ড – বৃহৎ প্রকৃতির মতো একটা বিজন মহত্ব আছে।

নির্দেশ অনুযায়ী বাক্য পরিবর্তন করো –

সুভা তেঁতুলতলায় বসিয়া থাকিত এবং প্রতাপ অনতিদূরে মাটিতে ছিপ ফেলিয়া জলের দিকে চাহিয়া থাকিত। (জটিল বাক্যে)

যখন সুভা তেঁতুলতলায় বসিয়া থাকিত তখন প্রতাপ অনতিদূরে মাটিতে ছিপ ফেলিয়া জলের দিকে চাহিয়া থাকিত।

বাণীকণ্ঠ নিদ্রা হইতে উঠিয়া শয়নগৃহে তামাক খাইতেছিল। (জটিল বাক্যে)

বাণীকণ্ঠ যখন নিদ্রা হইতে উঠিয়াছিল তখন শয়নগৃহে তামাক খাইতেছিল।

বাণীকন্ঠের ঘর একেবারেই নদীর উপরেই। তাহার বাখারির বেড়া, আটচালা, গোয়ালঘর, ঢেঁকিশালা, খড়ের স্তূপ, তেঁতুলতলা, আম, কাঁঠাল এবং কলার বাগান নৌকাবাহী মাত্রেরই দৃষ্টি আকর্ষণ করে। (জটিল বাক্যে)

বাণীকন্ঠের যেহেতু ঘরখানি একেবারে নদীর উপরেই সেহেতু বাখারির বেড়া, আটচালা, গোয়ালঘর, ঢেঁকিশালা, খড়ের স্তূপ, তেঁতুলতলা, আম, কাঁঠাল এবং কলার বাগান নৌকাবাহী মাত্রেরই দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

প্রকৃতি যেন তাহার ভাষার অভাব পূরণ করিয়া দেয়। যেন তাহার হইয়া কথা কয়। (সরল বাক্যে)

প্রকৃতি যেন তাহার ভাষার অভাব পূরণ করিয়া দিয়া তাহার হইয়া কথা কয়।

শূন্যস্থান পূরণ করো –

অষ্টম শ্রেণি – বাংলা – সুভা

সুভার জীবন ছিল দুঃখের। কথা না বলতে পারায় তার জীবনে অনেক বাধা আসে। বিবাহের পর তার স্বামী তাকে ছেড়ে চলে যায়। সুভার জীবনের বেদনা অন্তর্যামী ছাড়া সকলের কাছেই অজ্ঞাত থেকে যায়।

আজকের এই আর্টিকেলে আমরা অষ্টম শ্রেণীর বাংলা বইয়ের ত্রয়োত্রিংশ অধ্যায়, “সুভা” থেকে রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নোত্তরগুলো অষ্টম শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষার প্রস্তুতি এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অত্যন্ত সহায়ক হবে, কারণ এ ধরনের প্রশ্ন প্রায়ই পরীক্ষায় আসে। আশা করি, এই আর্টিকেলটি আপনার কাজে এসেছে। যদি আপনার কোনো প্রশ্ন থাকে বা মতামত জানাতে চান, তাহলে টেলিগ্রামে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আমি আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য সর্বদা প্রস্তুত। পোস্টটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে, তাহলে তা আপনার বন্ধু-বান্ধব এবং প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ!

Share via:

মন্তব্য করুন