আজকে আমরা আমাদের এই আর্টিকেলে মাধ্যমিক বাংলার তৃতীয় পাঠের প্রথম অংশ “আফ্রিকা” থেকে কিছু অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করবো। এই প্রশ্নগুলো মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই ধরনের প্রশ্ন প্রায়ই পরীক্ষায় আসতে দেখা যায়। আশা করি, এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হবে।

বহুবিকল্পীয় প্রশ্ন ও উত্তর
ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো।
‘আফ্রিকা’ কবিতাটি যে কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে –
- মানসী
- পত্রপুট
- প্রান্তিক
- শিশু
উত্তর – 2. পত্রপুট
‘আফ্রিকা’ কবিতাটি –
- প্রকৃতি বিষয়ক
- সাম্রাজ্যবাদ-বিরোধী
- ঈশ্বরচেতনা বিষয়ক
- সৃষ্টিতত্ত্ব বিষয়ক
উত্তর – 2. সাম্রাজ্যবাদ-বিরোধী
রবীন্দ্রনাথের অন্য একটি সাম্রাজ্যবাদ-বিরোধী কবিতা হল –
- অপমানিত
- 1400 সাল
- শতবর্ষ পরে
- ওরা কাজ করে
উত্তর – 4. ওরা কাজ করে
‘আফ্রিকা’ কবিতায় ‘আদিম যুগ’ ছিল –
- অন্ধকার
- উদ্ভ্রান্ত
- সহজ
- আন্তরিক
উত্তর – 2. উদ্ভ্রান্ত
আদিম যুগে স্রষ্টার কার প্রতি অসন্তোষ ছিল? –
- দয়াময় দেবতার প্রতি
- কবির সংগীতের প্রতি
- নিজের প্রতি
- ধরিত্রীর প্রতি
উত্তর – 3. নিজের প্রতি
নিজের প্রতি অসন্তোষে স্রষ্টা কী করছিলেন? –
- অসন্তোষ প্রকাশ করছিলেন
- মন্ত্র জাগাচ্ছিলেন চেতনাতীত মনে
- বিদ্রুপ করছিলেন ভীষণকে
- নতুন সৃষ্টিকে বারবার বিধ্বস্ত করছিলেন
উত্তর – 4. নতুন সৃষ্টিকে বারবার বিধ্বস্ত করছিলেন
“নতুন সৃষ্টিকে বারবার করছিলেন বিধ্বস্ত” – নতুন সৃষ্টিকে বিধ্বস্ত করছিলেন –
- প্রকৃতি
- সমুদ্র
- বিধাতা
- অরণ্য
উত্তর – 3. বিধাতা
স্রষ্টার ঘনঘন মাথা নাড়া ছিল –
- অধৈর্যে
- সম্মতিতে
- ক্রোধে
- আনন্দে
উত্তর – 1. অধৈর্যে
“ছিনিয়ে নিয়ে গেল তোমাকে”-কে ছিনিয়ে নিয়ে গেল? –
- কৃপণ আলো
- প্রাচী ধরিত্রী
- রুদ্র সমুদ্রের বাহু
- ছায়াবৃতা
উত্তর – 3. রুদ্র সমুদ্রের বাহু
‘রুদ্র সমুদ্রের বাহু’ আফ্রিকাকে ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছিল –
- সূর্যহারা অরণ্য থেকে
- পশ্চিম দিগন্ত থেকে
- মন্দির থেকে
- প্রাচী ধরিত্রীর বুকের থেকে
উত্তর – 4. প্রাচী ধরিত্রীর বুকের থেকে
আফ্রিকাকে ধরিত্রীর বুকের থেকে ছিনিয়ে নিয়ে বাঁধা হয়েছিল –
- সমুদ্রবক্ষে
- বনস্পতির নিবিড় পাহারায়
- বাষ্পাকুল অরণ্যপথে
- গুপ্ত গহ্বরে
উত্তর – 2. বনস্পতির নিবিড় পাহারায়
সৃষ্টিকর্তা আফ্রিকাকে যার নিবিড় পাহারায় বেঁধেছিলেন, তা হল –
- সমুদ্রের
- হিংস্র জন্তুর
- বনস্পতির
- বিদেশি সৈন্যের
উত্তর – 3. বনস্পতির
“সেখানে নিভৃত অবকাশে তুমি/সংগ্রহ করছিলে” – কী সংগ্রহ করার কথা বলা হয়েছে? –
- দুর্বোধ্য সংকেত
- ভাষাহীন ক্রন্দন
- দৃষ্টি-অতীত জাদু
- দুর্গমের রহস্য
উত্তর – 4. দুর্গমের রহস্য
“চিনছিলে জলস্থল-আকাশের” – কী চেনার কথা বলা হয়েছে? –
- দুর্বোধ্য রহস্য
- দুর্গমের রহস্য
- দুর্বোধ্য সংকেত
- দুর্গমের সংকেত
উত্তর – 3. দুর্বোধ্য সংকেত
প্রকৃতির যে জাদু কবি উপলব্ধি করেছেন তা কেমন ছিল? –
- মায়াবী
- দৃষ্টি-অতীত
- ভাষাহীন
- আবিল
উত্তর – 2. দৃষ্টি-অতীত
প্রকৃতির দৃষ্টি-অতীত জাদু কী করছিল? –
- মনকে আচ্ছন্ন করছিল
- বিদ্রুপ করছিল
- মন্ত্র জাগাচ্ছিল
- চিরচিহ্ন দিয়ে যাচ্ছিল
উত্তর – 3. মন্ত্র জাগাচ্ছিল
“প্রকৃতির দৃষ্টি-অতীত জাদু/মন্ত্র জাগাচ্ছিল” – এই মন্ত্র কোথায় জাগাচ্ছিল? –
- আফ্রিকার চেতনাতীত মনে
- অপমানিত ইতিহাসে
- মানহারা মানবীর দ্বারে
- কৃপণ আলোর অন্তঃপুরে
উত্তর – 1. আফ্রিকার চেতনাতীত মনে
“বিদ্রুপ করছিলে ভীষণকে” – কীভাবে এই বিদ্রুপ করা হচ্ছিল? –
- তাণ্ডবের দুন্দুভিনিনাদে
- উপেক্ষার আবিল দৃষ্টিতে
- রক্তে অশ্রুতে মিশে
- বিরূপের ছদ্মবেশে
উত্তর – 4. বিরূপের ছদ্মবেশে
“আপনাকে উগ্র ক’রে প্রচণ্ড মহিমায়/তাণ্ডবের দুন্দুভিনিনাদে” –
- যুগান্তরের
- বিভীষিকার
- মানবের
- প্রলাপের
উত্তর – 2. বিভীষিকার
“শঙ্কাকে চাচ্ছিলে হার মানাতে” –
- অতীত জাদুতে
- দুর্গমের রহস্যে
- বিরূপের ছদ্মবেশে
- তাণ্ডবের দুন্দুভিনিনাদে
উত্তর – 4. তাণ্ডবের দুন্দুভিনিনাদে
বিভীষিকার প্রচণ্ড মহিমার দ্বারা কী করা হচ্ছিল? –
- নির্লজ্জ অমানুষতাকে নগ্ন করা হচ্ছিল
- ইতিহাসে চিরচিহ্ন দিয়ে যাচ্ছিল
- শঙ্কাকে হার মানাতে চাইছিল
- ক্ষমা করার কথা বলছিল
উত্তর – 3. শঙ্কাকে হার মানাতে চাইছিল
দুন্দুভিনিনাদ কীসের ছিল? –
- নির্লজ্জতার
- অমানবিকতার
- তাণ্ডবের
- যুগান্তের
উত্তর – 3. তাণ্ডবের
“হায় ছায়াবৃতা” – এখানে কাকে ‘ছায়াবৃতা’ বলা হয়েছে? –
- আফ্রিকাকে
- এশিয়াকে
- অরণ্যকে
- সূর্যকে
উত্তর – 1. আফ্রিকাকে
“কালো ঘোমটার নীচে” – ‘কালো ঘোমটা’ হল –
- ছায়ানিবিড়তা
- অন্ধকার
- দুর্গমতা
- রহস্যময়তা
উত্তর – 1. ছায়ানিবিড়তা
কালো ঘোমটার নীচে কী অপরিচিত ছিল? –
- আদিম রূপ
- মানবরূপণ
- হিংস্ররূপ
- অমানবিক রূপ
উত্তর – 2. মানবরূপণ
উপেক্ষার দৃষ্টি কেমন হয়েছিল? –
- উৎসুক
- আনমনা
- আবিল
- কৌতূহলী
উত্তর – 3. আবিল
“উপেক্ষার আবিল দৃষ্টিতে।” – কার প্রতি উপেক্ষা? –
- প্রকৃতির
- সমুদ্রের
- জলস্থলের
- আফ্রিকার
উত্তর – 4. আফ্রিকার
“এল ওরা লোহার হাতকড়ি নিয়ে” – ওরা হল –
- ভারতীয়রা
- আমেরিকানরা
- জংলি উপজাতিরা
- ইউরোপিয়ানরা
উত্তর – 4. ইউরোপিয়ানরা
ওরা কী নিয়ে এল? –
- রথ
- বন্দুক
- বারুদ
- লোহার হাতকড়ি
উত্তর – 4. লোহার হাতকড়ি
কাদের নখ তীক্ষ্ণ? –
- মানুষ-ধরার দলের
- হিংস্র প্রকৃতির
- কাঁটাওয়ালা চাবুকের
- পশুর
উত্তর – 1. মানুষ-ধরার দলের
“নখ যাদের তীক্ষ্ণ” – কার চেয়ে নখ তীক্ষ্ণ? –
- নেকড়ের
- হায়নার
- সিংহের
- বাঘের
উত্তর – 1. নেকড়ের
“এল মানুষ-ধরার দল।” – ‘মানুষ-ধরার দল’ বলা হয়েছে –
- ছেলেধরাদের
- ঔপনিবেশিক প্রভুদের
- দস্যুদের
- ধনী লোকদের
উত্তর – 2. ঔপনিবেশিক প্রভুদের
“গর্বে যারা অন্ধ” – কার চেয়ে বেশি অন্ধ? –
- অন্ধকারের
- সূর্যহারা অরণ্যের
- কুয়াশার
- গুহার
উত্তর – 2. সূর্যহারা অরণ্যের
সভ্যের লোভ কেমন? –
- লকলকে
- বর্বর
- হিংস্র
- নোংরা
উত্তর – 2. বর্বর
কাদার পিণ্ডকে বীভৎস বলা হয়েছে, কারণ –
- আফ্রিকার মাটি এঁটেল মাটি
- আফ্রিকার মাটি মানুষের রক্ত আর অশ্রুতে ভেজা
- আফ্রিকার মাটি লবণাক্ত জলে সিক্ত
- কাদার গভীরতা বেশি
উত্তর – 2. আফ্রিকার মাটি মানুষের রক্ত আর অশ্রুতে ভেজা
“নগ্ন করল” – নগ্নভাবে কী প্রকাশিত হল? –
- প্রলয়
- ধ্বংস
- নির্লজ্জ অমানুষতা
- যুদ্ধ
উত্তর – 3. নির্লজ্জ অমানুষতা
আফ্রিকার ক্রন্দন কেমন? –
- ভাবহীন
- রূপহীন
- ভাষাহীন
- বীভৎস
উত্তর – 3. ভাষাহীন
অরণ্যপথ ‘ভাষাহীন ক্রন্দনে’ কী হয়ে উঠল? –
- মুখর
- ভয়ানক
- বর্বর
- বাষ্পাকুল
উত্তর – 4. বাষ্পাকুল
ধূলি কীভাবে পঙ্কিল হল? –
- ঘামে রক্তে মিশে
- ঘামে অশ্রুতে মিশে ঘামে
- বৃষ্টিতে মিশে
- রক্তে অশ্রুতে মিশে
উত্তর – 4. রক্তে অশ্রুতে মিশে
দস্যু-পায়ের জুতো কেমন? –
- পেরেক-মারা
- ছুঁচ-বেঁধানো
- পিষে-দেওয়া
- কাঁটা-মারা
উত্তর – 4. কাঁটা-মারা
“কাদার পিণ্ড” –
- ভয়ংকর
- নোংরা
- বীভৎস
- নগ্ন
উত্তর – 3. বীভৎস
“চিরচিহ্ন দিয়ে গেল” – চিরচিহ্ন দিয়ে গেল –
- লজ্জিত ইতিহাসে
- অপমানিত ইতিহাসে
- সাধারণের মনে
- ভবিষ্যতের ভাবনায়
উত্তর – 2. অপমানিত ইতিহাসে
সমুদ্রপারে কোথায় ঘণ্টা বাজছিল? –
- মন্দিরে
- বাড়িতে
- রাজসভায়
- উদ্যানে
উত্তর – 1. মন্দিরে
“তাদের পাড়ায় পাড়ায়” – ‘তাদের’ বলতে বোঝানো হয়েছে –
- আফ্রিকাবাসীদের
- ঔপনিবেশিক প্রভুদের
- নিবিড় অরণ্যের
- পূজারিদের
উত্তর – 2. ঔপনিবেশিক প্রভুদের
কার নামে পুজো চলছিল? –
- ক্ষমতাময় রাজার
- পরমাত্মার
- অন্ধকার আফ্রিকার
- দয়াময় দেবতার
উত্তর – 4. দয়াময় দেবতার
শিশুরা কোথায় খেলছিল? –
- বনে
- মাঠে
- ময়দানে
- মায়ের কোলে
উত্তর – 4. মায়ের কোলে
কবির সংগীতে বেজে উঠেছিল –
- বিপ্লবের সুর
- সুন্দরের আরাধনা
- দেবতার স্তবগান
- পুজোর মন্ত্রধ্বনি
উত্তর – 2. সুন্দরের আরাধনা
কবি কীসের মাধ্যমে আরাধনা করছিলেন? –
- কবিতার
- লেখনীর
- সংগীতের
- গ্রন্থের
উত্তর – 3. সংগীতের
আজ কোথায় ঝড় ঘনিয়ে উঠছে? –
- পূর্ব দিগন্তে
- পশ্চিম দিগন্তে
- উত্তর দিগন্তে
- দক্ষিণ দিগন্তে
উত্তর – 2. পশ্চিম দিগন্তে
কখন ঝড় ঘনিয়ে উঠল? –
- দ্বিপ্রহরে
- প্রদোষকালে
- মধ্যরাত্রে
- শেষরাত্রে
উত্তর – 2. প্রদোষকালে
“প্রদোষকাল ঝঞ্ঝাবাতাসে রুদ্ধশ্বাস” – ‘প্রদোষ’ শব্দের অর্থ –
- সন্ধ্যা
- ভোর
- রাত্রি
- দুপুর
উত্তর – 1. সন্ধ্যা
কোথা থেকে পশুরা বেরিয়ে এল? –
- গুপ্ত গহ্বর থেকে
- আদিম বনভূমি থেকে
- গভীর অরণ্য থেকে
- প্রকাশ্য গহ্বর থেকে
উত্তর – 1. গুপ্ত গহ্বর থেকে
পশুরা কী ঘোষণা করল? –
- দিনের অন্তিমকাল
- রাত্রির অন্তিমকাল
- সকালের অন্তিমকাল
- সন্ধ্যার অন্তিমকাল
উত্তর – 1. দিনের অন্তিমকাল
পশুরা কীভাবে অন্তিম ঘোষণা করল? –
- অশুভ ধ্বনিতে
- হিংস্র চিৎকারে
- মুখর কলরবে
- অশুভ ইঙ্গিতে
উত্তর – 1. অশুভ ধ্বনিতে
কবি কাকে আহ্বান জানিয়েছেন? –
- আফ্রিকাকে
- যুগান্তের কবিকে
- অপমানকারী পশুদের
- সারা বিশ্বকে
উত্তর – 2. যুগান্তের কবিকে
কবি যুগান্তের কবিকে দাঁড়াতে বলেছেন –
- আসন্ন ভোরের প্রথম রশ্মিপাতে
- আসন্ন দুপুরের প্রবল রশ্মিপাতে
- আসন্ন সন্ধ্যার শেষ রশ্মিপাতে
- আসন্ন রাত্রির শেষ রশ্মিপাতে
উত্তর – 3. আসন্ন সন্ধ্যার শেষ রশ্মিপাতে
যুগান্তের কবি কোথায় এসে দাঁড়াবেন? –
- মন্দিরে
- শিশুদের কাছে
- সভ্যতার প্রান্তে
- মানহারা মানবীর দ্বারে
উত্তর – 4. মানহারা মানবীর দ্বারে
“দাঁড়াও ওই মানহারা মানবীর দ্বারে।” – ‘মানহারা মানবী’ হল –
- বসুধা
- পশ্চিমি দুনিয়া
- ভারতবর্ষ
- আফ্রিকা
উত্তর – 4. আফ্রিকা
যুগান্তের কবি কী বলবেন? –
- ক্ষমা চাই
- ক্ষমা করো
- ক্ষম মোরে
- ক্ষমা করুন
উত্তর – 2. ক্ষমা করো
হিংস্র প্রলাপের মধ্যে যুগান্তের কবির কথা কী হয়ে থাকবে? –
- শেষতম আদেশ
- সৃষ্টির অন্তিম স্বর
- সৃষ্টির আদি স্বর
- সভ্যতার শেষ পুণ্যবাণী
উত্তর – 4. সভ্যতার শেষ পুণ্যবাণী
“সেই হোক তোমার সভ্যতার শেষ পুণ্যবাণী।।” – ‘সভ্যতার শেষ পুণ্যবাণী’ –
- বিদ্বেষ ত্যাগ করো
- ক্ষমা করো
- ভালোবাসো
- মঙ্গল করো
উত্তর – 2. ক্ষমা করো
দু-একটি বাক্যে উত্তর দাও।
পত্রপুট কাব্যগ্রন্থের প্রথম সংস্করণের প্রকাশকাল উল্লেখ করো।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত পত্রপুট কাব্যগ্রন্থের প্রথম সংস্করণের প্রকাশকাল 1343 বঙ্গাব্দের 25 বৈশাখ।
পত্রপুট কাব্যগ্রন্থের প্রথম সংস্করণে ‘আফ্রিকা’ কবিতাটি ছিল কি?
পত্রপুট কাব্যগ্রন্থের প্রথম সংস্করণে (প্রকাশ 25 বৈশাখ, 1343 বঙ্গাব্দ) ‘আফ্রিকা’ কবিতাটি ছিল না।
পত্রপুট কাব্যগ্রন্থের দ্বিতীয় সংস্করণের প্রকাশকাল উল্লেখ করো।
পত্রপুট কাব্যগ্রন্থের দ্বিতীয় সংস্করণ 1345 বঙ্গাব্দের 25 শ্রাবণ প্রকাশিত হয়।
পত্রপুট কাব্যগ্রন্থের দ্বিতীয় সংস্করণে ক-টি কবিতা সংযোজিত হয়?
পত্রপুট কাব্যগ্রন্থের দ্বিতীয় সংস্করণে দুটি কবিতা সংযোজিত হয়, যার একটি হল আফ্রিকা।
পত্রপুট কাব্যগ্রন্থের দ্বিতীয় সংস্করণে আফ্রিকা কবিতাটি কত সংখ্যক কবিতা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়?
পত্রপুট কাব্যগ্রন্থের দ্বিতীয় সংস্করণে ‘আফ্রিকা’ কবিতাটি ষোলো সংখ্যক কবিতা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়।
‘আফ্রিকা’ কবিতাটি প্রথম কোন্ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘আফ্রিকা’ কবিতাটি প্রথম প্রকাশিত হয় প্রবাসী পত্রিকায়, চৈত্র, 1343 বঙ্গাব্দে।
রবীন্দ্রনাথের জীবনকালে ‘আফ্রিকা’ কবিতাটির ভিন্নতর পাঠ কোথায় প্রকাশিত হয়েছিল?
রবীন্দ্রনাথের জীবনকালে ‘আফ্রিকা’ কবিতাটির ভিন্নতর একটি পাঠ প্রকাশিত হয়েছিল কবিতা পত্রিকায়, আশ্বিন, 1344 বঙ্গাব্দে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যুর পর ‘আফ্রিকা’ কবিতার আর-একটি পাঠ কোথায় প্রকাশিত হয়েছিল?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যুর পর ‘আফ্রিকা’ কবিতার আর-একটি পাঠ বিশ্বভারতী পত্রিকা-র শ্রাবণ-আশ্বিন 1351 সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কার অনুরোধে ‘আফ্রিকা’ কবিতাটি লেখেন?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কবি অমিয় চক্রবর্তীর অনুরোধে ‘আফ্রিকা’ কবিতাটি লেখেন।
‘আফ্রিকা’ কবিতাটি কোন্ সময়ের রচনা?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘আফ্রিকা’ শীর্ষক কবিতাটি 28 মাঘ, 1347 বঙ্গাব্দ (8 ফেব্রুয়ারি, 1937 খ্রিস্টাব্দ) -এর রচনা।
উনিশ শতকের শেষভাগে কোন্ কোন্ সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্র এশিয়া ও আফ্রিকার বুকে নিজেদের উপনিবেশ গড়ে তুলতে ও সাম্রাজ্যবিস্তারের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল?
উনিশ শতকের শেষভাগে ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া প্রভৃতি ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলি এশিয়া ও আফ্রিকার বুকে নিজেদের সাম্রাজ্যবিস্তারের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল।
সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলি কোন অজুহাতে এশিয়া ও আফ্রিকায় তাদের অনুপ্রবেশ ঘটায়?
অসভ্য জাতিকে সভ্য করার অজুহাতে সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলি এশিয়া ও আফ্রিকায় তাদের অনুপ্রবেশ ঘটায়। যার প্রকৃত উদ্দেশ্য ছিল লুণ্ঠন ও উপনিবেশ বিস্তার।
“উদ্ভ্রান্ত সেই আদিম যুগে” – ‘আদিম যুগ’ বলতে কোন্ সময়পর্বের কথা বোঝানো হয়েছে?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘আফ্রিকা’ কবিতায় ‘আদিম যুগ’ বলতে বিশ্বসৃষ্টির সূচনাপর্বের কথা বোঝানো হয়েছে।
“তাঁর সেই অধৈর্যে ঘন-ঘন মাথা নাড়ার দিনে” – কে, কেন অধৈর্যে ঘনঘন মাথা নাড়িয়েছেন?
বিশ্বস্রষ্টা ঈশ্বর সৃষ্টিপর্বের শুরুর দিকে নিজের প্রতি অসন্তোষে তাঁর নতুন সৃষ্টিকে বারবার ধ্বংস করেছিলেন আর অধৈর্যে ঘনঘন মাথা নাড়িয়েছিলেন।
“ছিনিয়ে নিয়ে গেল তোমাকে, আফ্রিকা”-কে আফ্রিকাকে কোথা থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গেল?
আলোচ্য অংশে বলা হয়েছে উত্তাল সমুদ্রের বাহু যেন ‘প্রাচী ধরিত্রী’ অর্থাৎ পৃথিবীর পূর্বদিকের দেশগুলির থেকে আফ্রিকাকে ছিনিয়ে নিয়ে গেল।
‘আফ্রিকা’ মহাদেশ কোন্ কোন্ সাগর দিয়ে ঘেরা?
‘আফ্রিকা’ মহাদেশ প্রধানত আটলান্টিক ও ভারত মহাসাগর এবং তাদের বিভিন্ন উপসাগর দিয়ে ঘেরা।
“কৃপণ আলোর অন্তঃপুরে।” – আলো ‘কৃপণ’ কেন?
আফ্রিকার নিরক্ষীয় অঞ্চলে রয়েছে চিরহরিৎ বৃক্ষের ঘন অরণ্যভূমি। সূর্যের আলো এই অরণ্যভূমিতে প্রায় ঢুকতেই পারে না। তাই সেখানে আলোকে ‘কৃপণ’ বলা হয়েছে।
“সেখানে নিভৃত অবকাশে তুমি/সংগ্রহ করছিলে দুর্গমের রহস্য” – ‘সেখানে’ বলতে কোন জায়গার কথা বোঝানো হয়েছে?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘আফ্রিকা’ কবিতার আলোচ্য অংশে ‘সেখানে’ বলতে আফ্রিকার নিরক্ষীয় অঞ্চলের ঘন অরণ্যভূমির কথা বোঝানো হয়েছে।
“চিনছিলে জলস্থল-আকাশের দুর্বোধ সংকেত”-কে চিনছিল?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘আফ্রিকা’ কবিতা থেকে নেওয়া আলোচ্য অংশে জলস্থল-আকাশের দুর্বোধ্য সংকেতকে চিনে নিচ্ছিল আফ্রিকা।
জলস্থল-আকাশের সংকেতকে ‘দুর্বোধ’ বলা হয়েছে কেন?
সৃষ্টির প্রথম থেকেই মানুষ প্রকৃতির কাছে নিতান্ত অসহায়। প্রকৃতির বিচিত্র খেয়াল বোঝার শক্তি তার নেই বলে তা মানুষের কাছে ‘দুর্বোধ’।
“প্রকৃতির দৃষ্টি-অতীত জাদু/মন্ত্র জাগাচ্ছিল” – ‘প্রকৃতির দৃষ্টি-অতীত জাদু’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
‘প্রকৃতির দৃষ্টি-অতীত জাদু’ বলতে প্রকৃতির বৈচিত্র্যপূর্ণ নানা অচেনা দিকগুলির কথা বলা হয়েছে। যার রহস্য আদিম মানুষ তার বুদ্ধি ও জ্ঞান দিয়ে ভেদ করতে পারেনি।
“বিদ্রূপ করছিলে ভীষণকে” — কীভাবে ‘বিদ্রূপ’ করছিল?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘আফ্রিকা’ কবিতার আলোচ্য অংশে নবগঠিত আফ্রিকা মহাদেশ নিজের প্রতিকূলতার ছদ্মবেশে প্রাকৃতিক ভয়ংকরতা ও ভীষণতাকে ‘বিদ্রূপ’ করছিল।
“শঙ্কাকে চাচ্ছিলে হার মানাতে”-কে, কীভাবে শঙ্কাকে হার মানাতে চেয়েছিল?
দুর্গম দুর্ভেদ্য আফ্রিকা মহাদেশ নিজেকে উগ্র করে তুলে তার ভয়ংকর মহিমায়, বিধ্বংসী তাণ্ডবলীলার প্রচণ্ড শব্দে ভয়কে হার মানাতে চেয়েছিল।
“কালো ঘোমটার নীচে/অপরিচিত ছিল তোমার মানবরূপ” – এখানে ‘কালো ঘোমটা’ কী?
‘কালো ঘোমটা’ বলতে এখানে আদিম অরণ্যে ঘেরা আফ্রিকার যে ছায়া ও অন্ধকারের বিস্তার তার কথা বলা হয়েছে।
“অপরিচিত ছিল তোমার মানবরূপ” — তার মানবরূপ কীভাবে অপরিচিত ছিল?
কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘আফ্রিকা’ কবিতায় মানবরূপ অপরিচিত ছিল উপেক্ষার আবিল দৃষ্টিতে।
“অপরিচিত ছিল তোমার মানবরূপ/উপেক্ষার আবিল দৃষ্টিতে।” – কার মানবরূপ, কাদের কাছে উপেক্ষার আবিল দৃষ্টিতে অপরিচিত ছিল?
আলোচ্য অংশে আফ্রিকা মহাদেশের মানবরূপ যেন তার অরণ্যে-ঢাকা ‘কালো ঘোমটার নীচে’ সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলির কাছে উপেক্ষার কলুষিত দৃষ্টিতে অপরিচিত ছিল।
“এল ওরা লোহার হাতকড়ি নিয়ে” – কাদের কথা বলা হয়েছে?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘আফ্রিকা’ কবিতার আলোচ্য অংশে উন্নত ইউরোপীয় রাষ্ট্রশক্তিগুলি, যারা আফ্রিকাকে আক্রমণ করেছিল, তাদের কথা বলা হয়েছে।
“এল মানুষ-ধরার দল।” — এখানে ‘মানুষ-ধরার দল’ বলতে কাদের কথা বলা হয়েছে?
উন্নত ইউরোপীয় সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলো, যারা আফ্রিকাকে ক্রীতদাস সরবরাহের কেন্দ্রে পরিণত করেছিল, এখানে তাদের কথা বলা হয়েছে।
“এল মানুষ-ধরার দল” – এই ‘মানুষ-ধরার দল’ -এর বিশেষত্ব কী ছিল?
হিংস্রতায় এদের নখ ছিল আফ্রিকার অরণ্যচারী নেকড়ের থেকেও ধারালো।
“হায় ছায়াবৃতা” – কাকে, কেন ছায়াবৃতা বলা হয়েছে?
আদিম, ঘন অরণ্যে ঢাকা আফ্রিকায় সূর্যরশ্মি ঢুকতে না পারায় তাকে ‘ছায়াবৃতা’ বলা হয়েছে।
‘ছায়াবৃতা’ আফ্রিকার মুখ কোথায় লুকানো ছিল?
‘ছায়াবৃতা’ আফ্রিকার মুখ লুকানো ছিল কালো ঘোমটার নীচে অর্থাৎ আদিম অরণ্যের অন্ধকারে।
“গর্বে যারা অন্ধ তোমার সূর্যহারা অরণ্যের চেয়ে।” – তারা কী করল?
উন্নত সভ্যতার গর্বে অন্ধ সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলি লোহার হাতকড়ি দিয়ে আফ্রিকার মানুষদের কৌশলে বন্দি করল এবং ক্রীতদাস বানাল।
“নগ্ন করল আপন নির্লজ্জ অমানুষতা।” — কীভাবে নির্লজ্জ অমানুষতা প্রকাশ পেল?
সাম্রাজ্যবিস্তারের লক্ষ্যে মানুষ মানুষকে দীর্ঘকাল ধরে শিকল পরিয়েছে। তথাকথিত সভ্য মানুষের ক্ষমতার প্রতি এই বর্বর লোভের মধ্য দিয়েই তাদের নির্লজ্জ অমানুষতা প্রকাশ পেয়েছে।
“পঙ্কিল হলো ধূলি তোমার রক্তে অশ্রুতে মিশে” – কীভাবে এমন পরিস্থিতি তৈরি হল?
পৃথিবীর নানা সাম্রাজ্যবাদী শক্তি নিজেদের উপনিবেশ গড়ার জন্যে স্বাধীন আফ্রিকার মানুষকে শৃঙ্খলিত করল এবং তাদের ওপর বর্বর, অমানুষিক অত্যাচার চালাল। এভাবেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হল।
“চিরচিহ্ন দিয়ে গেল তোমার অপমানিত ইতিহাসে।” – কারা চিরচিহ্ন দিয়ে গেল?
তথাকথিত ‘সভ্য’ এবং সাম্রাজ্যবাদী ইউরোপীয় রাষ্ট্রশক্তিগুলি চিরচিহ্ন দিয়ে গেল।
“চিরচিহ্ন দিয়ে গেল তোমার অপমানিত ইতিহাসে।” – ইতিহাস অপমানিত কেন?
পরাধীনতার গ্লানিতে, মানুষের অপমানে আফ্রিকার ইতিহাস অপমানিত। সেই অপমানের চিহ্নকে চিরস্থায়ী করে দিয়ে গেছে লোভী, হিংস্র বর্বর সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলি।
“সমুদ্রপারে সেই মুহূর্তেই” – সমুদ্রপারে তখন কী ঘটছিল?
আফ্রিকা যখন অত্যাচারিত, লাঞ্ছিত, অপমানিত তখন সমুদ্রপারে সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলির পাড়ায় পাড়ায় মন্দিরে পুজোর ঘণ্টা বাজছিল। শিশুরা মায়ের কোলে খেলা করছিল, কবিরা সুন্দরের আরাধনা করছিলেন।
“মন্দিরে বাজছিল পূজার ঘণ্টা” – কেন এই পুজোর ঘণ্টা বাজছিল?
সকাল এবং সন্ধ্যায় দয়াময় দেবতার নাম স্মরণ করে ঔপনিবেশিক প্রভুদের মন্দিরে পুজোর ঘণ্টা বাজছিল।
“কবির সংগীতে বেজে উঠেছিল” – কবির সংগীতে কী বেজে উঠেছিল?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘আফ্রিকা’ কবিতার আলোচ্য অংশে কবি সংগীতে বেজে উঠেছিল সুন্দরের আরাধনা।
“প্রদোষকাল ঝঞ্ঝাবাতাসে রুদ্ধশ্বাস,” — ‘প্রদোষকাল’ বলতে কোন্ সময়কে বোঝানো হয়েছে?
‘প্রদোষকাল’ বলতে সান্ধ্যকাল বা দিনের অন্তিম সময়কে বোঝানো হয়েছে।
“আজ যখন পশ্চিম দিগন্তে/প্রদোষকাল ঝঞ্ঝাবাতাসে রুদ্ধশ্বাস/যখন গুপ্ত গহ্বর থেকে পশুরা বেরিয়ে এল/অশুভ ধ্বনিতে ঘোষণা করল দিনের অন্তিমকাল,” – উদ্ধৃতাংশে কোন রাজনৈতিক ঘটনার স্পর্শ রয়েছে?
উদ্ধৃতাংশে আফ্রিকার কৃষ্ণাঙ্গ মানুষদের প্রতি শ্বেতাঙ্গ মানুষদের এবং তথাকথিত সভ্য ও উন্নত রাষ্ট্রগুলির অত্যাচার ও উৎপীড়নের মতো রাজনৈতিক ঘটনার ছোঁয়া রয়েছে।
গুপ্ত গহ্বর থেকে পশুরা বেরিয়ে এসে কী ঘোষণা করেছিল?
গুপ্ত গহ্বর থেকে বেরিয়ে এসে পশুরা দিনের অন্তিমকাল ঘোষণা করেছিল।
“এসো যুগান্তের কবি” – কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘যুগান্তের কবি’-র কাছে কোন্ ডাক দিয়েছেন?
অথবা, “এসো যুগান্তরের কবি” – ‘কবি’-র ভূমিকাটি কী হবে?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যুগান্তরের কবিকে আসন্ন সন্ধ্যার শেষে অপমানিত আফ্রিকার পাশে দাঁড়ানোর ডাক দিয়েছেন।
“আসন্ন সন্ধ্যার শেষ রশ্মিপাতে” – সন্ধ্যাকাল আসন্ন কেন?
অশুভ ধ্বনিতে দিনের অন্তিমকাল ঘোষণা করেছে গুপ্ত গহ্বরের পশুরা, দিনের শেষে পশ্চিম দিগন্তও ঝঞ্ঝাবাতাসে শ্বাসরুদ্ধ। সভ্যতার যেন সংকটকাল উপস্থিত। তাই রূপকার্থে বলা হয়েছে সন্ধ্যাকাল আসন্ন।
‘ক্ষমা করো’ – এই ক্ষমাপ্রার্থনার মধ্য দিয়ে কবির কোন্ মনোভাবের প্রকাশ ঘটেছে?
এই ক্ষমাপ্রার্থনার মধ্য দিয়ে কবির অনুশোচনা এবং বিবেকবোধের প্রকাশ ঘটেছে।
“সেই হোক তোমার সভ্যতার শেষ পুণ্যবাণী।” – সভ্যতার শেষ ‘পুণ্যবাণী’-টি কী হওয়া বাঞ্ছনীয় বলে কবি মনে করেন?
আফ্রিকা কবিতায় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মনে করেন যুগান্তের কবির কণ্ঠে সভ্যতার শেষ ‘পুণ্যবাণী’-টি হওয়া উচিত ‘ক্ষমা করো’।
আজকের আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলার তৃতীয় পাঠের প্রথম অংশ “আফ্রিকা” থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নগুলো মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। আশা করছি, এই নিবন্ধটি আপনাদের জন্য সহায়ক হয়েছে। যদি কোনো প্রশ্ন বা সমস্যা থেকে থাকে, তাহলে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমি সহায়তা করার চেষ্টা করবো। এছাড়া, এই পোস্টটি তাদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না, যাদের এটি কাজে লাগতে পারে। ধন্যবাদ!
মন্তব্য করুন